বরিশালে বাড়ছে ডিজিটাল ব্যানার-সাইনবোর্ডের দাম



জহির রায়হান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ব্যানার-সাইনবোর্ড ডিজিটাল মেশিনে তৈরি হচ্ছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

ব্যানার-সাইনবোর্ড ডিজিটাল মেশিনে তৈরি হচ্ছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কাগজের পোস্টার ছাঁপা, কাপড় ও প্লেন শিট টিনের ওপর রঙের লেখা ব্যানার আর সাইনবোর্ডের জায়গা দখল করেছে ডিজিটাল মিডিয়ায় প্রিন্ট ব্যানার-সাইনবোর্ড। বরিশালে প্রায় এক যুগ আগে ডিজিটাল প্রিন্টের কাজ শুরু হয়। শুরুতে প্রতি বর্গফুট পিভিসির প্রিন্ট মূল্য ছিলো ২০/২৫ টাকা ধরে। মাঝখানে মিডিয়ার সরবরাহ বেশি থাকায় এর দাম কমে প্রতি বর্গফুট পিভিসি প্রিন্ট দেয়া হত ১২/১৫ টাকায়। কিন্তু কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন কারণে সারাদেশের ন্যায় বরিশালেও বাড়ছে ব্যানার-সাইনবোর্ড প্রিন্ট করার ডিজিটাল মিডিয়া সামগ্রীর দাম।

জানা গেছে, একযুগ আগে বরিশাল তথা গোটা দক্ষিণাঞ্চলে দুই একটি প্রিন্টিং মেশিন ছিল। পরে দিনে দিনে মানুষ ডিজিটাল ব্যানার-সাইনবোর্ডের প্রতি ঝুঁকে পড়ায় চাহিদার সঙ্গে বেড়েছে এসব প্রিন্টিং মেশিনের সংখ্যা। বরিশাল নগরীতে এখন প্রায় ১৩/১৪টি মেশিনে গড়ে প্রতিদিন চার/পাঁচ হাজার বর্গফুট পিভিসিতে ব্যানার-সাইনবোর্ড প্রিন্ট বের হচ্ছে। এছাড়াও প্রিন্ট হচ্ছে ভিনাইল,প্যানাপ্লেক্স, ফসটেড ও ইনজেক্ট মিডিয়ায়।

ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রতিবছর বড়দিন উপলক্ষে জানুয়ারি মাসব্যাপী বার্ষিক ছুটি থাকায় সেখানে সকল ধরনের উৎপাদন, ফ্যাক্টরি ও কল-কারখানা বন্ধ থাকে। পরে ফেব্রুয়ারিতে পুনরায় এর কাজ শুরু করার কথা থাকলেও সম্প্রতি চীনে নোভেল করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় ডিজিটাল মিডিয়া সামগ্রী উৎপাদন, ফ্যাক্টরি ও এলসি বন্ধ হয়ে যায়। এতে চীন থেকে বাংলাদেশে ডিজিটাল মিডিয়া সামগ্রী রফতানি বন্ধ হয়ে যায়।

ফলে দেশে পূর্বের সীমিত মজুদ করা ডিজিটাল মিডিয়া সরবরাহ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রেখেছেন। তারপর আবার ডিজিটাল মিডিয়ার সৃজন (ডিসেম্বর-এপ্রিল) ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ব্যানার প্রিন্ট কাজে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

বর্তমানে পিভিসির ১০ ফুটের প্রতি রোল ৮/৯ হাজার টাকার পরির্বতে দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪/১৫ হাজার টাকায়। একইহারে দাম বেড়েছে প্রতি ৪/৫ ফুটের ভিনাইল (স্টিকার) ৬/৭ হাজার টাকার রোল বিক্রি হচ্ছে ৯/১০ হাজার টাকায়। ফলে পিভিসি প্রতিবর্গ ফুট ১৮/২০ টাকায় প্রিন্ট দেয়া হচ্ছে।

ব্যানার করতে আসা আবু মুসা বার্তা২৪.কমকে বলেন, যে পিভিসি ১৩/১৪ টাকায় প্রিন্ট করত তা এখন ১৮ টাকায় করা লাগছে। এভাবে চলতে থাকলে অনেক কাস্টমার কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।

