দেশজুড়ে চলছে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সারা দেশে ৪৪ হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চলছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

সারা দেশে ৪৪ হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চলছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নদী ও খালের স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত এবং দূষণ রোধে সারা দেশে ৪৪ হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) থেকে অভিযান শুরু হয়েছে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরাসরি উপস্থিত থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এতে সহযোগিতা করছে জেলা প্রশাসন।

বিস্তারিত আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে:

রংপুর:

রংপুরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর পার্কের মোড় এলাকার খোকসা ঘাঘট নদীর আশেপাশে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দুপুর ২টা পর্যন্ত তিনটি স্থাপনা সরিয়ে ফেলা হয়।

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে দেশজুড়ে চলে সাঁড়াশি অভিযান

এর আগে অভিযানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আসিব আহসান। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শরীফ মোহাম্মদ ফয়জুল আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছন্দা পালসহ জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সকল জেলাতে নদী ও খাল দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। রংপুরেও নদী-খাল উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান চলছে।

নদী ও খালের স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত এবং দূষণ রোধে এ অভিযান

তিনি বলেন, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্কের মোড় এলাকায় নদী ও খাল দখলে রাখা ১৬টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করেছি। সবগুলোই উচ্ছেদ করা হবে।

ডিসি বলেন, পর্যায়ক্রমে রংপুরের শ্যামা সুন্দরী খাল ও তিস্তা নদী দখল মুক্ত করা হবে। নদী-খাল উদ্ধারে অবৈধ দখলদারদের কোন ছাড় দেয়া হবে না।

ময়মনসিংহ:

ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালানো হয়েছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টা থেকে কালীবাড়ি গুদারাঘাট এলাকা থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। এসময় বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয় নদের জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা পাকা-আধাপাকা ও টিনশেড ঘর এবং দোকানপাট।

 অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে মাঠে নেমেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়

অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল হাশেম ও সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম সাজ্জাদুল হাসান।

এম সাজ্জাদুল হাসান বলেন, ময়মনসিংহের পাটগুদাম ব্রিজ থেকে কাচারিঘাট পর্যন্ত সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবগুলো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

পটুয়াখালী:

জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সকালে শহরের হেতালিয়া বাধঘাট থেকে অভিযান শুরু করে অভিযানের প্রথম দিনে ২৮টি অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে ফেলা হয়।

অভিযান পরিচালনার সময় পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান, পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মামুনুর রশীদ, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সকাল থেকে শুরু হয় অভিযান

লক্ষ্মীপুর:

দুপুরে সদর উপজেলার জকসিন বাজারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় খাল দখল করে সড়কের পাশে গড়ে উঠা অবৈধ ৫০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুমন দে, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামুনুর রশিদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

চাঁদপুর:

চাঁদপুর সদরের পানি উন্নয়ন বোর্ড সংলগ্ন লেক থেকে ১৫টি ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার সিআইপি বেড়িবাঁধ সংলগ্ন খালের পাশে থাকা ২২৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে অভিযান শুরু হয়।

উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগিতা করছে জেলা প্রশাসন

অভিযানে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, চাঁদপুর সড়ক বিভাগ ও জেলা পুলিশ সহযোগিতা করে।

এসময় জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রফিক উল্যাহ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান, সড়ক ও জনপথ বিভাগ চাঁদপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মোশারফ হোসেন, ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলি হরি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবিদা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা:

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় জি কে খালের পাশে গড়ে উঠা দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। সোমবার সকাল থেকে অভিযান শুরু হয়।

এসময় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, জি কে খালের পাশে ২৮৪ জন অবৈধ দখলদার আছে। এখন পর্যন্ত দুইশর ওপরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাকি গুলো পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে।

উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে

তিনি বলেন, নদী ও খালের পানি প্রবাহকে চলমান রাখতেই নদীর পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। বাকি অবৈধ স্থাপনা গুলো পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে।

জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, জি,কে খালের পাশে ২৮৪ জন অবৈধ দখলদার আছে। নদী খালের পানি প্রবাহকে চলমান রাখতেই নদীর পাশে গড়ে ওঠা এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে।

নোয়াখালী:

নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীন ছোট-বড় খালের পাড়ে ১৫০০ একর সম্পত্তি উদ্ধারে অভিযান শুরু হয়েছে। এ সম্পত্তিতে প্রায় ১৩০০ অবৈধ স্থাপনা রয়েছে।

অভিযানে কাউকে ছাড় না দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত জেলা সদরের মন্নান নগর চৌরাস্তা এলাকায় তিন শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. জাকারিয়ার নেতেৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সহযোগিতা করে।

এছাড়াও ভোলা, পঞ্চগড় সদর উপজেলা, রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা, রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ ও  নেত্রকোনা জেলা শহরে এ অভিযান চালানো হয়। 

   

