অনুশীলনমূলক বই বন্ধের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থী-অভিভাবক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্র​স্তাবিত ‘শিক্ষা আইন-২০১৯’ এ শিক্ষা-সহায়ক অনুশীলনমূলক বইকে ‘নোট-গাইড’ হিসেবে আখ্যায়িত করে নিষিদ্ধের যে কথা এসেছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেক শিক্ষক-শিক্ষাবিদ, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। অনুশীলন বই বন্ধ হয়ে যেতে পারে- এমন সম্ভাবনায় বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

ক্লাসে পাঠদানের ঘাটতি, শিক্ষক স্বল্পতা, সন্তানদের সহায়তা করায় অনেক অভিভাবকের সীমাবদ্ধতা- এসব কারণে শিক্ষার্থীদের কাছে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে অনুশীলনমূলক বই। বইগুলোর প্রকাশকরাও বলছেন, একতরফাভাবে এসব বই বন্ধের উদ্যোগ নিলে তা শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক অসুবিধার সৃষ্টি করা ছাড়াও সার্বিক প্রকাশনা শিল্পের বিপর্যয় ডেকে আনবে।

তারা বলছেন, অনুশীলনমূলক বই সংক্রান্ত কার্যক্রমে ১০টি শিল্পের ৪ লাখ ৬২ হাজার পরিবার যুক্ত। এটি নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ সব মিলিয়ে লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকাকে হুমকির মধ্যে ফেলবে।

শিক্ষাবিদসহ সংশ্লিষ্টদের মতে, নানা কারণেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে অনুশীলনমূলক বইগুলো। দেখা গেছে, ৯৫ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী এসব বই পড়ছে। বিভিন্ন কারণে অনেকক্ষেত্রেই এখন শ্রেণিতে যথাযথভাবে পাঠদান হয় না। ক্লাসের বার্ষিক কর্মঘণ্টা কম। এর পাশাপাশি সব শিক্ষককে সৃজনশীল পদ্ধতি সম্পর্কে দক্ষ করে গড়ে তুলতে না পারার কারণে শিক্ষাখাতে বর্তমান পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) ২০১৯ সালের এক প্রতিবেদনেই দেখা গেছে, সৃজনশীল শিক্ষাপদ্ধতি চালুর এক দশক পরও দেশের প্রায় ৪২ শতাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকই এখনো সঠিকভাবে এই পদ্ধতিতে প্রশ্ন করতে পারেন না। তারা বাইরে থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করেন বা অন্য বিদ্যালয়ের সহায়তায় সৃজনশীল প্রশ্ন প্রণয়ন করেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় দেশে বর্তমানে মোটাদাগে দুই ধরনের সমস্যা রয়েছে। শহরের নামকরা শিক্ষায়তনে ঠিকমতো ক্লাস হয় না। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগের ক্ষেত্রে এক একটি শ্রেণিকক্ষে ৮০ থেকে ১০০ জন শিক্ষার্থী থাকে। একজন শিক্ষকের পক্ষে এত বেশি শিক্ষার্থীকে সঠিকভাবে, যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে পাঠদান করা সম্ভব নয়।

অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে দক্ষ শিক্ষকের ঘাটতি আছে। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়েরই ভরসাস্থলে পরিণত হয়েছে অনুশীলন বই। এ সহায়ক বই-ই প্রথাগতভাবে নোট-গাইড হিসেবে পরিচিত।

