সিলেটের উন্নয়নে বরাদ্দ হাজার কোটি টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সিলেটে আলী আমজদের ঘড়ি/ ছবি: সংগৃহীত

সিলেটে আলী আমজদের ঘড়ি/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চারদিকে পাহাড়, টিলা আর চা বাগানে ঘেরা মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জেলা সিলেট। বিগত এক দশকে যখন সারা দেশে একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে, সেখানে সিলেটের উন্নয়নের গতি ‘তুলনামূলক’ ছিল তলানিতে। খানাখন্দে ভরা রাস্তাঘাট, যানজট, অনুন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, সামান্য বৃষ্টির পানিতে রাস্তাঘাট ডুবে জলাবদ্ধতায় নিত্য দুর্ভোগ পোহাতে হত সিলেটবাসীকে।

তাই সিলেট নগরীর অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। অবশেষে সিলেটবাসীর জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়নে মেগাপ্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। আগামী চার বছরের মধ্যে সিলেট নগরীর উন্নয়নে প্রায় ১২২৮ কোটি এক লাখ ৮৭ হাজার টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পটি গ্রহণ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, যা বাস্তবায়ন করবে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (এসসিসি)।

জানা গেছে, চলতি বছরের ৩০ মে ‘সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্প প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। এরপর ৩ জুলাই প্রস্তাবনার ওপর মূল্যায়ন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার আলোকে ৯ জুলাই কার্যবিবরণী জারির পর ২২ অক্টোবর পুনর্গঠিত প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। এর আলোকে সেটি গত ২৪ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক নির্বাহী কমিটির সভায় অনুমোদিত হয়। ২০০১ সালে সিলেট সিটি কর্পোরেশন গঠিত হওয়ার পর থেকে এটিই হলো সবচেয়ে বড় উন্নয়ন বরাদ্দ।

প্রকল্পটি মূল্যায়ন করতে গিয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য শামীমা নার্গিস বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণ, উন্নয়ন কার্যক্রমের গুণগত মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যন্ত্রপাতি ও যানবাহন সরবরাহ করা হবে। এ বিবেচনায় প্রকল্পটি অনুমোদনযোগ্য।

জানা গেছে, অবস্থানগত কারণে সিলেট নগরীতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় রাস্তাঘাট অধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাহাড়ি ঢলে ছড়া ও ড্রেনগুলো মাটি দিয়ে ভরাট হয়ে যায়। তাই অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলে নগরীতে দেখা যায় জলাবদ্ধতা। তাই নগরীর সড়ক উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সড়ক ব্যবস্থাপনা ও এর কার্যক্রমের গুণগত মান বজায় রাখার জন্য নানা ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন হবে।

প্রকল্পের আওতায় ২৬২ কিলোমিটার রাস্তা উন্নয়ন করা হবে। মহানগরীর পুকুর সংরক্ষণ ও ভূমিধস হতে নগরবাসীকে রক্ষার জন্য ৯ কিলোমিটার আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা হবে। ফুটপাথ ব্যবহারে পথচারীদের আকৃষ্ট করার জন্য ফুটপাথের উপর ৬৫ কিলোমিটার পেভিং ব্লক স্থাপন করা হবে, সড়ক দুর্ঘটনা এড়ানো ও রাস্তার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ২০ কিলোমিটার বৃক্ষ রোপণসহ রোড ডিভাইডার নির্মাণ করা হবে, নগরবাসীর নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য ৬টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হবে।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, নগরীর উন্নয়নে আরও ৩২৭ কিলোমিটার ড্রেন, ১৯৫ কিলোমিটার পাইপ লাইন স্থাপন, ১৪৫ কিলোমিটার সড়কবাতি স্থাপন, ৮ কিলোমিটার রিটেইনিং ওয়াল, ১ কিলোমিটার ভূমিধস রোধে সিসি ব্লক স্থাপন, ২০টি যন্ত্রপাতি ও ৩৬টি যানবাহন ক্রয় করা হবে।

