দেড়শ বছরেও নলছিটিতে গড়ে ওঠেনি বিনোদন কেন্দ্র



জহির রায়হান,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,বরিশাল
নলছিটি পৌরসভা

নলছিটি পৌরসভা

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝালকাঠীর নলছিটি থেকে ফিরে: ঝালকাঠী জেলার নলছিটি পৌরসভাটি দেশের অতি প্রাচীন এবং ২য় পৌরসভা। ঢাকা পৌরসভার পর ১৮৬৫ সালে নলছিটি পৌরসভা গঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার ১৫৪ বছর অতিবাহিত হলেও এই পৌরসভায় গড়ে ওঠেনি কোন বিনোদন কেন্দ্র। নেই আধুনিক হোটেল-রেস্তোরাঁ, কমিউনিটি সেন্টার, দৃষ্টিনন্দন দালান-কোঠা।

নলছিটি পৌরসভাকে দেশের বুকে পরিচয় করার মতো যেসব স্থাপনা, নিদর্শন ও দর্শনীয় স্থান ছিল তাও আবার সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। কিছু কিছু নিদর্শনের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে। বাকিগুলো অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। ফলে পৌরবাসীর ঘুরে দেখার মতো তেমন কোন জায়গা নেই। পিকনিক স্পট তো দূরের কথা নেই- কোন  নিরিবিলি বসে গল্প-আড্ডা দেয়ার মতো পরিবেশ।

 নলছিটি উপজেলা পরিষদের পুকুরটিরও যৌবন এখন বিলীন

সরজমিনে দেখা গেছে, কয়েক বছর আগে উপজেলা পরিষদ চত্বর সংলগ্ন নিবার্হী কর্মকর্তার বাসভবনের সামনে প্রায় ৪ শতাংশ জমির ওপর একটি মিনি শিশু পার্ক গড়ে ওঠে। তাও আবার রক্ষাণাবেক্ষণের অভাবে প্রতিষ্ঠার কয়েকমাস পর খেলার সরঞ্জামাদিগুলো ভেঙে যায়। পরে বর্তমান উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নিজ উদ্যোগে কোন মতে খেলার সরঞ্জামাদিগুলো সংস্কার করে পুনঃরায় শিশু পার্কটি চালু করে। এখানে একটি দোলনা, ওজন মাপা গেমসসহ কিছু সামগ্রী রয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা পরিষদের পুকুরটিরও যৌবন এখন বিলীন।

পৌরসভার মেয়র বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সম্বলিত বিজয় উল্লাস-৭১ নামে একটি মূর‌্যাল তৈরি করেন। এতে পৌর ও উপজেলাবাসীর ছবি তোলার কিছুটা খোরাক জোগায়। বধ্যভূমির নবনির্মিত স্তম্ভ হলেও শহরের এক কর্নারে হওয়ায় তা জনমুখী হিসেবে প্রকাশ পায়নি।

দেখা গেছে, ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে ব্যক্তি মালিকানায় একটি দর্শনীয় বাড়ি। সেখানে কিছু ফুলগাছ, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, বসার জায়গা এবং কয়েকটি হরিণ রয়েছে। যা বিনোদন পিপাসুদের জন্য যথেষ্ট নয়।    

সিনথিয়া আক্তার নীতু নামে এক কলেজ ছাত্রী বার্তা২৪.কম বলেন, অন্যান্য জেলা- বিভাগ থেকে নলছিটিতে বেড়াতে আসা আত্মীয়-স্বজনদের ঘুরে দেখানোর মতো কোন জায়গা নেই। কোথায়ও বসে উন্নত মানের ভালো খাবার-দাবার করারও কোন ব্যবস্থা নাই নলছিটিতে। কোন বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় দিনে দিনে সবাই বিনোদন বঞ্চিত হচ্ছে। 

উপজেলা চত্বরে গড়ে ওঠা মিনি শিশু পার্ক

মোঃ আরিফুর রহমান দীপু নামে এক প্রবাসী বার্তা২৪.কম কে বলেন, সরকার দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতায় নলছিটিতে গড়ে ওঠেনি কোন বিনোদন কেন্দ্র।ফলে নলছিটির মানুষ ঝালকাঠি, বরিশালসহ অন্যান্য জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। যা নলছিটির জন্য অর্থনৈতিক ক্ষতি।   

তপন কুমার দাস নামে এক সংস্কৃতিজন বার্তা২৪.কমকে বলেন, নলছিটি পৌরসভা দেশের একটি প্রাচীন পৌরসভা। সে অনুযায়ী এখানে কোন বিনোদন কেন্দ্র গড়ে ওঠেনি। নেই কোন ঘুরে দেখার মতো কোন জায়গা আর পরিবেশ। নলছিটির ইতিহাস ঐতিহ্য ফিরে আনতে প্রশাসন ও নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।

নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুম্পা শিকদার বার্তা২৪.কম কে বলেন, ইতিহাস-ঐতিহ্যে ভরপুর উপজেলার নাম নলছিটি। সে অনুযায়ী ইতিহাসের স্মৃতি সংরক্ষণ করা হয়নি।গড়ে ওঠেনি তেমন কোন বিনোদন কেন্দ্র। উপজেলা চত্বরে গড়ে ওঠা মিনি শিশু পার্কটিও ব্যবহার অনুপযোগী ছিল। জরাজীর্ণ সামগ্রী সংস্কার করে পার্কটিকে ব্যবহার উপযোগী করবেন বলেও জানান এই নির্বাহী কর্মকর্তা।

নলছিটি পৌরসভার মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ তসলীম উদ্দিন চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে জানান, নলছিটি শহরকে বসবাস উপযোগী করার লক্ষ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে৷ তবে নলছিটি পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর কোনও বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠেনি। কিন্তু ইতিমধ্যে শহরের পাশে সুগন্ধা নদীর পাড় ফেরিঘাট এলাকায় প্রায় ২৬ শতাংশ জমির উপরে একটি পার্ক করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে নলছিটি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ৷ বাজেট অনুযায়ী বরাদ্দ শুরু হবে বলেও জানান মেয়র।

   

‘রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টকে’ আরও কার্যকর করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গণমাধ্যম যাতে রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টকে আরো কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

শনিবার (৪ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সম্পাদক পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৪ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘রাইট টু ইনফরমেশন আইনের' প্রতি আমি পূর্ণাঙ্গভাবে বিশ্বাস করি। গণমাধ্যম যাতে রাইট টু ইনফরমেশন এ্যাক্টকে আরো কার্যকরীভাবে ব্যবহার করতে পারে সে ব্যবস্থা করা হবে। রাইট টু ইনফরমেশন এ্যাক্ট-এর অধীনে কোনো গণমাধ্যম জনগণের পক্ষে যে তথ্য চাইবে সেটা যেকোনো প্রতিষ্ঠান তড়িৎ গতিতে দিতে বাধ্য থাকব। এধরনের মানসিকতা তৈরি করার জন্য আমরা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে অরিয়েন্টেশন করবো।

তিনি আরও বলেন, পরিবেশ বিপর্যয়ের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে যে সকল সাংবাদিকরা তুলে ধরে তারা আমাদের বন্ধু। যে রিপোর্টাররা সকল তথ্য উপাত্ত দিয়ে পরিবেশ নিয়ে রিপোর্ট করবে তাদেরকে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে পূর্ণাঙ্গ সাপোর্ট করা হবে।

এসময় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ফরিদপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে আজাদ, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান প্রমুখ।

;

মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকে ডিবিতে ডাকা হয়েছে: হারুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রয়কেন্দ্রের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

ডিবি প্রধান বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে জানতে মিল্টনের স্ত্রীকে আগামীকাল রোববার দুপুরে ডিবিতে ডাকা হয়েছে।

তিনি বলেন, নিজের বাবাকে পিটিয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসে মিল্টন সমাদ্দার সাইকোতে পরিণত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছে সেসব বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে। তার উত্থান কীভাবে হলো, তথাকথিত মানবতার ফেরওয়ালা কীভাবে হলেন, তার অর্থের উৎস কী, কীভাবে সে দরিদ্র মানুষকে সংগ্রহ করতো এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

ডিবি প্রধান বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মিল্টন কীভাবে অর্থ উপার্জন করতেন এবং কারা তাকে সহয়তা করতেন তাদেরকেও শনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

মিল্টন সমাদ্দারের তিন-চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান মিলেছে। সেসব অ্যাকাউন্টে কারা টাকা পাঠাতেন তদন্ত করে জানানো হবে বলেও জানান হারুন অর রশীদ।

এর আগে, গত বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। এদিন রাতে তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি মামলা হয়। সেসব মামলায় আদালতে সোপর্দ করলে মিল্টনকে তিনদিনের রিমান্ড দেন আদালত।

;

ফ্ল্যাটের ভুয়া দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ, গ্রেফতার ৮



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্ল্যাটের মালিকানার ভুয়া তথ্য ও জাল এনআইডি এবং টিন নম্বর তৈরি করতেন জয়নাল আবেদীন ওরফে ইদ্রিস। পরে এসব ব্যবহার করে রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে তৈরি করা হতো ফ্ল্যাটের ভুয়া দলিল। পরে এসব ভুয়া দলিল বিভিন্ন ব্যাংকে মর্টগেজ রেখে মোটা অংকের টাকা লোন নিতো ইদ্রিস। ইদ্রিস ও তার চক্রের সদস্যরা ভুয়া সব দলিল ও কাগজপত্র দিয়ে এ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৫০ কোটি টাকা লোন নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

