মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষে তদন্ত কমিটি গঠন, আটক ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের সামনের অংশ, ছবি: সংগৃহীত

কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের সামনের অংশ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল-ঢাকা নৌরুটের মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষে মা ও ছেলে নিহত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও এ ঘটনায় ফারহান-৯ লঞ্চের মাস্টার আফতাব হোসেন ও সুকানি আব্দুল হামিদকে আটক করেছে পিরোজপুর থানা পুলিশ। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬ এর ৮১ ক ধারা অনুযায়ী ফারহান-৯ লঞ্চটি স্থানীয় থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিআইডব্লিটিএ কর্তৃপক্ষ। বিআইডব্লিউটিএ’র বন্দর ও পরিবহন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. সাইফুল ইসলামকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটিকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে কর্তৃপক্ষ (চেয়ারম্যান) বরাবর প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।

তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন, বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার। 

এ সময় তিনি জানান, অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬ এর ৮১ ক ধারা অনুযায়ী ফারহান-৯ লঞ্চটি স্থানীয় থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ ছাড়া লঞ্চটির চলাচল বন্ধ থাকবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

আর ফারহান লঞ্চের মাস্টার ও সুকানির   আটকের বিষয়টি সোমবার বিকেলে পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বাদল। এসময় তিনি জানান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাদের আটক করে থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, রোববার ১২ (জানুয়ারি) দিনগত রাত পৌঁনে ১টায় বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ ও চাঁদপুরের সীমান্ত মাঝেরচর এলাকায় বরিশাল থেকে ঢাকাগামী এমভি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের সঙ্গে হুলারহাটগামী ফারহান-৯ এর সংর্ঘষ হয় এতে কীর্তনখোলা লঞ্চের নীচতলা ও দোতলার অংশ দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে দুই যাত্রী নিহত ও কয়েকজন আহত হন। তবে সংঘর্ষে কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চের উপরিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তলা ঠিক রয়েছে।

এতে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চে থাকা  দুই যাত্রী নিহত হয়।

দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার গাড়ুরিয়া ইউনিয়নের ভান্ডারিকাঠি গ্রামের রুবেল খান আব্বাসের  স্ত্রী মাহমুদা (২৪) ও তার  ছেলে মুমিন খান (৭)।

আর আহত  ৮ জন কে চাঁদপুর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: মেঘনায় ২ লঞ্চের সংঘর্ষে মা-সন্তান নিহত

   

সিলেটে তরুণ খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ৪, চাকু উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে তরুণ খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ৪, চাকু উদ্ধার

সিলেটে তরুণ খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ৪, চাকু উদ্ধার

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে ছুরিকাঘাতে তরুণ মোহাম্মদ আলী (১৭) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (০৪ মে) রাত ১১টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানাধীন দত্তগ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি রোববার (০৫ মে) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার জামলাবাজ গ্রামের চাঁন মিয়ার ফরহাদ মিয়া (২০), কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার মজলিশপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নূরনবী নুনু (১৯) ও একই থানার নোয়াহাটা গ্রামের নুর জামাল মিয়ার ছেলে রাহিম আহমদ (১৯) এবং হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানার বগি গ্রামের জাকারিয়া মিয়ার ছেলে সাকিব আহমদ (১৯)। তারা বর্তমানে সবাই ছড়ারপারের বিভিন্ন কলোনিতে থাকেন। এদের মধ্যে ফরহাদ এ মামলার মূল আসামি।

খুন হওয়া মোহাম্মদ আলী (১৭) কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুরের নূর আলীর ছেলে। পরিবারের সঙ্গে তিনি সিলেট নগরীর ছড়ারপাড়ের একটি কলোনিতে থাকতেন।

এরআগে শুক্রবার (০৩ মে) বিকেল ৫টার দিকে সিলেট নগরীর চালিবন্দর এলাকায় মোহাম্মদ আলীকে (১৭) ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পরদিন আলীর মা সফিনা খাতুন বাদি হয়ে ১১ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারের পর প্রধান আসামি ফরহাদের দেওয়া তথ্যমতে রোববার দুপুরে চালিবন্দরস্থ একটি গ্যারেজের পিছনে ময়লা ফেলার স্থান থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাকু উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

