১০ বছর পর রাজশাহীতে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়ালো গম আবাদ



হাসান আাবিদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১০ সালের পর এবার রাজশাহীতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। কৃষি অধিদফতরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫০০ হেক্টরেরও বেশি জমিতে গম চাষ করা হয়েছে। চলতি বছর ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। তবে আবাদ হয়েছে ২৬ হাজার ৫৪১ হেক্টর জমিতে। ফলে ছাড়িয়ে যাবে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাও।

কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, বরেন্দ্র অঞ্চলে ধান চাষে ধারাবাহিক বিপর্যয়ের কারণে গম চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। গম চাষে খরচ কম এবং গত দুই/তিন বছর গমের বাজার মূল্যও বেশ ভালো। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বরেন্দ্র অঞ্চলখ্যাত রাজশাহীতে গমের বাম্পার ফলন হবে।

গম চাষে খরচ কম, লাভ বেশি

কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে সবশেষ রাজশাহীতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছিল। সেই বছর ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৩০০ হেক্টর বেশি ছিল। এরপর থেকে গম চাষে ভাটা পড়ে। গত ১০ বছরে কৃষি অধিদফতরের গম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। এমনকি এক দশকে কৃষি বিভাগ নানাভাবে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করলেও সাড়া মেলেনি। ফলে ২৫ হাজার হেক্টরের কাছাকাছিও জমিতেও হয়নি গম চাষ।

চলতি মৌসুমে কৃষকরা আবার গমের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। উন্নতজাত ও আবহাওয়া গম চাষের অনুকূল থাকায় গমের সুদিন ফিরতে শুরু করেছে। বিশেষ করে গত বছর ধান বিপর্যয়ের কারণে কৃষকরা ধান চাষ বাদ দিয়ে গম চাষের দিকে ঝুঁকেছে। গত বছর ধান চাষ করে উৎপাদন খরচ জোটেনি। অনেক কৃষকের ধান কাটতে না পেরে জমিতেই নষ্ট হয়েছে। যার কারণে উঁচু জমিগুলোতে ধানের পরিবর্তে এবার গম চাষ করা হয়েছে।

কৃষকরা বলছেন, গম চাষে তেমন সেচ, সার কীটনাশক প্রয়োজন হয় না। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব না থাকলে গম চাষ করে লাভবান হওয়া যায়। এসব চিন্তা করেই তারা গম চাষের দিকে দৃষ্টি দিয়েছে।

গেল বছর ১০ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেন পবা উপজেলার দুয়ারী এলাকার কৃষক সাইদুর রহমান।তিনি বলেন, গত বছর আমার বোরো ধান ছিল ১০ বিঘা জমিতে আর গম ছিল ৩ বিঘায়। ধানের চেয়ে গমে লাভ বেশি হয়েছে। এবার ৮ বিভাগ জমিতে গম চাষ করেছি। আবহাওয়া ভাল থাকলে এবারও গমে লাভবান হবো বলে আশা করছি।

বাগমারা উপজেলার রমরামা গ্রামের বেলাল হোসেন বলেন, যশোবিলে আমার উঁচু জমিতে প্রায় পাঁচ বিঘায় ধান করতাম। বাকি এক বিঘায় গম করতাম। এবার উল্টো হয়েছে। পাঁচ বিঘায় গম আর এক বিঘায় ধান করেছি। ধান চাষ করে শুধু লোকসানের হিসেব গুণতে গুণতে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। গমে তেমন খরচা নেই, তাই লোকসানও নেই।

রাজশাহী কৃষি অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামসুল ইসলাম বলেন, আমরা গত তিন/চার বছর থেকে কৃষকদের গম চাষে আগ্রহী করে তোলার চেষ্টা করে আসছিলাম। এনিয়ে বেশ কয়েকটি প্রকল্পও হাতে নেওয়া হয়। অবশেষে সেই প্রক্রিয়া সফল হয়েছে। গম চাষে এবার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, গম চাষে খরচ কম, লাভ বেশি। বিষয়টি কৃষকরা এতোদিন না বুঝে ধানের দিকে ঝুঁকেছিল। ধানে লোকসান হওয়ায় এবার গমে ঝুঁকেছে। আশা করি গমের ভালো ফলন পাবে কৃষকরা। এজন্য আবাদের শুরু থেকে কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে।

   