ঢাকায় পৌঁছেছে ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ লিবিয়া থেকে বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহবাহী সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের এসভি৮০৮ ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বলে জানা যায়।

এর আগে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মৃতদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়। ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন তিউনিসিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশার ও দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) গাজী মো. আসাদুজ্জামান কবির। 

এ ঘটনায় একটি মামলাও হয়েছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি অভিবাসী দল নৌকায় করে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় লিবিয়ার জোয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। যাত্রাপথে নৌকাটি তিউনিসীয় উপকূলে গেলে মধ্য রাত সাড়ে চারটার দিকে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকাটিতে মোট ৫৩ জনের মধ্যে ৫২ জন যাত্রী এবং একজন চালক ছিলেন। 

দুর্ঘটনার পর তাদের মধ্যে ৪৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে পাকিস্তানের আট জন, সিরিয়ার পাঁচ জন, মিশরের তিন জন ও নৌকা চালক রয়েছেন।

ওই ঘটনায় নৌকায় থাকা ৯ জন যাত্রী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে আট জন বাংলাদেশি নাগরিক। নিহত অপর ব্যক্তি পাকিস্তানের নাগরিক।

নিহত বাংলাদেশিরা হলেন মামুন শেখ, সজল বৈরাগী, নয়ন বিশ্বাস, রিফাত শেখ, সজীব কাজী, ইমরুল কায়েস আপন, মো. কায়সার ও রাসেল শেখ। তারা পাঁচজন মাদারীপুরের ও তিনজন গোপালগঞ্জের।

ব্র্যাকের সহযোগি পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্লাটফর্ম) শরিফুল হাসান জানান, ওই নৌকায় থাকা আরও ১১ বাংলাদেশী দেশে ফিরেছে তারা। তাদের মধ্যে মাদারিপুর রাজৈর উপজেলার দুজন ব্র‍্যাকের সাথে যোগাযোগ করেন। তারা অভিযোগ করেন ওই ৮ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় যেহেতু একটা মামলা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে বিস্তারিত উঠে আসবে বলে আশা করছি‌।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় ঢাকার বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেন নিহত সজল বৈরাগীর বাবা সুনীল বৈরাগী। মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। সংঘবদ্ধভাবে খুনের ৩০২/৩৪ ধারা এবং মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে গত ১৯ এপ্রিল মামলা দায়ের করার দুইদিন পরই তাদের আটক করা হয়।

মামলার এজাহারে সুনীল বৈরাগী অভিযোগ করেন, তার ছেলে সজল বৈরাগী উন্নত জীবনের আশায় ইতালি যেতে ইচ্ছুক ছিলেন। সজলের পূর্ব পরিচিত যুবরাজ কাজী (২৪) এবং লিবিয়ায় অবস্থানরত মোশারফ কাজী ১৪ লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে বৈধ পথে ইতালি প্রেরণের প্রস্তাব দেন। সজল বৈরাগী ও তার পরিবার এই প্রস্তাবে রাজি হয়।

দুই পক্ষের সম্মতিতে গত বছর ১৭ নভেম্বর যুবরাজ কাজীর গোপালগঞ্জের বাসায় আড়াই লাখ টাকা এবং পাসপোর্ট দেন সজল। ৩০ ডিসেম্বর তাকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেয়া হয়।

বিমানবন্দরে প্রবেশের আগে গাড়ি থেকে নামার আগেই সজলের কাছ থেকে আরও নগদ পাঁচ লাখ টাকা নেন যুবরাজ কাজী। ৩১ ডিসেম্বর সকাল ছয়টায় দুবাই রওনা হন তিনি।

৮ জানুয়ারি গোপালগঞ্জের বাসায় গিয়ে যুবরাজ কাজীর হাতে আরও সাড়ে ছয় লাখ টাকা দিয়ে আসেন পিতা সুনীল বৈরাগী। কিন্তু এরপর থেকে ছেলের সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি সুনীল।

এরপর গণমাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর চারটার মধ্যে লিবিয়া থেকে ইতালি অভিমুখে যাত্রা করা একটি ট্রলারে যে আট বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন তার মধ্যে সজল রয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ২০ জনের একটা চক্র পারস্পরিক যোগসাজশে নিহতদের উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করেন। তারা নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও উত্তাল সাগরে ছোট নৌকায় তুলে দিয়ে পানিতে ডুবিয়ে তাদের মৃত্যু ঘটান।

;

খাগড়াছড়িতে বজ্রপাতে স্কুল শিক্ষার্থী নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,খাগড়াছড়ি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গায় বজ্রপাতে এক স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে মাটিরাঙ্গার বড়নালের ইব্রাহিম পাড়ায় বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে স্কুল শিক্ষার্থী ইয়াছিন আরাফাতের মৃত্যু ঘটে।

