রংপুরে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুরে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুরে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে রংপুর স্টেডিয়ামে জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়।

প্রাথমিকের খুদে ফুটবল খেলোয়াড়দের প্রতিযোগিতামূলক এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার কে.এম. তারিকুল ইসলাম।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু ভালো খেলোয়াড় ছিলেন। তার ছেলে শেখ কামালও একজন ভালো মানের খেলোয়াড় ছিলেন। আমাদের ক্রীড়াঙ্গনে তার অনেক অবদান রয়েছে। মুজিববর্ষকে ঘিরে ক্রীড়াজগত নিয়ে সরকার অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ওই সব উদ্যোগ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দেশের ক্রীড়াজগতকে আরও সমৃদ্ধ করতে চাই। সেক্ষেত্রে আজকের প্রাথমিক পড়ুয়া খেলোয়াড়রা একদিন দেশের জাতীয় অঙ্গনে প্রতিনিধিত্ব করবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক খন্দকার ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- রংপুরের অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাহেদুল ইসলাম, আরপিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবু সুফিয়ান, রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল।

টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিন দুপুরে মাঠে নামেন দিনাজপুর জেলা একাদশ ও লালমনিরহাট জেলা একাদশের খেলোয়াড়রা। একই দিন বিকেলে পঞ্চগড় জেলা একাদশ ও নীলফামারী জেলা একাদশের মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

রংপুর বিভাগের ৮ জেলার ৮টি দল নিয়ে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টের সমাপনী আগামী ২৯ জানুয়ারি রংপুর স্টেডিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।

   

স্বস্থির বৃষ্টিতে ভিজলো ময়মনসিংহ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহের পর ময়মনসিংহে দেখা মিললো স্বস্তির বৃষ্টির। শনিবার (৪ মে) রাত ৮টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীতে বৃষ্টিপাত শুরু হয়।

জেলার অধিকাংশ এলাকা গফরগাঁও, নান্দাইল, ঈশ্বরগঞ্জ, তারাকান্দা, ফুলপুর, ভালুকা, ফুলবাড়িয়া, গৌরীপুর, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, মুক্তাগাছায় সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টি পড়া শুরু করে। জেলার অন্যান্য উপজেলার আকাশ মেঘলা দেখা যায়।

এক পশলা বৃষ্টিতে নাগরিক জীবনে স্বস্তির আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। অথচ গত সপ্তাহেও প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছিলেন জেলার মানুষজন।

অনেকেই আবার খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজেছেন মনের আনন্দে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকে মনের আনন্দ প্রকাশ করে পোস্ট দেন।

গফরগাঁও পৌরসভার বাসিন্দা রাজীব আহমেদ বলেন, রাত সাড়ে আটটা থেকে বারোটা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে সেই সাথে প্রচন্ড রকমের বজ্রপাত হয়েছে।

মুক্তাগাছার বাসিন্দা ইদ্রিস আলী বলেন, তীব্র তাপদাহের পর সন্ধ্যার থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টিতে শহরের মানুষের মাঝে স্বস্থি ফিরেছে। তবে, গ্রামে কৃষকের ধান কাটা শুরু হয়েছে। তাদের কিছুটা অসুবিধা হবে।

ভালুকার মিজানুর রহমান বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে ভালুকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে মানুষের মাঝে স্বস্থি ফিরেছে।

চর ইশ্বরদিয়া এলাকার কৃষক জয়নাল বলেন, গত কয়েকদিন তীব্র গরম গরম ছিল। ধান কাটতে খুব কষ্ট করতে হয়েছে। এই বৃষ্টিতে গরম কিছুটা কমে আসবে।

;