তীব্র তাপদাহে সড়কের বিটুমিন গলে যাওয়া, উত্তর খুঁজতে ঘটনাস্থলে দুদক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
তীব্র তাপদাহে যশোরে বিটুমিন গলে যাওয়া, উত্তর খুঁজতে ঘটনাস্থলে দুদক

তীব্র তাপদাহে যশোরে বিটুমিন গলে যাওয়া, উত্তর খুঁজতে ঘটনাস্থলে দুদক

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মৌসুমে এপ্রিল মাসে দেশজুড়ে ছিল তীব্র তাপপ্রবাহ। এর ফলে যশোরে সড়কের বিটুমিন (পিচ) গলে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তারই ধারাবাহিকতায় যশোর-নড়াইল মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে গলা বিটুমিন (পিচ) পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখেন দুদকের কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুদকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদকের উপপরিচালক আল আমিন বলেন, বিটুমিন (পিচ) গলার ঘটনা পরিদর্শনে আমাদেরকে কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখানে এসে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে গলা পিচ পরীক্ষা করেছি। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত লিপিবদ্ধ করে আমরা প্রধান কার্যালয়ে পাঠাবো।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দুদক যশোরের সহকারী পরিচালক চিরঞ্জন নিয়োগী, সহকারী পরিদর্শক সাফিউল্লাহসহ সড়ক বিভাগের দুইজন সহকারী প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন।

 

;

প্রতীকী মূল্যে বে-টার্মিনালের জন্য ৫০০ একর জমি পেল চট্টগ্রাম বন্দর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতীকী মূল্যে বে-টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য ৫০০ একর সরকারি খাস জমি বরাদ্দ পেল চট্টগ্রাম বন্দর। বঙ্গোপসাগরের পাড়ে আউটার রিং রোড ঘেঁসে বাস্তবায়নাধীন প্রধানমন্ত্রীর এই অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ পাওয়া জমির দাম রাখা হয়েছে মাত্র তিন কোটি তিন টাকা। সরকার নির্ধারিত এই ফি জমা দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার (২ মে) বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) পান্না আকতারের সই করা চিঠিতে তিন মৌজায় ৫০০ দশমিক ৭০৬৩ একর জমির বিপরীতে পৃথক তিন চালানে এক কোটি এক টাকা করে তিন কোটি ৩ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন থেকে বন্দোবস্ত পাওয়া ৫০০ দশমিক ৭০৬৩ এর জমির মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম জেলার দক্ষিণ কাট্টলী মৌজার ৬২ দশমিক ২২৫২ একর, উত্তর হালিশহর মৌজার ৩৩৯ দশমিক ২৬৭৫ একর এবং হালিশহর মৌজায় ৯৯ দশমিক ২১৩৬ একর খাস জমি। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে হালিশহর এলাকার সাগর উপকূলে মোট আড়াই হাজার একর জমিতে গড়ে উঠছে বে টার্মিানাল প্রকল্প।

চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) পান্না আকতার। তিনি বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী তিন মৌজায় ৫০০ একর জমির জন্য নির্ধারিত এক কোটি এক টাকা করে তিন কোটি তিন টাকা পৃথক তিন চালানে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চিঠি পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ম্যানেজার (এস্টেট) মুহাম্মদ শিহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বে-টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য প্রতীকী মূল্যে ৫০০ একর জমি জেলা প্রশাসন থেকে দীর্ঘমেয়াদে বন্দোবস্ত পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে সরকার নির্ধারিত মূল্য জমা দেওয়া জন্য জেলা প্রশাসন চিঠি দিয়েছে।’

চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১৬ সাল থেকে ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়। এরই মধ্যে প্রকল্পের প্রায় জায়গা ভরাট করে ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রকল্পটির উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বছরই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে এবং ২০২৬ সালে আংশিকভাবে কার্যক্রম শুরু করারও লক্ষ্য রয়েছে কর্তৃপক্ষের।

;

ওমরায় পাঠানোর কথা বলে টাকা আত্মসাৎ, গ্রেফতার ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ওমরায় পাঠানোর প্রলোভনে প্রতারণা ও প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো গাজীপুর জেলার টঙ্গী পশ্চিম থানার দক্ষিণ আউচপাড়া মৃত আব্দুল মালেকের পুত্র তানভীর আব্দুল হান্নান (৪২) এবং আউচপাড়া সুর তরঙ্গ রোডের আবদার হোসেনের পুত্র শরীফ হোসাইন ঔরফে মাসুম বিল্লাহ (৪৬)।

