ব্যবসার আড়ালে জঙ্গি তৎপরতা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার আল্লাহর দলের সদস্য, ছবি: সংগৃহীত

র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার আল্লাহর দলের সদস্য, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধায় ইলেকট্রিক পার্টসের ব্যবসার আড়ালে জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগে আজমত আনছারী নামে এক জঙ্গি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতারকৃত আনছারী নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন 'আল্লাহর দল' এর জেলা নায়েক।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১৩ এর উপ-অধিনায়ক ও মিডিয়া অফিসার মেজর গালিব মুহম্মদ নাতিকুর রহমান।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে গাইবান্ধার পুরাতন জেলখানা মোড় এলাকায় অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আল্লাহর দলের জেলা নায়ক আজমত আনছারীকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জঙ্গি বই ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়।

এর আগে ২০০৬ সালেও জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে আজমত আনছারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে দীর্ঘদিন কারা ভোগ শেষে তার পুরাতন ইলেকট্রিক পার্টস ব্যবসায় জড়ান তিনি। কিন্তু এর আড়ালে দোকানে আবারও জঙ্গি সংগঠনের জন্য নিয়মিত গোপন বৈঠক করত বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

র‌্যাবের দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজমত আনছারী ২০০১ সাল থেকে জঙ্গি সংগঠনের জন্য চাঁদা সংগ্রহ করে আসছিলো বলে স্বীকার করেছে। এছাড়া জঙ্গি সংগঠনের নিয়মিত গোপন বৈঠকে অংশগ্রহণ এবং এর জন্য সদস্য সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করতো সে।

তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি তার সহযোগীদের ব্যাপারে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

   

শহরে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা ৩০ কিলোমিটার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে মোটরযানের গতিসীমা নির্ধারণ করে নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। নির্দেশিকা অনুযায়ী সড়কভেদে প্রাইভেটকার ও বাসের সর্বোচ্চ গতি নির্ধারণ করা হয়েছে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার এবং মোটরসাইকেলে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। তবে শহরে সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার গতিতে চলবে মোটরসাইকেল।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপসচিব মো. জহিরুল ইসলামের গত ৫ মে স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনা পত্রে বিষয়টি জানা যায়। ওই পত্রে ১০ ধরনের জন্য সড়কের ছয়টি ক্যাটাগরিতে গতিসীমা নির্ধারণ করতে দেখা গেছে।

মোটরকার, জিপ, মাইক্রোবাস, হালকা যাত্রীবাহী মোটরযান এবং বাস-মিনিবাস ও ভারী যাত্রীবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিসীমা এক্সপ্রেসওয়েতে ৮০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটগরি-এ) ৮০ কিলোমিটার, জাতীয় (ক্যাটগরি-বি) ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৭০ কিলোমিটার, জেলা সড়কে ৬০ কিলোমিটার, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা সদরে ৪০ কিলোমিটার, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে ৪০ কিলোমিটার, শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে ৩০ কিলোমিটার।

ট্রাক, মিনি ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ মালবাহী মোটরযান ও ট্রেইলারযুক্ত আর্টিকুলেটেড মোটরযানের ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিসীমা এক্সপ্রেসওয়েতে ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় (ক্যাটাগরি-বি) ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৪৫ কিলোমিটার, জেলা সড়কে ৪০ কিলোমিটার, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা সদরে ৩০ কিলোমিটার, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে ৩০ কিলোমিটার, শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে ৩০ কিলোমিটার।

মোটরসাইকেলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিসীমা এক্সপ্রেসওয়েতে ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় (ক্যাটাগরি-বি) ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৫০ কিলোমিটার, জেলা সড়কে ৫০ কিলোমিটার, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা সদরে ৩০ কিলোমিটার, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে ৩০ কিলোমিটার, শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে ২০ কিলোমিটার।

