রাজশাহীতে অস্ত্র-গুলিসহ অস্ত্র ব্যবসায়ী গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
রিপা ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে অভিযান চালায় র‌্যাব/ছবি: বার্তা২৪.কম

রিপা ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে অভিযান চালায় র‌্যাব/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীতে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে অভিযান চালিয়ে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ মাসুদ রানা (৩৫) নামে এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে নগরীর শাহ মখদুম থানার মোড়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার মাসুদ রানা নগরীর নতুনপাড়া এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে নগরীর শাহ মখদুম থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

র‌্যাব-৫ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫ এর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল শাহ মখদুম থানার মোড়ে অবস্থিত রিপা ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে অভিযান পরিচালনা।

এসময় মাসুদ রানা নামে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যানুযায়ী ওই ওয়ার্কশপ থেকে পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ২টি মোবাইল ও ৩টি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়।

   

তীব্র তাপদাহে কর্মব্যস্ত দিনেও ফাঁকা ফেনী শহর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র খরতাপে পুড়ছে সারা দেশ, জারি রয়েছে হিট অ্যালার্ট। রোদের প্রখরতা এতই প্রখর যে বাইরে গরমের মধ্যে টেকা কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। গরমে হাসফাঁস অবস্থা সকল বয়সী মানুষের। গরম থেকে রক্ষা পেতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর খুলেছে স্কুল কলেজ। সপ্তাহের ২য় কর্মব্যস্ততার দিনেও শহরে নেই তেমন কোন কোলাহল। ফেনী শহরের বিভিন্ন সড়কে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশ কম লোকসমাগম দেখা গেছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ফেনী শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, সড়কে মানুষের আনাগোনা নেই। চায়ের দোকানে ভিড় নেই, রাস্তায় গাড়ির সংখ্যাও কম। পথচারীরাও তেমন প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় যাচ্ছেন না। অন্যদিকে স্কুল কলেজ খুললেও অন্যান্য দিনের মতো শ্রেণিকক্ষে তেমন একটা উপস্থিতি ছিলনা ।

শহরের নাজির রোডের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন বলেন, এই রোদে বেশিক্ষণ বাইরে থাকা যায় না। একটা কাজ ছিল তাই বের হয়েছি, শেষ করেই বাসায় চলে যাব।
আব্দুর রহিম নামে একজন বলেন, তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ। এ রোদের মধ্যে টিকে থাকা মুশকিল। শহরের মানুষের চলাচল কম। দরকার ছাড়া কেউ তেমন বের হয়নি।

বাইরে লোকজন কম বের হওয়ায় বেচাবিক্রি কমেছে এলাকাভিত্তিক দোকানগুলোতে। ট্রাংক রোডের চা বিক্রেতা গিয়াস উদ্দিন বলেন, এই গরমে কেউ চা খেতে আসে না। দু-একজন আসে নাস্তা করে। যারা আসে বেশিরভাগই ঠান্ডা পানি বা কোক খায়।

মুদি দোকানিরা বলছেন, ভরদুপুরে ক্রেতার সংখ্যা একেবারেই কম। মূলত সন্ধ্যার পর ক্রেতাদের সমাগম বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।

বড় বাজারের রমনী সাহা স্টোরের সত্ত্বাধিকারী হিরা লাল বলেন, প্রচণ্ড রোদে মানুষজন বা কাস্টমাররা খুব একটা বের হয় না। আগে এ সময়ে যে বিক্রিটা হতো, সেটি কমে গেছে। তবে, সন্ধ্যার পর বেচাবিক্রি কিছুটা বাড়ে।

গরমের প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে পরিবহনেও। সড়কে অন্যান্য সময়ের তুলনায় দিনের বেলা গাড়ির পরিমাণও কম দেখা যায়। গাড়িতে সাধারণত যাত্রীর আধিক্য দেখা যায়। তবে দুপুরের দিকে বেশিরভাগ গাড়ি প্রায় ফাঁকা দেখা গেছে। শহরের রিকশার পরিমাণ ও কম ছিল।

যাত্রীরা বলছেন, গরমে হাঁসফাঁস পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই বিকল্প উপায়ে বা রোদ চড়া হওয়ার আগেই গন্তব্যে পৌঁছান। দুপুরের সময় প্র‍য়োজন ব্যতীত কেউ বের হচ্ছেন না।

শহরের টাউন সার্ভিসের চালক শামসুল বলেন, গরমে অনেক যাত্রী বাসে উঠতে চায়না। গরমের কারণেই বাসে যাত্রীর পরিমাণ কমে গেছে। ভোগান্তি এড়াতে অনেকেই বাসে না চড়ে সিএনজি বা মোটরসাইকেলে চড়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন। ফলে যাত্রীর সংখ্যা কম। এতে আমাদের আয় রোজগারেও প্রভাব পড়েছে।

