গুলি ও পিস্তলসহ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
গ্রেফতার মনছুর আলী, ছবি: বার্তা২৪.কম

গ্রেফতার মনছুর আলী, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গুলি ও পিস্তলসহ মনছুর আলী নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। একই সঙ্গে তার কাছ থেকে পাঁচ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতার মনছুর আলী কুড়িগ্রাম জেলার মাদক পাচার ও চোরাচালান সিন্ডিকেটের সদস্য।

রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান রংপুর র‌্যাব-১৩ এর মিডিয়া অফিসার মেজর গালিব মুহম্মদ নাতিকুর রহমান।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (৪ জানুয়ারি) কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গার পূর্ব ফুলমতি গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব সদস্যরা। অভিযানে এক রাউন্ড গুলি, একটি ওয়ান শ্যুটার (পিস্তল) গান ও ৫ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মনছুর আলীকে (৩৮) গ্রেফতার করা হয়। তিনি ফুলবাড়ী উপজেলার গজেরকুটি গ্রামের মৃত আমিন আলীর ছেলে।

র‌্যাবের দাবি, গ্রেফতার মনছুর আলী দীর্ঘদিন যাবৎ কুড়িগ্রামে মাদক পাচার ও চোরাচালান সিন্ডিকেটের শীর্ষ নেতৃত্বে থেকে মাদকের ব্যবসা করে আসছেন। তার মাধ্যমে গাঁজাসহ অন্যান্য মাদক দ্রব্যের চালান দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার এই ব্যবসায়ী মাদক পাচার ও চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।

মনছুর আলীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি তার সহযোগী অন্যান্যদের ব্যাপারে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

   

সকলের মাঝে এসডিজি বিষয়ক সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে: স্পিকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের সকল জাতীয় পরিকল্পনার সাথে এসডিজি লক্ষ্যগুলো সম্পৃক্ত। তাই দেশের সকলের মাঝে এসডিজি বিষয়ক সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে।

মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদের শপথকক্ষে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অনুকূলে ইউএনডিপি কর্তৃক সরাসরি বাস্তবায়নাধীন 'স্ট্রেনদেনিং ইনস্টিটিউশনস, পলিসিস অ্যান্ড সার্ভিসেস (এসআইপিএস) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় 'এমপি'স এনগেইজমেন্ট ইন মনিটরিং অ্যান্ড ইম্পলেমেন্টিং এসডিজিস: প্রগ্রেস অ্যান্ড প্রায়োরিটিস ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক সেশনে যোগ তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের মিলেনিয়াম ডেভলপমেন্ট গোল ও সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোল ঘোষিত সভাগুলোতে উপস্থিত ছিলেন। শেখ হাসিনা মিলেনিয়াম ডেভলপমেন্ট গোলের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও একইভাবে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জাতীয় সংসদ সদস্যরা বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন ইস্যুতে কাজ করে চলেছেন। জাতীয় সংসদের নতুন সদস্যদের এসডিজির বিভিন্ন কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে। এসডিজি'র উপর উপস্থাপিত আজকের সেশন থেকে সংসদ সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দশটি উদ্যোগের বাস্তবায়নে সংসদ সদস্যরা কাজ করলে, এসডিজি বাস্তবায়নের কাজও অগ্রসর হবে।

তিনি বলেন, বাজেট সেশনে সংসদ সদস্যরা এসডিজি বিষয়ে কথা বলতে পারেন এবং কোন ক্ষেত্রে কত বরাদ্দ তা দেখতে পারেন। সংসদ সদস্যরা সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। মন্ত্রণালয় কিভাবে এসডিজি বাস্তবায়ন করছে সে সম্পর্কে আলাদা বৈঠক করা যেতে পারে এবং সংসদ সদস্যদের মতামত নেয়া যেতে পারে।

অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু , মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি , শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাজ্জাদুল হাসান এমপি, বিপ্লব হাসান এমপি, এম এ মান্নান এমপি, আব্দুস সালাম মুর্শেদী এমপি, জারা জেবিন মাহবুব এমপি, অপরাজিতা হক এমপি, লায়লা পারভীন এমপি, অনিমা মুক্তি গোমেজ এমপি এবং সংসদ সদস্যগণ ও ইউএনডিপি'র প্রতিনিধিসহ সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এই সেশনে উপস্থিত ছিলেন।

