পাথর সঙ্কটে রেলের স্লিপার কারখানার উৎপাদন বন্ধ



তৌফিকুল ইসলাম,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছাতকে স্লিপার কারখানা/ ছবি: সংগৃহীত

ছাতকে স্লিপার কারখানা/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন রেললাইন তৈরি এবং পুরনো রেললাইন সংস্কারের অন্যতম উপাদান হলো স্লিপার। বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি রেলওয়ে কংক্রিট স্লিপার কারখানা রয়েছে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক বাজারে। বর্তমানে পাথর সঙ্কটের কারণে গত ১১ মাস যাবত উৎপাদন বন্ধ রয়েছে এই কংক্রিট স্লিপার কারখানায়।

ছাতক রেলস্টেশনের পাশেই এই কারখানাটি গড়ে উঠেছিল দীর্ঘদিন আগেই। বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে এর আগেও একাধিকবার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় কারখানাটির। গত বছরের ১৯ মার্চ থেকে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে কারখানাটির।

এদিকে আরও জানা যায়,কনক্রিটের স্লিপার তৈরির মূল উপাদান হচ্ছে পাথর। তাছাড়াও যে সব কাঁচামাল লাগে- ইস্পাতের রড ও পাত, যা আমদানি করা হয় ভারত থেকে। এর সঙ্গে ছাতক সিমেন্ট কারখানার বিশেষ সিমেন্ট ও পাশের উপজেলার ভোলাগঞ্জের পাথর, বালু ব্যবহার করে তৈরি করা হতো উন্নতমানের কংক্রিটের স্লিপার। তবে বর্তমানে পাথর সঙ্কটে একেবারেই বন্ধ উৎপাদন কারখানাটির।

কারখানা পরিদর্শনে রেলমন্ত্রী/ছবি: বার্তা২৪.কম 

উৎপাদন বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাতক রেলওয়ে কংক্রিট স্লিপার কারখানার দায়িত্বে ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী ভারপ্রাপ্ত আব্দুর নুর বার্তা২৪.কম-কে বলেন, এ কারখানাটি চালানোর জন্য আমাদের সব ধরনের কাঁচামালসহ প্রস্তুতি আছে। শুধুমাত্র পাথর সংকটের কারণে আমরা উৎপাদনে যেতে পারছি না। আমরা যে মানের পাথর নিয়ে থাকি তা একসময় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ থেকে রোপওয়ে দিয়ে তা নিয়ে আনা হতো। কিন্তু বহু বছর ধরে সেখানেও পাথর মিলছে না। ফলে আমদানি করতে হচ্ছে পাথর।

এই প্রকৌশলী বার্তা২৪.কমকে আরও বলেন, উৎপাদনে যাওয়ার জন্য, পাথর সাপ্লাই দেওয়ার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এই মাসের ১০ তারিখে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়ার কথা ছিল তবে সেটি হয়নি। বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে ঠিকাদার নিয়োগ দিলেই পাথর সাপ্লাই হলেই উৎপাদন শুরু হবে কারখানাটিতে।

এদিকে গত রোববার ( ৯ ফেব্রুয়ারি) রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক বাজার ‌রেলও‌য়ে কংক্রিট স্লিপার কারখানা পরিদর্শন ক‌রে জানিয়েছেন, রেল যেন সবসময় আপনাদের পাশে থাকতে পারে, সেজন্য আমরা সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা বাড়াবো। রেলের এ ধরনের যেসব কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। সেগুলো আমরা পুনরায় চালু করবো।

রেল লাইনের নিচে ব্যবহৃত হয় কংক্রিটের স্লিপার/ছবি: সংগৃহীত 

স্লিপার কারখানা বন্ধ, তাহলে এখন কংক্রিট স্লিপার কোথা থেকে আসছে- জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়া জাহান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, রেল লাইনের কংক্রিটের স্লিপার বেসরকারিভাবে জামালপুর এবং বুড়িমারী থেকে নিয়ে আসা হয়। তাছাড়া ভারত থেকেও কিছু আমদানি করা হয়। ছাতকে আমাদের যে কারখানাটি আছে সেটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। সেটিও চালু করা হবে। তবে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কিছুটা কম হয় এই কারখানায়।

এ সময় তিনি আরও বলেন, আমেরিকার রেললাইনে দেখেছি সেখানেও কাঠের স্লিপার ব্যবহৃত হচ্ছে এখনো। আমি মনে করি কংক্রিটের স্লিপারের চেয়ে কাঠের স্লিপারের স্থায়িত্ব বেশি হয়।

