মানবিকতার সংকটেই অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে: রসিক মেয়র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
এশিয়ান টেলিভিশনের সপ্তম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে রসিক মেয়র/ছবি: বার্তা২৪.কম

এশিয়ান টেলিভিশনের সপ্তম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে রসিক মেয়র/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা এখন কমে গেছে। মানবিকতার চর্চা নেই বললেই চলে। আর এই মানবিকতার সংকট থেকেই সমাজে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে রংপুরে এশিয়ান টেলিভিশনের সপ্তম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

রসিক মেয়র বলেন, আমরা দিন দিন মানবিক মূল্যবোধহীন হয়ে পড়ছি। এভাবে একটি সুন্দর সমাজ গড়ে তোলা যায় না। সুন্দর সমাজ গড়ে তুলতে হলে মানবিক সমাজ গঠন করতে হবে। এটি এখন সময়ের দাবি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু তুষার কান্তি মন্ডল, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার উপ-পরিচালক আশরাফুল ইসলাম, আরপিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) কাজী মুক্তাকি ইবনু মিনান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সৈয়দ এনামুল কবির, আরপিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি এবং মিডিয়া) আলতাফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নগরীর আলমনগর আফতাবিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার হেফজ খানায় এতিম ও হাফেজ শিশুদের সঙ্গে এশিয়ান টেলিভিশনের বর্ষপূর্তির কেক কাটেন অতিথিরা। এসময় এতিমদের মুখে কেক তুলে দিয়ে জন্মদিন উদযাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানে এশিয়ান টেলিভিশনের রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি বাদশাহ ওসমানীকে বর্ষপূতিতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান রংপুরে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা। পরে কোরআন খানি, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

 

   

প্রয়োজনের তুলনায় ১ লাখ ৩৩ হাজার টন বেশি মাছ উৎপাদন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে প্রয়োজনের তুলনায় অন্তত ১ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন মাছ বেশি উৎপাদন হয় বলে সংসদে জানিয়েছেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

সোমবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. মাইনুল হোসেন খানের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ৪৭ লাখ ৮২ হাজার মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে মোট মৎস্য উৎপাদিত হয়েছে ৪৯ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন। ফলে দেশে প্রয়োজনের তুলনায় এক লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন বেশি মাছ উৎপাদন হয়।

প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা ও গতিশীল নেতৃত্বে ২০১৬-১৭ সালে বাংলাদেশে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪০ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টনের বিপরীতে ৪১ লাখ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

এছাড়া, বিবিএসের তথ্য দিয়ে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশের মানুষ দৈনিক গড়ে জনপ্রতি ৬৭.৮০ গ্রাম (জনপ্রতি বাৎসরিক ২৩.৭২ কেজি চাহিদার বিপরীতে ২৫.০০ কেজি) মাছ গ্রহণ করছে।

উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজস্ব ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পোনা অবমুক্তির কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে রাজস্ব খাতের আওতায় ২১৫.৪৩ মেট্রিক টন এবং উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০০.২৫ মেট্রিক টন পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব খাতের আওতায় বিল নার্সারি কার্যক্রম বাস্তবায়নে সারা দেশে ৯১৭টি এবং উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৭৪টি বিল নার্সারি স্থাপন করা হয়েছে। দেশীয় প্রজাতির মাছের বিলুপ্তি রোধ ও প্রাচুর্য রক্ষার্থে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন নদ-নদী ও অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে স্থাপিত ৫০০টি অভয়াশ্রম সুফলভোগীদের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে সালে রাজস্ব খাতের আওতায় ৩৮৯টি মৎস্য অভয়াশ্রম ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৭২টি মৎস্য অভয়াশ্রম মেরামত ও ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। বিগত ১৫ বছরে মৎস্য অধিদফতরের আওতাধীন বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ হাজার ৭ শত ৫৮ হেক্টর অবক্ষয়িত জলাশয় পুনঃখনন করে সংস্কার ও উন্নয়ন করা হয়েছে। খননকৃত জলাশয়ে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সুফলভোগীদের আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

;

সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট নগরী ও আশপাশের এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শিলা পড়তে দেখা যায়। যার স্থায়ীত্ব ছিলো ২-৩ মিনিট।

জানা যায়, সোমবার সকাল থেকে সিলেটে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকে। তবে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়। ফলে নগরীর প্রায় সড়ক ফাঁকা দেখা যায়।

এদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ২.২ মিলিমিটার। সেখানে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ রেকর্ড করা হয় ৫২ মিলিমিটার।

দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৭ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক নিবাস দেবনাথ।

তিনি জানান, সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৫৯ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। তন্মধ্যে সকাল ৬টা থেকে নয়টায় ২৮ মিলিমিটার ও নয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, ১০ মিলিমিটার পর্যন্ত হালকা বৃষ্টিপাত, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার পর্যন্ত মাঝারি বৃষ্টিপাত, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার পর্যন্ত মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টিপাত, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার ভারী এবং এর বেশি বৃষ্টি হলে তাকে অতিভারী বৃষ্টিপাত বলা হয়।

