অরক্ষিতই থাকছে সুন্দরবন!



মানজারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
নিরাপত্তাহীনতায় দুই যুগে অন্তত ১২ জন বনরক্ষী প্রাণ হারিয়েছেন/ছবি: বার্তা২৪.কম

নিরাপত্তাহীনতায় দুই যুগে অন্তত ১২ জন বনরক্ষী প্রাণ হারিয়েছেন/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব সৌন্দর্যের লীলাভূমি নৈসর্গিক সুন্দরবন। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ৩ লাখ মানুষের রুটি-রুজির উৎস এ বন বছরের অধিকাংশ সময়েই থাকে অরক্ষিত ও অনিরাপদ। দেশের অর্থনীতিতে সুন্দরবনের অবদান প্রতিবছর প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা হলেও জনবল সংকটের মধ্য দিয়ে চলে সুন্দরবনের বন বিভাগ। রক্ষকরাই থাকেন অরক্ষিত অবস্থায়।

চোরা-শিকারির কবলে বনের পশু-পাখিরা

বনবিভাগের সূত্র থেকে জানা যায়, বনে ব্যবহারের জন্য নেই আধুনিক নৌযান, আধুনিক অস্ত্র, প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি, যানবাহনের অভাব, বনরক্ষীদের রেশন, ঝুঁকিভাতা ও চিকিৎসা সেবার কোনো সুবিধাই নেই। একইসঙ্গে নতুন করে নিয়োগ না দেয়া এবং বয়সের কারণে অবসরে যাওয়ায় শূন্য পদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সব মিলিয়ে সুন্দরবনে লোকবল সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। অপ্রতুল জনবল নিয়ে দস্যু, চোরা-শিকারি, বনজীবী ও মৎস্যজীবীদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে বনবিভাগ। জীবন ঝুঁকিতে আছেন বনরক্ষীরা। প্রতিনিয়তই যেন মৃত্যু ঝুঁকি, মৃত্যু হলেও তাদের পরিবারকে দেয়া হয়না কোনো বেতন-ভাতা। আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত সুন্দরবনের বনরক্ষীরা। নিরাপত্তাহীনতায় দুই যুগে অন্তত ১২ জন বনরক্ষী প্রাণ হারিয়েছেন।

বনের ভেতরে রয়েছে শতাধিক খাল।

বনবিভাগ খুলনা সার্কেলের তথ্যমতে, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের মোট আয়তন ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার। বনের দুটি বিভাগ পূর্ব ও পশ্চিম। বিভাগ দুটির আওতায় রয়েছে চারটি রেঞ্জ। এর মধ্যে বাগেরহাট অংশের তিন উপজেলা শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও মংলাসংলগ্ন। পূর্বসুন্দরবনকে শরণখোলা ও চাঁদপাই দুটি রেঞ্জে ভাগ করা হয়েছে। এ রেঞ্জের অধীনে আটটি স্টেশন ও ৩০টি ফাঁড়ি। এখানে প্রতি আট বর্গকিলোমিটারে বনরক্ষী মাত্র একজন। পশ্চিম বিভাগে খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার কয়রা, দাকোপ, শ্যামনগরসংলগ্ন খুলনা ও সাতক্ষীরা দুটি রেঞ্জে বিভক্ত। এ দুটি রেঞ্জের অধীন নয়টি স্টেশন। বনের ভেতরে রয়েছে শতাধিক খাল। এসব খাল-নদী দেখভালের জন্য ক্যাম্প আছে ৭৬টি।

দেখভালের জন্য ক্যাম্প আছে ৭৬টি

বন বিভাগ খুলনা সার্কেলের সূত্র মতে, বন বিভাগ খুলনা সার্কেলে ১ হাজার ১৭৩টি মঞ্জুরিকৃত বিভিন্ন পদ রয়েছে। যার মধ্যে শূন্যপদের সংখ্যা প্রায় ৩ শতাধিকের বেশি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপ বন সংরক্ষক থেকে সহকারী বন সংরক্ষক ৭টি পদের মধ্যে ৩টি, ফরেস্টার রেঞ্জার ৩০টি পদের ৪টি, ফোরম্যান ২টি পদের মধ্যে ১টি, ইঞ্জিন ড্রাইভার ৩১টি পদের ১৮টি, প্রধান সহকারী ৩টি পদের ১টি শূন্য রয়েছে। স্টোনো টাইপিস্ট ২টি পদের ১টি, হিসাব রক্ষক ৩টি পদের ১টি, ডেপুটি রেঞ্জার ৪৫টি পদের ৪৩টি, বেতারযন্ত্র চালক ৮টি পদের মধ্যে ৩টি, ফরেস্টার ১০৫টি পদের মধ্যে ২১টি, সারেং ১৭টি পদের ৯টি, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ২টি পদের ১টি, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ১৪টি পদের ১টি, কার্পেন্টার ৩টি পদের ১টি, ড্রাইভার ৫টি পদের ২টি, স্পিডবোট ড্রাইভার ১৪টি পদের ১টি, সুকানি ৬টি পদের ৩টি, বন প্রহরী ১৯১টি পদের মধ্যে ৮৩টি খালি রয়েছে।