তদন্ত কমিটি গঠন

সুন্দরবনে লাগা আগুনের কাছেই যেতে পারেনি দমকল বাহিনী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়ার ছিলা এলাকায় লাগা আগুন এখনও জ্বলছে। আগুন নেভাতে ফায়ারসার্ভিস বা দমকল বাহিনী এলাকায় গেলেও আগুনের কাছেই যেতে পারেনি। সন্ধ্যা হওয়ায় এবং কাছাকাছি কোনো পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা যায়নি। রোববার (৫ মে) সকাল থেকে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা হবে। এদিকে এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার (ডিএফও) কাজী নুরুল করিম রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নুরুল করিম বলেন, প্রচণ্ড তাপদাহ ও দূর্গম এলাকায় আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকল বাহিনী নিয়ে ছুটে যায়। প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে পানির উৎস খুঁজি। কিন্তু কাছাকাছি কোনো পানি পাওয়া যায়নি। অনেক দূরে ভোলা নদী থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এরই মধ্যে সন্ধ্যা নেমে যায়। তাই আগুনের কাছে আর যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় এলাকাবাসী এবং বনরক্ষীদের চেষ্টায় অল্প পানি সরবরাহ করে প্রাথমিকভাবে আগুন যাতে ছড়াতে না পারে সেটি করা হয়েছে।

রোববার (৫ মে) সকালে আমরবুনিয়া এলাকার ভোলা নদী থেকে পানির সংযোগ স্থাপন করে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আগুন বেশিদূর ছড়াতে পারেনি। অল্প অল্প করে আগুন জ্বলছে, রাতের মধ্যেও ছড়ানোর সম্ভব নাই।

কি করে আগুন লেগেছে জানতে চাইলে ডিএফও কাজী নুরুল করিম বলেন, এখনও সঠিক কারণ বের করা যায়নি। তবে স্থানীয়রা একেকজন একেক তথ্য দিচ্ছে। সব তথ্যই আমলে নিয়ে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেবকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে৷

কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধার স্টেশন অফিসার মো. ওবায়দুর রহমান এবং ধানসাগর স্টেশন অফিসার মো. রবিউল ইসলাম। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে আগুন লাগার সঠিক কারণের প্রতিবেদন জমা দিবেন এই কমিটি।

বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, শনিবার (৪ মে) দুপুরে প্রথমে আগুন লাগে সুন্দরবনের আমরবুনিয়ার ছিলা এলাকায়। পরে বিকেল সাড়ে ৪টায় আগুন ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় জানাজানি হয়। এরপর স্থানীয় এলাকাবাসী ও বনরক্ষীদের সমন্বয়ে প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। পরে বাগেরহাট ও মোরেলগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আসে। কিন্তু সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলে দমকল বাহিনীর সদস্যরা কাজ শুরু করতে পারেনি।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক মো. সাইদুল আলম চৌধুরী বলেন, বিকেলে আগুনের খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও নানা প্রতিকূলতার কারণে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারেনি। তবে আগুন লাগার ঘটনাস্থল চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে।

;

সিলেটে টানা ২ঘণ্টা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম,সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে ব্যাপক বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। শনিবার (৪মে) রাত ১০টা থেকে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হলেও সাড়ে ১০টা থেকে বজ্রপাত শুরু হয়। এ সময় টানা ২ঘণ্টা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হয়।

সরেজমিনে সিলেট নগরীর বন্দরবাজার ও দক্ষিণ সুরমার পুলের মুখ এলাকায় দেখা যায়, হালকা বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর থেকে লোকজন এদিক-সেদিক ছুটাছুটি করছেন ও আকাশে বিদ্যুৎ চমকানো দেখে অনেকেই নিরাপদ আশ্রয় স্থল খোঁজ নিচ্ছেন। কেউ কেউ দোকানপাটের সামনেও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

এছাড়াও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার, সাতমাইল এলাকায় ঝড়ের কারণে শতাধিক যানবাহন সড়কের পাশে আটকে যেতে দেখা যায়।

এ ব্যাপারে সিলেট আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাহমুদুল হাসান সোহেল বলেন, সিলেটে ২ ঘণ্টায় ৩৪ মিলিমিটার বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে।

