সুতা সংকটে রাজশাহী সিল্ক, ঈদ-বৈশাখে চাহিদা পূরণে শঙ্কা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
‘রাজশাহী সিল্ক ফ্যাশন’ কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

‘রাজশাহী সিল্ক ফ্যাশন’ কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গুঁটি পোকার জীবন থেকে নেওয়া রেশমশিল্প ঘিরেই ঐতিহ্যবাহী সিল্কসিটি হয়ে ওঠে রাজশাহী। রেশম মথের শুঁয়াপোকা থেকে রেশমগুটি এবং তা থেকে তৈরি হয় সুতা। সেই সুতা দিয়ে হ্যান্ডলুম বা পাওয়ার লুমে তৈরি করা হয় থান কাপড়। যা দিয়ে রঙ-বেরঙের শাড়ি, পাঞ্জাবি, থ্রি-পিছ, কামিজ, শার্ট-ফতুয়াসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক তৈরি হয়।

সিল্কশিল্প ঘিরে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওসহ উত্তরের জেলাগুলোতে চাষ করা হতো রেশম পোকা। তা দিয়ে স্থানীয়ভাবে সুতা তৈরি করে বাহারি সিল্কপোশাক উৎপাদন করা হতো। রেশমশিল্পের সেই স্বর্ণযুগ এখন অতীত। দেখা মেলেনা রেশম চাষ, তৈরি হয়না সুতাও। ফলে বন্ধ সিল্কসিটি খ্যাত রাজশাহীর অধিকাংশ কারখানা।

হাতেগোনা যে কারখানাগুলো চালু রয়েছে, তারাও পোশাক উৎপাদনে চীন থেকে আমদানিকৃত সুতার উপর নির্ভরশীল। রাজশাহী নগরীর সপুরা এলাকায় সচল থাকা সিল্কের কারখানাগুলো চীন থেকেই ৯৫ শতাংশ সুতা আমদানি করে। তবে চীনে সম্প্রতি মহামারি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় প্রায় দুই মাস সুতা আমদানি বন্ধ। মজুত সুতায় এখন চলছে পোশাক উৎপাদন। তবে তা একেবারে শেষ পর্যায়ে।

থান কাপড় দিয়ে সিল্কের পোশাক তৈরি

কারখানাগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মাস থেকে পুনরায় সুতা আমদানি করা সম্ভব না হলে রাজশাহীর সিল্ক কারখানাগুলোতে উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। সুতা সংকটে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় আসছে পহেলা বৈশাখ, ঈদ ও পূজায় চাহিদা অনুযায়ী বাজারে পোশাক সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। ফলে সিল্কের পোশাকের দামও আরো বাড়বে।

কারখানার কর্মচারী-কর্মকর্তারা জানান, কারখানায় যে সুতা মজুত আছে, তা দিয়ে আরও ১৫/২০ দিন কোনোমতে কারখানা চালু রাখা যাবে। এরমধ্যে যদি সুতা না আসে, তবে সুতা সংকটে কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। পহেলা বৈশাখে নববর্ষ উৎসবে বাজারে পোশাকের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হবে। সামনে ঈদ-উল-ফিতরেরও বেশিদিন নেই। আর সুতা সংকটে কর্মঘণ্টা কমে যাওয়ায় বিপাকে সিল্ক শ্রমিকরাও।

রাজশাহী রেশম কারখানা

জানতে চাইলে ‘সপুরা সিল্ক’ এর কর্মচারী সাজেদা আনজুম বলেন, ‘জৌলুস পোশাকগুলো চীনের সুতা দিয়ে তৈরি করা হয়। স্থানীয় সুতায় তৈরি পোশাকের রঙ ও সৌন্দর্য কম। রাজশাহী ও চাঁপাইয়ের রেশমে এখন ভাল সুতাও পাওয়া যায় না। কিন্তু চীনের সুতা আমদানি দুই মাস ধরে বন্ধ। কারখানায় মজুত রাখা সুতা দিয়ে আমরা কাজ করছি।’

‘মহুয়া সিল্ক ফ্যাশন’র কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি- চীনের সুতা আমদানি করার। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সব ধরনের আমদানি প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেছে। যে সুতা আছে, তা দিয়ে মাসখানেকও উৎপাদন প্রক্রিয়া চালানো সম্ভব নয়।’