অভিভাবকদের কেউ কেউ তাদের সন্তানদের লেখাপড়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রচার মাধ্যম থেকে অনুশীলনমূলক বই বন্ধে আইন হতে পারে বিষয়টি সম্প্রতি জেনেছেন রাজধানীর কলাবাগানের বাসিন্দা আবু ইউসুফ। তিনি বলেন, ‘আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনই ছোট চাকরি করি। তিন সন্তানের জন্য যথেষ্ট গৃহশিক্ষক রাখার সামর্থ্য আমার নেই। নিজেরাও পড়ানোর মতো তেমন সময় করতে পারি না। সেক্ষেত্রে এই বইগুলো অনেকটা গৃহশিক্ষকের কাজ করত। অনুশীলনমূলক বই না থাকলে আমাদের মতো পরিবারগুলো খুব সমস্যায় পড়বে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ধানমন্ডি এলাকার একজন অভিভাবক বলেন, ‘শিক্ষকরাই যেখানে সৃজনশীলের প্রশ্ন করতে হিমশিম খান সেখানে আমরা কীভাবে সন্তানকে পড়াব?’ অভিজ্ঞ শিক্ষকরা মনে করেন, অনুশীলনমূলক বই বন্ধ করা হলে শিক্ষার মানে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। কারণ সবার পক্ষে এক বা একাধিক গৃহশিক্ষক রাখা সম্ভব নয়। অনেক বাবা-মা নিজেদের ব্যস্ততা বা শিক্ষাগত সীমাবদ্ধতার কারণেও সন্তানদের পড়াতে সক্ষম নন। নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে এ ধরনের পরিবারের সংখ্যা অসংখ্য। আর গ্রাম পর্যায়ে এ অবস্থা আরও শোচনীয়। সুতরাং অনুশীলন বই নিষিদ্ধের বিষয়টি অগুণতি শিক্ষার্থীর শিক্ষাগ্রহণকে বিপন্ন করে তুলবে।

প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের খসড়া গত সপ্তাহে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটি অনুমোদনের জন্য শিগগিরই মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। ‘নোট-গাইড’ বন্ধের প্রস্তাবের পাশাপাশি এ আইনে শিক্ষকদের সবধরনের কোচিং-টিউশন নিষিদ্ধ এবং শর্তসাপেক্ষে বাণিজ্যিক কোচিংকে বৈধতাদান করা হয়েছে।

এদিকে অনুশীলন বইয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া নেমে এলে তা সার্বিক প্রকাশনা শিল্পের জন্যই মহাসংকট সৃষ্টি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কবিতা, গল্প ও উপন্যাসসহ সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রায় সবাই অনুশীলনমূলক গ্রন্থ প্রকাশের সঙ্গে যুক্ত। দেশের সৃজনশীল প্রকাশনার বাজার খুবই সীমিত উল্লেখ করে একজন প্রকাশক বলেন, অনুশীলনমূলক বই বন্ধ হলে অনেক সৃজনশীল গ্রন্থের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মুখ থুবড়ে পড়বে।

বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির (বাপুস) সহ-সভাপতি শ্যামল পাল বলেন, এসব গ্রন্থ প্রকাশ ও বিক্রির সঙ্গে অন্তত ৮টি পেশার ২৩ লাখ ১০ হাজার মানুষ জড়িত। এই খাতে সাড়ে ২১ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আছে। এসব গ্রন্থের প্রকাশনা বন্ধ করা হলে সরকার একদিকে শত কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে, আরেকদিকে অসংখ্য কর্মহীন মানুষের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হবে।

সরকার নোট-গাইডের বিকল্প খুঁজছে বলে জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘নোট গাইড কেন চলে তা আমরা জানতে চাই। সেটা চিহ্নিত করার পরে আমরা পরবর্তী অ্যাকশনে যেতে পারি। কিন্তু আসল কথা হচ্ছে, নোট-গাইডের বিকল্প আমরা চাই।’

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে রাজধানী মতিঝিলের একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষক মো. ফজলুল হক বলেন, অনুশীলনমূলক বইয়ের ওপর নির্ভরশীলতা একদিনে সৃষ্টি হয়নি। এ পরিস্থিতির পেছনে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত কারণ আছে। সেসব সমস্যার সমাধান রাতারাতি সম্ভব নয়। সুতরাং শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সুচিন্তিত, দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। ‘গাইড-নোট’ মার্কা সেটে দিয়ে অনুশীলন বই বন্ধ করে দেওয়া হবে শিক্ষার্থীদের হাত থেকে শিক্ষার সুযোগ কেড়ে নেওয়ার সামিল।’