ফ্ল্যাট জালিয়াতি চক্রের মাস্টারমাইন্ড জয়নাল আবেদীন ওরফে ইদ্রিস ও তার সহযোগীরা মিলে দীর্ঘদিন ধরে জালিয়াতি করে আসছিলো।

পরে সুর্নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এই জালিয়াতি চক্রের তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (৩ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে এ সংঘবদ্ধ ফ্ল্যাট জালিয়াতি চক্রের মাস্টারমাইন্ড জয়নাল আবেদীন ওরফে ইদ্রিসসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

চক্রের গ্রেফতার বাকি সদস্যরা হলেন- ইদ্রিসের প্রধান সহযোগী মো. রাকিব হোসেন (৩৩), এ চক্রের সদস্য জয়নালের ভায়রা ভাই কে এম মোস্তাফিজুর রহমান (৫৪), জাল কাগজপত্র ও এনআইডি প্রস্তুতকারক মো. লিটন মাহমুদ (৪০), ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল প্রস্তুতকারক হাবিবুর রহমান মিঠু (৩০), এনআরবিসির ব্যাংক কর্মকর্তা হিরু মোল্যা (৪৪), আব্দুস সাত্তার (৫৪) ও সৈয়দ তারেক আলী (৫৪)।

এর আগে এই চক্রের ৪ জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকিদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সীলমোহর, একই ব্যক্তির একাধিক এনআইডি ও টিন নম্বর, ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন, বিভিন্ন ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডসহ নগদ ৩ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।


শনিবার (৪ মে) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগস্থ সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।

মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, সম্প্রতি সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট গোপন সূত্রে জানতে পারে, একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন পরিদপ্তরের কিছু অসাধু সদস্যদের সক্রিয় সহযোগীতায় চক্রের সদস্যদের নামে একাধিক সক্রিয় এনআইডি ও টিন তৈরি করে আসছে। পরবর্তীতে এই এনআইডি ও টিন ব্যবহার করে চক্রের সদস্যরা ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের অসাধু লোকদের মাধ্যমে চক্রের সদস্যদের নামে ফ্ল্যাট/ জমির একাধিক মূল দলিল তৈরি করতো। পরে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এসব জাল দলিল দিয়ে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মর্টগেজ রেখে একটি ফ্ল্যাটের বিপরীতে একাধিক লোন গ্রহণের মাধ্যমে প্রায় ৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আসছে।

তিনি বলেন, দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানা যায়, এ সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের মূল হোতা জয়নাল আবেদীন ইদ্রিস। তার সংবদ্ধ অপরাধ চক্রের সদস্যরা রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের ক্রেতা হিসেবে হাজির হন। ফ্ল্যাট কেনার জন্য শুরুতে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট বায়না করেন। এরপর ফ্ল্যাটের মালিকানার তথ্য যাচাইয়ের কথা বলে মালিকের কাছ থেকে দলিল এবং অন্যান্য কাগজপত্রের কপি সংগ্রহ করেন। ফ্ল্যাটের মালিকের কাছ থেকে নেওয়া দলিল এবং অন্যান্য কাগজপত্রের তথ্য নিয়ে ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের অসাধু লোকদের মাধ্যমে তৈরি করেন জাল দলিল। জয়নাল আবেদীন ইদ্রিস জাল দলিলে কখনো নিজে মালিক হন আবার কখনো চক্রের অন্যান্য সদস্যদের মালিক বানান। এরপর সেই জাল দলিল দিয়ে পাতেন ফ্ল্যাট বিক্রির ফাঁদ। ফ্ল্যাট পছন্দ হলে ক্রেতার কাছ থেকে বায়না বাবদ অগ্রিম টাকাও নেন জয়নাল। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কতিপয় কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জাল দলিল দেখিয়ে ক্রেতার নামে ব্যাংক ঋণ নিয়ে সেই টাকাও আত্মসাৎ করে। এভাবে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সৃষ্ট ফ্ল্যাটের দলিলের দিয়ে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাতিয়ে নিয়েছে ৫০ কোটি টাকা।


