সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড দেখেও অসচেতন নগরবাসী
খুঁটিতে সবুজ রঙের সাইনবোর্ডে কিংবা দেয়ালে স্পষ্ট করে লেখা আছে ‘এখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা নিষেধ’। অথচ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের দেওয়া সচেতনতামূলক এই সাইনবোর্ডের সামনেই হরহামেশা ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) নগরের পুরাতন ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড, সানকিপাড়া, জিলা স্কুল মোড়, আমলাপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। ফলে নাকে হাত দিয়েই পথ চলতে হয় নগরবাসীদের।
জানা গেছে, ময়মনসিংহকে একটি পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন। একসময় পরিচ্ছন্নতার কাজ দিনের বেলায় করা হলেও বছর দুয়েক আগে নগরীর ১৩৩টি পয়েন্টকে টার্গেট করে রাতে আবর্জনা অপসারণ করার উদ্যোগ নেয় মসিক। মাইকিং করে বসবাসরতদের নির্ধারিত স্থানে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ময়লা আবর্জনা ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়।
প্রথমদিকে সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে নগরবাসী নির্ধারিত স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেললেও কিছুদিন যেতে না যেতেই ফের আগের মতোই যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা শুরু করেন তারা। এরপর তাদের সচেতন করতে ও নির্ধারিত স্থানের বাইরে ময়লা আবর্জনা না ফেলতে সিটি করপোরেশন সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সেই সাইনবোর্ডের নিচেই ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। এতে করে সিটি করপোরেশন যে পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে তা নগরবাসীর অসচেতনতার কারণে ভেস্তে যাওয়ারই উপক্রম হয়েছে।
বিডি ক্লিন ময়মনসিংহের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান ফয়সাল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমরা যতই সচেতনতার কথা বলি না কেন, মানুষ যদি মন থেকে সচেতন না হয় তাহলে কোনো কিছুই সম্ভব নয়। অনেক পরিবারের বড়রাই যখন এই কাজটি করছে, তখনতো ছোটরাও তাই করবে। অভিভাবকরা যদি সচেতন হয় তখন পরিবারের ছোট্ট শিশুটিও শিখবে কোথায় ময়লা ফেলতে হয়। আর না হলে শিশুটিও বড় হয়ে রাস্তার পাশেই ময়লা ফেলবে।’
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘নগরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে হলে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে নগরীর বাসিন্দাদেরই। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই ক্লিন সিটি গড়ার স্বপ্ন পূরণ হবে।’