তিনি বলেন, ‘বৈশাখী উৎসবের পোশাক মার্চের মাঝামাঝি থেকেই শো-রুমে পাঠাতে হয়। অর্থাৎ হাতে আছে মাত্র এক সপ্তাহ। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী- ঈদ-উল-ফিতর মে মাসের শেষ দিকে। অর্থাৎ রমজান শুরু হচ্ছে এপ্রিলে। মূলত রমজান শুরুর আগেই আমরা শো-রুমে ঈদের পোশাক পাঠিয়ে দেই। কিন্তু উৎপাদনের যে অবস্থা তাতে এবার ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ অসম্ভব হয়ে পড়বে।’

স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত রেশম সুতা

‘রাজশাহী সিল্ক ফ্যাশন’ কারখানার কর্মকর্তা সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘আমাদেরও সুতা শেষ পর্যায়ে। আসলে কেউই সুতা আনতে পারছে না। স্থানীয় সুতা দিয়ে ভালো পোশাক তৈরি করা সম্ভবও নয়। মালিকপক্ষ সুতা আনার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। দেখা যাক কী হয়।’

তিনি বলেন, ‘পোশাক উৎপাদন কম হলে বাজারে দাম চড়া হবে। সেক্ষেত্রে ক্রেতাদের পছন্দের পোশাক কিনতে বেগ পেতে হবে। ফলে বৈশাখ ও ঈদের বাজারে বেচাকেনা কম হওয়ার শঙ্কায়ও রয়েছে মালিকপক্ষ। এনিয়ে আমরাও চিন্তায় পড়ে গেছি।’

রাজশাহী সিল্ক ফ্যাশনের চেয়ারম্যান খুরশিদা খাতুন খুশি জানান, ‘আমরা কিছু সুতা তৈরি করে থাকি। আর ৮০ শতাংশ সুতা চীন থেকে আনা হয়। তবে অন্য সিল্কহাউজগুলো পুরোপুরি চীনের সুতার উপর নির্ভরশীল। চীন থেকে সুতা আসছে না বললেই চলে। ফলে কারখানায় উৎপাদনে সুতা সংকটের প্রভাব পড়ছে।’ এ অবস্থা উত্তরণে স্থানীয়ভাবে রেশম উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকারি উদ্যোগ কার্যকর ও ভর্তুকির দাবি জানান তিনি।

সিল্কের শাড়ি

জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেশম শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি লিয়াকত আলী বলেন, ‘রাজশাহীসহ দেশে বছরে এখন রেশম সুতার চাহিদা প্রায় ৩৫০ মেট্রিক টন। আর উৎপাদন হয় মাত্র ৪০ মেট্রিক টন। অর্থাৎ ৩১০ মেট্রিক টন সুতা চীন থেকেই আমদানি করতে হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে একসময় ব্যাপক হারে রেশম চাষ হতো। ২০০০ সালের পর থেকে রেশমশিল্প সংকটাপন্ন হয়ে ওঠে। কৃষক ও উদ্যোক্তারা লোকসান গুণতে গুণতে রেশমচাষ বন্ধ করে দেয়। যা কাটিয়ে উঠতে সরকারিভাবে বড় কোনো সহযোগিতা এখনও আসেনি। সরকার উদ্যোগ নিলে এই শিল্পে আবার প্রাণ ফিরবে। স্থানীয়ভাবে মানুষ রেশমচাষে আগ্রহী। তাদেরকে সহায়তা দিলে রেশমচাষে বিপ্লব ঘটিয়ে স্থানীয়ভাবে উন্নত সুতা তৈরি করে কারখানা চালানো সম্ভব।’

   

নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে উচ্চবিত্তদের দাঁড়ানোর আহ্বান মেয়র আতিকের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়াতে সমাজের উচ্চবিত্তদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

সোমবার (০৬ এপ্রিল) খিলক্ষেত ফ্লাইওভার সংলগ্ন লেকের পাশে রিকশাচালকদের মাঝে ছাতা ও খাবার স্যালাইন বিতরণ পরবর্তী সংবাদমাধ্যমে কথা বলার সময় এ আহ্বান জানান তিনি।

তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচাতে ৩৫ হাজার রিকশাচালকদের মাঝে ছাতা ও খাবার স্যালাইন বিতরণের উদ্যোগ নেয় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। ২৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয় এই কার্যক্রম। ইতিমধ্যে, ঢাকা উত্তর সিটির বিভিন্ন স্থানে রিকশাচালকদের মাঝে একটি করে ছাতা ও ১২টি খাবার স্যালাইন ও একটি করে পানির পট বিতরণ করেন মেয়র আতিক। তারই ধারাবাহিকতায় আজ খিলক্ষেত ফ্লাইওভার সংলগ্ন লেকের পাশে রিকশাচালকদের মাঝে এই উপহার সামগ্রী তুলে দেন মেয়র তিনি।