তিনি আরও বলেন, জয়নাল আবেদীন ইদ্রিসের নেতৃতাধীন এ ফ্ল্যাট জালিয়াতি চক্র রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট বিক্রির ফাঁদ পেতে জাল দলিলের মাধ্যমে পথে বসিয়েছে বহু ফ্ল্যাট মালিককে। পাশাপাশি সম্ভাব্য ফ্ল্যাট ক্রেতাদের কাছ থেকে ফ্ল্যাট বিক্রির অগ্রিম টাকা এবং ব্যাংক ঋণের বোঝা চাপিয়ে তাদেরকে করেছে নিঃস্ব। সিআইডির অনুসন্ধানে ফ্ল্যাট জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে লোনের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ'র অভিযোগের সত্যতা পেয়ে জয়নাল আবেদীন ইদ্রিসের মালিকাধীন প্রতিষ্ঠান রুমানা জুয়েলার্স, নীড় এস্টেট প্রোপার্টিস লিমিটেড, স্নেহা এন্টারপ্রাইজ, ই আর ইন্টারন্যাশনালসহ চক্রের ২৫ জন সদস্যের বিরুদ্ধে ডিএমপির উত্তরা-পূর্ব থানায় মানিলন্ডারিং আইনে মামলা দায়ের করে সিআইডি।

সিআইডি প্রধান বলেন, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এ ফ্ল্যাট জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ চক্রের সাথে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন পরিদপ্তরের কিছু অসাধুকর্মকর্তা ও দালাল, ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অসাধু ব্যাংকার জড়িত।

তিনি বলেন, এ চক্রের মাস্টারমাইন্ড জয়নাল আবেদীন ইদ্রিস রাজধানীর মিরপুরে কোঅপারেটিভ মার্কেটের একটি স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী ছিলেন। পরবর্তীতে জয়নাল আবেদীন ও শহিদুল ইসলাম সবুজ মিলে ফ্ল্যাট জালিয়াতি শুরু করেন। এ চক্রের সাথে জড়িত হয়ে শতকোটি টাকার মালিক বনে যান জয়নাল। তার অন্যতম প্রধান সহযোগী দুই স্ত্রী রোমানা সিদ্দিক ও রাবেয়া আক্তার মুক্তা। প্রতারণার জন্য নিজ নামে ছয়টি সক্রিয় এনআইডি ব্যবহার করেন। এসব এনআইডি দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে ৫০টির অধিক হিসাব খুলেন। জয়নাল ফ্ল্যাটের মালিকানার দলিলের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। এ অবৈধ অর্থে রাজধানী ঢাকার বসুন্ধার আবাসিক এলাকায় ৭ তলা বাড়ি, ৩টি ফ্ল্যাট, মিরপুর ও আশকোনায় ৩টি ফ্ল্যাট কিনেন।

;

মৃত্যুর আগের দিনও স্বপ্ন দেখতে হবে: সমবায় মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে। মৃত্যুর আগের দিনও স্বপ্ন দেখতে হবে। আমরা আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ডেল্টা প্ল্যান করা হয়েছে ২১০০ সাল পর্যন্ত কিন্তু ততদিন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেচে থাকার সম্ভাবনা নাই, আমার বেচে থাকার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু স্বপ্নটা আমাকে শক্তি দিয়েছে বেচে থাকার জন্য, কাজ করার জন্য। যেদিন মৃত্যু হবে সেদিনও যেনো স্বপ্ন নিয়ে মরতে পারি।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে খামার বাড়ির কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে 'নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন' এর ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও উদ্যোক্তা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের এখন জনসংখ্যা লভ্যাংশ। তাই সেই তারুণ্য শক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য আমরা সবাই তাকিয়ে আছি। যুব সমাজকে যদি গড়ে তুলতে পারি তাহলে তারা দেশ ও জাতীর জন্য কাজ করবেন। তার মধ্য দিয়ে আমাদের দেশ উন্নত দেশ হবে।

মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের স্বপ্ন থাকতে হবে, সাহস থাকতে হবে। যে কোন কিছুতে চ্যালেঞ্জ নেয়ার সাহসিকতা থাকতে হবে।

অন্য যে কোন দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ পরিশ্রম ও নৈতিকতার দিক দিয়ে অনেক ভাল মন্তব্য করে সমবায় মন্ত্রী বলেন, আমরা কেউই ফেরেশতা নয়, আল্লাহ আমাদের মানুষ বানিয়েছেন, ফেরেশতা নয়। ধর্ম যায় হউক মানুষ সবচেয়ে বড় সত্য। ১৮ লক্ষ মাখলুকাতের মধ্যে মানুষকেই আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ বানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আমি আমার খাওয়া, আমার কাপড়, আমার পড়াশোনার ব্যবস্থা আমিই করবো। আমি যদি আমার খরচ বহন করতে পারি তাহলে আমার পরিবারের মাঝে আমার চাপ কম হবে। আমি দায়বদ্ধ না অন্যজনের জন্য করার, দায়বদ্ধতা তখন আসবে যখন আমার সক্ষমতা আসবে। অতএব মানুষের জন্য কাজ করবো, মানুষের কল্যাণে কাজ করবো।

;