চট্টগ্রামে বাড়ছে মনোরোগ!



ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
মনোরোগের মানসিক বিশৃঙ্খলা, ছবি: প্রতীকী

মনোরোগের মানসিক বিশৃঙ্খলা, ছবি: প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা বাড়ানোর দাবি জানানো হচ্ছে অনেক দিন ধরেই। ঢাকার পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী চট্টগ্রামে মনোরোগ বৃদ্ধি ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবার অপ্রতুলতা নিয়ে নাগরিকদের অভিযোগেরও অন্ত নেই।

চট্টগ্রামের ৮০ লাখ নাগরিকের মধ্যে প্রায় ২০ লাখ মানুষ মানসিক সমস্যায় ভোগেন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। যার মধ্যে কমপক্ষে ৬ লাখ মানুষ গুরুতর ভাবে সমস্যাগ্রস্ত।

মনোবিশ্লেষক নাট্যবিজ্ঞানী মোস্তফা কামাল যাত্রা চট্টগ্রামের মানসিক সমস্যার বিস্তার নিয়ে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, চট্টগ্রামে মনোরোগের প্রকোপ বাড়লেও এখানে যোগ্য চিকিৎসক নেই। পরিবার, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে পড়ানো হয় না। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা কর্নার নেই কোথাও। চট্টগ্রাম মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার নিরিখে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে রয়েছে।

মোস্তফা কামাল যাত্রা, যিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক এবং সমাজ উন্নয়নমূলক সংস্থা 'উৎস'র নির্বাহী পরিচালক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, চট্টগ্রামের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য ৮/১০ জনের বেশি যোগ্য মনোচিকিৎসক নেই। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মনোরোগ বিভাগে মাত্র একজন চিকিৎসক রয়েছেন। অথচ সেখানে শত শত মানসিক সমস্যাগ্রস্ত রোগী প্রতিদিন আসেন। তাদের সুষ্ঠু চিকিৎসা প্রদান করাও সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি বলেন, মানসিক রোগ সম্পর্কে সচেতনতা না থাকায় অনেকেই রোগ পুষছেন। সামাজিক ও পারিবারিক বদনামের ভয়ে অনেকে মানসিক সমস্যার উপযুক্ত চিকিৎসা না করে চেপে রাখেন। ফলে ব্যক্তিজীবনে ও সমাজে এর মারাত্মক কুফল দেখা যাচ্ছে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শিশু-কিশোর বয়সের মানসিক আঘাত, সুপ্ত মানসিক ব্যাধি, নেতিবাচক অভিজ্ঞতা, যৌন ও মানসিক পীড়নের ঘটনার স্মৃতি বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রবল হয়ে স্থায়ী মনোরোগে পরিণত হয়। যুবক ও মধ্য বয়সীদের মধ্যে এসবের তীব্র প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়। হতাশা, নেশা, বিষন্নতা, একাকিত্ব, ঘুমহীনতা, অস্থিরতা, স্নায়ুবৈকল্য ইত্যাদি প্রকট আকার ধারণ করে ক্রনিক লেভেলের মানসিক রোগ বৃদ্ধি পায় অনেকের মধ্যেই। আক্রান্তদের মধ্যে আচরণগত ভারসাম্যহীনতা, সামাজিকরণ অক্ষমতা এবং আত্মঘাতী প্রবণতাও বৃদ্ধি পায়।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মানসিক সমস্যার যেমন শারীরিক প্রভাব আছে, তেমনি শারীরিক সমস্যারও মানসিক প্রতিক্রিয়া রয়েছে। কিন্তু তা নিরসনে পরিবার, সমাজ ও সরকারের নীতি ও কর্মপরিকল্পনায় যথেষ্ট উদাসীনতা রয়েছে। সিলেবাস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানসিক স্বাস্থ্যের পরিচর্যার নানা দিক তুলে ধরা হয় না। ফলে স্বাভাবিক শিক্ষাজীবনের মধ্যেই মানসিক স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো উপেক্ষিত থাকে, যা কখনও কখনও ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে বিরাট ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

