সৌর সেচে বছরে জ্বালানি-বিদ্যুৎ সাশ্রয় ২৫ কোটি টাকা



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুরে বাড়ছে সৌরবিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প/ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুরে বাড়ছে সৌরবিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে দিন দিন বেড়ে চলেছে সৌর বিদ্যুৎচালিত সেচ পাম্পের ব্যবহার। জ্বালানি তেল নির্ভর সেচ মেশিনের পরিবর্তে কৃষকরা এখন সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারে ঝুঁকছেন। আর এতে করে বছরে প্রায় ২১ কোটি টাকার জ্বালানি তেল সাশ্রয় হচ্ছে। সঙ্গে প্রতি বছর বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে সাড়ে চার কোটি টাকা।

কয়েক বছর আগেও এখানকার গ্রামাঞ্চলে সেচের জন্য জ্বালানি তেল ব্যবহৃত মেশিনের ওপর নির্ভর করতে হতো কৃষকদের। এখন সেদিন বদলে গেছে। সৌর বিদ্যুৎচালিত সৌর সেচ পাম্প কৃষকদের জ্বালানি নির্ভরতা দূর করেছে, কমিয়েছে ভোগান্তিও ।

এখন নেই ডিজেলের জন্য বাড়তি খরচ। নেই ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং চিন্তা। বরং কয়েকগুণ খরচ কমে কৃষকের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় বেড়েছে। সঙ্গে নিশ্চিন্তে মিলছে সেচ সুবিধা। এখন প্রতি একর জমিতে বোরো মৌসুমে সেচের জন্য সাড়ে ছয় হাজার টাকা আর আমনে দুই হাজার চারশো টাকা খরচ হয় চাষিদের। রবি মৌসুমে খরচ মাত্র এক হাজার দুইশ টাকা।

সৌর সেচে বছরে জ্বালানি-বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে কয়েক কোটি টাকা/ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুরের বদরগঞ্জের রামনাথপুর এলাকার কৃষক আবু বক্কর। একটা সময় জমিতে সেচের জন্য তিনি ডিজেলচালিত সেচ মেশিন ব্যবহার করতেন। বার্তা২৪.কম-কে তিনি বলেন, ‌‘আগে প্রতিদিন বাড়ি থেকে মেশিন বহন করে নিয়ে জমিতে যেতে হতো। কখনো কখনো তেলের জন্য বাজারে যেতে হতো। আর ঘনঘন লোডশেডিং তো নিত্য বিড়ম্বনা ছিলো। কিন্তু সৌরবিদ্যুৎ সুবিধায় এখন সেচ কাজের কোন সমস্যা নেই। সবকিছুই সাশ্রয় হয়েছে।’

’অন্যদিকে কাউনিয়ার কুর্শা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এলাকার কৃষক মানিক মিয়া ও রাশেদুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে জানান, ‘সৌরবিদ্যুতের কারণে এখন সেচের পানি নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। যখন ইচ্ছে সেচ কাজ করা যায়। তিন চার বছর আগে রাত জেগে সেচ দিতে হতো। এখন সৌরবিদ্যুতের বদৌলতে খরচও কমেছে, কষ্টও নেই।’

রংপুরে ২৮ হাজার একর জমিতে সৌরবিদ্যুৎ চালিত সেচ ব্যবহার হচ্ছে/বার্তা২৪.কম

এদিকে কৃষক নেতা পলাশ কান্তি নাগ বার্তা২৪.কম-কে জানান, ‘সরকারের বিভিন্ন সফল উদ্যোগের মধ্যে সৌরবিদ্যুৎ একটি। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ছে। বিশেষ করে রংপুর অঞ্চলের কৃষকরা এখন সেচ কাজে সৌর বিদ্যুতের দিকে ঝুঁকছেন। এজন্য সরকারকে কৃষকদের বাঁচাতে এর ব্যয় কমাতে হবে।’

বিভিন্ন সোলার প্ল্যান্ট সার্ভিস প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, অর্ধেক ভর্তুকিসহ সৌর বিদ্যুৎচালিত ১৫ কিলোওয়াটের একটি সেচ পাম্প স্থাপনে ব্যয় হয় ৪৫ লাখ টাকা। আর ১৮ কিলোওয়াটের জন্য লাগে ৫২ লাখ টাকা। বর্তমানে রংপুর বিভাগের আট জেলায় প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার একর জমিতে সৌর বিদ্যুৎচালিত সেচ ব্যবহার হচ্ছে। এর মধ্যে শুধু ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড- ইডকলের আওতায় রয়েছে সাত হাজার একর জমি।

ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড- ইডকলের তথ্য মতে, রংপুর বিভাগের আট জেলার ৭০ হাজার পাঁচশ শতক জমি সৌর বিদ্যুৎচালিত সেচ পাম্পের আওতায় রয়েছে। এতে প্রায় ৬৫ হাজার কৃষক সেচ সুবিধা পাচ্ছেন। এর বাইরেও অনেক কৃষক নিজ উদ্যোগে ও বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে সৌর বিদ্যুৎচালিত সেচ সুবিধা নিচ্ছেন।

সৌর বিদ্যুৎচালিত পাম্প কমাচ্ছে কৃষকদের/ছবি: বার্তা২৪.কম

এ ব্যাপারে ইডকলের নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সেলিম রেজা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘২০১৫ সাল থেকে দেশের ১০টি জেলায় ইডকল সৌরবিদ্যুৎ প্ল্যান্টের মাধ্যমে কৃষকদের সেচ সুবিধা দিচ্ছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্ল্যান্ট রয়েছে রংপুর জেলায় রয়েছে। এ বিভাগের মধ্যে রংপুরে ৩১৫টি, দিনাজপুর ২০০টি, পঞ্চগড়ে ১৫০ এবং ঠাকুরগাঁওয়ে ৪০টি সৌর বিদ্যুৎচালিত সেচ প্ল্যান্ট রয়েছে। এসব প্ল্যান্ট থেকে গড়ে ৬৫ হাজার কৃষক সুবিধা পাচ্ছেন। এছাড়াও অন্যান্য জেলাতেও প্ল্যান্ট স্থাপন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সৌর বিদ্যুতের কারণে প্রতি বছর সাত হাজার চারশ ২ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে। যার মূল্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, রংপুর বিভাগে ইডকল স্থাপিত পরিবেশবান্ধব সাতশ পাঁচটি সেচ পাম্প থেকে প্রতি বছর সাশ্রয় হচ্ছে প্রায় একত্রিশ লাখ লিটার ডিজেল। যার বাজার মূল্য প্রায় ২০ কোটি ৩০ লাখ টাকা।’

সৌর সেচে কৃষকরা চান ভর্তুকি/ছবি: বার্তা২৪.কম

এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘একেকটি সৌরবিদ্যুৎ প্ল্যান্ট থেকে গড়ে আশি-নব্বই জন কৃষক সেচ সুবিধা পাচ্ছেন। কৃষকদের সেচ সুবিধা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে সরকারি ভর্তুকিসহ ঋণ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। ইলেকট্রিক পাম্প স্থাপনে খরচ অনেক হলেও আমরা তা কমিয়ে আনতে চেষ্টা করছি।’

অতিরিক্ত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে। তবে সরকার যদি এখানে বেশি পরিমাণ ভর্তুকি দেয়, তাহলে কৃষকের সেচের খরচ কমে আসবে। এছাড়া উৎপাদনও ভাল হবে।’

   

স্বস্তির বৃষ্টিতে খুলনায় কৃষকের মাথায় হাত!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বোরো মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার খুলনায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বোরো চাষাবাদ হয় এ জেলায়।

এখন মৌসুম বোরো ধান ঘরে তোলার। এমন সময় দেশের উপর দিয়ে মাস জুড়ে চলে তাপপ্রবাহ। অতিরিক্ত গরমে ধান কাটা থেকে বিরত থাকেন এ জেলার কৃষকেরা। ঠিক সেই মুহূর্তে সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যায় খুলনার উপর দিয়ে বয়ে যায় দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি। আর এ বৃষ্টিতে কৃষকের কপালে ভাঁজ পড়েছে। অধিকাংশ ধান শীষ থেকে ঝরে পড়েছে। গাছও নুয়ে পড়েছে। আবার কোথাও বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে।

খুলনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ বছর খুলনার ৯টি উপজেলায় ৬৪ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সেখানে চাষ হয়েছে ৬৪ হাজার ৮শ ৬০ হেক্টর জমিতে। মাঠে ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে লেগেছিল তৃপ্তির হাসি। কিন্তু সেই হাসি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ধান কাটা ও ঘরে তোলার মৌসুমের শেষের দিকে বৃষ্টিতে জেলার বেশ কিছু এলাকার কৃষকেরা বেকায়দায় পড়ে গেছেন। বৃষ্টিতে ধান গাছ নুয়ে পড়েছে। বৃষ্টির কারণে শীষ থেকে ঝরে গেছে ধান। দমকা হাওয়ায় ধানগাছ এলেমেলো হয়ে নুয়ে পড়েছে। আর বৃষ্টির পানি জমে থাকায় মাটির সঙ্গে মিশে গেছে পাকা ধান। কৃষকেরা বলছেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে শ্রমিক সংকট ছিল। ফলে সময়মতো ধান কাটতে পারেননি। এর খেসারত এখন দিতে হচ্ছে তাদের।

জেলার পাইকগাছা সোনাদানা এলাকার কৃষক মো. আফজাল হোসেন জানান, গরমের জন্য ধান কাটায় শ্রমিক সংকট ছিল। সেজন্য আমরা পরিবারের সবাই মিলে শুক্র, শনিবারে ধান কাটবো বলে চিন্তা করলাম। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টি আমাদের সেই প্ল্যান (পরিকল্পনা) নষ্ট করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, সব ধান ঘরে তুলতে পারবো কি না জানি না!

ডুমুরিয়া উপজেলার কৃষক মো. আমজাদ আলী মোড়ল জানান, ৫০ শতক জমির মধ্যে ২০ শতকের মতো জমির ধান কাটা হয়েছে। সেই ধান মাঠে রয়েছে। বাকি ধান এখনো কাটা হয়নি। এরই মধ্যে বৃষ্টি। প্রায় সব ধান ঝরে গেছে। এখন কিছু করার নেই।

খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কাজী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, খুলনা জেলায় ৬৪ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সেখানে চাষাবাদ হয়েছে ৬৪ হাজার ৮শ ৬০ হেক্টর জমিতে। কৃষকের চাহিদার তুলনায় এবার ফলনও বেশ ভালো হয়েছিল। বেশির ভাগ কৃষকেরা ধান ঘরে তুলেছেন। কিন্তু ১০ শতাংশের কৃষকের ধান এখনো মাঠে রয়েছে। ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে ক্ষতির পরিমাণ এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ জানান, সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত খুলনায় ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ১১ মে পর্যন্ত প্রতিদিন এ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

 

;

সবার মাঝে এসডিজি বিষয়ক সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে: স্পিকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের সব জাতীয় পরিকল্পনার সঙ্গে এসডিজি লক্ষ্যগুলো সম্পৃক্ত। তাই দেশের সকলের মাঝে এসডিজি বিষয়ক সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে।

মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদের শপথকক্ষে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অনুকূলে ইউএনডিপি কর্তৃক সরাসরি বাস্তবায়নাধীন 'স্ট্রেনদেনিং ইনস্টিটিউশনস, পলিসিস অ্যান্ড সার্ভিসেস (এসআইপিএস) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় 'এমপি'স এনগেইজমেন্ট ইন মনিটরিং অ্যান্ড ইম্পলেমেন্টিং এসডিজিস: প্রগ্রেস অ্যান্ড প্রায়োরিটিস ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক সেশনে যোগ তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের মিলেনিয়াম ডেভলপমেন্ট গোল ও সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোল ঘোষিত সভাগুলোতে উপস্থিত ছিলেন। শেখ হাসিনা মিলেনিয়াম ডেভলপমেন্ট গোলের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও একইভাবে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জাতীয় সংসদ সদস্যরা বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন ইস্যুতে কাজ করে চলেছেন। জাতীয় সংসদের নতুন সদস্যদের এসডিজির বিভিন্ন কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে। এসডিজি'র উপর উপস্থাপিত আজকের সেশন থেকে সংসদ সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দশটি উদ্যোগের বাস্তবায়নে সংসদ সদস্যরা কাজ করলে, এসডিজি বাস্তবায়নের কাজও অগ্রসর হবে।

