খুলনায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, খুলনা
ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক/ছবি: বার্তা২৪.কম

ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।

বুধবার ( ১১ মার্চ) দুপুরে মেলার উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। খুলনা চেম্বার অব কমার্স এ মেলার আয়োজন করেছে।

বিগত বছরগুলোতে খুলনা সার্কিট হাউজের মাঠে এ মেলার আয়োজন করা হলেও এবার নগরীর সোনাডাঙ্গায় খুলনা বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে মাসব্যাপী এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

মেলার প্রবেশ মূল্য রাখা হয়েছে ২০ টাকা। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ভারতীয় সহকারী হাই-কমিশনার আর কে রায়না, কেএমপি কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির ও চেম্বার সভাপতি কাজি আমিনুল হক প্রমুখ।

একদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে জনবহুল এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে খুলনায় শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা নিয়ে জনমনে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

মেলার আয়োজক মেসার্স চামেলী ট্রেডার্সের প্রোপ্রাইটর মো. রাসেল জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২৫টির বেশি মেলা হচ্ছে। কোনো খানেই করোনার কারণে সমস‌্যা হচ্ছেনা। আশা করি খুলনাতেও কোনো সমস‌্যা হবে না। তবুও মেলার প্রধান ফটকের সামনে একটি থার্মাল স্ক্যানার বসানোর বিষয়টি চিন্তাভাবনা চলছে।

   

কুষ্টিয়ায় অরক্ষিত রেলক্রসিং, বাড়ছে দুর্ঘটনা



এস এম জামাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অরক্ষিত রেলক্রসিং এর কারণে প্রতিনিয়তই বাড়ছে দুর্ঘটনা। এসব রেলক্রসিংয়ে কোনো গেটম্যান নেই, তেমনি রাখা হয়নি কোনো নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। ফলে উন্মুক্ত রেলগেট দিয়ে যানবাহন এবং পথচারীরা চলাচল করতে গিয়ে প্রায়শই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। যার ফলে ঘটছে প্রাণহানি।

১৮৬৭ সালে তদানীন্তন ব্রিটিশ সরকার দর্শনা হতে জগতি পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে সংস্কার করা হয় এই রেললাইন। পোড়াদহ থেকে রেলযোগে রাজশাহী, ঢাকা, রাজবাড়ী, খুলনা ইত্যাদি স্থানে যাওয়া আসা শুরু হয়। ১৮৯৭ সালে দর্শনা-পোড়াদহ সেকশনটি সিঙ্গেল লাইন থেকে ডাবল লাইনে উন্নীত করা হয়। পর্যায়ক্রমে ১৯০৯ সালে পোড়াদহ-ভেড়ামারা, ১৯১৫ সালে ভেড়ামারা-ঈশ্বরদী এবং ১৯৩২ সালে ঈশ্বরদী-আব্দুলপুর সেকশনগুলোকে ডাবল লাইনে উন্নীত করা হয়।

প্রতিদিন ৪০টির বেশি ট্রেন যাতায়াত করে পোড়াদহ জংশন দিয়ে। কিন্তু মান্ধাতার আমলের রেললাইনের কারণে মাঝে মধ্যেই দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।

গেলো ৩ মে কুষ্টিয়ার মিরপুরে রেললাইনের অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় একটি মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় নিহত সহিদুর রহমান (৪৫) নামে পুলিশের এক কর্মকর্তা নিহত হন। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের কাটদহচর রেল ক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এসময় একটি মালবাহী ট্রেন মোটরসাইকেলসহ তাকে দেড় কিলোমিটার টেনে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই এ পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্য হয়।

নিহত সহিদুর রহমান মিরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই)। তিনি স্থানীয় মাজিহাট পুলিশ ক্যাম্পে ইনচার্জের দায়িত্বে ছিলেন। তার বাড়ি নড়াইল জেলায়।
ঠিক একই রেলক্রসিং এ ২০১৯ সালে খুলনা থেকে রাজশাহীগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস কাটদহচর রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় বালুবোঝাই একটি শ্যালো ইঞ্জিন চালিত ট্রলি রেলক্রসিংয়ে উঠে পড়ে। এ সময় ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই ট্রলির চালক ও হেলপার মারা যান।