প্রকল্পটির বছরভিত্তিক ব্যয় বিভাজন তালিকা থেকে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যয় করা হবে ২৬৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যয় হবে ২৯৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, ২০২১-২২ অর্থবছরে ব্যয় হবে ২৯৮ কোটি ৪৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকা, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যয় হবে ৩৬৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

অন্যদিকে অঙ্গভিত্তিক ব্যয় বিভাজন তালিকা থেকে জানা যায়, প্রকল্পটির মোট ব্যয়ের সিংহভাগ ধরা হয়েছে আরসিসি রাস্তা, আরসিসি ড্রেন, আরসিসি ড্রেনসহ ফুটপাত নির্মাণ খাতে।

সিলেটের উন্নয়নের জন্য হাজার কোটি টাকার প্রকল্প পাস হওয়ায় মহানগরীতে আনন্দের ছোঁয়া লেগেছে। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সিলেটের উন্নয়নের ব্যাপারে সবসময়ই সচেষ্ট। সিলেট নগরীর উন্নয়নে আমরা যে প্রকল্প প্রস্তাবনা পাঠিয়েছিলাম, তা কোন কাটছাঁট না করেই পাস করেছেন। সিলেট সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে এত বড় প্রকল্প এর আগে অনুমোদন পায়নি। একনেকে এই প্রকল্প পাসের জন্য সিলেট নগরবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

সিলেট নগরীর উন্নয়নে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ। মহানগর সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, সিলেটের উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির জনকের কন্যা যে কথা দেন, সেটা রক্ষাও করেন। এর প্রমাণ সিলেটের উন্নয়নে এক সঙ্গে এক হাজার কোটি টাকার প্রকল্প পাস। এর আগে কখনই সিলেটের উন্নয়নে এক সঙ্গে এত বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।

   

প্রকল্প বসবাসের উপযোগী না হওয়ায় সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর ও ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্প এখনও বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এত বছরেও এই দুটি প্রকল্প বসবাসের উপযোগী না হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখতে জুলাই মাসে সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন কমিটির সদস্যরা।

এছাড়াও তারা ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের পরিত্যক্ত জমিতে ফ্ল্যাট নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করে।

রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত অনুমতি হিসাব সম্পর্কিত কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম।

বৈঠকে জানানো হয়, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ১৯৯৫ সালে। কাজ শুরুর পর প্রকল্পের মেয়াদ এখনও পর্যন্ত সাত বার বাড়ানো হয়েছে। সবশেষ প্রকল্পের মেয়াদ দেড় বছর বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়া কেরানীগঞ্জে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পাশে ঝিলমিল আবাসিক এলাকার প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ১৯৯৭ সালে।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি বলেন, পূর্বাচল ও ঝিলমিল প্রকল্প দুটো যাতে দ্রুত বসবাসের উপযোগী করা হয়, মন্ত্রণালয়কে সেই পরামর্শ দিয়েছি। শুধু রাস্তা করলেই হবে না। সেখানে ওয়াসার সুযোগ-সুবিধা লাগবে, বিদ্যুৎ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লাগবে। এগুলো হলেই মানুষ বাড়িঘর করে সেখানে থাকবে। তা না হলে কেউ থাকবে না।

বৈঠকে বৈঠকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয় এবং চলমান প্রকল্পগুলো সমাপ্ত না করে নতুন প্রকল্প গ্রহণ না করার জন্য সুপারিশ করে কমিটি। এছাড়াও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত এবং গ্রামীণ মাটির রাস্তাগুলো টেকসই করার লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ডকরণ বর্ষাকালের পরিবর্তে শীতকালে করার জন্য সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধিদপ্তরের টেন্ডার আহ্বান করার কার্যক্ষমতা ও বিধিবিধান রয়েছে কি না তার তথ্য-উপাত্ত আগামী এক মাসের মধ্যে কমিটির কাছে উপস্থাপনের জন্য সুপারিশ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য ও চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, মাহবুবউল আলম হানিফ, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রাণ গোপাল দত্ত, অপরাজিতা হক, শাহরিয়ার আলম এবং খাদিজাতুল আনোয়ার।

;