শহরের রিকশা চালক মতিন মিয়া বলেন, গরমে বের হওয়া অনেক কষ্টকর। তাই অনেক চালক রাতে বের হয়। তবে আমাদের পেটের দায়ে বের হতে হয়। নাইলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। তবে এ গরমে সহ্য হয়না।

গরমে কয়েকটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের ভালো উপস্থিতি দেখা গেলেও বেশ কয়েকটি স্কুলের অধিকাংশ শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে।

নাদিরা আঞ্জুম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, তীব্র গরমে অবস্থা নাজেহাল। প্রাইভেট পড়ে স্কুলের কয়েকটি ক্লাস করে ছুটি নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছি। এ গরমে ক্লাস করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত নাথ বলেন, স্কুল অনেকদিন পর খুলেছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি মোটামুটি ভালো ছিল। শিক্ষার্থীদের বেশি করে পানি পান করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে যাতে করে গরমে তাদের কোন অসুবিধা না হয়।

এদিকে চলমান দাবদাহ আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানান আবহাওয়া অফিস। ফেনী আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চমান পর্যবেক্ষক মুজিবুর রহমান বলেন, ফেনীতে ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। বাতাসের আর্দ্রতা ৫০ শতাংশেত মধ্যে । আরও কয়েকদিন তাপপ্রবাহ স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

;

থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা ছয় দিনের থাইল্যান্ড সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশে ফিরেছেন। বেলা সাড়ে ১১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।

এর আগে থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরের অংশ হিসেবে ব্যাংকক যান শেখ হাসিনা। 

গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে তিনি ব্যাংকক পৌঁছান। তখন তাকে ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাল গালিচায় উষ্ণ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে তাকে ১৯ বার তোপধ্বনি ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

শেখ হাসিনা এই সফরকে ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কারণ, এটি দুই দেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।

থাই প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ সভায় শেখ হাসিনা বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অনুপ্রেরণা যোগাবে।

;

নরসিংদীতে টানা তাপদাহে ক্ষতিগ্রস্ত সবজির আবাদ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম,নরসিংদী
টানা তাপদাহে ক্ষতিগ্রস্ত নরসিংদীর শাকসবজির আবাদ

টানা তাপদাহে ক্ষতিগ্রস্ত নরসিংদীর শাকসবজির আবাদ

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র গরমে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শাক-সবজি অধ্যুসিত নরসিংদীর কৃষি ফসলের মাঠ। টানা রোদে নেতিয়ে পড়ছে ফসলের মাঠ, ঝরে পড়ছে লিচু, আম, লটকনসহ অপরিপক্ক বিভিন্ন মৌসুমী ফল। সেচ দিয়েও রক্ষা হচ্ছে না এসব ফসল। এতে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়ে ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে দাবি কৃষকদের।

এদিকে ফসল রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সেচ দেয়াসহ কৃষকদের বিভিন্ন ধরণের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।

কৃষকরা জানায়, টানা গরমের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কাকরোল, বেগুন, শসা, লাউ, চিচিংগা, করলা, বরবটি, মিষ্টি কুমড়া ও ডাটাসহ বিভিন্ন শাক-সবজির মাঠ। প্রচন্ড রোদের কারণে সবজির জমি শুকিয়ে যাওয়ায় নেতিয়ে পড়ছে সবজিগাছ, পাতা, ঝড়ে পড়ছে ফুল ও অপরিপক্ক ফসল। সেচ দিয়ে ফসলের ক্ষতি রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছেন কৃষকরা। চলতি সপ্তাহে বৃষ্টি না হলে এবং টানা দাবদাহ চলতে থাকলে শাক-সবজি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা কৃষকদের।

এছাড়া রোদের প্রভাবে আম, জাম, লিচু, লটকন, কাঠালসহ বিভিন্ন মৌসুমী ফলের ক্ষতি হচ্ছে। যথাসময়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়াসহ প্রচন্ড খরতাপে সবধরনের মৌসুমী ফল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কথা ব্যক্ত করেন কৃষকরা। একইভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে মনোহরদীর পানের বরজের।

পলাশ উপজেলার মাঝেরচর গ্রামের কৃষক তারা মিয়া বলেন, বেগুন, শসাসহ বিভিন্ন সবজির মৌসুম চলছে। এসব ফসলে প্রয়োজনীয় পানিসহ নিয়মিত পরিচর্যার দরকার পড়ে। এবার প্রচন্ড খরতাপের কারণে জমিতে কাজ করা যাচ্ছে না। এছাড়া রোদে পুড়ে নেতিয়ে পড়ছে এসব ফসলের গাছ।

