পাটকল শ্রমিকের পায়ুপথে হাওয়া, হাসপাতালে ভর্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
হাসপাতালে ভর্তি পাটকল শ্রমিক আশরাফুল আলী

হাসপাতালে ভর্তি পাটকল শ্রমিক আশরাফুল আলী

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনায় পাটকল শ্রমিক আশরাফুল আলীকে (২২) পায়ুপথে হাওয়া দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আশরাফুল তেরখাদা উপজেলার মোকামপুর গ্রামের মো. রবিউল ইসলামের ছেলে।

জানা যায়, গত বুধবার গভীর রাতে দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটী গ্রামের সাগর জুট মিলের পাটকল শ্রমিক আশরাফুল আলীকে পায়ুপথে ময়লা পরিষ্কারের মেশিন দিয়ে হাওয়া দিয়ে নির্যাতন করে একই মিলের সহকর্মীরা। রাতেই আশরাফুল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকালে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আশরাফুলের চাচা মাসুদ শেখ জানান, মিলের কাজ শেষে বুধবার রাতে মিলের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন আশরাফুল। রাতের কোনো এক সময়ে নাজমুল নামের মিলের আরেক শ্রমিক ময়লা পরিষ্কার করার মেশিনের নল দিয়ে আশরাফুলের পায়ুপথে হাওয়া ঢুকিয়ে দেয়। এতে আশরাফুল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ আশরাফুলকে দেখে তখন পালিয়ে যায় নাজমুল। পরে অন্য শ্রমিকরা আশরাফুলকে বৃহস্পতিবার সকালে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করে।

খুমেক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ফারুকুজ্জামান জানান, পায়ুপথে হাওয়া দেয়ার কারণে আশরাফুল গুরুতর অসুস্থ হয়েছে। তার পায়ুপথে ভেতরে বিভিন্ন স্থানে বাতাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা আছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হলে বলা যাবে সে শঙ্কামুক্ত নাকি জীবন সংশয়ে আছে।

দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর মোরশেদ জানান, পায়ুপথে এক পাটকল শ্রমিককে হাওয়া দেয়ার খবরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আশরাফুল এখন হাসপাতালে ভর্তি। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি কেউ। অভিযোগ পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে যে অভিযুক্তের নাম এসেছে সেই নাজমুল নামের শ্রমিককে আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট খুলনা মহানগরীর টুটপাড়া এলাকায় রাকিব নামের একটি শিশুকে পায়ুপথে হাওয়া দিয়ে নির্যাতন করা হয়। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে মারা যায় সে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় দেশব্যাপী আলোড়ন হয়েছিল।

   

চট্টগ্রামে মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসে আটক ৩ ভুয়া পরীক্ষার্থী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
৩ ভুয়া পরীক্ষার্থী

৩ ভুয়া পরীক্ষার্থী

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অন্যের হয়ে স্বাস্থ্য সহকারী মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসে ৩ ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) সকালে ভাইভা বোর্ড থেকে তাদেরকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

বার্তা২৪.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম ওবায়দুল হক।

আটককৃতরা হলেন- চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাথরিয়া গ্রামের মো. আব্দুল মতলব চৌধুরীর ছেলে মো. জয়নাল আবেদীন চৌধুরী, চন্দনাইশ উপজেলার পশ্চিম কেশুয়া গ্রামের মো. ছাদেকুল ইসলামের ছেলে মো. জাবেদ ও লোহাগাড়া উপজেলার স্বপন দাশের ছেলে রনি দাশ।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া বলেন, স্বাস্থ্য সহকারীর মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসে ভাইভা বোর্ডে পরীক্ষার্থীদের আচরণ সন্দেহজনক হয়। পরে যাচাই-বাছাই করে তিনজন প্রক্সি পরীক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, গত ৩ মে একই পদের লিখিত পরীক্ষায় অন্যের হয়ে প্রক্সি দিতে এসে পরীক্ষা চলাককালীন সময় মো. আব্দুর রউফ (২৮) নামের এক যুবক আটক হন। পরবর্তীতে তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

;

ফুলছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কারচুপিসহ নানা অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জি এম সেলিম পারভেজ।

বুধবার (৮ মে) দুপুর পৌনে ১টার দিকে তিনি এই ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ভোটে কারচুপিসহ নানা অভিযোগের বিষয়ে জানালেও নির্বাচন কমিশনার কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমি ভোট বর্জনের ঘোষণা দিচ্ছি।

জিএম সেলিম পারভেজ ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সদ্য সাবেক ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।

;

‘বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছাবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খাল পাড়ে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (৮ মে) রাজধানীর মুগদা এলাকার শাপলা ব্রিজ সংলগ্ন ‘মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি’ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রকল্পভুক্ত শ্যামপুর, জিরানি, মান্ডা ও কালুনগর খালের উভয় পাড়ে (উভয় পাড় মিলে মোট ৩৯.৬ কি.মি. দৈর্ঘ্য) ব্যাপক বৃক্ষরোপণের যে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে তার মাধ্যমে ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত হবে।

