‘বিএনপির হাঙ্গামার আশঙ্কায় মানুষ ভোট কেন্দ্রে যায়নি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
বক্তব্য দিচ্ছেন হাছান মাহমুদ, ছবি: বার্তা২৪.কম

বক্তব্য দিচ্ছেন হাছান মাহমুদ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি দাঙ্গা-হাঙ্গামা করতে পারে-এমন আশঙ্কায় মানুষ ভোট কেন্দ্রে যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপি বলেছে-এটি আন্দোলনের অংশ। এখন বিএনপির আন্দোলন মানে মানুষ মনে করে জ্বালাও-পোড়াও, হাঙ্গামা। বিএনপির এ হাঙ্গামার আশঙ্কায় মানুষ ভোট কেন্দ্রে যায়নি। তারপরও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ভোটার উপস্থিতি বেশি। আর ৫৫ লাখ ভোটারের একটি শহরে সুন্দর ভোটের আয়োজন করার জন্য নির্বাচন কমিশন ধন্যবাদ পাবার যোগ্যতা রাখে।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ইভিএমই প্রতিটি রাজনৈতিক দলের একজন এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। অথচ ইভিএম নিয়ে বিএনপি নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিএনপি সব সময় প্রযুক্তি ভয় পায়। সেই ভীতি থেকেই তারা ইভিএমের বিরোধিতা করে আসছে।


ঢাকা সিটি নির্বাচন নিয়ে নানা রকম বিচার-বিশ্লেষণ চলছে। কিন্তু উপমহাদেশের মানদণ্ডে এটি সবচেয়ে ভালো নির্বাচন। ভোট কেন্দ্রে কোনো হাঙ্গা-দাঙ্গা ঘটেনি। সিল মারার ঘটনাও ঘটেনি। ইভিএমে ভোটগ্রহণ করার কারণে বিশৃঙ্খলা হয়নি। কারণ ইভিএমে একজনের ভোট অন্যজনের দেওয়ার সুযোগ নেই, যোগ করেন তিনি।

প্রতিনিধি সভায় অংশ নেন হাছান মাহমুদ, ছবি: বার্তা২৪.কম

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় বিনামূল্যে বাংলাদেশে সাব-মেরিন ক্যাবল দিতে চাওয়া হয়েছিল। তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, সাব-মেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত হলে বাংলাদেশের সব গোপন তথ্য বাইরে চলে যাবে। তিনি সাব-মেরিন ক্যাবলে বাংলাদেশকে যুক্ত করেননি। পরে রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয় করে আমাদের সাব-মেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত হতে হয়েছে।

সভায় আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, দায়িত্ব পালনের সময় দলকে গুরুত্ব দিতে হবে। নিজস্ব বলয় তৈরি করা সমীচিন হবে না। মৌচাকে মধু না থাকলে কাউকে পাশে পাওয়া যায় না। ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। অনুপ্রবেশকারীরা সাংগঠনিক পদে থাকলেও বাদ দিতে হবে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর যারা পিঠ বাঁচানোর জন্য আওয়ামী লীগে এসেছেন, তাদের রাখা যাবে না।

সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন।

প্রতিনিধি সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, বেগম আখতার জাহান, মেরিনা জাহান কবিতা, রাজশাহীর এমপি আয়েন উদ্দিন, ডা. মুনসুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এবং সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আদিবা আনজুম মিতা।

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারার সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা কমিটির সভাপতি মেরাজ উদ্দিন মোল্লা।

এদিকে, বিকেলে তথ্যমন্ত্রী রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে তিনি পাবনার উদ্দেশে রওনা হবেন। সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় অংশ নেবেন তিনি।

   

জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া ফেনীর বিপ্লবের অপেক্ষায় স্বজনরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দেশে পৌঁছেছে। জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিকের মধ্যে ছিলেন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার ইব্রাহিম খলিল উল্ল্যাহ বিপ্লব। দীর্ঘ দুইমাসের অপেক্ষার পর বিপ্লবের ঘরে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন তার স্বজনরা। পরিবারের সদস্য নিরাপদে ফিরে আসার খবরে আনন্দে প্রহর গুনছেন তার মা, স্ত্রী ও সন্তানরা।

বিপ্লব ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের মোমারিজপুর গ্রামের আবুল হোসেনের বড় ছেলে। পরিবারে তার দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। তিনি জাহাজের ইলেক্ট্রিশিয়ান পদে কর্মরত ছিলেন।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকালে দীর্ঘ দুইমাস পর জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’র নাবিকরা ছোট জাহাজে করে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালের (এনসিটি-১) জেটিতে পৌঁছেছেন।

