প্রতিবন্ধীদের সম্পদে পরিণত করা হবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে কাজের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন শীর্ষক কর্মশালা, ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে কাজের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন শীর্ষক কর্মশালা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকার প্রতিবন্ধীদের সম্পদে পরিণত করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে বলে জানিয়েছে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সৈয়দ এনামুল কবির।

তিনি বলেছেন, দেশ উন্নত হচ্ছে। উন্নয়নের ছোঁয়া সবক্ষেত্রে পৌঁছে গেছে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীও এখন উন্নয়নের কাতারে। কাউকে বাদ দিয়ে সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা নেই। বিশেষ করে দেশের প্রতিবন্ধী নারী ও শিশুদের প্রশিক্ষিত, দক্ষ ও আত্মনির্ভরশীল উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে সরকার প্রধান যথেষ্ট আন্তরিক।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুর নগরীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত 'প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে কাজের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন' শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিবন্ধী নারীদের জাতীয় পরিষদ (এনসিডিডব্লিউ) ও এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এই কর্মশালার আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডিসি বলেন, প্রতিবন্ধীরা আমাদের সন্তান। তাদেরকে সম্পদে পরিণত করতে হলে সঠিক শিক্ষা দিতে হবে। কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করার পাশাপাশি সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিবন্ধীদের কর্মক্ষেত্র তৈরি করার সুযোগ দিলে দেশের উন্নয়নে তারা আরও বেশি ভূমিকা রাখতে পারবে।

কর্মশালার প্রথম পর্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা প্রতিবন্ধীদেরকে নিজেদের দৃঢ়তায় সামনে এগিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখার আহবান জানান। তারা বলেন, সরকার প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে নানামুখী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। সমাজ সেবা অধিদফতরের মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে প্রতিবন্ধীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হচ্ছে। এখন গ্রামে-গঞ্জে, শহরে-বন্দরে সবখানে স্বাবলম্বী, সফল ও সাহসী প্রতিবন্ধীদের দেখা যায়। এরা অন্যদের কাছে সামনের দিকে এগিয়ে যাবার বড় উদাহরণ ও অনুপ্রেরণা।

প্রতিবন্ধী নারীদের জাতীয় পরিষদ এর সভাপতি নাছিমা আক্তারের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শাহরিনা দিলরুবা, সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) সাজ্জাদ হাসানত, পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন ঊর্ধ্বতন সহকারী পরিচালক নাজমুল হক, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদিকা রুম্মানা জামান তফা, প্রেসক্লাবের সভাপতি রশিদ বাবু, রিপোর্টার্স ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুজ্জামান ফারুক, রংধনু প্রতিবন্ধী অধিকার সংস্থার সহ-সভাপতি নুর-ই-আলম প্রমুখ। পুরো কর্মশালা সঞ্চালন ও পরিচালনা করেন প্রতিবন্ধী নারীদের জাতীয় পরিষদ ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মো. হাসানুজ্জামান।

কর্মশালায় প্রতিবন্ধীদের অধিকার বিষয়ক আইন ও নীতিমালা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন, চাহিদানুযায়ী কর্ম সহায়ক উপকরণ ও সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা, ভাতা নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও কোটা সংরক্ষণ এবং সকল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নির্ধারিত ৫% কোটা নিশ্চিত করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়। এতে প্রতিবন্ধীদের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

   

‘বিআরটিএ সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিএনজিচালিত অটোরিকশার মতো ছোট একটি পরিবহন খাতের ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি প্রতিরোধে বারবার ব্যর্থ হলেও বিআরটিএ নতুন করে অটোরিকশার যাত্রী ভাড়া ও মালিকের দৈনিক জমা বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

রোববার (০২ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন অভিযোগ তুলেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

তিনি দাবি করেন, যাত্রী কল্যাণ সমিতির ২০১৬ সালের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশার ৯৮ শতাংশই মিটারে চলে না। ৮৭ শতাংশ যাত্রীদের পছন্দের গন্তব্যে যায় না। এসব সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি যখন চরমে পৌঁছেছিল ঠিক তখনই রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার একটু স্বস্তির র্বাতা নিয়ে যাত্রীদের পাশে দাঁড়ায়।

ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগরীর উত্তরা থেকে মতিঝিল রুটে মেট্রোরেল চালু হয়েছে। চট্টগ্রামের কালুরঘাট থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এসি বাস চালু হতে যাচ্ছে। এসব কারণে চাপে পড়ে অটোরিকশা ভাড়া নৈরাজ্য এখন বন্ধ হওয়ার পথে। ঠিক তখনই কতিপয় অটোরিকশার মালিক সমিতির নেতারা বিআরটিএর সাথে আতাঁত করে আবারো নতুন করে ভাড়া নৈরাজ্য উস্কে দিতে যাত্রীভাড়া ও মালিকের দৈনিক জমা বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বিআরটিএর দ্বায়িত্ব ছিল সিএনজিচালিত অটোরিকশার মিটারে চলাচল নিশ্চিত করা। প্রতিটি অটোরিকশা বিনাপ্রশ্নে যাত্রীদের পছন্দের গন্তব্যে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা। ছোট এই দুটি অঙ্গীকার প্রতিষ্টায় সম্পূণ ব্যর্থ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ। তারা যাত্রী প্রতিনিধি ছাড়া, যাত্রীদের অভিযোগ নিষ্পত্তি ছাড়া, পূর্বের ভাড়া বাড়ানোর সময়ে যাত্রী সেবা সংক্রান্ত অটোরিকশা মালিক সমিতি কর্তৃক প্রদত্ত অঙ্গীকারনামা পূরণে ব্যর্থতার পরেও অদৃশ্য কারণে সম্প্রতি বিআরটিএ সদর কার্যালয়ে ভাড়া বৃদ্ধির জন্য গোপনে বৈঠক করেছে। এই বৈঠকের পর থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলরত সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী ভাড়া ও মালিকের দৈনিক জমা রাতারাতি বৃদ্ধির গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তিনি মালিকদের সাথে আতাঁত করে এহেন ভাড়া বৃদ্ধির পাঁয়তারা জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ করার দাবি জানান।

উল্লেখ্য, সিএনজি চালিত অটোরিকশা পরিচালনার জন্য ২০০৬ সালের একটি নীতিমালা রয়েছে। এই নীতিমালা অনুযায়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহানগরীর জন্য একই হারে যাত্রী ভাড়া ও মালিকের জমা নির্ধারণ করা হয়। সরকার অটোরিকশার দৈনিক জমা যখন ৬০০ টাকা নির্ধারণ করেছিলেন তখন এই নীতিমালা লঙ্ঘন করে ঢাকা মহানগরীর অধিকাংশ মালিক ২ বেলায় ৬০০ টাকা করে দৈনিক ১২০০ টাকা জমা আদায় করেছে। এরপর সরকার অটোরিকশার দৈনিক জমা ৯০০ টাকা নির্ধারণ করলে এখন কোন কোন মালিক ২ বেলায় ৮০০ টাকা হারে দৈনিক ১৬০০ টাকা আবার কেউ দৈনিক ১৮০০ টাকা আদায় করছে। এই বিষয়ে একাধিক শ্রমিক সংগঠন সুনির্দ্দিষ্ট তথ্য উপাত্তসহ বিআরটিএর কাছে অভিযোগ জমা করলেও বিআরটিএ এহেন দৈনিক জমা আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করতে পারেনি।

এমন পরিস্থিতিতে দৈনিক জমা ১১৫০ টাকা করা হলে যাত্রীরা আবারো অটোরিকশার ভাড়া নৈরাজ্যর শিকার হবে বলে মনে করে যাত্রী অধিকার সুরক্ষায় নিয়োজিত এই সংগঠনটি। অটোরিকশা মালিকদের এহেন অতিরিক্ত দৈনিক জমার কারণে ৪ লাখ টাকা দামের একেকটি অটোরিকশা মেট্রো নিবন্ধন পেলে ২২ থেকে ২৫ লাখ টাকায় বাজারে বিক্রি হচ্ছে। অথচ একটি পুরনো বাসের দাম ১০/১২ লাখ টাকায় পাওয়া যায়। সরকার মধ্যআয়ের লোকজনকে যাত্রীসেবা প্রদানের মাধ্যমে দিয়ে প্রাইভেট গাড়ি চাহিদা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে এই অটোরিকশার সার্ভিস চালু করে। দফায় দফায় মালিকের দৈনিক জমা বৃদ্ধির কারণে প্রতিটি অটোরিকশা এখন একেকটি সোনার ডিম পাড়া হাঁসে পরিণত হয়েছে।

;

ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ২০ জেলায় ক্ষতি সাত হাজার কোটি টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে দেশের ২০ জেলায় ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

