শ্যামাসুন্দরী খাল দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
১৭০ জন দখলদারকে উচ্ছেদে অভিযান শুরু হয়েছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

১৭০ জন দখলদারকে উচ্ছেদে অভিযান শুরু হয়েছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে ১৩০ বছরের ঐতিহ্যবাহী শ্যামাসুন্দরী খালের ১৭০ জন দখলদারকে চিহ্নিত করে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। খাল দখলমুক্ত ও দুষণমুক্তকরণসহ নগরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির লক্ষে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সকাল ১১টায় রংপুর নগরীর ধাপ চেকপোস্ট থেকে এই অভিযান শুরু হয়।

উচ্ছেদ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, খালের হাল জরিপে ১৭০ জন অবৈধ দখলদারকে চিহ্নিত করা হয়। উচ্ছেদ শুরুর আগে তাদেরকে স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হয়েছে। দখলদারদের অনেকে তাতে কর্ণপাত না করায় উচ্ছেদ শুরু হয়েছে।

উচ্ছেদ অভিযানের উদ্বোধন করেন রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা

হাতিরঝিলের আদলে শ্যামাসুন্দরীর উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ইচ্ছা প্রকাশ করেন রসিক মেয়র। 

তিনি বলেন, রংপুর নগরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি ও আগামী প্রজন্মকে সুন্দর নগরী উপহার দিতে হলে আগে শ্যামাসুন্দরী খালকে বাঁচাতে হবে। এই খাল পুনরুজ্জীবন ও সচল হলে নগরীর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় গতি আসবে। অকাল বন্যায় নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না।

রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, খালের উৎস মুখ থেকে মাহিগঞ্জ পাটবাড়ি পর্যন্ত খালের দুই পাশের প্রায় ১০ কিলোমিটার সংস্কার কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। এর জন্য আগে রংপুর বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় হাল জরিপ করা হয়েছে।

রংপুর নগরীর ধাপ চেকপোস্ট থেকে অভিযান শুরু হয়

মৌজাভিত্তিক কেল্লাবন্দ, রাধাবল্লভ, আলমনগর, রঘুনাথগঞ্জ ও ভগি এলাকার ১৭০ জনকে অবৈধ দখলদার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখন উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে। চিহ্নিত অবৈধ দখল পুনরুদ্ধারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান ডিসি।

এসময় উচ্ছেদ অভিযানে রসিকের প্যানেল মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শরীফ মোহাম্মদ ফয়েজুল আলম, পানি উন্নয়ন বোর্ডর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ, রসিকের নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মিঞা, ভূমি কমিশনার ছন্দা পালসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিটি কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

সরকার এই ঐতিহ্যবাহী খালের সংস্কার ও পুন:খননের জন্য জন্য একশ কোটি টাকা বাজেট দিয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ১৮৯০ সালে খননকৃত শ্যামাসুন্দরী খালটি নাব্যতা ফিরে পাবে।

   

গাইবান্ধায় হেলিকপ্টারে চড়ে বউ আনলেন পোশাক শ্রমিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধায় হেলিকপ্টারে চড়ে বউ আনলেন হজরত আলী (২২) নামে এক পোশাক শ্রমিক। বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করেন তিনি।

শুক্রবার (৩ মে) বিকেলে সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে হেলিকপ্টারে করে বউ নিয়ে আসেন হজরত আলী। হেলিকপ্টারে করে বিয়ের খবরে আগে থেকেই ওই এলাকায় ভিড় ছিল উৎসুক জনতার। তবে বউ আনতে হেলিকপ্টারের শব্দে বাড়তে থাকে স্থানীয়দের ভিড়।

বর হজরত আলী সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ও বুজরুক জামালপুর গ্রামের রফিকুল আকন্দের ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।

বরের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সাদুল্লাপুর উপজেলার বুজরুক জামালপুর গ্রামের রফিকুল আকন্দ ও সালমা বেগম দম্পতির একমাত্র ছেলে হজরত আলী। ছেলে যখন ছোট তখন থেকেই রফিকুল ও সালমা বেগম নানান ছলে ছেলে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করবে বলে গল্প করতেন। পরবর্তীতে ছেলে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সত্যিই যেন হজরত আলী হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করেন, ছেলের কাছে এমন প্রত্যাশা করেন বাবা-মা এবং তারাও চেষ্টা করতে থাকেন।

বাবা-মায়ের ইচ্ছা পূরণ করতে হেলিকপ্টারে চড়ে বউ আনলেন গাইবান্ধার এক পোশাক শ্রমিক হজরত আলী, ছবি- বার্তা২৪.কম

অবশেষে বর হজরত আলী বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে একই উপজেলার ৫ কিলোমিটার দূরত্বের ফরিদপুর ইউনিয়নের ইসবপুর (পূর্বপাড়া) গ্রামের রেফা মনিকে (১৮) বিয়ে করে হেলিকপ্টারযোগে বাড়িতে নিয়ে আসেন। কনে রেফা মনি ওই গ্রামের এনামুল হক ও শেফালি দম্পতির মেয়ে।