লক্ষ্মীপুরের ইউপি নির্বাচনে ৩ নতুন ২ পুরাতন মুখ বিজয়ী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম লক্ষ্মীপুর
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনব্যপী শান্তিপূর্ন ও উৎসবমুখর পরিবেশের ভোটে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন নতুন ২ জন পুরাতন মুখ বিজয়ী হয়েছেন।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে দশটায় উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষনা করা হয়।

এদিন সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

ভোটগ্রহন ও গননা শেষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রাপ্ত ভোটে দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন বর্তমান চেয়ারম্যান মীর শাহ আলম। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৬২৪৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ আবুল কাশেম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৬০১ ভোট।

দালাল বাজার ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন নজরুল ইসলাম। চশমা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬৩৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুর নবী অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৭৬০ ভোট।

বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে মিজানুর রহমান চশমা প্রতীকে ৬৪০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্বী শেখ জামান রিপন পেয়েছেন ৩৩৯০ ভোট।

লাহারকান্দি ইউনিয়নে টেলিফোন প্রতীকে আশরাফুল আলম বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫৫৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খোরশেদ আলম অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭৭৩ ভোট।

তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ওমর হুসাইন ভুলু আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৭৫৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বোরহান চৌধুরী পেয়েছেন অটোরিকশা প্রতীকে ৬২৩৯ ভোট।

প্রসঙ্গত: সীমানাজনিত মামলা জটিলতা শেষে দীর্ঘ ১৩ বছর পর জেলার সদর উপজেলার ২নং দক্ষিণ হামছাদি, ৩নং দালাল বাজার, ৬ নং বাঙ্গাখাঁ, ১৫ নং লাহারকান্দি ও ১৯ নং তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।

এ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল। নির্বাচনে ভোটাররা শান্তিপূর্ন উৎসবমুখর পরিবেশে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করেন।

;

রিসোর্টে তরুণী ধর্ষণের ২৫ দিনেও গ্রেফতার নেই মালিক ও কথিত প্রেমিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মোহাম্মদপুর বসিলা গার্ডেন সিটি হাউজিং আবাসিক এলাকায় গড়ে ওঠা একটি রিসোর্টে এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর প্রায় এক মাস পার হলেও গ্রেফতার হয়নি মামলার মূল দুই আসামি। এদের একজন ওই তরুণীর কথিত প্রেমিক মো. আকাশ (২৮), অপরজন রিসোর্টের মালিক আব্বাস আলী (৪৫)। মামলার অপর আসামি রিসোর্টের ম্যানেজার ইমরান (৩৫) গ্রেফতার রয়েছেন।

পুলিশ বলছে, দুই আসামি পলাতক রয়েছে। অথচ সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রিসোর্টের মালিক আব্বাস হোটেলে উপস্থিত থেকে ব্যবসা সামলাচ্ছেন। এমনকি দাবি করছেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।

এ ব্যাপারে পুলিশের বক্তব্য, যেকোনো সময়েই ধরা হবে এই ধর্ষণ মামলার আসামিদের।

মোহাম্মদপুর থানার বসিলা ৪০ ফিট সড়কের এসবিপিএন পুলিশ ব্যারাকের পাশেই এই রিসোর্ট। প্রায় এক বিঘা জমির উপর গড়ে তোলা ‘জলতরঙ্গ সুইমিংপুল ও রিসোর্ট’-এ গত ২ এপ্রিল ওই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

ধর্ষণের শিকার তরুণী বাদী হয়ে জলতরঙ্গ রিসোর্টের মালিক, ম্যানেজার ও তার কথিত প্রেমিকের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২ এপ্রিল রাতে আকাশ নামে এক যুবক তার বান্ধবী ভুক্তভোগী তরুণীকে নিয়ে ঘুরতে যান। সেখানে মেয়ে বান্ধবীকে রিসোর্টের মালিক ও ম্যানেজারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। রাতে সুইমিংপুলে সাঁতার কাটার পর খাওয়া দাওয়া শেষে রিসোর্টটির দ্বিতীয় তলায় একটি রুমে বিশ্রামের জন্য ভূক্তভোগীকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানে ধর্ষণের শিকার হন ওই তরুণী। তরুণীকে ধর্ষণ শেষে রুমে রেখেই পালিয়ে যান কথিত প্রেমিক আকাশ। ওই সময় ভূক্তভোগী তরুণী জাতীয় জরুরী সেবা-৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী ওই তরুণী থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।