স্টেশন-টহলফাঁড়িও নিরাপদ নয়

আবার অফিস সহায়ক ২৭টি পদের মধ্যে খালি রয়েছে ১টি, নৌকা চালক ৫৪৬টি পদের ৫৫টি, টেন্ডল ৫টি পদের ২টি, ডেক ক্যাশব ৩টি পদের ২টি, ওয়েলম্যান ৩টি পদের ১টি, খালাসী ৪৩টি পদের ৯টি, হেডমালি ১০টি পদের ২টি শূন্য রয়েছে। জনবল সংকট থাকায় অনেকটা নিয়ন্ত্রণহীন ও অরক্ষিত হয়ে পড়েছে সুন্দরবন।

সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের বনরক্ষী আব্দুল্লাহ আকবর বলেন, বনে তো ২৪ ঘণ্টা ডিউটি দিতে হয়। এখানে বিশুদ্ধ পানির সংকট, চাহিদামতো খাদ্য সরবরাহ আর অসুস্থতায় চিকিৎসার অভাব। নেই বনরক্ষীদের মধ্যে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থাও। সুন্দরবনে সম্পদ রক্ষায় ১৬ স্টেশন ও যে ৬৩টি টহলফাঁড়ি রয়েছে সেগুলোও নিরাপদ নয়। ঝড় জলোচ্ছ্বাস থেকে বনরক্ষীদের রক্ষায় সামান্য ঝুঁকি ভাতা মিললেও মেলেনা রেশনসহ অন্য সুবিধা। এমনই নানা প্রতিকূলতায় জীবন কাটছে সুন্দরবন রক্ষার দায়িত্বে থাকা বনরক্ষীদের।

পর্যটকরা সঠিক ও প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত

সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বশিরুল আল মামুন বলেন, সুন্দরবনে প্রয়োজনের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ জনবল ঘাটতি রয়েছে। তারপরও ইকোপার্ক এলাকায় প্রয়োজনীয় জনবল রাখা হয়। কারণ, সেখানে জনবল কম থাকলে পর্যটকরা সঠিক ও প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন। ইকোপার্কে জনবল দিতে গিয়ে বনের ভেতরে টহল ও পাহারায় ঘাটতি পড়ে। জনবল সংকটের এ প্রকট সমস্যা সমাধান করা না হলে বিস্তীর্ণ বনভূমির সম্পদ রক্ষা করা কষ্টসাধ্য।

সুরক্ষায় দায়িত্বে লোকবল সংকট থাকায় শিকার রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, সুন্দরবন সুরক্ষায় দায়িত্বে থাকা বনবিভাগের লোকবল সংকট প্রচুর। এছাড়া নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবসরে যাচ্ছেন। সে অনুপাতে আবার নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না। এজন্য জনবল সংকটের ফলে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে সম্পদ চুরি, অবৈধ মৎস্য শিকার রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। শিগগিরই শূন্য পদে দ্রুত জনবল নিয়োগ হওয়া দরকার। বন সুরক্ষায় এটা এখন অবশ্যই প্রয়োজন।

দেখভালের জন্য জনবল সংকটে সুন্দরবন

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মঈনুদ্দিন খান বলেন, বনবিভাগের স্টাফ, বনরক্ষী দাবি ও জনবল সংকটের কথা একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিলে এ সংকটের সমাধান হবে। বর্তমানে সুন্দরবন রক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এজন্য বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের অপেক্ষায় মন্ত্রণালয়ে রয়েছে।

   

বান্দরবানে আগুনে পুড়ে ছাই দোকান-ঘর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবান জেলা সদরে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ডিসি বাংলোর বিপরীতে এক মুদি দোকানসহ তিনটি বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাত প্রায় ৯টায় আগুনের সূত্রপাত ঘটে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

বান্দরবান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দী জানান, আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে আমাদের চারটি ইউনিট একসঙ্গে কাজ করায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানা গেছে। বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরে জানানো হবে।

স্থানীয়রা জানায়, রাত নয়টার দিকে হঠাৎ করে চেয়ারম্যান পাড়ার বাসিন্দা লাকি দত্তের দোকানের পেছন দিক থেকে আগুন দেখা যায় এবং মুহূর্তেই তা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নেভাতে স্থানীয় জনসাধারণ, পুলিশ, রেডক্রিসেন্ট সদস্য, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা কাজ শুরু করে। দীর্ঘ ২ ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। তবে এর আগেই একটি মুদি দোকানসহ তিনটি বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডে আক্রান্ত বাড়ির পাশে এনআরবিসি ব্যাংকের বিল্ডিং এবং সনি শো-রুমের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি, প্রাথমিকভাবে বাসাবাড়ি ও দোকানের মালামালসহ ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে বান্দরবান পৌরসভার পক্ষ হতে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২২