   

সিটি করপোরেশনের সিল নিজেই মারতেন মিল্টন: ডিবি প্রধান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, সিটি করপোরেশনের সনদ ছাড়াই রাতের আধাঁরে মরদেহ দাফন করতেন ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার। এমন কি তিনি নিজেই মৃত সনদে সিটি করপোরেশনের সিল মারতেন। এই বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়েজিত এক সংবাদি সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন মিল্টন সমাদ্দারকে আমরা গতকাল রাতে গ্রেফতার করেছি। ইতোমধ্যে তিনটি মামলা হয়েছে। তার মধ্যে রাতের আধাঁরে সিটি করপোরেশনের সনদ ছাড়াই মৃতদেহ দাফন করার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। এই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠিয়েছি। রিমান্ডে আসার পর তার যে অপকর্মগুলো আছে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

দায়ের হওয়া মামলার বিষয়ে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, রাতের আধাঁরে মিল্টন সমাদ্দার মরদেহ দাফন করতেন। সিটি করপোরেশনের সিল নিজেই মারতেন। সেই কাগজগুলো আমরা উদ্ধার করেছি। মরদেহ দাফন করার ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের সনদ সে নিতো না। সে নিজেই লিখে, সাইন করত। সিলসহ কাগজ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আরও দুজন ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে থানায় আছেন। দ্রুতই সেগুলো নথিভুক্ত হবে।

মিল্টনের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি না জানতে চাইলে হারুন বলেন, মিল্টনকে রিমান্ডে আনার পরে তার স্ত্রীকেও ডাকবো। তবে কোনো ভুক্তভোগী যদি মামলা করেন তাহলে তার স্ত্রীকেও আমরা গ্রেফতার করবো।

;

‘আমেরিকার পুলিশ যেভাবে আন্দোলন থামায়, আমাদের পুলিশ সেটা অনুসরণ করতে পারে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন একটা বিষয় ভেবে দেখা যায়, আমেরিকার পুলিশ যেভাবে আন্দোলন থামায়, সেটা এখন আমাদের পুলিশ অনুসরণ করতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় গণভবনে থাইল্যান্ড সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আন্দোলন করে করুক। সেখানে তো আমরা বাধা দিচ্ছি না। তবে এখন একটা বিষয় ভেবে দেখা যায়, আমেরিকার পুলিশ যেভাবে আন্দোলন থামায়, সেটা এখন আমাদের পুলিশ অনুসরণ করতে পারে। আমাদের পুলিশ আমেরিকান পুলিশদের অনুসরণ করতে পারে।

তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর আমরা তো ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। ধৈর্য ধরতে গিয়ে তাদের পিটিয়ে মেরেছে। তবে এখন মনে হয়, আমাদের পুলিশ আমেরিকান স্টাইলে আন্দোলন দমনের ব্যবস্থাটা নিতে পারে’।

ফিলিস্তিনে যেভাবে গণহত্যা চলছে, সেটা ‘অমানবিক’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমেরিকায় ৯শ ছাত্র-ছাত্রী, প্রফেসর আটক হয়েছে আন্দোলন করার জন্য। এটা নাকি গণতন্ত্রের একটা অংশ, সেটাও আমাদের শুনতে হয়! যেভাবে একজন প্রফেসরকে দাবড়ে ধরে মাটিতে ফেলে আটক করা হলো, হ্যান্ডকাফ পরানো হলো, ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর সেভাবে অত্যাচার করেছিল বিএনপির বাহিনী ও পুলিশ। তাদের কাছ থেকে আবার আমাদের মানবাধিকারের ছবক নিতে হয়। এটাই সব থেকে দুর্ভাগ্যের!