এরআগে শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে দুই নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

;

উপজেলা নির্বাচনে বিনা ভোটে জয়ের হিড়িক



জাহিদ রাকিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪ ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ৩০৮টি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭ জন প্রার্থী বিনাভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তারমধ্য একাধিক উপজেলায় কোনো ভোটই হবে না বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে। তারমধ্যে কুমিল্লা আদর্শ সদর ও চট্টগ্রাম রাউজান উপজেলায় সব পদে একজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ফলে এই দুই উপজেলায় ভোটের প্রয়োজন পড়বে না।

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইসি।

এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে কোনো রাজনৈতিক দল নিজেদের প্রতীকে নির্বাচন করছে না। ক্ষমতাসীন দলের তৃণমূলের নেতারা স্বতন্ত্র প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে মাঠের বিরোধীদল বিএনপি আগেই জানিয়েছে এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। ফলে যেসব উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে সেখানে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা পরস্পর পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। তবে কিছু উপজেলায় দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিএনপির তৃণমূলের নেতারা প্রার্থী হচ্ছেন।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মতে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আশা করা হলেও সব জায়গায় মূলত আওয়ামী লীগের বিপক্ষে প্রার্থী হচ্ছেন আওয়ামী লীগ পদধারী নেতারা। এরমধ্যও আবার অনেক উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। তাদের মতে, স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের চাপে পড়ে বা নিজেদের মধ্য সমঝোতা করে অনেক উপজেলায় প্রার্থী হচ্ছে না।

নির্বাচনর কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, এবারের উপজেলা নির্বাচন চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। তারমধ্য প্রথম ধাপের ১৪৮টি উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে বুধবার। আর দ্বিতীয় ধাপের ১৬০টি উপজেলায় ভোট হবে ২১ মে মঙ্গলবার।

ইসি সূত্রে জানা যায়, প্রথমধাপে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭৩০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৬৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৬২ জন প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্য ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে সাত জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নয় জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন।

দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬০৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৪ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫২৯ জন প্রার্থী রয়েছেন। তারমধ্য ২১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এখানে, চেয়ারম্যান পদে সাত জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতজন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাত জন নির্বাচিত হয়েছেন।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, তৃতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০০ জন; মোট ১৫৮৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তৃতীয় ধাপের বাছাই, প্রত্যাহার, প্রতীক বরাদ্দের প্রক্রিয়া ও চতুর্থ ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় এখনো শেষ হয়নি।

তিনি আরও বলেন, তৃতীয় ধাপে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের মধ্যে পাঁচজন রয়েছেন একক প্রার্থী। চট্টগ্রামের চান্দনাইশে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, যশোরের অভয়নগরে ভাইস চেয়ারম্যান ও সুনামগঞ্জের ছাতক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী রয়েছে। এসব প্রার্থী বাছাইয়ে টিকলে ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে পারেন।

তফসিল অনুযায়ী, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৬ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বার্তা২৪.কমকে বলেন, সাধারণ দলমত নির্বিশেষে জনপ্রিয় কেউ প্রার্থী হলে কেউ প্রার্থী হতে চায়না। তবে সাধারণ এই ধরনের ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যায়না। বাস্তবে যেটা সেটা হচ্ছে অন্যরা প্রার্থী হতে ভয় পায়, আবার নির্বাচন প্রার্থী হতে যে মোটা অংকের টাকা প্রয়োজন সেটা না থাকার কারণে কেউ প্রার্থী হতে চায়না।

তিনি আরও বলেন, জোর যার মল্লুক তার, ফলে অনেক ক্ষেত্রে ক্ষমতাশীন দলের চাপে পড়ে অনেক জায়গায় কেউ প্রার্থী হচ্ছেনা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের জয়ের সংখ্যা যত বাড়বে তাতে করে গণপ্রতিনিধিত্ব হ্রাস পায়। ফলে জনগণের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হচ্ছেনা।

;