এলাকাবাসীর অভিযোগ মিরপুর উপজেলার কাটদহচর এলাকার মাঝখান দিয়ে রেললাইন গেছে। রেলগেটের ওপর দিয়ে আঞ্চলিক সড়ক থাকায় প্রতিনিয়ত স্থানীয়রা যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু কোন রেলগেট এবং গেটম্যান না থাকায় এমন দুর্ঘটনায় পড়তে হয় মাঝে মধ্যেই। গতবছরও ট্রেন দুর্ঘটনায় কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। শিগগিরই রেলগেট দেওয়ার দাবি জানান তারা।

স্থানীয় বাসিন্দা মীর আব্দুর রাজ্জাকা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এসব রেলগেটে গেটম্যানের ব্যবস্থা না থাকায় তাদের ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পারাপার হতে হচ্ছে। এ বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়।

পোড়াদহ রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার শাহাদত হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কুষ্টিয়ায় প্রায় ৪২ কিলোমিটার রেলপথ আছে। এসবের মধ্যে অন্তত ১০টি অরক্ষিত রেলগেট রয়েছে। লোকবলের অভাবে সেসব স্থানে কোন রেলগেট এবং গেটম্যান নেই। তাছাড়া রেলের অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন স্থানে পাকা সড়ক নির্মাণ করে। এসব স্থানে সড়ক নির্মাণের আগে রেল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগোযাগ করলে হয়তো রেলগেট এবং গেটম্যান দেওয়া হতো।

তিনি আরও বলেন,কাটদহচর এলাকায় দুর্ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হওয়ার পর রেল সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি জানতে পেরেছি সেখানে শিগগিরই রেলগেট নির্মাণ করা হবে। এজন্য গুমটি ঘর (গেটম্যান বাসস্থান) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

;

মিল্টনের আশ্রমের ব্যক্তিদের দায়িত্ব নিয়েছে শামসুল হক ফাউন্ডেশন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিল্টন সমাদ্দারের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমে থাকা অনাথ শিশু, বৃদ্ধ ও মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষদের থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসা সেবার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশনকে।

সোমবার (৬ মে) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, মিল্টনের আশ্রমে যারা আছেন তাদের আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন থেকে সব ধরনের সেবা প্রদান করা হবে। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক সেখানে একজন চিকিৎসক থাকবেন। তিনি চিকিৎসা সেবা প্রদান করবেন। এর খরচও শামসুল হক ফাউন্ডেশন থেকে বহন করা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, মিল্টন তথাকথিত মানবতার ফেরিওয়ালা নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে অনাথ শিশু, বৃদ্ধ ও মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষকে পুঁজি করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে আসছিল। সেসব টাকা অসহায়দের সেবা না দিয়ে ব্যাংকে তার নিজের অ্যাকাউন্টে জমাতেন।

এসময় সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, মিল্টনের আশ্রমে যে কয়েকজন অনাথ শিশু, বৃদ্ধ ও মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষ আছে তাদের সহায়তা করতে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে বলেছি। তিনি হলেন আলহাজ্ব সামছুল হক ফাউন্ডেশনের কর্নধার। গতকাল তিনি আমাদের কাছে এসেছিলেন। আমরা তাকে অনুরোধ করেছি তার ফাউন্ডেশন যেন চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমে যারা আছে তাদের থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসার ব্যয়ভার আপাতত দেখভাল করেন।

;

অসহায়দের সেবা না দিয়ে টাকা ব্যাংকে জমাতেন মিল্টন: হারুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অনাথ শিশু, বৃদ্ধ ও মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষকে পুঁজি করে টাকা সংগ্রহ করতেন চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার। কিন্তু তিনি অসহায়দের সেবা না দিয়ে সেই টাকা নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমাতেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

সোমবার (৬ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মানবপাচার মামলায় মিল্টন সমাদ্দারকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, আমরা তাকে আরও চার দিনের রিমান্ডে এনেছি। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, মিল্টন তথাকথিত মানবতার ফেরিওয়ালা নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে অনাথ শিশু, বৃদ্ধ ও মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষকে পুঁজি করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে আসছিল। সেসব টাকা অসহায়দের সেবা না দিয়ে ব্যাংকে তার নিজের অ্যাকাউন্টে জমাতেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে ভয়াবহ ও লোহমর্ষক তথ্য পেয়েছি। সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানাবো।