রিকশাচালকদের মাঝে এই উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়ার পর সংবাদ মাধ্যমে মেয়র আতিক বলেন, তাপদাহ যতই তীব্র হোক খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষরা বিশেষ করে রিকশাচালকরা ঘরে বসে থাকতে পারবে না। ঘরে থাকলে খাবার জুটবে না। তীব্র এই তাপদাহ তারা যে কষ্ট করছে তা অসহনীয়। আমরা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে তাদের এই কষ্ট কিছুটা লাঘব করার চেষ্টা করছি।

চীনা অ্যাম্বেসি রিকশাচালকদের জন্য ১৫০০ ছাতা ডিএনসিসিকে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নিবন্ধিত রিকশা আছে ৩০ হাজার। অন্যান্য মিলিয়ে আমরা মাত্র ৩৫ হাজার রিকশাচালকদের মাঝে এই উপহার সামগ্রী বিতরণ করছি। শহরে আরও হাজার হাজার রিকশাচালক রয়েছে যারা একই কষ্ট করছে। সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে সবার পাশে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। কিন্তু সমাজের উচ্চবিত্তরা চাইলেই সম্ভব। তাই আমি উচ্চবিত্তদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, খেটে খাওয়া এই নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে আপনারা এগিয়ে আসুন।


মেয়রের কাছ থেকে উপহার পাওয়া একজন রিকশাচালক মো. শামিম। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘কে কি কইবো জানি না, কিন্তু মেয়র সাহেব যে আমগো লাইগা চিন্তা করছে এইটাই অনেক। যেই রোইদ পরে শইলডা জ্বলে। এই ছাতা দিয়াতো আর রিকশা চালাতে পারুম না। যাত্রী নামাইয়া দিয়া অন্তত ছাতার নিচে একটু খাড়াইতে পারুম। এইডাই আলহামদুলিল্লাহ।’

রিকশাচালক আবু সাঈদ বলেন, ‘এমন তাপে কোনো জায়গায় যে একটু ছায়ায় খারামু ওই অবস্থাও নাই। শহরে কোনো গাছ আছে, মাইনষের দোকানপাটেও বেশিক্ষণ খারান যায় না। অনেকক্ষণ গাড়ি চালাইয়া হেই রোইদের মধ্যেই জিরাইতে হয়। ছাতাটা কামে লাগবো।’

ছাতা, খাবার স্যালাইন ও পানির পট পেয়ে খুশি অন্যান্য রিকশাচালকরাও।

রিকশা চালকদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণের সময় মেয়রের সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর।

;

চুয়াডাঙ্গায় ৭ বছরের মেয়েকে হত্যার দায়ে মা গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় নিজের ৭ বছর বয়সী মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে মা পপি খাতুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পপি খাতুন কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী ও চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভোগাইল বগাদী গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে। গত রোববার (৫ মে) সকালে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশু মাইশার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করেন তার মা পপি খাতুন ও স্বজনরা। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ওই শিশুর মৃত্যু বিদ্যুতস্পৃষ্টে নয়, বরং শ্বাসরোধে হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানান। পরে ওই শিশুর মাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজের মেয়েকে হত্যার দায় স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে সোমবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এ ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন।

পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে শিশু মাইশা খাতুন (৭) তার নানার বাড়িতে মোবাইল চার্জারের তার গলায় জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়েছে, এমন ইতিহাস নিয়ে ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজন তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সকাল ১০টার দিকে কর্তব্যরত ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ওই শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

মৃত কন্যাসন্তানের মা পপি খাতুন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে, এমন তথ্যসম্বলিত একটি লিখিত অভিযোগ করলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওই দিন রাতে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করেন। অতঃপর অপমৃত্যু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আতিকুর রহমান জুয়েল রানা কর্তৃক এই কন্যাশিশু সন্তানের মৃত্যু বিষয়ে ঘটনাস্থল থেকে নানা ধরণের নেতিবাচক তথ্য পান।

মেয়েটির দুর্ঘটনামূলক মৃত্যু নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হলে, তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। এরই মাঝে তার পরিবারের পক্ষ থেকে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ দাফনের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশ সুপারের মৌখিক নির্দেশে ওই কন্যাশিশু সন্তানের মৃত্যুটি হত্যাজনিত না দুর্ঘটনামূলক, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতসহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কর্তৃক সুনির্দিষ্ট মতামত গ্রহণের জন্য ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে মর্মে সুনির্দিষ্ট মতামত প্রদান করেন। অতঃপর ওই শিশুর নানা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে আলমডাঙ্গা থানায় গত ৩ মে একটি খুন মামলা রুজু হয়।