নেশা, হিংসাত্মক আচরণ, ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম ছাড়াও মানসিক সমস্যাগ্রস্তরা আত্মহত্যার মতো ক্ষতিকর পথ বেছে নেয়। নিজের জীবনের পাশাপাশি পরিবার-পরিজনের জীবন বিষিয়ে তুলে। এসব সমস্যা নিয়ে বহু পারিবারিক অশান্তি ও সামাজিক উত্তেজনার সৃষ্টি হওয়ারও রেকর্ড রয়েছে।

ক্রমবর্ধমান হারে বিভিন্ন বয়সের অসংখ্য মানুষ মানসিক রোগ ও ট্রমায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি বর্তমানে বিশ্বব্যাপী অন্যতম স্বাস্থ্য চ্যালেজ্ঞ হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। চট্টগ্রাম দ্রুত বর্ধনশীল ও বাণিজ্যভাবে অতি সচল জনপদ হওয়ায় এখানে মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা ও সেবার দিকটি অধিক গুরুত্বের দাবি রাখে।

বিশেষত, বিশ্বব্যাপী মানসিক রোগের ক্রমবর্ধমান বিস্তারের খবরও সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, মানসিক রোগের প্রকোপের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল। ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানসিক রোগাক্রান্ত মানুষের দেশ।

আরও পড়ুন: দক্ষিণ এশিয়া: মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক অঞ্চল

এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জন্য আগাম সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বড় বড় শহরগুলোতে বিনোদন কেন্দ্র ও নিরাপত্তা বলয় জোরদার করে নাগরিকদের মানসিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষা করা অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিলেবাসের পাঠ্যক্রমে মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা বিধি সংযুক্ত হওয়াও দরকার। দরকার মনোরোগ চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞের সংখ্যা বাড়ানো।

নগর পরিকল্পনায় বর্তমানে অনেক ইস্যু যুক্ত হলেও মানসিক স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টি নেই। ঢাকা ও চট্টগ্রামকে পরিবেশ-বান্ধব করার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য-বান্ধব করার বিষয়েও সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগী হওয়ার তাগিদ দিয়েছে নাগরিক সমাজ।

চট্টগ্রামে বিগত কয়েক বছরে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর কিশোর অপরাধের বিশ্লেষণে দেখা যায়, মনস্তাত্ত্বিক বিশৃঙ্খলা থেকে অনেকেই মারাত্মক কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছে। ফলে পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংস্থার পক্ষ থেকে বিভিন্ন বয়সী নাগরিকদের মানসিক স্বাস্থ্যের পরীক্ষা ও চিকিৎসার সেবা বাড়ানোর আশু প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

মনোবিশারদগণ মনে করেন, উন্নয়ন ও যান্ত্রিকরণের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ফলে দিনে দিনে যেভাবে মনোরোগ ও মানসিক সমস্যা বাড়ছে, তাতে এ বিষয়ে যথাযথ মনোযোগ দেওয়া অপরিহার্য। নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সময় মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসার বিষয়টিকে জরুরিভাবে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি এখন বিদ্যমান বাস্তবতার দাবি।

   

লালমনিরহাটে ভুট্টার বাম্পার ফলন, দাম নিয়ে শঙ্কায় চাষিরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটে খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় ক্রমেই বাড়ছে ভুট্টার চাষির সংখ্যা। প্রাপ্ত তথ্যমতে, জেলায় ১৯৮৬-৮৭ অর্থবছরে মাত্র ৪০ একর জমি দিয়ে ভুট্টা চাষ শুরু হয়।

জেলার সীমান্তবর্তী দুই পাটগ্রাম-হাতিবান্ধা অঞ্চলে ভুট্টা চাষ বাড়তে থাকে। বর্তমানে জেলার ব্র্যান্ডিং নাম ‘ভুট্টায় ভরা সবার ঘর, লালমনিরহাট স্বনির্ভর’। জেলার ব্রান্ডিং ফসল ভুট্টা হলেও এখনো গড়ে ওঠেনি ভুট্টা প্রসেসিং কেন্দ্র বা সংরক্ষণাগার। এতে ভুট্টার ফলন ভালো হলেও ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে হতাশায় থাকতে হয় চাষিদের।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী এ বছর সমতল ও চরাঞ্চলে উৎসাহ নিয়ে লাখো কৃষক ৩২ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। এবার ভুট্টা চাষে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।


জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার ভুট্টা চাষি রিফাত মিয়া বলেন, গত পাচ বছর ভুট্টা চাষ করছি। ভুট্টা চাষে কম খরচে বেশি লাভ হয়। লালমনিরহাটের ব্রান্ডিং ফসল ভুট্টা হলে ভুট্টা সংরক্ষণাগার বা ভুট্টা প্রসেস কেন্দ্র নেই। ফলে ক্ষেত থেকে ভুট্টা ঘরে তুলেই স্বল্প লাভে বিক্রি করতে হয়। এতে মধ্যস্থতাকারীরা কৃষকের চেয়ে বেশি লাভবান হয়।

কালীগঞ্জ উপজেলার এলাকার মোহাম্মদ আলী ভুট্টা চাষি আজিজুর রহমান বলেন, ভুট্টা চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে তবে যে লাভ কৃষকের হওয়ার কথা সেটি থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে ভুট্টা নির্ভর শিল্প কারখানা না থাকায়।

একই এলাকার আকবর হোসেন বলেন, বর্তমানে সার, বীজ ও দিনমজুরের মজুরী ঊর্ধ্বমুখী তাই ভুট্টা চাষে ব্যয় বেড়েছে। এছাড়া ভুট্টা সংরক্ষণ করে দেরিতে অধিক মূল্যে বিক্রি করার পদ্ধতি নেই এখানে। লালমনিরহাটে ভুট্টা নির্ভর কারখানা বা ভুট্টা সংরক্ষণ করে রাখার ব্যবস্থা থাকলে কৃষকরা অধিক লাভবান হতো।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর লালমনিরহাটের প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ শাহ্ আলম বার্তা ২৪ কমকে বলেন, জেলার জমি ভুট্টা চাষ উপযোগী হওয়ায় ফলন বেশি হচ্ছে। এতে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। এবছর ইতিমধ্যে ৭০% ভুট্টা কর্তন হয়েছে। কৃষকরা নিজেদের গুদামে ভুট্টা সংরক্ষণ করে থাকে, এই জেলায় তেমন কোনো ভুট্টা সংরক্ষণগার নেই। আমরা কৃষকদের সকল ধরণের পরামর্শ প্রদান করছি। অনেক কৃষক তামাক চাষ পরিহার করে ভুট্টা চাষে মনোযোগী হয়েছে।


লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ বার্তা ২৪ কমকে বলেন, লালমনিরহাটে একটি ভুট্টা প্রসেসিং কেন্দ্রের প্রয়োজন। আমরা ইতিমধ্যে ভুট্টাকে কেন্দ্র করে একটি প্রস্তাবনা রেখেছি। যাতে কৃষকরা ভুট্টাগুলো যথা নিয়মে প্রসেস করতে পারে। স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী ভুট্টা নির্ভর শিল্প কারখানা গড়ে তোলার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। প্রয়োজনে তাদের বিসিকে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হবে।

বাংলাদেশের শিল্পপতি ও উদ্দোক্তাদের দৃষ্টি আহ্বান করে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, লালমনিরহাটে কোনো শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীরা ভুট্টা নির্ভর প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চাইলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগীতা করা হবে। 

;

চট্টগ্রাম থেকে হজযাত্রা শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম থেকে হজযাত্রা শুরু হয়েছে। ৪০২ জন যাত্রী নিয়ে সরাসরি মদিনার উদ্দেশে উড়লো প্রথম হজ ফ্লাইট। মঙ্গলবার (১৪ মে) ভোর পৌনে চারটায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি রওনা দেয়।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে এবার আট হাজারের বেশি হজযাত্রী পরিবহনের প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ বিমান।

চট্টগ্রাম থেকে এবার ২২টি ফ্লাইট যাবে সৌদি আরবে। সেখান থেকে মোট ৮ হাজার যাত্রী যাবেন হজে। তারমাধ্যে, দুটি ফ্লাইট চট্টগ্রাম থেকে মদিনা এবং বাকি ২০টি ফ্লাইট চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দায় যাবে।