;

অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের কার্যক্রম চলমান: প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সহযোগিতায় দেশের সব অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা খুব নিবিড়ভাবে কাজ করছি। তিনি (ফিরোজ আহমেদ স্বপন) যথার্থই বলেছেন। বেশ কিছু ভুঁইফোড় অনলাইন পোর্টাল ব্যাঙের ছাতার মতো বিভিন্ন জায়গায় গজিয়ে গেছে। তারা সাংবাদিকতা নয়, অপসাংবাদিকতার চর্চা করে। অপপ্রচার করে সমাজে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করে।

তিনি বলেন, মজার বিষয় হলো, যারা পেশাদারত্বের সঙ্গে সাংবাদিকতা করেন, তারা এ ধরনের পোর্টাল ও অনলাইনভিত্তিক পত্রিকাগুলো বন্ধের দাবি করেছেন। সাংবাদিক বন্ধুরাই বলছেন, এ ধরনের অপসাংবাদিকতার চর্চা যারা করেন, তারা আসলে পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যম যেগুলো আছে, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া, তাদের যে নিবন্ধিত পোর্টাল এবং যেসব পোর্টাল আবেদন করেছে, প্রক্রিয়াধীন আছে- পুরো তালিকা বিটিআরসিকে পাঠাব। এর বাইরে যত অনলাইন পোর্টাল আছে, যারা একটি আবেদনও করেনি, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য (বিটিআরসিকে) অনুরোধ জানাব।

;

নগরীতে বর্তমানে বন্যা হওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই: সিসিক মেয়র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট নগরীতে আগাম বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা কম রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। অপ্রত্যাশিত বন্যা হয়ে গেলেও সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে সিসিকের।

মঙ্গলবার (৭ মে) নগরীর ক্বীন ব্রিজ এলাকায় সুরমা নদী পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সুরমা নদীর পানির লেভেল ১০.৮০ সেন্টিমিটারের বেশি বেড়ে গেলে বিপৎসীমা হিসেবে ধরা হয়। বর্তমানে পানির লেভেল ৭.৩৬ সেন্টিমিটারের নিচে রয়েছে। এতে ধারণা করা যাচ্ছে যে, সিলেট নগরীতে বর্তমানে বন্যা হওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই।

মেয়র আরও বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার লক্ষে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাথে ইতিমধ্যে আলোচনা হয়েছে। যদি বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সব ধরনের সহযোগিতার প্রস্তুতি রয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশনের।

এসময় অ্যাসেসমেন্ট/রি—অ্যাসেসমেন্ট নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, আমি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। সিলেট নগরীর সর্বস্তরের জনগণ মেয়র পদে নির্বাচিত করেছেন। জনগণের ভোগান্তি বা ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ আমাকে দিয়ে হবে না।

তিনি বলেন, হোল্ডিং কর নিয়ে যদি কোনরূপ অসংগতি/অমিল পাওয়া যায় অবশ্যই ফরম—ডি এর মাধ্যমে আপত্তি করার ব্যবস্থা রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে নগরবাসীকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি বলেন, জনগণের ভোগান্তি বা কষ্ট হয় এমন কোনো কাগজে আমি স্বাক্ষর করবো না। আর এই বিষয়টি সম্মানিত নাগরিকদের সাথে আলোচনা করে একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্ত পৌঁছাবো।

এসময় সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমানসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

ফেনীতে ঝড়ে ভেঙেছে ১১৭ বৈদ্যুতিক খুঁটি, বিদ্যুৎহীন অধিকাংশ এলাকা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীতে কালবৈশাখীর তাণ্ডবের ৩০ ঘণ্টা পার হলেও এখনও বিদ্যুৎহীন জেলার অধিকাংশ উপজেলার সাধারণ মানুষ। গাছ উপড়ে বৈদ্যুতিক তারের উপর পড়াসহ, খুঁটি ভেঙে যাওয়া এবং ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে যাওয়াতে বিদ্যুৎহীন গ্রামীণ জনপদের মানুষ। ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জেলায় ১১৭টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে, ৯৭৬টি গাছ তারের উপর পড়েছে এবং ৫৮টি ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে গেছে।

বিদ্যুৎ এর পাশাপাশি মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল না হওয়াতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে চলতি বছরের মধ্যে ফেনীতে সর্বোচ্চ ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফেনী আবহাওয়া অফিস।