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২২

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ছয়টা থেকে সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ২১৪১ পিস ইয়াবা, ১১ গ্রাম ২০ পুরিয়া হেরোইন, ১৫ কেজি ৭০০ গ্রাম গাঁজা, ১০৫ বোতল ফেন্সিডিল ও ১৫টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৮টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;

এমপি ভাইয়ের কথাও শুনছেন না উপজেলা প্রার্থী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্দেশনা অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন জামালপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ এর আপন ভাই নজরুল ইসলাম সাত্তার। তবে ভাইকে অনুরোধ করেও নির্বাচন থেকে সরাতে পারেননি বলে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দিয়েছেন এ সংসদ সদস্য।

উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি সহ বিরোধী পক্ষের বর্জনের মুখে একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার জন্য এবার নৌকা দেয়নি আওয়ামী লীগ। সেই সাথে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ যেন না করে সে জন্যও দেয়া হয়েছে নির্দেশনা। তবে অনেক ক্ষেত্রেই মানা হয়নি নির্দেশনা। প্রার্থী হয়েছেন স্বজনরা।

আওয়ামী লীগের এমন কড়া নির্দেশনায়ও কর্ণপাত করেননি নজরুল ইসলাম সাত্তার। তবে তিনি তার নির্বাচনে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে বলছেন, তিনি বর্তমানে দলের কোনো পদে নেই। যদিও তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি।

নির্বাচনে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগের নির্দেশনা অমান্য করছেন কি না জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম সাত্তার বার্তা২৪.কম কে বলেন, 'আমি দলের কোনো পদে নাই। তাহলে কেন নির্বাচন করতে পারবো না? আমার সংসার (সংসদ সদস্যের সঙ্গে তিনি থাকেন না) আলাদা। আমি এর আগে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। তবে এই বিষয়ে ফোনে এর বেশি কিছু বলতে পারবো না। আরও কিছু জানতে হলে সরাসরি আসেন।'

দলের নির্দেশনা অমান্য করে ভাইয়ের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অনেকটায় অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন জামালপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ। বার্তা২৪.কম কে তিনি বলেন, 'সে (নজরুল ইসলাম সাত্তার) আমার কথা শোনে না। আমি এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরখাস্ত দিয়ে বলে দিয়েছি।'

স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেকেই অভিযোগ করছেন, ভাই না চাইলেও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ভরসায় তিনি দাঁড়িয়েছেন নির্বাচনে। স্থানীয় উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. রাজন মিয়ার নেতৃত্বে চলছে এই প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা। তার সঙ্গে যোগ হয়েছেন, উপজেলার ছাত্রত্বহীন ছাত্রলীগ নেতারা, রয়েছেন বিবাহিত ছাত্রলীগ নেতা ও বিভিন্ন সময় বিতর্কিতরা।

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানিয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ কর্মীদের বাধ্য হয়ে মো. রাজন মিয়াকে অনুসরণ করতে হচ্ছে। প্রচারণায় না আসলে দেখানো হচ্ছে কমিটিতে না রাখার ভয়ভীতি। তাই পদ-পদবীর আসায় অনেক কেই অনিচ্ছা সত্ত্বেও থাকতে হচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণায়।

জানা যায়, উপজেলার অন্তর্গত আটটি ইউনিয়ন রয়েছে। এর মধ্যে একটি ইউনিয়নের কমিটি এরইমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি আছে আরও ৭টি। এসব ইউনিয়নে যারা ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশী তাদেরকে পদের লোভ দেখিয়ে ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারণায় কাজে লাগানো হচ্ছে৷

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রলীগের একজন স্থানীয় কর্মী বলেন, 'আমাদের বলা হয়েছে সাত্তার সাহেবের পক্ষে প্রচারণা করতে। নইলে আমাদের পদ দিবে না। তারা আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে বসে আছে দুই বছরের বেশি সময় ধরে৷ আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ থাকে তিনি মাস। আবার সেই কমিটির ১২ জন বিবাহিত। একেকজনের নামে বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ। তারপরও সেন্ট্রাল তাদেরকে কিছু বলে না। আমরা বলতে গেলে তো আমরা বিপদে পরবো। তাই বাধ্য হয়েই তাদের নির্দেশ মানতেছি।'

এ বিষয়ে কথা বলতে বকশীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. রাজন মিয়াকে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এবিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি এ বিষয়ে এখনো জানি না। আমি খোঁজ নিবো।'

;

তীব্র তাপদাহেও 'অস্বাস্থ্যকর' ঢাকার বাতাস, বিশ্ব তালিকায় সপ্তম



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের জনবহুল রাজধানী ঢাকার বাতাসের মান আজ সকালেও অস্বাস্থ্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা ২৯ মিনিটের দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫২ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় সপ্তম নম্বরে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। আজ ঢাকার বাতাস সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৪৯০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ; ২৬৬ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, ১৬৯ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে নেপালের কাঠমান্ডু, ১৬১ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে থাইল্যান্ডের শহর চিয়াং মাই শহর। এ ছাড়া ১৫৫ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে উজবেকিস্তানের তাজাকিস্তান।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।

;