শিবপুর উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের কারারচর গ্রামের কলা চাষি তোফাজ্জল প্রায় ৫০ শতাংশ জমিতে কলা চাষ করেন। কিন্তু কিছুদিন আগে শিলাবৃষ্টিতে অনেক ক্ষতি হয়েছে। এখন আবার প্রচন্ড তাপদাহ ও খরায় কলা পাতা লাল হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। শিলাবৃষ্টির ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায় যখন তারা ক্লান্ত, ঠিক সেই সময়ে প্রচণ্ড খরা ও তাপদাহের কারণে এখন তারা দ্বিগুন ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের পারুলিয়া গ্রামের কৃষক ফেলাল সরকার জানান, প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে তার আবাদকৃত দুই বিঘা ফসলের ক্ষতি হয়েছেন। অনেক ধানের গাছ পুড়ে গেছে।

রায়পুরা উপজেলার জয়নগর এলাকার লটকন চাষি কলিম উদ্দিন জানান, লটকন গাছে ফলন এসেছে। প্রচন্ড গরমে ঝরে যাচ্ছে। এছাড়া লোডশেডিং এর কারণে সেচ দেয়াও যাচ্ছে না।

একই এলাকার ফল চাষি শাহদাত বলেন, লটকন, লিচু ও আম গাছের ফুলসহ অপরিপক্ক ফসল ঝরে পড়ছে। সেচ দিয়েও আটকানো যাচ্ছে না। তাপ না কমলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।

বারৈচা গ্রামের কৃষক সুমন দাস জানান, বৃষ্টির অভাবে সবজি ক্ষেত শুকিয়ে পড়ছে। গাছগুলো শুকিয়ে মরে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। গাছ মরে যাওয়ার ভয়ে পানিও দিচ্ছি না।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নরসিংদীর উপ-পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানান, প্রচণ্ড দাবদাহের ক্ষতি হতে শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসল, মৌসুমী ফল রক্ষার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এসময়ে শাক-সবজি ও ধানের জমিতে পর্যাপ্ত সেচ দিতে হবে। বিশেষ করে ধানের জমিতে পানি জমা রাখতে হবে। সবজির চারা দিনের বেলা পলিথিন দিয়ে না ঢেকে রেখে অন্যান্য ধরনের যেমন বস্তা, চট বা কলাপাতা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে, যাতে তাপ না লাগে। শুধুমাত্র বৃষ্টি/শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনার সময় পলিথিন দিয়ে সবজির চারা ঢেকে রাখতে হবে।

চলতি মৌসুমে জেলায় ৫৬ হাজার ৫৪২ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। সবজির আবাদ হয়েছে ১০ হাজার ৩ শত হেক্টর। এছাড়া খরিপ মৌসুমে আরও ৭ হাজার ১ শত হেক্টর শাক-সবজির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এরমধ্যে ৭ হাজার ৭ শত ৩৫ হেক্টর আবাদ হয়েছে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।

;

মহাখালী লেকে শিশু নিখোঁজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মহাখালীর টিবি গেট এলাকায় লেকের পানিতে পড়ে গতকাল রাতে রিয়া নামের ৬ বছরের শিশু নিখোঁজ হয়। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল আবারও অভিযান শুরু করে শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য।

তবে ফায়ার সার্ভিস বলছে, যেখান বলা হচ্ছে শিশুটি নিখোঁজ হয়েছে সেখানে পানি অনেক কম এবং সমতল। আদৌ শিশুটি পানিতে পড়েছে কি-না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত শিশুটির আত্মীয়-স্বজন কাউকে পাওয়া যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক বলেন, গতকাল রোববার সন্ধ্যা রাত ৭টা ৫০ মিনিটে শিশুটির নিখোঁজের খবর আসে। পরে রাত ১২টা পর্যন্ত অভিযান চলে। অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় রাত ১২টায় অভিযান স্থগিত করা হয়। এরপর সোমবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিট থেকে দ্বিতীয় দিনের অভিযান শুরু হয়।

তিনি বলেন, তবে এখন পর্যন্ত ডুবুরি দল জানিয়েছে লেকে পানি অনেক কম এবং সমতল। শিশুটি পানিতে পড়লে এতোক্ষণে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হতো। এদিকে শিশুটির আত্মীয়-স্বজন এমন পরিচয়ে এখনও পর্যন্ত কেউ আসেনি।

ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, সবকিছু মিলিয়ে মনে হচ্ছে শিশুটি আদৌ পানিতে পড়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

এ বিষয়ে বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুল ইসলাম বলেন, ফাতেমা নামে আরেক শিশুর কাছে জানতে পারি তার সঙ্গে রিয়া নামের এক শিশু ছিল। তারা দুইজনেই ভিক্ষাবৃত্তি করে। রিয়া ব্রিজের ওপর থেকে লেকের পানিতে পড়ে যায়। রিয়ার বয়স আনুমানিক ৬ বছর।

;