ঘটনার ২৫ দিন পর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের বসিলায় এলাকার জলতরঙ্গ রিসোর্টে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এর এক পাশে তিন তলা ভবন। আরেকপাশে বিশাল সুইমিংপুল। প্রবেশ পথের পাশেই রিসোর্টের অফিস কক্ষ। ভেতরে একটি হলুদ সন্ধ্যার আয়োজন চলছে। রিসোর্টে প্রবেশ করতেই এক কর্মী এসে পরিচয় জানতে চান। নিজেদের একটি অনুষ্ঠানে বুকিং দেওয়ার কথা বলে রিসোর্টে প্রবেশ করেন এই প্রতিবেদক। তিন তলা ভবনের নিচতলায় ডাইনিং ও রান্না ঘর। দোতলায় প্রতিটি রুমের দরজায় পদ্মা, মেঘনা, যমুনাসহ দেশের উল্লেখযোগ্য বড় নদীর নামে ৮টি রুম। মাওলানা ভাসানীর নামে একটি কনফারেন্স হলও রয়েছে। ভবনের তৃতীয় তলায় রয়েছে রুফটপ রোস্তোরার আয়োজন। রিসোর্টে আসা অতীথিদের জন্য ছাদে চেয়ার টেবিলে বসে খাওয়ার জন্য ছোট ছোট টেবিল ও ছাতা রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বললে তারা অভিযোগ করে বলেন, নানা অপকর্ম চলে তলতরঙ্গ রিসোর্টে। এখানে নানা বয়সি ছেলে মেয়ের অবাধ মেলামেশা, মদ পান করে মাতলামি করতে দেখা যায়। তাদের মতে, এসব সেখানকার প্রতিদিনের ঘটনা। বিশেষ করে ইয়াবা বিক্রি হয়। গাজার দূর্গন্ধ পান বাসিন্দারা, অভিযোগ তাদের।

এই প্রতিবেদকের অবস্থানকালে সন্ধ্যার দিকে রিসোর্টে গোসল করতে আসেন দুই তরুণ ও কয়েকজন তরুণী তবে সুইমিং পুলিশের পাশে হলুদ সন্ধ্যা চলায় গোসলের অনুমতি মেলেনি সেদিন। রিসোর্টের অফিসে দেখা গেলো ম্যানেজারের চেয়ারে বসে আছেন এক ব্যক্তি। জানালেন তার নাম আব্বাস আলী।

প্রথমে নিজেকে রিসোর্টের ম্যানেজার পরিচয় দিলেও এক পর্যায়ে তিনি দাবি করেন রিসোর্টের মালিক তার ভাই। মালিক কোথায়? জানতে চাইলে বলেন, ব্যবসার কাজে তিনি বিদেশে গেছেন। ভাই না থাকায় আব্বাস সাময়িক দায়িত্ব পালন করছেন।

আব্বাস বলেন, আমি দক্ষিণ সিটিকর্পোরেশনের অঞ্চল-৫ এর কর কর্মকর্তা। আমার ভাইয়ের অনুপস্থিততে আমি এখানে এসে বসেছি।

অথচ এই আব্বাসই ধর্ষণ মামলার তিন নম্বর আসামি এবং আব্বাস নিজেই এই রিসোর্টের মালিক। ওই মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। আব্বাস বলেন, ‘আমরা যাদের কাছ থেকে জমি ভাড়া নিয়েছি তারাই এখন আমাদের ব্যবসায় বাধা দিচ্ছে। আমার এখানে নিজেরা ভবন তৈরি করেছি। অনেক কষ্টে ব্যবসা গড়ে তুলেছি এখন জমির মালিকের চোখ পড়েছে।’

পুলিশের ভাষ্যমতে আপনি পলাতক। কিন্তু, আপনি নিয়মিত রিসোর্টে বসেই অফিস করছেন, কিভাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই মামলা একটি বানোয়াট মামলা। এটা পুলিশ বুঝতে পেরে আমাকে মামলা থেকে অব্যহাতি দিয়েছে।’