কারখানা পরিদর্শনে রেলমন্ত্রী/ছবি: বার্তা২৪.কম 

কংক্রিটের স্লিপারের বিষয়ে জানতে চাইলে বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক কাজী সাইফুল নেওয়াজ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কাঠের স্লিপারের তুলনায় কংক্রিটের স্লিপারের স্থায়ীত্ব বেশি হয় রেললাইনে। কংক্রিটের স্লিপার রেললাইনে ব্যবহার করলে করলে ভাইব্রেশনটা কম হয়। উন্নত বিশ্বে এই দুই ধরনের স্লিপারই ব্যবহৃত হয়। তবে কাঠের ক্ষেত্রে উন্নত মানের কাঠের স্লিপার তারা ব্যবহার করেন।

উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে ১২ কোটি ২১ লাখ টাকায় ছাতক রেলস্টেশনের পাশেই প্রায় ছয় একর জমির ওপর কংক্রিট স্লিপার কারখানাটি স্থাপন করে রেলওয়ে। ১৯৮৮ সালের মে থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এবং পরে ২৭ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে এ কারখানায় উৎপাদন শুরু হয়।

   

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ আলী মারা গেছেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

মোহাম্মদ আলী ১৯৮০ সালে হাইকোর্টে এবং ১৯৮৫ সালে আপিল বিভাগে অনুশীলনের জন্য তালিকাভুক্ত হন। ২০০১ সালের ২৩ অক্টোবর তিনি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হন। ২০০৫ সালের ৩০ এপ্রিল দেশের ১২তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন।

তিনি ২৪ জানুয়ারি ২০০৭ সালে অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এ জে মোহাম্মদ আলী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

;

চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধে আইন হয়েছে, আমন মৌসুমেই কার্যকর: খাদ্যমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চাল সরু ও চকচকে করতে পুষ্টির অংশ ছাটাই করে ফেলা হয়। এতে চাল চকচকে হলেও কার্বোহাইড্রেট ছাড়া কিছুই থাকেনা। এছাড়া পরিমানেও চাল কমে যায়। তাই চাল ছাঁটাইয়ের সময় রাইস মিলে পলিশ বন্ধে আইন করা হয়েছে। আগামী আমন মৌসুম থেকে পালিশ (ছাটাই) বিহীন চাল বাজারজাত করতে মিলারদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। বাজারে পালিশ বিহীন চাল থাকলে ভোক্তারা সেদিকে আকৃষ্ট হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে নওগাঁ সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে বোরো সংগ্রহ অভিযান ২০২৪ সফল করার লক্ষ্যে নওগাঁ খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি খাদ্য গুদামে ধান দিতে গিয়ে কৃষক বা মিল মালিক কেউ যেন হয়রানি না হয় সেটা নিশ্চিত করা হবে । হয়রানির অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বস্তায় ধানের দাম ও জাত লেখা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন-খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্য কাজ শুরু হয়েছে। বাজারে বস্তার গায়ে দাম ও জাত আসতে শুরু করেছে। মিল মালিকদের কাছে ধানের জাতের নমুনাসহ নাম ও উদপাদিত চাল কেমন হবে তার নমুনা পাঠানো হয়েছে। মিল গেটে চালের দাম বস্তায় লেখা থাকলে খুচরা ব্যাবসায়ীরা দাম বাড়ানোর বিষয়ে মিল মালিকদের দোষারোপ করতে পারবেনা।

তিনি আরো বলেন,ধানের সংগ্রহ সফল হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেসকল কারনে ধান সংগ্রহ সফল হয়না সেগুলোকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে আশা করা যায় এবছর চালের ন্যায় ধান সংগ্রহও সফল হবে। বিগত বছর আমাদের দেশে চাল আমদানি করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী পদক্ষেপে কৃষিতে উৎপাদন বেড়েছে অনেক গুণ। এবছরও বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে বলে তিনি জানান।

মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মো: গোলাম মওলা এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাশিদুল হক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রাজশাহী মো: জহিরুল ইসলাম খান।

এছাড়াও কৃষি বিভাগের উপপরিচালক মো: আবুল কালাম আজাদ, নওগাঁ অটো রাইস মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম বাবু, জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চোকদার বক্তব্য রাখেন।

;

তীব্র দাবদাহে পিরোজপুর হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পিরোজপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

প্রচণ্ড তাপদাহ ও তীব্র গরমে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। জায়গা না পেয়ে অনেকে আবার আছেন ফ্লোরে। গত ৭ দিনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫ হাজার ৯ শ' ২০ জন। প্রচণ্ড গরম, জ্বর আর শ্বাসকষ্টে হাসপাতালের রোগীদের অবস্থা এখন চরম আকার ধারণ করেছে।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (২ মে) হাসপাতালের এমন চিত্র চোখে পড়ে।