এদিকে, হজ যাত্রীদের বিদায় জানাতে মধ্যরাতেই বিমানবন্দরে এসেছিলেন স্বজনরা। এর আগে, রাত ১টায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চট্টগ্রাম মদিনা হজ ফ্লাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি হাজিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং ফুলেল শুভেচছা জানান। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিমানের চট্টগ্রামের ব্যবস্থাপক মো. শাহাদাত হোসেন।

সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পবিত্র হজ পালনের পর নির্বিঘ্নে যেনো দেশে ফিরতে পারেন সেজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন হজ যাত্রীরা।

;

ঢাকায় পৌঁছেছেন ডোনাল্ড লু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব স্টেট ডোনাল্ড লু ঢাকায় পৌঁছেছেন। বিমান বন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তরে আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক মাসুদুল আলম এবং বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীলংকান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় পৌঁছান।

ডোলান্ড লু'র দুইদিনের এই সফরে মূল বৈঠক হবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গেও তার বৈঠক হতে পারে। মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক পাশাপাশি সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সঙ্গে বসার কথা রয়েছে। যেখানে আলোচনা হতে পারে জলবায়ু পরিবর্তন, শ্রম অধিকার, বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ অন্যান্য বিষয়।

এছাড়া মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসায় নৈশভোজে অংশগ্রহণ করতে পারেন। পরদিন বুধবার (১৫ মে) সকালে পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

এর আগে, ডোনাল্ড লুর সফর সম্পর্কে গত ৯ মের এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানায়, ডোনাল্ড লু ১০-১৫ মে ভারত, শ্রীলংকা ও বাংলাদেশ সফর করবেন। তার সফর এসব দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করবে এবং মুক্ত-উন্মুক্ত ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য মার্কিন সমর্থনের কথা তুলে ধরবে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ডোনাল্ড লু সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। ওই সফরে তিনি মার্কিন বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন। এর আগে, গত বছর ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় আসেন লু। ওই সফরে সম্পর্কোন্নয়নের ঘোষণা দিয়ে ঢাকা ছেড়েছিলেন তিনি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এটি হবে তার প্রথম বাংলাদেশ সফর।

;

১৬০ উপজেলায় ভোট পর্যবেক্ষণে সাড়ে তিন হাজার পর্যবেক্ষক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের ১৬০ পরিষদ নির্বাচনে ২৩ সংস্থার প্রায় সাড়ে তিন হাজার দেশীয় পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ শাখার পরিচালক শরিফুল আলম এ তথ্য জানান।

ইসির এই জনসংযোগ ককর্মকর্তা জানান, আগামী ২১ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৩ ও সংশ্লিষ্ট আইন মেনে এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ২৩টি পর্যবেক্ষক সংস্থার কেন্দ্রীয়ভাবে ২৭৮ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৩ হাজার ২০৭ জন পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের কার্ড নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে দেওয়া হবে। স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের কার্ড ও স্টিকার রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে দেওয়া হবে।

রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসার এসকল তথ্য পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৩ অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে কমিশন থেকে অনুমোদিত বৈধ পর্যবেক্ষকদের তালিকা প্রস্তুত করবেন এবং তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত পরিচয়পত্র প্রদান করবেন।

কোনো পর্যবেক্ষক যদি কোনো রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কিংবা স্থানীয় কমিটির পদাধিকারী হন কিংবা স্থানীয় নির্বাচনি এজেন্ট/প্রচারণা কমিটি/পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন তাহলে তাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে কোনো কার্ড ইস্যু করা যাবে না।

পর্যবেক্ষকগণ অনধিক ৫ জনের টিম করে ভ্রাম্যমান পর্যবেক্ষক হিসেবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। এজন্য তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক লেখা গাড়ির স্টিকার সরবরাহ নিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক লেখা স্টিকারযুক্ত গাড়িতে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক ছাড়া অন্য কেউ ভ্রমণ করতে পারবেন না। নির্ধারিত পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার ইস্যু করে তা রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং তা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রেরণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত পর্যবেক্ষক পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার নির্বাচনি মালামাল সংগ্রহের সময় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা রুম নং- ১০৫ হতে সংগ্রহ করতে হবে।

;