ম্যানেজারের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে জানতে চাইলে আব্বাস দাবি করেন, ‘আসামি ইমরান রিসোর্টের ম্যানেজার না। সে ইলেকট্রিক মিস্ত্রী। সে স্থায়ী কর্মী নয়, কোনো সমস্যা হলে খন্ডকালীন কর্মী হিসেবে এসে কাজ করে দিয়ে যায়। আকাশের সঙ্গে তার সখ্যতা থাকায় সে অবৈধ কাজের সুযোগ করে দিয়েছে। তাই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।’

আবাসিক এলাকায় রিসোর্ট কোনো? জানতে চাইলে আব্বাস বলেন, ‘আবাসিক এলাকা হলেও এখানে সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাই রিসোর্ট করা অবৈধ না। সিটি করপোরেশনসহ সব কর্তৃপক্ষ আমাদের অনুমতি দিয়েছে।’

ভূক্তভোগী তরুণীর দাবি, মামলার ২৫ দিন পার হয়ে গেলেও এখনও অধরা রয়েছে রিসোর্ট মালিক আব্বাস আলী ও আকাশ। পুলিশ একজনকে আটক করলেও বাকিরা এখনও আটক না হওয়ায় আতঙ্কে দিন পার করছেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুল হক ভূঞা জানান, ‘এ ঘটনায় ভূক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় একজনকে আমরা আটক করেছি। বাকি আসামীরা পলাতক রয়েছে। আমরা পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা করছি।

পরে রবিবার (২৮ এপ্রিল) আসামি গ্রেফতার না করার বিষয় জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অনিক ভক্ত বলেন, ‘আমরা কাজ করছি। যেকোনো সময় ধরে ফেলবো।’

পুলিশের চোখে পলাতক আসামি নিয়মিত অফিসে বসছে কিভাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আসামির মোবাইলের সিডিআর নিয়েছি। অনলাইন অফলাইনে কাজ করছি। কিন্তু, কে কখন অফিসে আসে বা বসে এতো কিছু তো দেখা সম্ভব না। তবে আমরা কাজ করছি। ধরে ফেলবো।’

;

চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম চট্টগ্রাম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রশাসনের আশ্বাসে বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার চলমান ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে।

দীর্ঘ দুই ঘণ্টা আলোচনা শেষে রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টায় এ ঘোষণা দেন সংগঠনের আহ্বায়ক মঞ্জুর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের অনুরোধে জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে ৪৮ ঘণ্টার চলমান ধর্মঘট আমরা স্থগিত করেছি। জেলা প্রশাসক আমাদের দাবিগুলো মেনে নিয়েছেন, সেজন্য তাকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। পরবর্তীতে এরকম কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে পুনরায় ধর্মঘট দেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামের ৪৮ ঘন্টার পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। তা চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় জেলা প্রসাসক প্রসাশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ আমাদেরকে ডেকেছেন। আমরা উনার ডাকে সাড়া দিয়ে এসেছি এখানে। আমরা তার প্রতি সম্মান রেখে বলবো, চুয়েটে যে দুইজন ছাত্র নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন এবং একজন আহত হয়েছেন তার জন্য আমরা মর্মাহত। ওই ছেলেদের আমাদের পক্ষ থেকে কিছু সহযোগিতা দিয়েছি। এরপর আমাদের তিনটা গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের তিনটা গাড়ির বিষয়ে প্রশাসন আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন বিআরটিএর মাধ্যমে গাড়িগুলোর ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আমরা উনার আশ্বাসকে সাধুবাদ জানাই।’

