এক দশকে আমূল বদলে যাওয়া সৈয়দপুর বিমানবন্দর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সৈয়দপুর থেকে
সৈয়দপুর বিমানবন্দর/ছবি: বার্তা২৪.কম (ফাইল ফটো)

সৈয়দপুর বিমানবন্দর/ছবি: বার্তা২৪.কম (ফাইল ফটো)

  • Font increase
  • Font Decrease

সৈয়দপুর বিমানবন্দরে যখন নভোএয়ারের ফ্লাইট এটিআর ৭২-৫০০ ল্যান্ডিং করলো, তখন চোখে পড়ল ভিন্ন দৃশ্যপট। নির্জন ছোটখাট পরিসরে পড়ে থাকা সেই বিমানবন্দর এটি না। না ভুল করে অন্য কোনো বিমানবন্দরে ল্যান্ড করিনি। সামনে বড় অক্ষরে লেখা 'সৈয়দপুর বিমানবন্দর'। একইসঙ্গে নভোএয়ারের অপর একটি ফ্লাইট এবং ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট যাত্রী নামাচ্ছিলেন। অথচ বছর দশেক আগে যাত্রী সংকটের কারণে সপ্তাহে মাত্র তিনটি ফ্লাইট চলাচল করতো এই বিমানবন্দরে।

আর যদি বছর পনের আগে ফিরে তাকান তখন দেখা যেত সপ্তাহে একটি কিংবা দু'টি ফ্লাইটের রেকর্ড। পনের বছর আগের দিনে একটি ফ্লাইটের যাত্রী মিলতো না, সে কারণে সপ্তাহে মাত্র তিন দিন ফ্লাইট পরিচালনা করা হতো। তারপর যাত্রী সংকটের মুখে বিমান তাদের অপারেশন বন্ধ করে দেয়। একসময় ইউনাইটেড এয়ার একটি ফ্লাইট চালু করে, সেটি সৈয়দপুর থেকে যাত্রী নিয়ে রাজশাহী ঘুরে ঢাকা যেতো।

আর এখন পনের বছরের ব্যবধানে দিনে ১০টি ফ্লাইট চলাচল করছে ছোট এই বিমানবন্দরটিতে। নভোএয়ারের ৫টি, ইউএস বাংলার ৪টি ও রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বাংলাদেশ বিমানের ১টি ফ্লাইট। শিগগিরই নভোএয়ার, ইউএস বাংলা এবং বাংলাদেশ বিমান আরও একটি করে ফ্লাইট যোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তখন ফ্লাইটের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৩টিতে।

ফ্লাইট সংখ্যা কিন্তু শুধু শুধু বাড়ানো হয়নি। যাত্রী সংখ্যাও বেড়েছে জ্যামিতিক হারে। আগে ভাগে বুকিং না দিলে টিকেট পাওয়া দুষ্কর। যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি লাভজনক হওয়ায় নতুন ফ্লাইট যোগ করতে যাচ্ছে সংস্থাগুলো।

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলাকে টার্গেট করে ১৯৭৯ সালে চালু করা হয় সৈয়দপুর অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর। তখন শুধুমাত্র বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট এই বিমানবন্দর ছেড়ে যেত। ২০০৬ সালে যাত্রী সংকটের কারণে অপারেশন বন্ধ করে দেয় বিমান বাংলাদেশ। আর এখন যাত্রী চাপের কারণে অভ্যন্তরীণ থেকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নাধীন।

এই পরিবর্তন শুধুমাত্র আকাশপথে নয়, সড়ক পথও আমূল বদলে গেছে। বছর বিশেক আগে রংপুর বিভাগের মধ্যে শুধু রংপুর থেকে একটি এসি বাস ঢাকায় যাতায়াত করতো। খুব সম্ভবত রংপুরের মালিকানাধীন মোতাহার গ্রুপের 'আগমনী এক্সপ্রেস' নামে এই কোচটি চালু করেছিলেন। অনেকটা চ্যালেঞ্জ নিয়েই চালু হয় এই কোচটি। এরপর আস্তে আস্তে দিনাজপুর, নীলফামারীতে এসিবাস চালু হয়। অনেক পরে কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড়ে এসিবাস চালু হয়। এখনকার চিত্রটা একেবারে ভিন্ন। অনেকগুলো কোম্পানির এসিবাস রংপুরের ৮ জেলায় নিয়মিত যাতায়াত করছে। প্লেনের মতো সাধারণ পরিবহনের আগে এসি কোচের টিকেট শেষ হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে কোম্পানিগুলো নতুন নতুন কোচ যুক্ত করছে।

