প্রস্তুত মেডিকেল টিম, নেই করোনা নির্ণয়ে কিটস-স্ক্যানার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল/ছবি: বার্তা২৪.কম

সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর থেকে রাজশাহীতেও ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্তরাও দৌঁড়চ্ছেন হাসপাতালে।

সোমবার (৯ মার্চ) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বহির্বিভাগে ভিড় বেড়েছে রোগীর। তবে এখনো রাজশাহীতে করোনা আক্রান্তের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। সন্দেহভাজন কারও নামও আসেনি।

তবে বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় রাজশাহীতে নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। সংক্রামক ব্যাধি (আইডি) হাসপাতালের পুরোটা, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ৩৫ বেডের দু’টি করোনা ওয়ার্ড এবং মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প বসানো হয়। গঠন করা হয়েছে পৃথক তিনটি বিশেষ মেডিকেল টিম।

 জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্তরাও দৌঁড়চ্ছেন হাসপাতালে

তবে এতোসব প্রস্তুতি থাকলেও রাজশাহীতে নেই করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তে থার্মাল স্ক্যানার এবং কিটস। ফলে উত্তরাঞ্চলে সন্দেহভাজন কোনো রোগী পেলে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হবে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানানো হবে। যা বেশ লম্বা সময়ে প্রক্রিয়া বলছেন খোদ চিকিৎসকরা।

জানতে চাইলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সন্দেহভাজন কাউকে পেলে আমরা নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নির্নয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রে (আইইডিসিআর) পাঠাবো। সেখানে পরীক্ষা শেষে তারা রিপোর্ট পাঠাবেন। তবেই জানা যাবে- সন্দেহভাজন ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন কিনা।’

তিনি বলেন, ‘রাজশাহীতে আমরা এখনও কিটস এবং থার্মাল স্ক্যানার পায়নি। দুই সপ্তাহ আগে কিটস এবং স্ক্যানারের চাহিদা ঢাকায় আবেদন আকারে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এখনও কোনো সাড়া মেলেনি। ফলে যে প্রক্রিয়া আমাদের সামনে খোলা আছে, সেটাই অনুসরণ করতে হচ্ছে।’

রামেক হাসপাতালে ৩৫ বেডের দু’টি করোনা ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে

কিটস এবং স্ক্যানারের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আমরা উচ্চপর্যায়ে স্ক্যানার ও কিটসের চাহিদার কথা পুনরায় জানিয়েছি। উনারা দ্রুত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। হয়তো দ্রুত রাজশাহীতে স্ক্যানার এবং কিটস সরবরাহ করা হবে।’

এদিকে, সোমবার (৯ মার্চ) সকালে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেডিকেল টিম গঠন, সেবাকেন্দ্র প্রস্তুত রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। আক্রান্ত কাউকে পাওয়া গেলে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল ও রামেক হাসপাতালে রাখা হবে। আর সন্দেহভাজনদের রাখার জন্য মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে ক্যাম্প প্রস্তুত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য বলেন, গঠিত বিশেষ মেডিকেল টিমের প্রত্যেকটিতে তিনজন করে চিকিৎসক ও দু’জন করে নার্স রাখা হয়েছে। টিমগুলো সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, রামেক’র বর্হিঃবিভাগ ও মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে মেডিকেল ক্যাম্পে কাজ করবে।

এখনো রাজশাহীতে করোনা আক্রান্তের কোনো খবর পাওয়া যায়নি

তিনি আরও বলেন, ‘গত ২৯ ফেব্রুয়ারি আমরা রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায় ১১ সদস্য বিশিষ্ট পৃথক কমিটি করেছি। জেলা পর্যায়ের কমিটিতে জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও সিভিল সার্জনকে সদস্য সচিব হয়েছেন। কমিটির সদস্যরা জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ ভাইরাস প্রতিরোধ ও শনাক্ত করতে বিভিন্ন পদক্ষপ গহণ করছে।

অপরদিকে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ থাকলেও করোনা মোকাবিলায় রাজশাহী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এখনও তেমন কোনো প্রচার-প্রচারণা বা সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগে চোখে পড়েনি। ফলে মহানগরীর বাসিন্দাসহ জেলা পর্যায়েও ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপক আতঙ্ক। তবে সোমবার সকাল থেকে নগরী ঘুরে ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতার নমুনা হিসেবে দেখা গেছে ব্যাপক হারে মাস্কের ব্যবহার।