রোববার (৫ এপ্রিল) সকালে পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান ওই শিশুর বাড়ি পরিদর্শন করেন। এসময় মৃত শিশু মাইশার মা পপি খাতুনের কথা-বার্তায় সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি স্বেচ্ছায় এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন। কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হলো? তার কোনো সহযোগী ছিল কিনা?- এসব প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেন যে, তিনি নিজেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

পুলিশ সুপার আরও জানান, ওই শিশুর মা পপি খাতুনের পূর্বাপর পারিবারিক ব্যক্তি জীবন, বৈবাহিক জীবন অতঃপর বিবাহ বিচ্ছেদ এবং বিবাহ বিচ্ছেদ পরবর্তী সময়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি পাওয়া গেছে যা এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে বলে এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে।

পুলিশ সুপার বলেন, এই মামলায় পপি খাতুন বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, ডিআও-১ আবু জিহাদ ফখরুল আলম খানসহ পুলিশের কর্মকর্তারা।

;

বিদেশি প্রভুদের কথায় বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বিদেশি প্রভুদের কথায় বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে৷ তাদের উদ্দেশ্য একটাই অগণতান্ত্রিক পন্থায় তারা ক্ষমতায় আসতে চায়৷ পেছনের দরজা দিয়ে বিকল্প রাস্তায় তারা ক্ষমতায় আসতে চায়৷

সোমবার (৬ মে) প্রেসক্লাবে শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টারের ২০ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে 'গণতন্ত্র ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠনে শান্তি এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা' শীর্ষক আলোচনা ও স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি৷ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদ।

মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না৷ গুম, খুনের রাজনীতি জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন৷ তারাই বলে এই দেশে আজ গণতন্ত্র নেই, মানুষের মৌলিক অধিকার নেই৷

তিনি বলেন, বিএনপি এবং স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা বুঝতে পেরেছিল যে গাজীপুরে তাদের অবস্থা দিন দিন খুবই নাজুক হয়ে যাচ্ছে৷ এজন্যই আহসান্ উল্লাহ্ মাস্টারকে একটা ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগে সম্মেলন থেকে হত্যা করা হয়েছিল৷ আর আজকে হত্যাকারীরা বলে এই দেশে গণতন্ত্র নেই৷ আমাদের নেতাদের প্রকাশ্যে হত্যা করেছে তারা৷

তিনি বলেন, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের একটাই দোষ ছিল যে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করেছেন৷ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রতিষ্ঠা করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন৷ সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় রাজপথে তাকে পেটানো হয়েছিল৷ এর ধারাবাহিকতায় তাকে হত্যা করা হয়েছিল৷

শহীদ আহসান্ উল্লাহ্ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদের সভাপতি আব্দুল বাতেনের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক মো. আতাউর রহমানের সঞ্চালণায় আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সাংবাদিক অধিকার ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।
 
;

ট্রেনের ১৯ টিকিটসহ কালোবাজারী চক্রের সদস্য গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ট্রেনের বিভিন্ন গন্তব্যের ৩৩টি আসনের মোট ১৯টি টিকিটসহ কালোবাজারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ভৈরব রেলওয়ে পুলিশ। এ সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।

সোমবার (৬ মে ) দুপুরে দুপুরে কুলিয়ারচর রেল স্টেশনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মো. আরমানকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়।

এ তথ্য নিশ্চিত করে রেলওয়ে পুলিশের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ভৈরব রেলওয়ে পুলিশ কর্তৃক গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে কুলিয়ারচর রেল স্টেশনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় টিকিট কালোবাজারী মো. আরমানকে (৩৫) ভিন্ন ভিন্ন ট্রেনের বিভিন্ন গন্তব্যের ৩৩টি আসনের ১৯টি টিকিট এবং অনলাইনে টিকিট ক্রয়কৃত মোবাইল ফোনসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামি অবৈধ পন্থায় তার নিজ, স্ত্রীর ও আত্মীয়-স্বজনের আইডি ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে টিকেটগুলো সংগ্রহ করে। সেই টিকিট বেশি দামে প্লাটফর্মে অপেক্ষারত যাত্রীদের কাছে কালোবাজারে বিক্রয় করে।

আসামি আরমান কুলিয়ারচর রেলস্টেশনের খালাসী পদে কর্মরত বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ভৈরব রেলওয়ে থানায় তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।

রেলওয়ে পুলিশের টিকেট কালোবাজারি বিরোধী সাঁড়াশি অভিযান অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

;