বিশ বছর আগে ছিলো একটি মাত্র হাইওয়ে, এখন জালের মতো ছড়িয়ে জেলাগুলোকে যুক্ত করেছে। একটি নয় একাধিক মাধ্যমে এক জেলার সঙ্গে অন্য জেলায় যোগাযোগ করা যায়।

এ থেকে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনমান সম্পর্কে স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যায়। প্রকৃত অর্থেই উত্তরাঞ্চল থেকে এখন মঙ্গা নির্বাসিত বলা যায়। আগে যাদের তিনবেলা খাবার জুটত না, তারা এখন সচ্ছল। ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো। আগে গ্রামের পর গ্রাম ছিল মাটির বাড়ি, এখন মাটির ঘর কালে-ভাদ্রে দেখা যায়। বদলে গেছে চেনা গ্রাম। মাটির বাড়ি রূপ নিয়েছে ইটের বাড়িতে। ধীরে ধীরে নগরমুখী হচ্ছে এসব গ্রাম। কার্তিকের মঙ্গাকে নির্বাসিত করতে বোরো (ইরি) ধান দারুণ কাজে দিয়েছে। বাড়তি চালের ফলনে তিনবেলা ভাত খাওয়া মানুষগুলো আগের থেকে অনেক নির্ভার। আগে এই লোকগুলোকে আমনের উপর নির্ভর করতে হতো, যা বেশিরভাগ সময়ে বন্যায় নষ্ট হয়ে যেতো।

দেশের গামেন্টস শিল্পের উন্নয়নের সঙ্গে বেকারত্বের হার কমেছে রংপুরে। এই অঞ্চলে শিল্প না থাকলেও থেমে নেই এসব অঞ্চলের ছেলে-মেয়েরা। ঢাকায় গিয়ে গার্মেন্টসে চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করছে মেয়েরা। তারা নিজেরা স্বাবলম্বী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক মুক্তি মিলেছে এসব পরিবারে। তবে হতাশার বিষয় হলো- একে একে গার্মেন্টস বন্ধ হওয়ায় অনেকে বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরছে। এই অঞ্চলে শিল্পায়ন জরুরি। না হলে অদূর ভবিষ্যতে সংকট ঘনীভূত হতে পারে। শিল্পায়নের জন্য গ্যাসের প্রাপ্যতা নিশ্চিত জরুরি। সঙ্গে প্রয়োজন সরকারের আন্তরিক পৃষ্ঠপোষকতা। না হলে রংপুর থেকে মূলধন তুলে ঢাকায় বিমা কোম্পানিগুলোর মতো গগণমুখী টাওয়ার হতেই থাকবে আর পিছিয়ে পড়বে রংপুরের ভাগ্য বদল।

   

চট্টগ্রামে আবাসিক হোটেলে আগুন, ধোঁয়ায় একজনের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন একটি আবাসিক হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আগুনের ধোঁয়ায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাতে অলঙ্কার মোড়ে ‘হোটেল রোজ ভিউ’ নামে আবাসিক হোটেলে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল বারেক (৫৫) চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দা। তিনি ওই হোটেলের একটি কক্ষে ছিলেন।

চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক জানান, রাত ১১টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পৌনে ১টার দিকে আগুন নেভানো সম্ভব হয়। আগুন নেভানোর পর হোটেলের ৩০৬ নম্বর কক্ষ থেকে বারেককে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বৈদুত্যিক গোলযোগে হোটেলের স্টোররুম থেকে লাগা আগুনের ধোঁয়া ওই কক্ষে ছড়িয়ে পড়ে।

পাহাড়তলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রোজিনা খাতুন বলেন, প্রাথমিকভাবে জানত পেরেছি, তিনি শ্বাসকষ্টের রোগী ছিলেন। আগুনের ধোঁয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে তিনি মারা গেছেন। নিহত বারেকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

;

নকল পণ্য তৈরিকারীদের ব্যাপারে তথ্য দিতে অনুরোধ ডিবি প্রধানের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যারা নকল স্যালাইন, শিশু খাদ্য ও বিভিন্ন পণ্য তৈরি করছে তাদের ব্যাপারে কোন ধরনের তথ্য থাকলে তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে জানাতে অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

বুধবার (৮ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নিজ অফিসে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