নিহত ইয়াছিন আরাফাত ওই এলাকার ইউসুফ মিয়ার বড় ছেলে।

জানা যায়, বৃষ্টির আগে দমকা হাওয়ার সময় বাড়ির পাশের গাছ থেকে আম কুড়াঁতে যায় আরাফাত। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে তার মৃত্যু ঘটে।
মাটিরাঙ্গার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডেজী চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বজ্রপাতে একজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে বিধি মোতাবেক সহযোগীতা করা হবে।

;

উপজেলা নির্বাচনে ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রীই ‘স্বজন’: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে ‘স্বজন’ সংজ্ঞায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পারিবারিক ফর্মূলা কী- নিজের ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রী! এর বাইরে তো পরিবার হয় না! আমরা চাচ্ছি, ইলেকশনটা (নির্বাচন) যেন প্রভাবমুক্ত হয়! মানুষ যেন স্বাধীনভাবে ভোটটা দিতে পারেন’!

বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে থাইল্যান্ড সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের পরিবারের অনেকে তো দীর্ঘদিন ধরে একটা জায়গায় আগে থেকেই নির্বাচন করেন। যিনি এমপি হয়েছেন, তার বহু আগে থেকেই হয়ত ইউনিয়ন বা উপজেলা চেয়ারম্যান তার স্ত্রী। তবে এটা ঠিক, এক জায়গায় বউকে দিলো, আরেক জায়গায় ছেলেকে দিলো, সেটা ঠিক না! কর্মীদেরও মূল্যায়ন করা উচিত। সবকিছু নিজেরাই নিয়ে নেবো, আমার নেতাকর্মীদের জন্য কিছু রাখবো না, সেটা তো হয় না!

তিনি বলেন, সবাই দাঁড়াচ্ছে। দাঁড়িয়েছে। ইলেকশন করছে, এটার অর্থ হলো- নির্বাচনটা অর্থবহ করা।

কয়েকটি দলের নির্বাচন বর্জনের প্রসঙ্গে টেনে শেখ হাসিনা বলেন, অনেকগুলি রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করছে। বর্জন করে কেন! কারণ, নির্বাচন করার মতো সক্ষমতায় তারা নেই। ‘পার্লামেন্ট ইলেকশন’ করতে হলে জনগণকে তো দেখাতে হবে, পরবর্তী নেতা বা প্রধানমন্ত্রী কে হবেন! আপনার কাছে যদি উপযুক্ত নেতা না থাকে, তখন তো ছুতো খুঁজতে হয়। ইলেকশন করলাম না, বাস্তবতা তো সেটাই! আমাদের দেশে তো সেটাই হচ্ছে! সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে যদি জনগণকে দেখান, জনগণ তো নেবে না। রাজনীতি করতে হলে তো ঝুঁকি নিতেই হয়!

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ’৭৫-এর পরে আমাকে দেশে আসতে দেবে না। রেহানাকে তো পাসপোর্টটাও দেয়নি! যুদ্ধাপরাধী যাদের বিচার শুরু করেছিলেন জাতির পিতা, যারা সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তাদের ছেড়ে দিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিল, তারাই মন্ত্রী, উপদেষ্টা, ক্ষমতায়। খুনিরা ক্ষমতায়! ওই অবস্থায় তো আমি দেশে ফিরে এসেছি। আমার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। বার বার আঘাত এসেছে কিন্তু আমি বেঁচে গেছি। এটাই অনেকের কষ্ট। এতবার মারবার চেষ্টার পরও বেঁচে গেলাম কেন!

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বলেই ‘উন্নয়ন’ হয়েছে, এ মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার বা কথা বলার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বাঙালিদের। আগে তো নাম শুনলেই বলতো ‘গরিব’, ‘ভিক্ষুকের জাত’, সেই দুর্নামটা ঘোচাতে পেরেছি কি না, সেটাই বড় কথা!

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরো অনেক দেশেই নির্বাচন হচ্ছে। আমরা দেখবো, সেখানকার মানুষ কী রকম ভোট দেয়। আমরা সেটাও দেখবো। আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে, প্রক্রিয়াটাকে আরো গণমুখী ও স্বচ্ছ করা!

আমরা এই প্রথম আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি। আর্থিকভাবে এটি প্রধানমন্ত্রী দপ্তরনির্ভর ছিল। সেখান থেকেও মুক্ত করে স্বায়ত্তশাসিত করে দিয়েছি। আলাদা বাজেট করে দিয়েছি।

;

নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ফুস বালা (৮০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতককে আটক করতে না পারলেও মোটরসাইকেলটি জব্দ করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে উপজেলার ব্রাক অফিসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধা কেশবা জুগিপাড়ার মৃত শুরেন চন্দ্র রায়ের স্ত্রী।


প্রদক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নিহত বৃদ্ধা সকালে গাছের ডাল কুড়ানোর সময়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এসময়ে দ্রুত গতিতে আসা মোটরসাইকেলটি ধাক্কা দিলে বৃদ্ধা ছিটকে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। এবিষয়ে আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

;