সোমবার (৬ মে) দুপুরে ফেনীর আকাশে হঠাৎ বয়ে যায় কালবৈশাখী ঝড়। এতে গাছপালা পড়ে বন্ধ থাকে মহাসড়কের যান চলাচল। ভেঙে যায় বহু এলাকার ঘরবাড়ি, রাস্তায় পড়ে যায় বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং অতিবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার ফলে নুইয়ে পড়ে ফসলী জমির ধান।

মঙ্গলবার (৭ মে) জেলার বিভিন্ন উপজেলার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, সোমবার দুপুরে হওয়া কালবৈশাখী ঝড়ের পর থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা অব্দি বিদ্যুৎ সচল হয়নি। মহাসড়কের গাছ অপসারণ হলেও গ্রামীণ অনেক সড়কে গাছ পড়ে থাকাতে স্বাভাবিক হয়নি গ্রামীণ যানচলাচল। মোবাইল নেটওয়ার্ক কার্যক্রমও স্বাভাবিক নেই। বিদ্যুৎ না থাকাতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফ্রীজে রাখা খাদ্য সামগ্রী। বিদুৎ না থাকাতে প্রস্তুতি নিতে হিমশিম খাচ্ছে অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। তবে কবে নাগাদ বিদ্যুৎ সচল হবে তা জানাতে পারেননি পল্লী বিদুৎ বিভাগ।

ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার উপর পড়ে আছে বিদ্যুৎ এর খুঁটি। খুঁটি অপসারণের কাজ চলমান থাকলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হওয়াতে সময় লাগছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

আব্দুল করিম নামে এলাকার একজন বাসিন্দা বলেন, কাল থেকে এখন অব্দি বিদ্যুৎ নেই। বৃষ্টি হওয়াতে গরমের পরিমাণ কম হওয়াতে কিছুটা স্বস্তি থাকলেও ফ্রীজে রাখা পচনশীল দ্রব্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ছেলেমেয়েরা পড়ালেখা করতে পারছেনা, লাইটে চার্জ শেষ। সবমিলিয়ে বেশ ভোগান্তিতে আছি।

জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার নিজকুঞ্জরা এলাকার বাসিন্দা আবু তৈয়ব বলেন, বিদুৎ এর পাশাপাশি মোবাইল নেটওয়ার্কও নেই। কাল থেকে বিদুৎ না থাকাতে মোবাইল বন্ধ, লাইটে চার্জ নেই। আজ বিদ্যুৎ সচল না হলে অন্ধকারে রাত কাটাতে হবে।

এদিকে চলছে স্নাতক ও ডিগ্রির বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষা। বিদ্যুৎ না থাকাতে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, কাল থেকে বিদ্যুৎ নেই। রাতে পড়তে পারিনি। কিভাবে প্রস্তুতি নেব তার ঠিক নেই।

মুজিবুর রহমান নামে গ্রামের এক ব্যবসায়ী বলেন, দোকান খুলে বসে আছি। ফ্রীজ বন্ধ, লাইট নেই। এভাবে ব্যবসা করা যায় না। বিদ্যুৎ না থাকাতে ব্যবসায় সাময়িক লোকসানের সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এদিকে সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জেলায় ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেনী আবহাওয়া অফিসের উচ্চমান পর্যবেক্ষক মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, চলতি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। সারাদিন আকাশ মেঘলা ছিল। রাতেও হালকা বৃষ্টি ও আকাশে মেঘ ছিল বলে জানান এ কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে ফেনী পল্লী বিদুৎ এর জিএম ফজলুর রহমান বলেন, জেলার ৬ উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ১১৭টি খুঁটি ভেঙে গেছে, ৮৩৯টি স্থানে তার ছিঁড়ে গেছে, ৯৭৬টি গাছ তারের উপর পড়েছে এবং ৫৮টি ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে গেছে। পাশাপাশি অনেক সরঞ্জাম নষ্ট হয়েছে।

বিদ্যুৎ সচল হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, খুঁটিগুলো সংস্কার করতে হবে, নতুন ট্রান্সফরমার লাগাতে হবে। সবকিছু মিলিয়ে সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। যার ফলে বলা যাচ্ছেনা কখন নাগাদ বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হবে। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকরা দ্রুত ঠিক করার জন্য কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

;