তিনি বলেন, বাজেট সেশনে সংসদ সদস্যরা এসডিজি বিষয়ে কথা বলতে পারেন এবং কোন ক্ষেত্রে কত বরাদ্দ তা দেখতে পারেন। সংসদ সদস্যরা সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। মন্ত্রণালয় কিভাবে এসডিজি বাস্তবায়ন করছে সে সম্পর্কে আলাদা বৈঠক করা যেতে পারে এবং সংসদ সদস্যদের মতামত নেয়া যেতে পারে।

অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু , মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি , শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাজ্জাদুল হাসান এমপি, বিপ্লব হাসান এমপি, এম এ মান্নান এমপি, আব্দুস সালাম মুর্শেদী এমপি, জারা জেবিন মাহবুব এমপি, অপরাজিতা হক এমপি, লায়লা পারভীন এমপি, অনিমা মুক্তি গোমেজ এমপি এবং সংসদ সদস্যগণ ও ইউএনডিপি'র প্রতিনিধিসহ সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এই সেশনে উপস্থিত ছিলেন।

;

অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের কার্যক্রম চলমান: প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সহযোগিতায় দেশের সব অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা খুব নিবিড়ভাবে কাজ করছি। তিনি (ফিরোজ আহমেদ স্বপন) যথার্থই বলেছেন। বেশ কিছু ভুঁইফোড় অনলাইন পোর্টাল ব্যাঙের ছাতার মতো বিভিন্ন জায়গায় গজিয়ে গেছে। তারা সাংবাদিকতা নয়, অপসাংবাদিকতার চর্চা করে। অপপ্রচার করে সমাজে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করে।

তিনি বলেন, মজার বিষয় হলো, যারা পেশাদারত্বের সঙ্গে সাংবাদিকতা করেন, তারা এ ধরনের পোর্টাল ও অনলাইনভিত্তিক পত্রিকাগুলো বন্ধের দাবি করেছেন। সাংবাদিক বন্ধুরাই বলছেন, এ ধরনের অপসাংবাদিকতার চর্চা যারা করেন, তারা আসলে পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যম যেগুলো আছে, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া, তাদের যে নিবন্ধিত পোর্টাল এবং যেসব পোর্টাল আবেদন করেছে, প্রক্রিয়াধীন আছে- পুরো তালিকা বিটিআরসিকে পাঠাব। এর বাইরে যত অনলাইন পোর্টাল আছে, যারা একটি আবেদনও করেনি, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য (বিটিআরসিকে) অনুরোধ জানাব।

;

নগরীতে বর্তমানে বন্যা হওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই: সিসিক মেয়র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট নগরীতে আগাম বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা কম রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। অপ্রত্যাশিত বন্যা হয়ে গেলেও সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে সিসিকের।

মঙ্গলবার (৭ মে) নগরীর ক্বীন ব্রিজ এলাকায় সুরমা নদী পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সুরমা নদীর পানির লেভেল ১০.৮০ সেন্টিমিটারের বেশি বেড়ে গেলে বিপৎসীমা হিসেবে ধরা হয়। বর্তমানে পানির লেভেল ৭.৩৬ সেন্টিমিটারের নিচে রয়েছে। এতে ধারণা করা যাচ্ছে যে, সিলেট নগরীতে বর্তমানে বন্যা হওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই।

মেয়র আরও বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার লক্ষে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাথে ইতিমধ্যে আলোচনা হয়েছে। যদি বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সব ধরনের সহযোগিতার প্রস্তুতি রয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশনের।

এসময় অ্যাসেসমেন্ট/রি—অ্যাসেসমেন্ট নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, আমি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। সিলেট নগরীর সর্বস্তরের জনগণ মেয়র পদে নির্বাচিত করেছেন। জনগণের ভোগান্তি বা ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ আমাকে দিয়ে হবে না।

তিনি বলেন, হোল্ডিং কর নিয়ে যদি কোনরূপ অসংগতি/অমিল পাওয়া যায় অবশ্যই ফরম—ডি এর মাধ্যমে আপত্তি করার ব্যবস্থা রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে নগরবাসীকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি বলেন, জনগণের ভোগান্তি বা কষ্ট হয় এমন কোনো কাগজে আমি স্বাক্ষর করবো না। আর এই বিষয়টি সম্মানিত নাগরিকদের সাথে আলোচনা করে একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্ত পৌঁছাবো।

এসময় সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমানসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;