বরিশালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুইজনের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালে আলাদা দুটি ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) আগৈলঝাড়া উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের উত্তর শিহিপাশা গ্রামের আলী আকবরের ছেলে মাসুম আকন (৩০) ও কাঠিরা গ্রামের কার্তিক মন্ডল (৬০)।

পুলিশ জানায়, কাঠিরা গ্রামের কার্তিক মন্ডল নিজ ঘরে দুপুরে বিদ্যুতের ছেঁড়া তারের কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এদিকে বিকেলে মাসুম আকন মোটর দিয়ে তার বাড়ির পাশের একটি ডোবার পানি সরাচ্ছিলেন। হঠাৎ অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। পরিবারের সদস্যরা তাৎক্ষণিক তাকে স্থানীয় উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

   

পানিতে ডুবে নিহত ভাতিজিকে দেখতে গিয়ে ফুফুর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পানিতে ডুবে নিহত ভাতিজিকে দেখতে যাওয়ার পথে ব্যাটারিচালিত (টমটম) উল্টে মারা গেলেন ফুফু। এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে সিলেটের কানাইঘাটে।

শনিবার (৪ এপ্রিল) কানাইঘাটের দিঘীরপার পূর্ব ইউনিয়নের মাঝর গ্রামের হাফিজ আব্দুল আহাদের ৩ বছর বয়সী মেয়ে পানিতে ডুবে মারা যায়। ভাতিজির মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে মেয়েটির ফুফু একই ইউনিয়নের দর্পনগর পশ্চিম (নয়াগ্রাম) আব্দুস শহীদের স্ত্রী রুকিয়া বেগম (৩০) বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

পথিমধ্যে সড়কের বাজার এলাকায় ব্যাটারিচালিত (টমটম) উল্টে রুকিয়া বেগমসহ তিনজন আহত হন। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সিলেটে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে রুকিয়া বেগম সেখানে মারা যান।

ফুফু ও ভাতিজির মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী।

এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, ‘বাবার বাড়িতে যাওয়ার পথে রুকিয়া বেগম টমটম উল্টে আহত হন।পরবর্তীতে সিলেটে একটি প্রাইভেট হাসপতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি মারা যান।’

তিনি বলেন, ‘শুনেছি পানিতে পড়ে তার ভাতিজি মারা গিয়েছে। তাকে দেখতে যাওয়ার পথে এই ঘটনা ঘটেছে।

;

নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মা ও নবজাতকের মৃত্যু, হাসপাতাল ভাংচুর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর মাইজদীতে সিজার অপারেশনের সময় ভুল চিকিৎসায় মা ও নবজাতক সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহত সীমা আক্তার (২১) বেগমগঞ্জের কাদিরপুর ইউনিয়নের লন্ডন মার্কেট এলাকার জহির উদ্দিনের স্ত্রী ও নোয়াখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউসুফ সওদাগর বাড়ির মো.হারুনের মেয়ে।

শনিবার (৪ মে) বিকেলের দিকে মা ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এর আগে, শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর হাউজিং রোডের মাইজদী আধুনিক হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার এ অভিযোগ উঠে। পরে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনায় হাসপাতালে ভাংচুর চালান নিহতের স্বজনেরা।

নিহতের চাচাতো ভাই মো.নাঈমুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে সীমার স্বজনরা তাকে মাইজদী আধুনিক হসপিটালে নিয়ে যান। এ সময় দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসক আশিকা কবির তাকে সিজার করেন। সিজার করার সময় তার ভুল অপারেশনে জরায়ুর রক্তনালী কেটে যায়। এতে তার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। কিন্ত ডাক্তার তাৎক্ষণিক বিষয়টি গোপন রাখে। পরে একই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে রোগীকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেলে পৌঁছলে বিকেল পৌনে ৬টায় মা ও বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে চট্রগ্রামের একটি হাসপাতালে নবজাতককে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী মাইজদী আধুনিক হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়।

মাইজদী আধুনিক হাসপাতালে চেয়ারম্যান রফিকুল বারী আলমগীর অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, এটা নিয়ে আমরা রোগীর স্বজনদের সাথে বসেছি। কোনো ডাক্তারই ইচ্ছাকৃত ভাবে কাউকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়না।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা.মাসুম ইফতেখার বলেন, অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: নুসরাত নাঈম জাবিনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে

;

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা পাপমুক্ত হয়েছি: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা পাপমুক্ত হয়েছি: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা পাপমুক্ত হয়েছি: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা পাপমুক্ত হয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

শনিবার (৪ মে) জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মিলনায়তনে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরকে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে শহীদ জননী জাহানারা যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তা কিছুটা হলেও সফল হয়েছে; বাস্তবায়িত হয়েছে। আমি মনে করি, এর মাধ্যমে আমরা দায়মুক্ত ও পাপমুক্ত হয়েছি।

তিনি বলেন, আজকের দিনটি নিঃসন্দেহে একটি শুভদিন। মহীয়সী নারী জাহানারা ইমামের স্মৃতি জাদুঘর যা ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছিল। সরকার ও সংস্কৃতি মন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় জাদুঘরের শাখা হিসেবে এর দায়িত্বভার গ্রহণ করে আরেকবার দায়মুক্ত হলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি, সফলতার কথা বলি। কিন্তু সেদিন রাজাকার, আল-বদর, আল শামস, ঘাতক দালালরা কীভাবে ৯ মাস লুণ্ঠন-অত্যাচার ও নির্যাতন করেছে; বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘর ছিনিয়ে নিয়েছে; হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করেছে সেসব কথা একেবারেই বলি না। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা আলোচনা হয়। কিন্তু এই দিকগুলো একেবারেই মুছে যাচ্ছে। কাজেই সরকারি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও যুদ্ধাপরাধীদের ইতিহাস আলোচনায় আনা উচিত।’

সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মা’ হিসেবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে নারীদের আত্মত্যাগের উজ্জ্বল উদাহরণ হলেন আমাদের শহীদ জননী। তিনি ও তার পরিবারের আত্মত্যাগ, ইতিহাস ও আদর্শ আমাদের স্মরণে রাখতে হবে। তুলে ধরতে হবে আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে।’

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাহানারা ইমাম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সময়ের তোলা ছবি এবং জাহানারা ইমাম জাদুঘরের একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।

আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্যের পর জাহানারা ইমামের ছোট ছেলে সাইফ ইমাম জামি জাতীয় জাদুঘরের কাছে জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরের চাবি হস্তান্তর করেন।

এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ভার্চুয়ালি জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

;

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর জামালপুরে স্বস্তির বৃষ্টি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর জামালপুরে প্রায় ১ ঘন্টা নাগাদ হয়ে গেলো স্বস্তির বৃষ্টি। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে শুরু হয় বৃষ্টি। শেষ সন্ধ্যা ৭ টা ১৫ মিনিটের দিকে। বৃষ্টির সাথে হয়েছে ব্যাপক বজ্রপাতও।

জানা গেছে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জামালপুর জেলার ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় আকাশ মেঘে ঢেকে নেমে আসে অন্ধকার। সেই সাথে শুরু হয় বহুল প্রতীক্ষিত বৃষ্টি। সাথে ছিল ঝড়ো বাতাস মেঘের গর্জন ও বজ্রপাত।

বৃষ্টিতে জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এলেও বজ্রপাতের কারণে রাস্তাঘাট অনেকটা যানবাহন শূন্য হয়ে যায়। প্রায় ৪৫ মিনিট পর ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে বৃষ্টি থামে। এতে তাপমাত্রা কিছুটা কমে।

;