শেখ তাপস বলেন, আমরা জানি, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ঢাকা শহরের জন্য যে সবুজায়ন বা বনায়নের প্রয়োজন সেই মানদণ্ড পর্যন্ত আমরা পূরণ করতে পারিনি। মান্ডা খালের পাড় দিয়ে প্রকল্পের আওতায় আমরা প্রায় ৩৫ হাজার গাছ রোপণ করব। যার মাধ্যমে এই এলাকায় একটি সুন্দর ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি হবে। তার সাথে সাথে আমাদের শহরের জন্য সবুজায়ন ও বনায়নের যে কার্যক্রম সেটা আরও বেগবান হবে। কিন্তু এই খালগুলো (প্রকল্পভুক্ত শ্যামপুর, জিরানি, মান্ডা ও খালুনগর খাল) এবং আদি বুড়িগঙ্গার পাড় ঘেঁষে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ইনশাআল্লাহ আমরা সবুজায়নের সেই আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত হতে পারব।

আগামী বছরের জুনের মধ্যে খালগুলোর দৃশ্যমান পরিবর্তনের আশাবাদ ব্যক্ত করে মেয়র বলেন, খালগুলো নিয়ে যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তার মধ্যে মান্ডা খাল সবচেয়ে বড় (৮.৭ কি.মি.)। এরপরে শ্যামপুর (৪.৭৮ কি.মি.), জিরানি (৩.৯ কি.মি.) এবং কালুনগর (২.৪ কি. মি.) খাল। সেই প্রেক্ষিতে আজ মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির কাজ শুরু হচ্ছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রকল্পের সবগুলো কাজ শুরু হয়ে যাবে। ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকাবাসী একটি দৃশ্যমান পরিবর্তন লক্ষ্য করবে। আগামী বছরের জুনে একটি আমূল পরিবর্তন আসবে। সেভাবেই আমাদের সকল পরামর্শক, ঠিকাদার ও কর্মকর্তারা কাজ করছে।

উল্লেখ্য যে, ৮৯৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে শ্যামপুর, জিরানি, মান্ডা ও কালুনগর খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে ৮.৭ কি. মি. দৈর্ঘ্যের মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টিতে ব্যয় হবে ৩৯৭ কোটি টাকা। মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির আওতায় ভূমি উন্নয়ন, খালের বর্জ্য ও পলি অপসারণ, বাই সাইকেল লেন ও এপ্রোচ রোড নির্মাণ, ৩টি এম্পিথিয়েটার নির্মাণ, ব্যায়াম করার সেড-ফোয়ারা-ওয়াকওয়ে-ঘাট নির্মাণ, ৩২টি পথচারী পারাপার সেতু ও ৬টি গাড়ি চলাচল সেতু নির্মাণ, বসার বেঞ্চ নির্মাণ, বাচ্চাদের খেলার জায়গা-ফুডকোর্ট ও কফিশপ নির্মাণ, আর. সি. সি. রিটেনিং ওয়াল ও ঢাল সুরক্ষা নির্মাণ, দৃষ্টিনন্দন সুরক্ষা বেষ্টনী ও পাবলিক টয়লেট নির্মাণ ইত্যাদি অনুষঙ্গ রয়েছে।

;

বগুড়ায় প্রিজাইডিং অফিসার-এজেন্ট আটক, দুইজনকে অব্যাহতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার গাবতলীতে রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার বাইরে দেওয়ার অভিযোগে প্রিজাইডিং অফিসারসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। অপরদিকে সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুটি বুথে জাল ভোট দেওয়ার ঘটনায় দুই সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টা ও ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

আটককৃতরা হলেন- প্রিজাইডিং অফিসার শাহজাহান আলী ও প্রার্থীর এজেন্ট এরশাদ আলী।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন।

তিনি জানান, প্রিজাইডিং অফিসার শাহজাহান আলী ৯০০ ব্যালট পেপার স্বাক্ষর ও সিলসহ এজেন্ট এরশাদ আলীর মাধ্যমে কেন্দ্রের বাইরে পাঠায়। এরপর বিভিন্ন ভোটারের মাধ্যমে ৩০০ ব্যালট বক্সে ফেলানো হয়। পরবর্তীতে এরশাদকে আটক করে ৬০০ ব্যালট উদ্ধার করা হয়। পরে প্রিজাইডিং অফিসারের কাছ থেকে আরও ৯০০ ব্যালটের মুরি উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, আটক দুইজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অপরদিকে সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তা হলেন- হাফিজার রহমান ও আব্দুল মোত্তালিব।

ভোট কেন্দ্রের কক্ষের দরজা বাইরে থেকে আটকানো দেখে স্থানীয় লোকজন হৈচৈ শুরু করে। পরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফসানা রিমার নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট এসে ঘটনার সত্যতা পায়। পরে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিবে বলে মোবাইল কোর্ট জানায়।

এদিকে, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের দাবি, ১০ থেকে ১৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি এসে তাদের কাছ থেকে ব্যালট বই ছিনিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের জানানো হলেও তারা কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ করেন তারা।

;