 

   

নোয়াখালীতে নতুন গ্যাস কূপের খনন কার্যক্রমের উদ্বোধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) নতুন গ্যাস কূপ খনন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টায় উপজলার অম্বরনগর ইউনিয়নের ওয়াছেকপুর গ্রামে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ খনন প্রকল্প। এর আগে, গত ২২ এপ্রিল কূপ খননের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ড্রিলিং রিগ’ স্থাপন করা হয়। এরপর থেকে বাপেক্সের দুই শতাধিক প্রকৌশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক এ কর্মযজ্ঞে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাপেক্সের ৩টি কূপের প্রকল্প পরিচালক প্রিন্স মো. আল হেলালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাপেক্সের খনন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী গাজী মো. মাহবুবুল হক।

এসময় বাপেক্সের প্রকৌশল বিভাগের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. শাহজাহান, ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শামসিয়া মুক্তাদির, বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ খনন প্রকল্পের ড্রিলিং ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।

;

গফরগাঁওয়ে শিয়ালের কামড়ে আহত ৪



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে শিয়ালের কামড়ে ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন বনগ্রামের পারুল (৪৫), মোজাম্মেল (৫০) ও সরইকান্দা গ্রামের রিয়েল (৩২), মিজান (১৮)।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে উপজেলার গফরগাঁও ইউনিয়নের বনগ্রাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, রোববার রাতে গৃহবধূ পারুল বাড়িতে ধানের কাজ করছিলেন। হঠাৎ শিয়াল এসে হাতে কামড় দেয়। আত্মরক্ষায় তখনই পারুল পুকুরে ঝাঁপ দেয়। এরপর মোজাম্মেল তার বাড়িতে শিয়ালের আক্রমণে শিকার হন।

বনগ্রাম বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে রিয়েল ও মিজান শিয়ালের কামড়ে আহত হয়। গুরুতর আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

বনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি মো. আলামিন বলেন, শিয়ালের কামড়ে আহত হয়েছে চারজন তবে শিয়ালটিকে এখনো মারা যায়নি। এ নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে এলাকার মধ্যে।

গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা দেবাশীষ রাজবংশী বলেন, শিয়ালের কামড়ে আহতরা রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পরে আমাদের কাছে ভ্যাকসিন না থাকায় ময়মনসিংহ হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে আগামীতে আমাদের হাসপাতালে ভেকসিনের ব্যবস্থা করা হবে।

;

ঝালকাঠির সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন

লাইসেন্সবিহীন চালক, ওভারলোডিং, অবকাঠামোর ত্রুটিই দায়ী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঝালকাঠি
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝালকাঠির গাবখান টোলপ্লাজায় ট্রাকচাপায় ১৪ জন নিহতের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি জেলা প্রশাসনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে চালকদের লাইসেন্স ও ট্রাকের ফিটনেস না থাকা, ওভারটেকিং করা, সড়কে অবৈধ যান, সড়কের অবকাঠামোয় ত্রুটি, ট্রাকে ওভারলোড, অতিরিক্ত গতি এবং গতিরোধের জন্য নির্দেশনা না-থাকা দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

১৭ এপ্রিল ঝালকাঠির গাবখান সেতু টোলপ্লাজায় সিমেন্ট বোঝাই একটিড ট্রাক সামনে থাকা একটি মিনি ট্রাক, একটি প্রাইভেটকার এবং ৩টি ইজিবাইককে চাপা দেওয়ায় ১৪ জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ১৭ জন। এ দুর্ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়। ঈদযাত্রার আলোচিত এ দুর্ঘটনার কারণ জানাতে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এতে জেলা প্রশাসন এবং সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুটি আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