বৃহস্পতিবার (২ মে) তারাকান্দা থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে।

তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ওয়াজেদ আলী ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন আসামীদ্বয় ওমরা হজ্বে পাঠানোর প্রলোভনে মযমনসিংহের তারাকান্দা ফুলপুর, ময়মনসিংহ সদর, টাংগাইল, শেরপুর, নেত্রকোণা উপজেলা সহ সারাদেশের শত শত লোকের কাছ থেকে প্রায় দেড়/দুই কোটি টাকা নিয়ে গত এক বছর আগে লাপাত্তা হয়ে যায়।

মাসুম বিল্লাহ বিশ্বাস অর্জনের জন্য কিছু লোককে গত বছর ওমরা করান এবং তারাকান্দা থানার মাঝিয়ালি গ্রামে কয়েকটি পুকুর ভাড়া নিয়ে ফিশারির ব্যবসা শুরু করে। শত শত লোকের টাকা নিয়ে এক বছর আত্মগোপনে থাকে। হঠাৎ তিন চার দিন আগে আসামিরা তাদের ফিশারিতে এসে মাছ বিক্রি শুরু করলে সংবাদ পেয়ে তারাকান্দা থানা পুলিশ তাদের কে আটক করে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পাওনাদার আরিফ হোসেন নামে বাদী হয়ে তারাকান্দা থানা মামলা দায়ের করেন।

তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ওয়াজেদ আলী আরও বলেন পুলিশ যথাযথ ভাবে নিয়মিত মামলা দায়ের করে গ্রেফতারকৃত দুইজনকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

;

দেশে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ শুরু হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দেশে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ শুরু হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

দেশে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ শুরু হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন।

তিনি বলেন, কক্সবাজারের উখিয়ায় উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান তিনি।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মালয়েশিয়ার কমিউনিটি রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রামের (সিআরপি) আদলে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের জন্য কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলায় ১৬০ একর জমি বন্দোবস্ত পাওয়া গেছে। উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু করা হবে। 

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশে বর্তমান সরকারের বিগত তিন মেয়াদে ৮৩ হাজার ৫৭৭টি পদ বাড়ানো হয়েছে। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব পদে জনবল নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি জানান, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ও অভিযান পরিচালনার জন্য এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরের জন্য দুটি অত্যাধুনিক হ্যালিকপ্টার সংযোজনের কার্যক্রম চলমান আছে।

একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের যুগোপযোগী আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। পূর্বে ব্যবহৃত পয়েন্ট ৩০৩ রাইফেলের পরিবর্তে বর্তমানে ৭ পয়েন্ট ৬২ মিলিমিটার রাইফেল ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া পুলিশ সদস্যদেরকে ৭ পয়েন্ট ৬২/৯ এমএম পিস্তল, ৯ এমএম এসএমজি, পয়েন্ট ৪৫ ইঞ্চি এসএমজি, ১২ বোর শটগান, ৩৮ মিলিমিটার টিয়ারগ্যাস, গ্যাসগান বা লঞ্চারসহ প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সরবরাহ করা হচ্ছে।

সরকারি দলের মাহবুবউর রহমানের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সীমান্তে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি এরইমধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অত্যাধুনিক অস্ত্র, যানবাহন, আকাশযান ও জলযান দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দেশে প্রথমবারের মতো মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর কর্তৃক ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর সাতগ্রাম ব্ল্যাক কোকেন উদ্ধার করা হয়েছে।

সরকার দলের আরেক সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমেদ রুহীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালে ৯৭ হাজার ২৪১টি মামলা দায়েরপূর্বক ১ লাখ ২০ হাজার ২৮৭ জন আসামিকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এ সময়ে ৩১ হাজায়ে ৩১ হাজার ৬২২ বোতল ফেনসিডিল, ৭২ দশমিক ৮২৮ কেজি হেরোইন, ১৮৬ দশমিক ৬৩২ কেজি আইস এবং ২ লাখ ৭৫ হাজার ৫৭১ পিস টাপেন্টাডল ট্যাবেলট জব্দ করা হয়েছে।

;