এসময় সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, মিল্টনের আশ্রমে যে কয়েকজন অনাথ শিশু, বৃদ্ধ ও মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষ আছে তাদের সহায়তা করতে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে বলেছি। তিনি হলেন আলহাজ্ব সামছুল হক ফাউন্ডেশনের কর্নধার। গতকাল তিনি আমাদের কাছে এসেছিলেন। আমরা তাকে অনুরোধ করেছি তার ফাউন্ডেশন যেন চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমে যারা আছে তাদের খাওয়া ও চিকিৎসার ব্যয়ভার আপাতত দেখভাল করে।

শিশু পাচারের অভিযোগে মিল্টন কি তথ্য দিয়েছে জানতে চাইলে হারুন বলেন, তার কাছ থেকে আমরা বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। সব তথ্য যাচাই-বাছাই করছি। আমরা মনে করি এসব অভিযোগের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

মিল্টনের মাদক সেবনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিল্টন নিজেই স্বীকার করেছে সে ইয়াবা সেবন করে। তার টর্চার সেলে অত্যাচার করা হত। আমি মনে করি মাদকাসক্ত ছাড়া একজন মানুষ এভাবে কাউকে পেটাতে পারে না।

চিকিৎসকদের সই-সিল নকল করে মৃত্যু সনদ বানিয়ে জানাজা ছাড়া কোথায় কাকে কবর দিয়েছেন সেসব তথ্য মিল্টন স্বীকার করা শুরু করেছে বলেও জানান ডিবি প্রধান।

অজ্ঞাত মরদেহ দাফনের ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, মিল্টনের মাঠ পর্যায়ে লোক রয়েছে। তারা বয়স্ক, বাকপ্রতিবন্ধী, মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিদের সংগ্রহ করে তার কাছে নিয়ে আসত। ফলে এই মানুষগুলোর আত্মীয় স্বজনদের তথ্য কেউ জানে না। এই সুযোগ সে কাজে লাগিয়ে ইচ্ছামত কাজ করত।

;

উপজেলা ভোট: প্রথম ধাপে ১৩ প্রার্থী এমপির স্বজন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের নিকট আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিধিনিষেধ জারি করেছেন। কিন্তু দলের নিষেধাজ্ঞার বাইরে গিয়ে নির্বাচনের প্রথম ধাপে অন্তত ১৩ জন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এদের মধ্যে রয়েছেন সংসদ সদস্যের পুত্র, চাচাতো ভাই, খালাতো ভাই, জামাতা, ভাইয়ের ছেলে, ভাই ও চাচা।

সোমবার (৬ মে) সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডি ২৭ নম্বরের ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

টিআইবি জানায়, এই ধাপের নির্বাচনে তিন সংসদ সদস্যের পুত্র উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন করছেন। এ তিনজন হচ্ছেন- মাদারীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের পুত্র আসিবুর রহমান, নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী'র ছেলে আতাহার ইশরাক চৌধুরী, বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের পুত্র মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন।

আর তিন সংসদ সদস্যের ছোট ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন করছেন। তারা হলেন- বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের ছোট ভাই মিনহাদুজ্জামান, সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু'র ছোট ভাই মো. আবদুল বাতেন বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে, সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিমের ছোট ভাই এস এম নূর ই আলম নাজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন।

এছাড়া পাবনার বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু'র ভাইয়ের ছেলে আবদুল কাদের, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলামের চাচা সফিকুল ইসলাম ও চাচাতো ভাই আলী আফসার, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য মাহবুব আলম হানিফের চাচাতো ভাই আতাউর রহমান, মাদারীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য শাহজাহান খানের চাচাতো ভাই পাভেলুর রহমান, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের ছোট ভাই হারুন অর রশীদ, খাগড়াছড়ি'র রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা'র জামাতা বিশ্ব প্রদীপ অধিকারী।

এর মধ্যে একই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্যের দুই জন স্বজন নির্বাচন করছেন এমন উপজেলার সংখ্যা ৩। তারা হলেন, মাদারীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের পুত্র আসিবুর রহমান ও পাভেলুর রহমান, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলামের চাচা সফিকুল ইসলাম ও চাচাতো ভাই আলী আফসার, পাবনার বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু'র ভাইয়ের ছেলে আবদুল কাদের ও ছোট ভাই মো. আবদুল বাতেন।

টিআইবির তথ্য মতে, ২০১৯ সালের তুলনায় আয় বৃদ্ধির দিক দিয়ে সবার ওপরে খাগরাছড়ির রামগড়ের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারী। তার সম্পদ বেড়েছে ৩৩১৯.১৫ শতাংশ।

;