বিপ্লবের স্ত্রী উম্মে সালমা সোনিয়া বলেন, এর আগে ৮ মাস পর্যন্তও তিনি জাহাজে ছিলেন। বাড়ি আসার সুযোগ পাননি। তবে এবারের ঘরে ফেরা অন্য সময়ের চেয়ে একদম ভিন্ন। এতোদিন নানা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিন পার করেছি। আজ আমাদের জন্য ঈদের আনন্দের চেয়েও বেশি।

তিনি বলেন, এ দুমাসের পুরোটা সময় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় কেটেছে। শুরু থেকে জাহাজ মালিকপক্ষ, সরকার এবং গণমাধ্যম আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানান তিনি।

বিপ্লবের বয়োবৃদ্ধ মা রৌশনারা বলেন, গত দুই মাস কান্নাকাটি আর খেয়ে না খেয়ে দিন কাটিয়েছি। আজকে ছেলেকে কাছে পাব। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।

বিপ্লবের বড় ছেলে রেদোয়ান বিন ইব্রাহিম বলেন, রাতে আব্বু বাসায় আসবে বলেছে। অনেকদিন আব্বুর সঙ্গে দেখা হয়নি। আজকে অনেক ভালো লাগতেছে আমার। আব্বু আমার জন্য চকলেট-খেলনা নিয়ে আসবে বলেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আবুল হোসেনের চার ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে বিপ্লব সবার বড়। ৮ বছর আগে তিনি জাহাজের চাকরিতে যান। বর্তমানে বিপ্লবের স্ত্রী তার দুই ছেলেকে নিয়ে ফেনী শহরে নাজির রোডে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।

এর আগে মার্চ মাসের ১২ তারিখ কার্গো নিয়ে আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে দুপুরে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। অস্ত্রের মুখে দস্যুরা সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখে। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিম্মিকালীন সময়ে মালিকপক্ষের তৎপরতায় সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সঙ্গে।

গত ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেয়। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেয়। দস্যুমুক্ত হয়ে ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। ২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ পৌঁছে। সেখানে কার্গো খালাস করে জাহাজটি একই দেশের মিনা সাকার থেকে কার্গো লোড করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

;

বিদেশি জাহাজে ডাকাতির উদ্দেশে গভীর সমুদ্রে অবস্থান, আটক ১২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ডাকাত আটক

ডাকাত আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

গভীর সমুদ্রে বিদেশি জাহাজে ডাকাতির উদ্দেশে অবস্থান করা চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে একটি নৌকা জব্দ করা হয়। এসময় ডাকাত দলের ১২ সদস্যকে আটক করেছে কোস্টগার্ড।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে আটকৃতদের নগরীর পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়। এর আগে, সোমবার (১৩ মে) রাত সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় দুই মাইল উত্তর-পূর্বে বহির্নোঙ্গরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে কোস্টগার্ড।

আটককৃতরা হলেন- মো. সালাউদ্দিন (২৬), আনোয়ার হোসেন (২৩), কামাল হোসেন (২৩), মো. ইমন (১৯), আবু তাহের (৩২), মো. ইসলাম (২৭), মো. ফয়সাল (২০), মো. রাজু (৩৭), সিরাতুল মুসতাকিম (১৭), পিয়াস মন্ডল (২৩), মো. আলমগীর (৩০) ও মো. আরিফ (৩০)।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের কর্মকর্তা (গণমাধ্যম) লে. কমান্ডার সুয়াইব বিকাশ।

তিনি জানান, একদল ডাকাত চট্টগ্রাম বর্হিনোঙ্গর এলাকায় বিদেশি জাহাজে ডাকাতির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিসিজি বেইস চট্টগ্রামের একটি দল ছদ্মবেশে কয়েকটি বোটে বর্হিনোঙ্গর এলাকায় অবস্থান করে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম বর্হিনোঙ্গর হতে আনুমানিক ২ মাইল উত্তর পূর্বে একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের বোটের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। কোস্ট গার্ড আভিযানিক দল বোটটিকে থামার সংকেত দিলে বোটে থাকা ব্যক্তিবর্গ কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি বুঝতে পেরে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে।

