মুরগির বাচ্চার মতো মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে এসপি বিপ্লবের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
আত্মসমর্পণকারী মাদকসেবীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এসপি বিল্পব, ছবি: বার্তা২৪.কম

আত্মসমর্পণকারী মাদকসেবীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এসপি বিল্পব, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার বলেছেন, 'প্রধানমন্ত্রীর নীতি মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। তাই কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। মাদকসেবী ও ব্যবসায়ী যে দলেরই হোক, কারো রেহাই নেই। অভিযোগের সত্যতা মিললে মুরগির বাচ্চার মতো মাদক ব্যবসায়ীদের ধরে জেলে ভরানো হবে।'

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে রংপুরের মিঠাপুকুরে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গি বিরোধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এতে মিঠাপুকুরের দুটি ইউনিয়নের ১০৭ জন মাদকসেবী ও ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেন।

মাদকের অন্ধকার থেকে আলোর পথে আত্মসমর্পণকারীদের উদ্দেশে এসপি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ভালো হবার সুযোগ বারবার আসে না। আপনাদের অন্যদের মতো সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে থাকার অঙ্গীকার করতে হবে। আজ যারা আত্মসমর্পণ করলেন, তাদের প্রতি পুলিশের নজরদারি আরো বেশি থাকবে। এরপর ভুল আর অপরাধ করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

নানকর দ্বীমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা পুলিশ আয়োজিত সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু মারুফ, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আরমান হোসেন, মিঠাপুকুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর আলী বিশ্বাস, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রুস্তম আলী মন্ডল প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন নানকর দ্বীমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন।

সমাবেশে ১০৭ জন নারী ও পুরুষ মাদক ব্যবসা ও সেবন ছেড়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। এসময় তাদের জেলা পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকারসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

আত্মসমর্পণকারী মাদক ব্যবসায়ীরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত হয়ে সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

   

ধানের দাম মণ প্রতি ১৫০০ টাকা করার দাবি



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষকদের উৎপাদিত ধানের প্রতি মণের মূল্য ১৫০০ টাকা করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ কৃষক সমিতি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা শাখা।

বুধবার (৮ মে) গৌরীপুর-রামপুর আঞ্চলিক সড়কের বীরআহাম্মদপুর এলাকায় এই কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচিতে সংগঠনের নেতা-কর্মী ছাড়াও স্থানীয় কৃষকরা অংশ নেয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এই বেরো মৌসুমে পাইকাররা কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি মণ মোটা ধান ৭০০ টাকা দরে ক্রয় করছেন। এই ধান বেঁচে এক কেজি গরুর মাংস কেনা যায় না। এছাড়াও ধানের আড়তদার ও মহাজনরা ঢলতা প্রথার নামে প্রতি মণে ২/৩ কেজি করে ধান বেশি নেয়ায় কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই আমরা প্রতি মণ ধানের মূল্য ১৫০০ টাকা, ঢলতা বাতিল ও সরকারি ভাবে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার দাবি জানাই।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন কৃষক সমিতি গৌরীপুর শাখার সভাপতি মজিবুর রহমান ফকির, সহসভাপতি তোফাজ্জল হোসেন হেলিম, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হাসনাত, কৃষক মো. স্বপন মিয়া, ফখর উদ্দিন মাস্টার, উসমান গনি, শরীফুল ইসলাম, হারুন অর রশিদ, লূত মিয়া, উজ্জল মিয়া প্রমুখ।

;

অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই: বিটিআরসি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যেসব অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন প্রচলিত রয়েছে, সেগুলো বন্ধের প্রয়োজন হলে গ্রাহকদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হবে। তাই অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাবে, এমনটি ভেবে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ।

বুধবার (৮ মে) দেশের টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম নিয়ে বিটিআরসির গণশুনানিতে অংশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ রিয়াজ বলেন, দেশে ব্যবহৃত অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন নিয়ে গ্রাহকদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। বর্তমানে দেশের নেটওয়ার্কে নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত উভয় মোবাইল ফোন সচল রয়েছে। তবে যেসব অবৈধ ফোন প্রচলিত রয়েছে, সেগুলো বন্ধের প্রয়োজন হলে গ্রাহকদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হবে। তাই অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাবে, এমনটি ভেবে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।

তবে ফোন কেনার সময় যাচাই করে নিবন্ধিত ফোন কেনা উচিত জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার এবং বিটিআরসির পক্ষ থেকে আমি গ্রাহকদের অনুরোধ করবো, সবাই যেন নিবন্ধন করা মোবাইল ফোন কেনেন। আমরা অনিবন্ধিত মোবাইল ফোনের বিষয়ে আপনাদের নিরুৎসাহিত করছি।

‘সব মোবাইল সেটই নেটওয়ার্কে কাজ করবে। কোনোটাই বন্ধ করা হবে না।’কারও কাছে অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন থাকলে বিটিআরসিতে এলে সেগুলোর নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান রিয়াজ আহমেদ।

গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এছাড়া বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্ব কমিশনের অন্যান্য কমিশনাররাও বিভিন্ন গ্রাহক ও প্রতিনিধিদের প্রশ্নের উত্তর দেন।

;

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাজতির মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শফিক মিয়া (৪৫) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।

মৃত শফিক মিয়া জামালপুর জেলার সদর উপজেলার ঘারামারা গ্রামের মৃত কালা চাঁনের ছেলে। সে মারামারি মামলার আসামি ছিলেন।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে নেয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার শাহ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শফিক মিয়া মারামারির মামলার আসামি। আগে থেকেই সে অসুস্থ ছিল। অসুস্থ অবস্থায় জামালপুর কারাগার থেকে ময়মনসিংহ কারাগারে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ময়মনসিংহ কারাগারে আনা হলে শফিক মিয়া আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে কারাগারের চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নেয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জেলার শাহ রফিকুল ইসলাম বলেন, নিহতের স্বজনরা এসেছে। সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

বাংলা সাহিত্যের সব শাখাতেই কবিগুরু ভূমিকা রেখেছেন: হানিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বাংলা সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নির্দেশকের ভূমিকা রেখেছেন।

বুধবার (৮ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কবির স্মৃতিবিজড়িত কুঠিবাড়ি আঙিনায় দুইদিনের রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী ও আলোচনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনাদর্শ ও তার সৃষ্টিকর্ম শোষণ-বঞ্চনামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে চিরদিন বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করবে। তিনি বাঙালির চেতনা ও মননের প্রধান প্রতিনিধি। বিশ্বকবির কুঠিবাড়ী, কাচারিবাড়িসহ তার সব স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টার অব্যাহত আছে।

কুষ্টিয়ার ঐতিহ্য আমাদের এই শিলাইদহের কুঠিবাড়ি উল্লেখ করে মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেন, প্রতিনিয়ত এখানে রবীন্দ্রপ্রেমী ও দর্শনার্থীদের আগমন ঘটে। তাই এখানে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র করতে আরও বেশি উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের তৎপরতা বাড়াতে হবে যাতে করে পর্যটকদের কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হয়। একইসাথে এই শিলাইদহে ভবিষ্যতে শান্তি নিকেতনের আদলে কিছু করা যায় কিনা সেটাও ভেবে দেখা হবে।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ, পুলিশ সুপার এএইচ এম আবদুর রকিব, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শিশির কুমার রায়, সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, জাগ্রত মহানায়ক শিহাব রিফাত আলম, জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটির চেয়ারম্যান প্রফেসর নজরুল ইসলাম তামিজি প্রমুখ।

কবির কর্মময় জীবন নিয়ে আলোচনা করেন রবীন্দ্র গবেষক ইবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সরওয়ার মুর্শেদ রতন, শিলাইদহ রবীন্দ্র সংসদের পরিচালক আফজাল হোসেন।

এর আগে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের কণ্ঠে সূচনা সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। দুই দিনব্যাপী রবীন্দ্রমেলাকে ঘিরে শিলাইদহ কুঠিবাড়ি আঙিনা হাজারো দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। তবে প্রচণ্ড গরম এবং উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের কারণে তিন দিনের এ অনুষ্ঠানকে দুই দিনেই শেষ করা হবে।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন বিশ্বকবির ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানে কুঠিবাড়ির মূলমঞ্চে প্রতিদিনই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলার সংগঠনসহ জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীরা কুঠিবাড়ির মূলমঞ্চে রবীন্দ্র সংগীত, কবিতা আবৃত্তি, দলীয় নৃত্য পরিবেশন ও রবীন্দ্রনাথের লেখা নাটক মঞ্চস্থ করবেন।

এদিকে, রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকীতে কুঠিবাড়ি চত্বরে বসেছে বিশাল গ্রামীণ মেলা। নানারকম পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। ঐতিহাসিক এই উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

জমিদারি দেখাশোনার জন্য ১৮৯১ সালে প্রথম এই কুঠিবাড়িতে আসেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নিরিবিলি পরিবেশ, জমিদারি আর ব্যবসার কারণে বার বার কুষ্টিয়ার এই কুঠিবাড়িতে ফিরে আসতেন তিনি। নিভৃত বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চল কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কবির জীবনের বেশকিছু মূল্যবান সময় কেটেছে। এখানে বসে রচিত গীতাঞ্জলি কাব্যই রবীন্দ্রনাথকে এনে দিয়েছে নোবেল পুরস্কার আর বিশ্বকবির মর্যাদা। এছাড়া তিনি এখানে বসেই বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতসহ অসংখ্য কালজয়ী সাহিত্য রচনা করেছেন। কুঠিবাড়িতে সংরক্ষিত আছে সেসব দিনের নানা স্মৃতি।

;