গাবখান সেতুসংলগ্ন দুর্ঘটনার জন্য ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরোজকে প্রধান করে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিতুল ইসলাম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ঝালকাঠি জোনের সহকারী পরিচালক (প্রকৌশল) মো. মাহবুবুর রহমান ও বুয়েটের এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) সহকারী অধ্যাপক ড. আরমানা সাবিহা হককে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এ বিষয়ে কথা হলে তদন্ত কমিটির সদস্য বুয়েটের এআরআই’র সহকারী অধ্যাপক ড. আরমানা সাবিহা হক বলেন, অনেক সড়ক দুর্ঘটনার তদন্ত করেছি। কিছু বিষয় ছাড়া সড়কের অবকাঠামো ত্রুটি চিহ্নিত করা হয় না। এ ছাড়া দুর্ঘটনা ঘটলে প্রথমেই চালককে দোষারোপ করি। কিন্তু সড়কের অবকাঠামো ত্রুটির বিষয়টি সামনে আনেন না কেউ।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনা কমাতে হলে শুধু সড়কের উন্নয়ন করলেই হবে না; অবকাঠামোগত ত্রুটিও দূর করতে হবে। তদন্ত প্রতিবেদনে প্রধান কারণ হিসেবে সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের ওভারলোড এবং অতিরিক্ত গতি দায়ী করা হয়েছে। ট্রাকটির ধারণ ক্ষমতা ১৫ টন হলেও সিমেন্টের পরিমাণ ছিল ২০ টন।

সড়কটিতে সর্বোচ্চ গতিসীমা ৫০ কিলোমিটার হলেও ট্রাকটি ৬৫ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চলছিল। এ ছাড়া ট্রাকচালকের ভারী যান চালানোর লাইসেন্স ছিল না। তিনি ছিলেন বদলি ড্রাইভার। মূল চালক ঈদের ছুটিতে ছিলেন।

সাধারণত বদলি চালকদের দ্রুততম সময়ে ট্রিপ শেষ করার তাগিদ থাকে। সে কারণে এ দুর্ঘটনায় চালকের গাফিলতিও রয়েছে। অন্যদিকে, যেকোনো টোলপ্লাজা ও সড়ক জংশনের ৫শ মিটার আগেই গতি কমানোর নির্দেশনা থাকে। ‘সামনে টোলপ্লাজা, গতি কমান’ এ ধরনের সাইনবোর্ড থাকে।

কিন্তু গাবখান সেতুর ১শ ৩০ ফুট আগে সেই নির্দেশনা ছিল। সে নির্দেশিকাও (সাইনবোর্ড) চোখে পড়ার মতো নয়। টোলপ্লাজায় গতি নিয়ন্ত্রণে ‘রাম্বল স্ট্রিপস’ থাকার কথা থাকলেও সেখানে তা ছিল না। কাজেই এত অল্প দূরত্বের সাইনবোর্ড দেখে চালক গতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি আর সেতু থেকে নামার পর স্বভাবতই গাড়ির গতি বেশি থাকে, যার ফলেই ঘটে এ দুর্ঘটনা।

ড. আরমানা আরো বলেন, ঝালকাঠি ও পিরোজপুরের সড়কে কিছুটা দূরত্ব পরপর ভয়াবহ বাঁক রয়েছে। গাবখান ব্রিজটিও স্পাইরাল কার্ভের মতো। সেতু থেকে নামার পরে সড়কের দুই পাশে ১২ ফুট করে গভীর খাদ রয়েছে। নিয়মানুযায়ী সেখানে প্রতিবন্ধক থাকার কথা থাকলেও এর দেখা মেলেনি।

সড়কের দুই পাশে ১০ মিটার ট্রাভার্সাল ক্লিয়ারিং জোন থাকার কথা। কোনো গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে তা সড়কের পাশে থেকে সেই ক্লিয়ারিং জোনে চলে যাবে। সেখান থেকে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে এলে আবার মূল সড়কে এসে চলবে। ঝালকাঠির ওই সড়কের পাশে ক্লিয়ারিং জোন দূরে থাক, সেখানে গড়ে উঠেছে নানা অবকাঠামো।

গাবখানে যে অংশে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তার খুব কাছে ছিল চায়ের দোকান। ট্রাক আরেকটু এগিয়ে গেলে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারতো। এ ছাড়া নিয়মানুযায়ী, সড়কের প্রশস্ত অংশে টোলপ্লাজা হওয়ার কথা। কিন্তু সড়কের সরু অংশে টোলপ্লাজা করা হয়েছে। এটিও ঝুঁকিপূর্ণ। পাশাপাশি সেতু এলাকায় মূল সড়কের পাশে বেশ কয়েকটি সংযোগ সড়ক ছিল।