তিনি‌ আরও বলেন, 'আমরা গাড়ি চালানোর জন্য ব্যবসা করি। আমাদের কাপ্তাই সড়কের চুয়েটের সামনে বর্তমানে যে বিবাদমান আন্দোলন, এই আন্দোলনে আমরা ভীত-সন্ত্রস্ত। জানি না আবার গাড়ি চালাতে গিয়ে কোনো ক্ষতিগ্রস্ত হবো কিনা। তারপরও ডিসি মহোদয় আমাদেরকে বলেছেন, উনার কথায় আস্থা রেখে আমরা গাড়ি ছাড়ব। আমাদেরকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেবে, যদি আমাদের কোন গাড়ি যদি সেই দুর্ঘটনা বা আক্রমণের শিকার হয় অথবা আমাদের এবি ট্রাভেলস বা শাহ আমানতের কোন গাড়ি যদি ইচ্ছাকৃত কোন আক্রমণের শিকার হয়, উদ্ভূত কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে আমরা পুনরায় ধর্মঘট শুরু করব। জেলা প্রশাসকের আহবানে আমরা জনস্বার্থের কথা চিন্তা করে ধর্মঘট স্থগিত করলাম।'

বৈঠকে মনজুর আলম বলেন, ‘কাপ্তাই সড়কে গাড়ি চললে চট্টগ্রামের সব সড়কে গাড়ি চলবে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেটি অন্তত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সরকারকে বিব্রত করতে চাইনা। আমরা সবমসময় সরকারকে সহযোগিতা করেছি। আমরা গাড়ি চালাবো। আপনাতত আমাদের দাবিগুলো আপনি পূরণ করার আশ্বাস দিয়েছেন আমরা আপনার আশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’

এর আগে সভায় জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান বলেন, ‘আপনারা যে দাবিগুলো বলেছেন তার মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে নিরাপত্তা। নিরাপত্তার বিষয়ে আমি আপনাদেরকে আশ্বস্ত করতে চাই, আপনারা গাড়িগুলো চালান আমরা নিরাপত্তা দেব। প্রয়োজনে পুলিশ স্কোয়ার্ড ও আমাদের দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। আর হামলায় গাড়িগুলো কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটি বিআরটিএ দেখবে। এরপর আমরা সেটির ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা যায় কিনা দেখবো। ক্ষতিপূরণের জন্য মাননীয় মন্ত্রী ও সচিব মহোদয়ের সঙ্গে আমরা কথা বলব। যাতে আপনাদের তিন গাড়ির ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা যায়।’

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খান বলেন, দুইজন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনার পর থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। নিরাপত্তার বিষয়টি সেখানে খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। গাড়িগুলো যাওয়া আসার সময় সামনে পেছনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ স্কোয়াড থাকবে।

এ সময় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার নোবেল চাকমা বলেন, ‘সড়কের মধ্যে দাড়িয়ে যে চাদাঁবাজি করা হচ্ছে সেটি বন্ধ করুন। না হয় আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। সড়কে যত্রযত্র গাড়ি থামানো যাবে না। মামলা প্রত্যাহারের যে দাবি তোলা হয়েছে সেটি আসলে তদন্তের আগে জানানো সম্ভব নয়। আর গাড়ি পোড়ানোর বিষয়ে মামলা কেউ করতে চাইলে করতে পারবে।’

বিআরটিএ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক রায়হানা আক্তার বলেন, ‘দুর্ঘটনায় নিহত দুই শিক্ষার্থীর মাথায় হেলমেট ছিল না। মোটরসাইকেলেরও নিবন্ধন ছিল না বলে আমরা জানতে পেরেছি। এ ছাড়া যে বাসটি মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়েছে, সেটা ছিল ফিটনেসবিহীন। চালকের লাইসেন্স ছিল না।’

সভায় পূর্বাঞ্চলীয় সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী, রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান মেহেবুবসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পরিবহন মালিক শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের পাঁচ জেলায় ৪ দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের এই ঘোষণা দেয় বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্যপরিষদ। পরে অবশ্য তিনটি পরিবহন সংগঠন ধর্মঘট প্রত্যাখানের ঘোষণা দেয়। কিন্তু, এই সংগঠগুলো টেম্পো জাতীয় পরিবহন সংশ্লিষ্ট। ফলে তাদের প্রত্যাখানে তেমন একটা প্রভাব পড়ছে না।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত হয়। এর জের ধরে ওইদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন।

গত ২৪ এপ্রিল ঘাতক বাসের চালককে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপরও ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামাতে ২৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করলে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা গণপরিবহনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর প্রতিবাদে পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়।

;