নিজেদের স্বপ্ন পূরণের ছেলের এই বিয়েতে আবেগ আপ্লুত এবং উচ্ছ্বসিত বাবা রফিকুল ও মা সালমা বেগম।

জানতে চাইলে ছেলের বাবা রফিকুল আকন্দ বলেন, হজরত আলী আমাদের একমাত্র ছেলে সন্তান। ছেলের ছোট বেলা থেকেই আমাদের স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টারযোগে ছেলেকে বিয়ে করাবো। আমাদের ইচ্ছা পূরণে আমরা আজ ধন্য। এসময় ছেলে এবং ছেলের বউয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চান তিনি।

অন্যদিকে, মেয়ের বিয়েতে জামাই-মেয়েকে হেলিকপ্টারে করে নিতে আসায় খুশি মেয়ের বাবা এনমামুল হক ও মা শেফালি বেগমসহ তার স্বজনেরা।

মেয়ের বাবা এনামুল হক বলেন, আমার মেয়ের যৌতুক ছাড়া বিয়েতে জামাই হেলিকপ্টারে করে এসেছে। এতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত! এটি অবশ্যই বড় স্মৃতি হয়ে থাকবে! তিনিও জামাই-মেয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চান।

 

 

;

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু কেড়ে নিল ৩ প্রাণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ২৪ ঘণ্টায় মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৭ জনে। এসময় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৯ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে দুই হাজার ২৪৮ জনে। 

শুক্রবার (৩ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা ৭ জন আর বাকি দুজন বরিশাল জেলার। মারা যাওয়া তিনজনের সবাই ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার। 

আক্রান্তদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও বাকি ৪ জন নারী।  

;

২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জনের করোনা শনাক্ত



Sajid Sumon
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। এ পর্যন্ত দেশে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৪ জনের।

শুক্রবার (৩ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১০ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার ৩৮ জনে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ জন সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ৪৭৮ জন। সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৫টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৩৬টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ ৯১ হাজার ৯২৮টি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার চার দশমিক ২৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় একজন আইসোলেশনে এসেছেন এবং আইসোলেশন থেকে কেউ ছাড়পত্র পায়নি। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৫২ হাজার ৯৭৫ জন এবং আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন চার লাখ ২৩ হাজার ৭১৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৯ হাজার ২৫৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

;

মৌলভীবাজারে সিসিমপুর শিক্ষামেলা, শিশুদের উচ্ছ্বাস



Mansura chamily
মৌলভীবাজারে সিসিমপুর শিক্ষামেলা, শিশুদের উচ্ছ্বাস

মৌলভীবাজারে সিসিমপুর শিক্ষামেলা, শিশুদের উচ্ছ্বাস

  • Font increase
  • Font Decrease

মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে দুইদিনের সিসিমপুর শিক্ষামেলা। শুক্রবার সকালে বর্ণাঢ্য শিক্ষামেলার উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বর্ণালী পাল। ইউএসএআইডি'স সিসিমপুর প্রকল্পের আয়োজনে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

সিসিমপুর প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শিক্ষামেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মাসুদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন চৌধুরী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খোরশেদ আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন আরডিআরএস বাংলাদেশ- সিসিমপুর প্রকল্প সমন্বয়কারী মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ও উপজেলা শিক্ষা সমন্বয়কারী ফারজানা ইসলাম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, যেকোনো মেলার চেয়ে সিসিমপুর শিক্ষামেলার আবেদন শিশুদের কাছে অন্যরকম। এ মেলায় এসে শিশুরা আনন্দের সাথে শিখতে পারছে নিত্য-নতুন নানান বিষয়।

দু'দিনের সিসিমপুর শিক্ষামেলায় আয়োজনের মধ্যে থাকছে শিশুদের খেলা-পড়া-লেখা-আঁকা, পর্দায় সিসিমপুর ভিডিও প্রদর্শনী, সিসিমপুর লাইভ শো, বায়োস্কোপে শিখন ও আনন্দযোগ, ম্যাজিক শো, ছবি, বর্ণ ও শব্দের খেলা, প্রশ্নোত্তরে সাধারণ জ্ঞান, শিশুদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক আয়োজন, সিসিমপুর পাঠাগারভিত্তিক কার্যক্রম, পুরস্কার বিতরণসহ নানান আয়োজন।

উল্লেখ্য, মাসব্যাপী প্রতি শুক্র ও শনিবার জেলার মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর, কুলাউড়া উপজেলা এবং হবিগঞ্জের চুনারুঘাট ও মাধরপুর উপজেলায় সিসিমপুর শিক্ষামেলা অনুষ্ঠিত হবে।

;