পরবর্তীতে উত্তাল সমুদ্রে ১ ঘণ্টা ধাওয়া করে বোটটিকে আটক করা হয়। অতঃপর বোটে তল্লাশি করে ১২ জন ডাকাত সদস্য আটকসহ ১১টি রামদা, ১টি করাত, ১টি শাবল, ১টি প্লায়ার, ১টি স্পেনার ও ১২টি মোবাইল জব্দ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ডাকাত দলের মূল হোতা মো. আকবরের নির্দেশে এবং মো. সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে এ ডাকাত দল চট্টগ্রামস্থ কর্ণফুলী থানাধীন ইছানগর নতুন ব্রিজ ঘাট হতে বোট যোগে গত ১৩ মে রাতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বর্হিনোঙ্গরে গমন করে।

;

মারা গেছেন বে গ্রুপের চেয়ারম্যান শামসুর রহমান



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
প্রয়াত শিল্পপতি শামসুর রহমান

প্রয়াত শিল্পপতি শামসুর রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

বে গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শিল্পপতি শামসুর রহমান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

সোমবার (১৩ মে) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

তিনি স্ত্রী, ছেলে-মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

মরহুমের প্রথম জানাজা নামাজ বুধবার (১৫ মে) বাদ জোহর ঢাকার হাজারীবাগে লেদার কলেজ মাঠে হবে। বাদ মাগরিব গুলশানের আজাদ মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাদ জোহর শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাটস্থ সরকারি শামসুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে তৃতীয় এবং হাটুরিয়া মিঞা বাড়ি বাদ আসর চতুর্থ জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।

শামসুর রহমান দেশের একজন প্রথিতযশা শিল্পপতি ছিলেন। চামড়া খাতে ৪০ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এ পথিকৃৎ ১৯৪২ সালের ১ এপ্রিল শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা খলিলুর রহমান এবং মা সফুরা বেগম এলাকায় সমাজসেবী ও অত্যন্ত দানশীল ব্যক্তিত্ব ছিলেন।

শামসুর রহমান বে গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। অত্যন্ত প্রতিভাবান ও পরিশ্রমী এ ব্যক্তিত্ব ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। ক্যারিয়ারের প্রথমভাগে তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে গিয়ে ১৯৭৭ সালে বে ট্যানারিজ লি. প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তার কর্মজীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করেন, যা বর্তমানে বে গ্রুপ হিসেবে মহীরুহে বিকশিত হয়েছে।

তিনি বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সংস্থার সহ সভাপতি এবং বাংলাদেশ ফিনিশড্ লেদার, লেদার গুডস্ ও ফুটওয়ার এক্সপোর্টারস্ এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ পাদুকা খাতে ষোলবার জাতীয় রফতানি ট্রফি লাভ করেন।

শামসুর রহমান একজন দানবীর ছিলেন। দেশের দরিদ্র জনসাধারণের শিক্ষা ও আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের ক্ষেত্রে তার অপরিসীম অবদান অনস্বীকার্য। পল্লীগ্রাম এবং অনগ্রসর এলাকায় তিনি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, এতিমখানা, হাসপাতাল ও অনেক দাতব্য প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন। শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় অবস্থিত সরকারি শামসুর রহমান কলেজের তিনি প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়াও তিনি সেখানে তার মায়ের নামে আলহাজ্ব সফুরা বেগম মহিলা কলেজ, সামন্তসার উচ্চ বিদ্যালয়, পিতা মাতার নামে খলিলুর রহমান ফাজিল মাদরাসা, আলহাজ্ব সফুরা বেগম শিশু সদন এবং ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে গাউছিয়া ফাজিল মাদ্রাসা স্থাপন করেন।

;

রেললাইনের পাশে মিলল অজ্ঞাতনামা মরদেহ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে থানাধীন মুকুন্দপুর রেলওয়ে স্টেশনের মহেষপুর রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাতনামা (৫০) এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল ১০টার দিকে মুকুন্দপুর গ্রামের মহেষপুর রেললাইনে এই ঘটনা ঘটে। বিকালে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়৷

আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জসিম উদ্দিন বলেন, আখাউড়া রেলওয়ে থানাধীন মুকুন্দপুর রেলওয়ে স্টেশনের ২১০/২ ও ২১০/৩ কি:মি মহেষপুর রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাতনামা (৫০) এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করি। ওই ব্যক্তি অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ওই ব্যক্তির মরদেহের পরিচয় শনাক্তের জন্য পিবিআইকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিতে বলা হয়েছে। অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত হয়নি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর মরদেহটি বেওয়ারিস হিসেবে দাফন করবেন বলে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো.আজহার উদ্দিন জানিয়েছেন।

;