;

ইউপি সচিবের নাম পরিবর্তন, বিল সংসদে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ইউপি সচিবের নাম পরিবর্তন, বিল সংসদে

ইউপি সচিবের নাম পরিবর্তন, বিল সংসদে

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগের বিধান যুক্ত করে আইনে সংশোধনী আনার প্রস্তাব জাতীয় সংসদে তোলা হয়েছে। বিলটি পাস হলে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পদের নাম হবে ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা। পরে বিলটি পরীক্ষা করে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

রোববার (০৫ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) বিল–২০২৪’ সংসদে উপস্থাপন করেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তোলা বিলে বলা হয়েছে, কোনো এলাকাকে ইউনিয়ন ঘোষণার পর বা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য সরকার একজন উপযুক্ত কর্মকর্তা বা উপযুক্ত ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করবে এবং নির্বাচিত পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসক ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন। তবে প্রশাসক নিয়োগ হবেন কেবল একবারের জন্য এবং ১২০ দিনের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। কোনো দৈব দুর্বিপাকের কারণে নির্বাচিত পরিষদ গঠন করা সম্ভব না হলে সরকার উক্ত মেয়াদ আরও ৬০দিন বাড়াতে পারবে। অতিমারি, মহামারি ইত্যাদি বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার এই মেয়াদ যৌক্তিক সময় পর্যন্ত বাড়াতে পারবে।

;

কামরাঙ্গীরচর থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না: তাপস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
কামরাঙ্গীরচর থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না: তাপস

কামরাঙ্গীরচর থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না: তাপস

  • Font increase
  • Font Decrease

কামরাঙ্গীরচরে বসবাসরত কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এসময় তিনি সেখানে বসবাসরত সবাইকে অমূলক অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতেও অনুরোধ করেছেন।

রোববার (০৫ মে) বিকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে ‘কামরাঙ্গীরচরকে নান্দনিক, বাসযোগ্য ও বুদ্ধিদীপ্ত (Smart) এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে উন্নয়ন পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এসব কথা বলেন।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আপনাদের মধ্যে একটি শঙ্কা আছে যে, কামরাঙ্গীরচরের যে উন্নয়ন পরিকল্পনা করা হয়েছে তা বাস্তবায়নের জন্য আপনাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে। আমি আগেও পরিষ্কার করেছি, আবারও বলছি, সেখান থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না। এই উন্নয়ন পরিকল্পনা আপনাদের জন্য। সেখানে আপনারা থাকবেন, আপনাদের পরিবার থাকবে, আপনাদের বংশধরেরা থাকবে। কিন্তু আপনারা অমূলক অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না।’

কামরাঙ্গীরচর কেন্দ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরে মেয়র আরও বলেন, ‘আমরা পোস্তগোলা থেকে রায়ের বাজার পর্যন্ত ৮ সারির ইনার সার্কুলার রোড করছি। কামরাঙ্গীরচরবাসী সেই সড়কের সুফল ভোগ করবে। এছাড়া কামরাঙ্গীরচরের ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডে ঝাউচর সড়ক ৬ সারিতে উন্নীত করার জন্য কাউকে উচ্ছেদের প্রয়োজনই হবে না। দ্বিতীয়ত, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে নদীর পাড় ঘেঁষে ৪ সারির যে সড়ক প্রশস্ত করা হচ্ছে সেখানে ব্যক্তি মালিকানাধীন কারো কোনো এক ইঞ্চি জমিও পড়ছে না। তৃতীয়ত, ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৮ সারির সড়ক প্রশস্ত করার জন্য মাত্র ৩.৪ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। বাকীটা পুরোটাই সরকারি জমি। সেই ৩.৪ একর জমিতে যাদের বাড়ি পড়বে আমরা তাদেরকে সরকারি নিয়মে ক্ষতিপূরণ তো দেবোই। পাশাপাশি আমি আর কামরুল চাচা (অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম) তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করব। সুতরাং, অহেতুক শঙ্কার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।’