ডিবি প্রধান বলেন, ভেজাল পণ্য তৈরি করে তা বিক্রি করা অপরাধ। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান (ভোক্তা অধিকার, বিএসটিআই) তাদের কাজ করবে, আমরা আমাদের কাজ করবো। যারা শিশুর নকল খাবার তৈরি করবে, নকল স্যালাইনতৈরি করবে তাদের লাইসেন্স আছে কিনা, এটা জানার অধিকার একজন নাগরিকের আছে। তারাও তাদের জিজ্ঞেস করতে পারে।

হারুন বলেন, এলাকার লোকজন তাদের না ধরুক অন্তত তথ্য দিলে আমাদের জন্য সহায়ক হবে। তাহলে আমরা তাদের গ্রেফতার করতে পারব। এজন্য আমি সকলকে অনুরোধ করব যারা নকল ড্রিঙ্কস, জুস বানাচ্ছে, লবণ চিনি মিশিয়ে নকল স্যালাইন তৈরির তথ্য দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সম্প্রতি মতিঝিলসহ রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় অভিযান চালিয়ে নকল স্যালাইন তৈরিকারী কয়েকটি চক্রকে গ্রেফতার করেছে ডিবি।

;

ধানের দাম মণ প্রতি ১৫০০ টাকা করার দাবি



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষকদের উৎপাদিত ধানের প্রতি মণের মূল্য ১৫০০ টাকা করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ কৃষক সমিতি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা শাখা।

বুধবার (৮ মে) গৌরীপুর-রামপুর আঞ্চলিক সড়কের বীরআহাম্মদপুর এলাকায় এই কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচিতে সংগঠনের নেতা-কর্মী ছাড়াও স্থানীয় কৃষকরা অংশ নেয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এই বেরো মৌসুমে পাইকাররা কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি মণ মোটা ধান ৭০০ টাকা দরে ক্রয় করছেন। এই ধান বেঁচে এক কেজি গরুর মাংস কেনা যায় না। এছাড়াও ধানের আড়তদার ও মহাজনরা ঢলতা প্রথার নামে প্রতি মণে ২/৩ কেজি করে ধান বেশি নেয়ায় কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই আমরা প্রতি মণ ধানের মূল্য ১৫০০ টাকা, ঢলতা বাতিল ও সরকারি ভাবে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার দাবি জানাই।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন কৃষক সমিতি গৌরীপুর শাখার সভাপতি মজিবুর রহমান ফকির, সহসভাপতি তোফাজ্জল হোসেন হেলিম, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হাসনাত, কৃষক মো. স্বপন মিয়া, ফখর উদ্দিন মাস্টার, উসমান গনি, শরীফুল ইসলাম, হারুন অর রশিদ, লূত মিয়া, উজ্জল মিয়া প্রমুখ।

;

অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই: বিটিআরসি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যেসব অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন প্রচলিত রয়েছে, সেগুলো বন্ধের প্রয়োজন হলে গ্রাহকদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হবে। তাই অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাবে, এমনটি ভেবে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ।

বুধবার (৮ মে) দেশের টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম নিয়ে বিটিআরসির গণশুনানিতে অংশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ রিয়াজ বলেন, দেশে ব্যবহৃত অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন নিয়ে গ্রাহকদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। বর্তমানে দেশের নেটওয়ার্কে নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত উভয় মোবাইল ফোন সচল রয়েছে। তবে যেসব অবৈধ ফোন প্রচলিত রয়েছে, সেগুলো বন্ধের প্রয়োজন হলে গ্রাহকদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হবে। তাই অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাবে, এমনটি ভেবে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।

তবে ফোন কেনার সময় যাচাই করে নিবন্ধিত ফোন কেনা উচিত জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার এবং বিটিআরসির পক্ষ থেকে আমি গ্রাহকদের অনুরোধ করবো, সবাই যেন নিবন্ধন করা মোবাইল ফোন কেনেন। আমরা অনিবন্ধিত মোবাইল ফোনের বিষয়ে আপনাদের নিরুৎসাহিত করছি।

‘সব মোবাইল সেটই নেটওয়ার্কে কাজ করবে। কোনোটাই বন্ধ করা হবে না।’কারও কাছে অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন থাকলে বিটিআরসিতে এলে সেগুলোর নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান রিয়াজ আহমেদ।

গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এছাড়া বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্ব কমিশনের অন্যান্য কমিশনাররাও বিভিন্ন গ্রাহক ও প্রতিনিধিদের প্রশ্নের উত্তর দেন।

;