বৃহস্পতিবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

‘বাম চলে গেছে ৯০ ডিগ্রি’ ঘুরে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাও আমার একটা প্রশ্ন, আমি সেটা করতে চাই। যারা অতি বাম, তারা নাকি অনেক প্রোগ্রেসিভ দল, গণমুখী দল! ঠিক আছে, আমাকে উৎপাত করবে! কিন্তু পরবর্তীতে কে আসবে, সেটা কি ঠিক করতে পেরেছে! সেটাই তো আমার প্রশ্ন! কে আসবে ক্ষমতায়! কে দেশের জন্য কাজ করবে, কাকে তারা আনতে চায়, এটা কিন্তু স্পষ্ট না।

স্পষ্ট নয়, বলেই তারা কিন্তু জনগণের কোনো সাড়া পাচ্ছে না। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। তার বদৌলতে অনলাইনে আন্দোলন সংগ্রাম করেই যাচ্ছে, নির্দেশ করে যাচ্ছে’।

‘আমরা জনগণের অধিকার নিশ্চিত করে নির্বাচন করেছি’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাস পর্যালোচনা করে যদি দেখেন, প্রত্যেকটা নির্বাচন যদি কেউ ভালো করে তুলনা করে, তাহলে দেখবে যে, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচন সবচেয়ে বেশি অবাধ, সুষ্ঠু ও জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার নির্বাচন হয়েছে। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছি আমরা’!

;

বগুড়ায় মারপিটে বৃদ্ধা খুন করার অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে মারপিটে ফিরোজা (৬০) নামের বৃদ্ধাকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল ৯টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহত ফিরোজা শিবগঞ্জ পৌর এলাকার আচঁলাই (দাড়ারপাড়) মহল্লার তাজুল ইসলামের স্ত্রী।

এ ঘটনায় নিহতের স্বামী তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ৬ জনের নামে মামলা করেছেন।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, তাজুল ইসলামের সাথে তার ভাই ভাতিজাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাজুল ইসলামের স্ত্রী ছেলে ও আরেক ভাতিজা অটোরিকশা যোগে রাঙ্গামাটি গ্রাম থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে চক ভোলাখাঁ এলাকায় অপর ভাই ও ভাতিজারা অটোরিকশা থামিয়ে তাদেরকে মারপিট করে। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বৃহস্পতিবার সকালে ফিরোজা মারা যান।

শিবগঞ্জ থানার ওসি জানান, ঘটনার পরপরই অভিযুক্তরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি।

;

ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির খবর দিল আবহাওয়া অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির খবর দিল আবহাওয়া অফিস

ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির খবর দিল আবহাওয়া অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

দিনদিন তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ উপরের দিকে উঠছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জারি কিরা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। প্রখর তাপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। গরম ও অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। এমন অবস্থায় স্বস্তির খবর দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আগামী কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। ঢাকা ও তার আশেপাশের জেলাগুলোতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আগারগাঁও ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক।

তিনি বলেন, আজ ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আগামী ৬ তারিখের মধ্যে এই তাপমাত্রা কমে যাবে। ঢাকার পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

এদিকে চট্টগ্রাম-সিলেটের বেশ কিছু এলাকায় ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। চট্রগ্রামের কুতুবদিয়ায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ২৮ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, আগামী ১ সপ্তাহে ১-৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমে যেতে পারে। বিশেষ করে ঢাকা ও আশেপাশের জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে ঢাকার আবহাওয়া অনেকটা কমে যাবে। সারাদেশে বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বিস্তার লাভ করতে পারে। তাপমাত্রাও অনেক টা কমে আসবে।
তবে দেশের আরও দুইদিন পশ্চিমাঞ্চলে মৃদু থেকে ভারী তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে রাজশাহী ও খুলনায় অতিরিক্ত তাপপ্রবাহ থাকতে পারে।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ একে এম নাজমুল হক বলেন, খুলনা ও রাজশাহীতে হিট তাপমাত্রা থাকতে পারে। ঢাকাতেও হিট অ্যালার্ট থাকবে। তবে ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জসহ আশেপাশে বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে সাময়িক সময়ের জন্য তাপমাত্রা কিছুটা কমে যাবে।

;