কেন কামরাঙ্গীরচরে উন্নয়ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তার যথার্থতা তুলে মেয়র বলেন, ‘একটি বিষয় আপনারা নিশ্চয় অনুধাবন করবেন, আজ নতুন প্রজন্মের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পুরাতন ঢাকায় থাকেন না। তারা হয় নতুন ঢাকা নয়তো উত্তরার মতো জায়গায় বসবাস করেন। এর মূল কারণ হলো, পুরাতন ঢাকা বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। কামরাঙ্গীরচরের যে অবস্থা, তাতে সেখানে বাসযোগ্যতা হলো তিন লক্ষ মানুষের। কিন্তু আপনাদের কথামতো সেখানে বসবাস করে ২০ লক্ষ মানুষ। সুতরাং এখনই যদি কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে কামরাঙ্গীরচরও অচিরেই বাসযোগ্যতা হারাবে। সেজন্যই আমাদের এই উন্নয়ন পরিকল্পনা। তবে আমি আপনাদের আবারও আশ্বস্ত করছি, সেখান থেকে কাউকে অন্যায়ভাবে, অবৈধভাবে উচ্ছেদ করা হবে না।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘উনি আমাদের যে উন্নয়ন পরিকল্পনা দেখিয়েছেন তাতে আমাদের মাঝে যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, ভয়-ভীতি ছিল তা অনেকাংশেই কমে এসেছে। এই উন্নয়ন পরিকল্পনায় তিনটা সড়ক প্রশস্ত করা হচ্ছে। সুতরাং, আমরা মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের বক্তব্যে আশ্বস্ত হয়েছি। তারপরও আমি বলবো, আমার নামে যে ১০৪ ফুটের সড়ক প্রশস্ত করা হবে তাতে ৩.৪ একর জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে। সেসব জমির মালিকদের সরকারি নিয়মানুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি তাদেরকে কামরাঙ্গীরচরের অন্যান্য সরকারি জমিতে পুনর্বাসন করা যায় কিনা সেটা আপনি বিবেচনা করবেন। আমি আশাবাদী, আপনি সহযোগিতা করবেন।’

অনুষ্ঠানে কামরাঙ্গীরচরবাসীর পক্ষে ঢাদসিক মেয়রের কাছে লিখিত স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মাঝে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামানসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, ঢাদসিক'র ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরবৃন্দ, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

;

চট্টগ্রামে কাপড়ের রং দিয়ে তৈরি হতো আইসক্রিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে কাপড়ের রং দিয়ে তৈরি হতো আইসক্রিম

চট্টগ্রামে কাপড়ের রং দিয়ে তৈরি হতো আইসক্রিম

  • Font increase
  • Font Decrease

পানির সাথে ক্ষতিকর রং চিনির মিশ্রণে চলছিলো আইসক্রিম তৈরি। এরপর ব্রান্ডের মোড়ক লাগিয়ে চলে যাচ্ছিল স্থানীয় বাজারে। চট্টগ্রাম নগরীর চাঁন্দগাও মোহরা এলাকায় এরকম একটি আইসক্রিম কারখানার সন্ধান পায় নিরাপদ খাদ্য অধিদফতর। যেখানে আইসক্রিম তৈরি করতে খাবারের রঙের পরিবর্তে তৈরি হচ্ছিল ক্ষতিকর কাপড়ের রং।

রোববার (৫ মে) সকাল থেকে চলা এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সোবহান।

এ সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আইসক্রিম তৈরি করায় স্থানীয় নেয়ামত শাহ আইসক্রিম কারখানাটিকে সতর্ক করে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অপর একটি অভিযানে আইসক্রিম তৈরিতে পরিচ্ছন্নতা বিধি অনুসরণ না করায় নেজার ফুড বেভারেজ নামের আরও একটি আইসক্রিম কারখানাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে নিরাপদ খাদ্য অধিদফতর।

অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নিরাপদ খাদ্য অধিদফতরের সহকারী উপ পরিচালক আবদুর সোবাহান। আইসক্রিম তৈরিতে ক্ষতিকর এই সব রং ব্যবহার না থামালে স্বাস্থ্যের জন্য বড় ক্ষতি বলছেন ভোক্তা নিরাপদ খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

 

;