গৌরীপুরে বাস-ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
উপজেলার চরশ্রীরামপুর এলাকায় বাস-ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়/ছবি: বার্তা২৪.কম

উপজেলার চরশ্রীরামপুর এলাকায় বাস-ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বাস ও ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে উপজেলার চরশ্রীরামপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।


নিহতরা হলেন-ময়মনসিংহের সুতিরপাড় এলাকার চালক রফিকুল ইসলাম (৪৫), গৌরীপুর উপজেলার উজান কাশিয়ারচরের সাহেরা খাতুন (৪০), রাবিয়া খাতুন (৬৫) ও লাল মিয়া (৫০)।

স্থানীয় লোকজন জানান, ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী একটি বাস ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক হয়ে কিশোরগঞ্জ যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে বাসটি মহাসড়কের চরশ্রীরামপুর এলাকায় আসতেই বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী ইজিবাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই রাবিয়া খাতুন নিহত হন। আহত হন চারজন।

ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত চারজনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, এ দুর্ঘটনায় রাবেয়া খাতুন নামের এক বৃদ্ধা ঘটনাস্থলেই মারা যান। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহত চারজনকে মমেক হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রফিকুল ইসলাম, সাহেরা খাতুন ও লাল মিয়া মারা যান। অন্যজনের চিকিৎসা চলছে।

তিনি বলেন, বাসের চালক ও হেলপারকে আটকের চেষ্টা চলছে। 

   

যেসব অঞ্চলে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড়ের আশঙ্কা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ২ অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদফতর। একইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রোববার (৫ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশকিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এই অবস্থায় নতুন করে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।

;

রাজধানীতে দুই হোটেলে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় আওতাধীন নীলক্ষেত মোড়ে ২টি হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৫ মে) দিবাগত রাত ১টা ৫ মিনিটের দিকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়।

পরে খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী ফায়ার সার্ভিসের পলাশী ব্যারাকের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পলাশী ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার জিহান রহমান নাবিল বলেন, রাত ১টার পর নীলক্ষেতে আগুনের খবর পেয়েছি। আমরা সাথে সাথে ঘটনাস্থলে আসি।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে ২টি দোকানে আগুন দেখতে পাই। যার একটি বড় এবং আরেকটি ছোট দোকান। তবে দুটি দোকানই ছিল খবারের দোকান। এখন আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা গেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত করা ছাড়া তাৎক্ষণিক বলা সম্ভব না। তবে ধারণা করছি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। তবে দোকান দুটির তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং আগুনে কোনও হতাহতের ঘটনাও ঘটেনি বলে জানান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গভীর রাতে হঠাৎ করেই নীলক্ষেত মোড়ের সুলতানী ভোজ ও সিপি ফাইভ স্টার নামের দুইটি হোটেলে আগুন দেখা যায়। পরে নিরাপত্তা কর্মীরা সাথে সাথেই ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।

 

;

পটুয়াখালীতে সাড়ে তিন হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক ৪



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালী পৌরসভা এলাকা থেকে ৩ হাজার ৭ শত ৫ পিস ইয়াবাসহ ৪ জনকে আটক করেছে পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশ।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে পটুয়াখালী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের নতুন বাজারে অবস্থিত হোটেল ছোয়া-এর ৬ষ্ঠ তলার একটি রুম থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার মহিষডাঙ্গা গ্রামের ওসমান হাওলাদারের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন, একই উপজেলার আমতলী পৌরসভার সন্তু নাথ চ্যাটার্জির ছেলে সজল চন্দ্র চ্যাটার্জি (৩০), পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের
নুর মোহাম্মদ আকনের ছেলে মো. সবুজ আকন (২৫) ও গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়ন এর মৃত কাসেম হাওলাদারের ছেলে মো. মহসীন হাওলাদার।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জসিম বলেন, আমাদের একটি চৌকস টিম পটুয়াখালী পৌরসভার নতুন বাজারে অবস্থিত হোটেল ছোয়ায় অভিজান চালিয়ে ৩ হাজার ৭ শত ৫ পিস ইয়াবাসহ ৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে। তারা সকলেই পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী, তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী সদর থানায় মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।

;

স্বস্থির বৃষ্টিতে ভিজলো ময়মনসিংহ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহের পর ময়মনসিংহে দেখা মিললো স্বস্তির বৃষ্টির। শনিবার (৪ মে) রাত ৮টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীতে বৃষ্টিপাত শুরু হয়।

জেলার অধিকাংশ এলাকা গফরগাঁও, নান্দাইল, ঈশ্বরগঞ্জ, তারাকান্দা, ফুলপুর, ভালুকা, ফুলবাড়িয়া, গৌরীপুর, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, মুক্তাগাছায় সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টি পড়া শুরু করে। জেলার অন্যান্য উপজেলার আকাশ মেঘলা দেখা যায়।

এক পশলা বৃষ্টিতে নাগরিক জীবনে স্বস্তির আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। অথচ গত সপ্তাহেও প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছিলেন জেলার মানুষজন।

অনেকেই আবার খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজেছেন মনের আনন্দে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকে মনের আনন্দ প্রকাশ করে পোস্ট দেন।

গফরগাঁও পৌরসভার বাসিন্দা রাজীব আহমেদ বলেন, রাত সাড়ে আটটা থেকে বারোটা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে সেই সাথে প্রচন্ড রকমের বজ্রপাত হয়েছে।

মুক্তাগাছার বাসিন্দা ইদ্রিস আলী বলেন, তীব্র তাপদাহের পর সন্ধ্যার থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টিতে শহরের মানুষের মাঝে স্বস্থি ফিরেছে। তবে, গ্রামে কৃষকের ধান কাটা শুরু হয়েছে। তাদের কিছুটা অসুবিধা হবে।

ভালুকার মিজানুর রহমান বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে ভালুকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে মানুষের মাঝে স্বস্থি ফিরেছে।

চর ইশ্বরদিয়া এলাকার কৃষক জয়নাল বলেন, গত কয়েকদিন তীব্র গরম গরম ছিল। ধান কাটতে খুব কষ্ট করতে হয়েছে। এই বৃষ্টিতে গরম কিছুটা কমে আসবে।

;