এ ছাড়া ঝালকাঠির সড়কে থ্রি-হুইলার, নছিমন-করিমন, অটোরিকশাসহ নানা অবৈধ যানবাহন চলাচল করে। এসব যানবাহনের কোনো রেজিস্ট্রেশন নেই। এসব বাহনের চালকেরা হুট করেই আঞ্চলিক মহাসড়কে চলে আসেন। ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। এসব যানবাহনে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হয়। ফলে দুর্ঘটনা ঘটলে বেশি প্রাণহানি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

ঝালকাঠির দুর্ঘটনার পরে তদন্ত কমিটি বেশ কয়েকটি সুপারিশ প্রস্তাব করেছে।

এতে সড়কের যেসব অংশে দুইপাশে গভীর খাদ রয়েছে, সেখানে ভরাট করা; আঞ্চলিক সড়কগুলোর দুইপাশে ট্রাভার্সাল ক্লিয়ারিং জোন তৈরি করা করা; পাশাপাশি যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহনে গতি নিয়ন্ত্রক যন্ত্রাংশ (স্পিড ওয়ার্নিং ডিভাইস) বসাতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

এ ছাড়া সিমেন্টবোঝাই ট্রাকে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত সিমেন্ট পরিবহনের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে। ওই সুপারিশমালায় সড়কে থ্রি-হুইলার বা অনিবন্ধিত যানবাহন চলাচলকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে এগুলো চলাচল বন্ধের জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ড. আরমানা সাবিহা হক বলেন, গাবখান সেতু এলাকায় মাল্টি ডিসিপ্লিনারি প্রবলেম ছিল। এখানে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের পাশাপাশি বিআরটিএ, হাইওয়ে পুলিশের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। তাদের জনবল সংকট রয়েছে, কিন্তু যে জনবল রয়েছে, তাদের দক্ষতাও কম। সড়ক আইন কার্যকরের বিষয়টি পুলিশের ওপরও বর্তায়। গাবখানে হাইওয়ে পুলিশের কাছে স্পিড রাডার গান ছিল না।

জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম জানান, দুঘটনা রোধে তদন্ত কমিটির সুপারিশগুলো সংশ্লষ্ট দপ্তরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হচ্ছে।

 

;

চলমান তাপদাহ নিয়ে রাজনীতি না করার আহ্বান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তাপদাহ নিয়ে রাজনীতি না করার আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজশাহীর লক্ষ্মীপুরে বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ছাত্রলীগের এই কর্মসূচি দেশজুড়ে হচ্ছে। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রীর একটি নির্দেশনা। সেই নির্দেশনা মেনেই আমরা কাজ করছি। তবে এই যে তাপদাহ এটি নিয়ে যাতে কেউ রাজনীতি না করে। এখানে আমরা সবাই সামাজিকভাবে কাজ করি। এই অনুরোধটি আজকের এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি থেকে সমস্ত রাজনৈতিক বন্ধুদের কাছে রাখলাম।

আসাদ বলেন, ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের জীবনী শক্তি। শুধু তাপদাহের কারণে বৃক্ষরোপণ করছে তা নয়। এটি ছাত্রলীগের প্রতিবছরের কর্মসূচির অংশ। এই তাপদাহ আমাদের জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। গোটা পৃথিবীর পরিবেশ বিপর্যয়ের ফল আমরা দেখতে পাচ্ছি। একদিকে আমাদের যেমন সামাজিক ভাবে সচেতন হতে হবে, রাজনৈতিক ভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি পরম করুণাময়ের কাছেও প্রার্থনা করতে হবে যেন তিনি আমাদের এই তাপদাহ থেকে রক্ষা করেন।

এদিন রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগ সাবেক সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সাগরের আয়োজনে ৫ হাজার বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান কামরু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস.এম তৌহিল আল তুহিন, রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান বাবু, সহ-সভাপতি শাহরিয়ার শিমুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজ প্রমুখ।

;