প্রতিদিনই জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, পেটেরপিরা, ডিহাইড্রেশন ও এ্যাজমা সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে রোগী আসছে দলে দলে। রোগীদের অবস্থা জটিল হওয়ায় তারা ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। রোগীর চাপ বেশি থাকায় ও  জায়গা সংকটে ভোগান্তিতে রোগী ও তাদের স্বজনরা।

হাসপাতালটি ১০০ শয্যার হলেও এখানে রোগী ভর্তি রয়েছেন ১৯০ জন। ফলে অনেককে রোগী নিয়ে বারান্দায় পড়ে থাকতে হচ্ছে। একেতো রোগীর চাপ তার উপর প্রচণ্ড গরম থাকায় হাসপাতালে রোগীদের সমস্যা আরোও চরমে পৌঁছেছে। এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।

হাসপাতালটির সিভিল সার্জন ডা. মো. মিজানুর রহমান বলেন, তীব্র তাপদাহে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। কখনো তা দ্বিগুণের বেশী হয়ে দাঁড়ায়। ফলে রোগীদের সাথে চিকিৎসকদেরও কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

হিট এলার্ট জারী থাকায় গরমে কম বের হতে ও বাইরের খোলা খাবার না খেতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

;

মেটাল কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি টাকা আত্মসাৎ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মেটাল কয়েনে মাত্র ৩০ লাখ টাকা ইনভেস্ট করে দুদিনের ব্যবধানে পাওয়া যাবে শত কোটি টাকা, এমন প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র।

রাজধানীর উত্তরার এয়ারপোর্ট থানায় এমন একটি অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁদপুর ও ফেনী থেকে প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত থাকা দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে আগারগাঁওয়ে পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

পিবিআই কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, মামলার বাদী মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে ২০১৫ সালে পূর্ব পরিচিত মো. ইউসুফের মাধ্যমে পরিচয় হয় আরেক অভিযুক্ত মানিক মোল্লার। পরিচয়ের সূত্র ধরে অল্প কয়েক দিনের মধ্যে বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।

পিবিআই জানায়, প্রথমে চক্রটি মানুষের সঙ্গে সখ্যতা ও বিশ্বাস স্থাপন করে। তারপর তাদের মেটাল কয়েনে ইনভেস্ট করানোর কথা বলে তাকে নিয়ে চাঁদপুরের আসামি মানিক মোল্লার বাসায় নিয়ে যান। সেখানে মেটাল কয়েনকে বৈদ্যুতিক আলোর স্পর্শে এনে বিভিন্ন রিফ্লেকশনের মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখান।

আর এতেই অনেকটা লোভে পড়ে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হন ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম।

চুক্তি অনুযায়ী, রফিকুল ইসলাম ধাপে ধাপে মোট ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা তুলে দেন চক্রের সদস্যদের হাতে। একই সঙ্গে চুক্তির কথা কেউ যেন জানতে না পারেন, সে শর্তে শাহ জালাল ও শাহ পরানের নামে শপথ পাড়ানো হয়, রফিকুল ইসলামকে।

পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম আরো বলেন, বাস্তবে এমন কোনো কয়েনের অস্তিত্ব এখনো কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেকেটা ‘তক্ষক’ ‘সীমান্ত পিলার’-এর মতো এটাও একটি প্রতারণার কৌশল মাত্র।

তিনি জানান, চাঁদপুর থেকে ফেরার পথে সদরঘাটে এসে চক্রের অন্যান্য সদস্যরা সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশের ছদ্মবেশে আসামি ইউসুফ এবং মেটাল কয়েনটি তাদের হেফাজতে নিয়ে মামলার বাদী রফিকুল ইসলামসহ অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদের একটি নাটক সাজিয়ে শেষে ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে চক্রের আরেক সদস্য সাখাওয়াত এসে কয়েনটি ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিতে ২ কোটি ২৩ লাখ টাকা এবং আরেক সদস্য লিটন ৮০ লাখ টাকা নিলে রফিকুল ইসলামের সন্দেহ হয়। এরপর তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

মামলার সূত্র ধরে পিবিআই অভিযান চালিয়ে চাঁদপুর ও ফেনী থেকে দু'জনকে গ্রেফতার করলেও চক্রের অন্য সদস্যরা এখনো পলাতক।  

পিবিআই জানায়, এই মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। 

 

;