রোববার (২ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ২৬ মে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানে। এর প্রভাবে উপকূলীয় বেশকিছু এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়। যার ফলে এসব এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়। এছাড়া ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। বেশকিছু রাস্তাঘাট, বেড়িবাঁধ, ঘরবাড়ি ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সরকারের সব বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দুর্যোগপূর্ব কার্যক্রম পরিচালনা করেছি, এখন দুর্যোগ পরবর্তী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানার পরের দিন আমি ব্যক্তিগতভাবে উপকূলীয় জেলার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে স্থানীয় লোকজনের খোঁজখবর নিয়েছি।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ১৯টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের অনুকূলে ত্রাণ কার্যে নগদ পাঁচ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, পাঁচ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল, ৯ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন, গো- খাদ্যের জন্য দুই কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং শিশু খাদ্য কেনার জন্য দুই কোটি ৪৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের, বিভাগ, দফতর-সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, রাজনৈতিক নেতাসহ আওয়ামী লীগের এবং এর অংঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পরপরই আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা খুলনার কয়রা, ভোলার চরফ্যাশন এবং পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী পরিদর্শন করেছি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ ও জরুরি সেবা পৌঁছানো নিশ্চিত করেছি।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ৩০ জুন প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় রিমাল এলাকা পরিদর্শনের জন্য পটুয়াখালীর কলাপাড়া পরিদর্শন করেন এবং ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিরতণ করেন। সরকারের সকল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সার্বিক ক্ষয়-ক্ষতি পরিমাপ ও করণীয় নিয়ে আজ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

;

পূর্বাঞ্চলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু, থাকছে জোড়া স্পেশাল ট্রেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। প্রথমদিন বিক্রি হচ্ছে ১২ জুনের টিকিট।

রেলওয়ে জানিয়েছে, পূর্বাঞ্চলে চার জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন থাকবে। কাউন্টারে কোনো টিকিট বিক্রি হবে না। সব টিকিট অনলাইনেই করা হবে।

রোববার (২ জুন) দুপুর ২টা থেকে পূর্বাঞ্চলে সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি শুরু হয়েছে। ১৭ জুন সম্ভাব্য ঈদের তারিখ ধরে রেলওয়ে এই আগাম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে।

এর আগে সকাল সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। যাত্রীদের সুবিধার্থে পূর্বাঞ্চলে আলাদা সময়ে টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

রেলওয়ে জানায়, রোববার বিক্রি হচ্ছে ১২ জুনের অগ্রিম টিকিট। একইভাবে ৩ জুন যাত্রীদের দেওয়া হবে ১৩ জুনের টিকিট, ৪ জুন দেওয়া হবে ১৪ জুনের টিকিট, ৫ জুন দেওয়া হবে ১৫ জুনের টিকিট এবং ৬ জুন দেওয়া হবে ১৬ জুনের অগ্রিম টিকিট।

একইভাবে ১০ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ২০ থেকে ২৪ জুনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে।

ঈদ উপলক্ষে এবার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর এবং চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রুটে চার জোড়া স্পেশাল ট্রেনসহ দেশের বিভিন্ন রুটে ২০টি বিশেষ ট্রেন চালুর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ১২টি আন্তঃনগর ট্রেনে প্রতিদিন ৭ হাজার ৭শ ১৫ জন যাত্রী ঈদে বাড়ি ফিরতে পারবেন। এবার স্পেশালসহ আন্তঃনগর ট্রেনে করে চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৫ হাজার যাত্রী ঈদে বাড়ি যেতে পারবেন।

ঈদ উপলক্ষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে এক জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলবে। চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটের চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল চলবে দুই জোড়া এবং চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রুটে ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল চলবে এক জোড়া।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, রোববার দুপুর ২টা থেকে সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি শুরু হয়েছে। কাউন্টারে কোনো টিকিট বিক্রি হবে না। টিকিট কালোবাজারি রুখতে গোয়েন্দা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করবে।

;

অস্বস্তির গরমে আবহাওয়া অফিসের স্বস্তির খবর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবের পর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মেঘ ও রোদের খেলার মধ্যে বেশ ভ্যাপসা গরম বিরাজমান। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে অস্বস্তিকর পরিবেশ। এমন পরিস্থিতে সুখবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সংস্থাটি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৮ বিভাগের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এতে তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি গরমের তেজও কমে আসবে।

রোববার (২ জুন) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির স্বাক্ষরিত আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি বা ভারী বর্ষণ হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, রংপুর এবং রাজশাহী বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আরো অগ্রসর হওয়ার জন্য পরিস্থিতি অনুকূলে রয়েছে।

এ সময় ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারিপুর, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, নোয়াখালী, বাগেরহাট, যশোর, বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বৃষ্টির কারণে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্র ২১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল কুড়িগ্রামে এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্র ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল যশোরে। এছাড়া সর্বোচ্চ ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে।

;