অ্যাপেল মিডিয়া সাইন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মোঃ মাসুদ রানা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ব্যবসার শুরুতে ডিজিটাল মিডিয়ায় প্রিন্ট করে মোটামুটি ভালো ব্যবসা হতো। কিন্তু এখন বিভিন্ন কারণে এসব সামগ্রীর দাম দিনে দিনে বেড়েই চলছে। সর্বশেষ দাম বেড়েছে চীনে নোভেল করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বাংলাদেশ থেকে চীনে সকল পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধের কারণে। দাম বাড়ায় এমন পরিস্থিতি হয়েছে যে পুরোনো কাস্টমারের কাছে প্রতি বর্গফুটে ২/৩ টাকা লোকসান দিয়ে ব্যবসা করা লাগছে। লোকসান জেনেও ব্যবসার ভবিষতের দিক তাকিয়ে এমনটাই করা হচ্ছে। দ্রুত পিভিসি, ভিনাইল, প্যানাসহ অন্যান্য সামগ্রীর দাম না কমালে আর রফতানি দ্রুত শুরু না হলে এই ব্যবসায় চরম ক্ষতি হবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

মিডিয়া জোনের স্বত্ত্বাধিকারী মো. ফেরদাউস জামান মামুন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবসাটি পুরোপুরি চায়না পণ্যের ওপর নির্ভরশীল। সম্পতি চীনে চলমান নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রামণ বৃদ্ধি পাওয়ায় চীন থেকে বাংলাদেশে ডিজিটাল মিডিয়া সামগ্রী আমদানি বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশে পূর্বে ডিজিটাল মিডিয়া সামগ্রী মজুদ করা ছিলো তা দিয়েই এখন বেশি দামে প্রিন্ট চলছে। চীন থেকে দেশে ডিজিটাল মিডিয়া পণ্য আমদানি শুরু না হলে যেকোনো সময় স্টক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই সুযোগে আমদানিকারক একটি সিন্ডিকেট তাদের ইচ্ছে মতো মিডিয়ার দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। যার প্রভাব পড়ছে বরিশালেও। শ্রীর্ঘই এর সমাধান না হলে সামনে মুজিব বর্ষে ব্যানার তৈরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলেও জানান এই ব্যবসায়ী।

   

দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আভাস, ৬ জেলায় সতর্কসংকেত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামসহ দেশের ৬ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার (৩ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

;

সাবেক এমপি বদির বিরুদ্ধে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী ও টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম জমায়েতের সামনে গিয়ে সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) রাতে টেকনাফের হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নুরুল আলম চেয়ারম্যান বলেন, আমার আজ কম্বোনিয়া পাড়া, হোয়াইক্ষ্যং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ায় মুরুব্বি ও মেম্বারদের সঙ্গে একটি আলোচনা সভা ছিল। সেখানে হঠাৎ সাবেক এমপি বদি ও জাফর চেয়ারম্যানসহ ২০-৩০ জন লোক আমাদের পাশে এসে ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে।

আব্দুর রহমান বদি নিজেই তার পিস্তল দিয়ে গুলি করেছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম। তিনি বলেন, আমি এখন বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করতে যাচ্ছি।

এই বিষয়ে জানতে সাবেক এমপি বদির মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে যার সঙ্গে থেকে আব্দুর রহমান বদি গুলি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সেই প্রার্থী জাফর আলমের সাথে কথা হয় মোবাইল ফোনে। তিনি জানান, বদি ভাই আমার সাথে ছিলো। এ ধরণের কিছু হয়নি। তার (নুরুল আলম) ভাই নুরুল বশর জাতীয় নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে বদি ভাইয়ের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছেন। এটিও এমন একটি কুৎসা বলে জানান জাফর আলম।

;

আটোয়ারীতে নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের প্রচারণাকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে পাল্টা-পাল্টি হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (১ মে) জেলার আটোয়ারী উপজেলার ধামোর হাটে এ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গেছে, গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধায় একই বাজারে পাশাপাশি অবস্থিত মোটরসাইকেল মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম ও ঘোড়া মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আনিছুর রহমানের নির্বাচনী ক্যাম্পে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মাঝে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এর পর আবারও বৃহস্পতিবার রাতে বিরোধে জড়ান তারা।