এরআগে, গত ৪ এপ্রিল ও ৩১ মার্চ সিলেটে কালবৈশাখীর সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়। ওই সময়ে শিলাখণ্ডের আঘাতে নগরীর অনেক বাসাবাড়ির জানালার কাচ ভেঙে যায়। যানবাহনেরও বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়।

;

নওগাঁয় বাস চাপায় শিশু নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর মহাদেবপুরের নওহাটা মোড়ে বাসচাপায় বাঁধন হোসেন (১০) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) দুপুরের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশু বাঁধন হোসেন পার্শ্ববর্তী মান্দা থানার গোটগাড়ী গ্রামের শামীম হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত বাধনের বাবা-মা দরিদ্র হওয়ায় নওহাটা মোড়ের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত কফিল উদ্দিন রাইস মিলে শ্রমিকের কাজ করত। সেখানে বাবা-মায়ের সাথেই থাকত সে। এরমধ্যে আজ ঘটনার সময় নিহত শিশুটি রাইস মিলের সামনে দিয়ে যাওয়া নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়ক পার হচ্ছিল। এ সময় নওগাঁর উদ্দেশে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগামী একটি বাস তাকে ধাক্কা দেয়। এতে সে রাস্তায় পড়ে গেলে তার উপর দিয়ে বাসটি চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রুহুল আমিন বলেন, এ বিষয়ে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে ঘাতকবাসটি আটক করা সম্ভব হয়নি।

;

চসিকের ’আইকনিক’ নগর ভবনের কাজ শুরু, প্রথম ধাপে উঠবে ৬তলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামবাসীর বহুল আকাঙ্ক্ষিত ’আইকনিক’ নগর ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

সোমবার (০৬ মে) দুপুরে নগরের আন্দরকিল্লায় চসিকের নিজস্ব অর্থায়নে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এই নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, পুরাতন নগর ভবনের স্থানে পার্শ্ববর্তী আরও দু'টি ভবনের স্থান সংযুক্ত করে এই আইকনিক নগর ভবন নির্মাণ করা হবে৷ তিনটি বেসমেন্টসহ পুরো নগর ভবন হবে ২১ তলা। এ ভবনের প্রথম ধাপের উদ্বোধন করা হল আজ৷ আমাদের লক্ষ্য ২৮ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ের প্রথম ধাপের কাজের অংশ হিসেবে ৫-৬ তলা আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করে টাইগারপাস থেকে আন্দরকিল্লায় চলে আসা৷ বাকী অংশ ধাপে ধাপে সম্পন্ন করা হবে৷

‘স্থায়ী নগর ভবন না থাকায় বিদেশি অতিথিরা আসলে আমাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হত, নাগরিকদেরও সেবা প্রদান বিঘ্নিত হত৷ এজন্য নিজস্ব ফান্ডে নগর ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি৷ এ ভবনে নাগরিকরা স্বাচ্ছন্দ্যে সেবা নিতে পারবেন৷ এছাড়া এ ভবনের একটি ফ্লোরে চট্টগ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরতে গড়ে তোলা হবে জাদুঘর।’

চসিকের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৩৮ হাজার ৪৯০ বর্গফুট বা ৫৩ দশমিক ৪৫ কাঠা জায়গায় নগর ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রণয়ন নামে একটি কনসালটেন্ট ফার্ম ‘আইকনিক’ এ ভবনের এর নকশা করেছে। ভবনের উপরে থাকবে সিটি ক্লক। ভবনের তিন পাশে সাজানো বাগান থাকবে। নির্মাণ করা হবে ফোয়ারা। থাকবে মাল্টিপারপাস হল, কনফারেন্স হল ও ব্যাংকুয়েট হল। তবে পুরো নগর ভবন নির্মাণ করা হবে ধাপে ধাপে। শুরুতে বেসমেন্টসহ তিনটি ফ্লোর নির্মাণ করা হবে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, শৈবাল দাশ সুমন, মো. ইলিয়াছ, মো. আবদুস সালাম মাসুম, আতাউল্লা চৌধুরী, রুমকি সেনগুপ্ত, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী শাহীন-উল ইসলাম চৌধুরী , তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আকবর আলী, ফরহাদুল আলম, জসিম উদ্দিন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও এস্টেট অফিসার মো. রেজাউল করিম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফারজানা মুক্তা, রেজাউল বারী ভূইঁয়া, মীর্জা ফজলুল কাদের, আশিকুল ইসলাম, রিফাতুল করিম, তাসমিয়া তাহসীন, তৌহিদুল ইসলাম, সালমা খাতুন, সহকারী প্রকৌশলী আসীর হামীম।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১১ মার্চ নগর ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন মেয়র চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। এরপর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে (চসিক) দুজন মেয়র এবং একজন প্রশাসক দায়িত্ব পালন করলেও অর্থ সংকট, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না পাওয়াসহ বিভিন্ন জটিলতায় সেই উদ্যোগ থমকে ছিল।

;