মোটরসাইকেল মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে নিজেদের ক্যাম্পে অগ্নি সংযোগ করেছে তারা। এর আগে আমার কর্মী-সমর্থকেরা প্রচারণা মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় তারা তাদের গতিরোধ করে হামলা ও মারধর করে। এর মাঝে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেদের ক্যাম্পে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। একই সাথে তারা আমাদের ক্যাম্পে এসে হামলা ও মারধর করে।

ঘোড়া মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আনিছুর রহমান বলেন, ধামোর ইউনিয়নে প্রায় ৯০ শতাংশ লোক আমার সমর্থক। আমার প্রতিপক্ষ মোটরসাইকেল, তারা বেশ কয়েকদিন ধরে সেখানে ঢুকার চেষ্টা করছে। বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে নিয়ে গিয়ে আমাদের ক্যাম্প ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এলাকার মানুষ ও সাধারণ ভোটার তাদের ঘেরাও করে আটক করে রাখে। বিষয়টি জানতে পেরে প্রশাসনকে অবগত করি। প্রশাসন ঘটনাস্থলে গেলে তারা একটি আপোষনামা দিলে সকলেই চলে যায়। আমরা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে কোন অভিযোগ দায়ের করিনি।

আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিউল মাজলুবিন রহমান বলেন, ঘটনা জানার পরেই ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে পুলিশসহ সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। উভয় পক্ষে এ ঘটনায় কোন মামলা করবে না বলে সহকারী রিটার্টিং অফিসার বরাবর একটি আবেদন দাখিল করে। এসময় সবাইকে সতর্ক করা হয়।

;

কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড লামা, শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবা‌ন
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা তীব্র তাপপ্রবাহের পর স্বস্তির বৃষ্টির আগমন আনন্দের সংবাদ হলেও তা মুহূর্তেই ম্লান হয়েছে কালবৈশাখীর ঝড়ে। গতকাল বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার (০২ মে) হঠাৎ বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে বান্দরবানের লামা উপজেলার পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক বাড়িঘর।

হতাহতের কোন সংবাদ পাওয়া না গেলেও কিছু গবাদিপশুর প্রাণহানি ঘটেছে। রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বৈদ্যভিটা এলাকায় বজ্রপাতে এক কৃষকের ৫টি ছাগল এবং পূর্ব শিলেরতুয়া এলাকায় রমজান আলী মেম্বারের খামারে ঘরচাপা পড়ে এটি ছাগল মারা গেছে।

এছাড়া, গাছ পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বৈদ্যুতিক খুঁটিতে গাছ পড়ে সঞ্চালন লাইন ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ভেঙে গিয়েছে ৩০টির অধিক বৈদ্যুতিক খুঁটি। সেই সাথে তীব্র ঝড়ের কারণে মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পার্বত্য বান্দরবান জেলার সবচেয়ে জনবহুল শহর লামা।

এই প্রতিবেদনে লেখা পর্যন্ত এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু হয়নি। বিদ্যুৎ সচল হতে আরও দুই-একদিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছে পিডিবি লামার আবাসিক প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন।

লামা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সকালে গাছ পড়ে চকরিয়া- লামা- আলিকদম সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গাছ কেটে রাস্তা থেকে সড়িয়ে যোগাযোগ স্বাভাবিক করে।

লামা উপজেলার রূপসী পাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাচিং প্রু মারমা জানান, কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে সড়কে গাছ পড়ে লামা উপজেলার সাথে রূপসীপাাড়া ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেই সাথে মানুষের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষেত খামারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। যাদের বসতবাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে তাদের ইউনিয়ন পরিষদ হতে সহায়তা করা হবে বলে জানান তিনি।

লামা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, আমার ইউনিয়নে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে দেড়-শতাধিক বাড়িঘর ভেঙে গেছে। গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা জানান, তার ইউনিয়নে ছোটবড় শতাধিক ঘর আংশিক ভেঙে গেছে।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মাহবুবুর রহমান জানান, জেলা পরিষদ ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা করে সহায়তা প্রদান করা হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা প্রস্তুত করছি। তালিকা লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সুপারিশ নিয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে। বরাদ্দ পেলে ক্ষতি বিবেচনা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে কয়েকটি বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা দিলে সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা করা হবে।

;