থ্রি হুইলার চলাচলে যে নির্দেশনা

এক্সপ্রেসওয়ে ও জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ও (ক্যাটাগরি-বি) এবং আঞ্চলিক মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জেলা সড়ক, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা সদর, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে চলাচলের অনুমতি সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার গতিতে থ্রি-হুইলার চলতে পারবে। এ ছাড়া শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার গতিতে থ্রি-হুইলার চলতে পারবে।

সাধারণ নির্দেশনা যা বলা আছে

সড়কের শ্রেণি ও মোটরযানের শ্রেণি বা ধরন অনুযায়ী উপরে বর্ণিত গতিসীমাই হবে সর্বোচ্চ গতিসীমা। এ গতিসীমা মেনে সড়ক মহাসড়কে মোটরযান চালাতে হবে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, আবাসিক এলাকা এবং হাট-বাজার সংলগ্ন সড়ক বা মহাসড়কে মোটরযানের সর্বোচ্চ গতিসীমা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান বা রাস্তা নির্মাণকারী বা উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত হবে; তবে তা কোনোক্রমেই জাতীয় মহাসড়কের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার এবং আঞ্চলিক মহাসড়কের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার অধিক হবে না; জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত মোটরযান, যেমন অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ারসার্ভিসের ক্ষেত্রে এই গতিসীমা শিথিলযোগ্য হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ গতিসীমার এই বাধ্যবাধকতা শুধু স্বাভাবিক অবস্থায় প্রযোজ্য হবে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, প্রখর রোদ, অতিরিক্ত বৃষ্টি, ঘনকুয়াশাসহ প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণযোগ্য নিরাপদ গতিসীমা প্রযোজ্য হবে; দৃষ্টিসীমা বেশি মাত্রায় কমে গেলে বা একেবারেই দেখা না গেলে মোটরযান চালানো বন্ধ রাখতে হবে; এক্সপ্রেসওয়ে, জাতীয় মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং জেলা সড়কের উভয়দিকের প্রবেশমুখ ও নির্দিষ্ট দূরত্বে যানবাহন ভিত্তিক নির্ধারিত গতিসীমা সংক্রান্ত সাইন রাস্তা নির্মাণকারী বা উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে প্রদর্শন করতে হবে; মোটরযানের শ্রেণি অথবা ধরন অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন গতিসীমার জন্য একই পোস্টে মোটরযানের নাম ও ছবি সম্বলিত গতিসীমার সাইন প্রদর্শন করতে হবে; এবং পাহাড়ি এলাকা, আঁকাবাঁকা সড়ক, বাঁক, ব্রিজ, রেল বা লেভেলক্রসিং, সড়ক সংযোগস্থল, বাজার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের সামনে সাইনে প্রদর্শিত গতিসীমা প্রযোজ্য হবে।

বিশেষ নির্দেশানায় বলা আছে—সড়ক বাঁক, জাংশন, জ্যামিতিক কাঠামো, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, দুর্ঘটনার ঝুঁকি ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট রাস্তা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান মোটরযানের শ্রেণি অথবা ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট দূরত্বের জন্য ট্রাফিক সাইন ম্যানুয়াল অনুযায়ী স্ট্যান্ডার্ড ট্রাফিক সাইন পোস্ট ও গতিসীমা প্রদর্শন বা স্থাপন করবে।

মালবাহী মোটরযানসহ অন্যান্য স্বল্পগতির মোটরযান সর্বদা সড়কের বামপাশের লেন দিয়ে চলাচল করবে। শুধু ওভারটেক করার সময় ডান লেন ব্যবহার করতে পারবে, কখনো বাম লেন দিয়ে ওভারটেক করা যাবে না। ওভারটেকিং নিষিদ্ধ না থাকলে রাস্তার ট্রাফিক সাইন, রোডমার্কিং দেখে এবং সামনে, পেছনে পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় জায়গা থাকলে নিরাপদ পরিস্থিতি বিবেচনায় ওভারটেক করা যাবে, ওভারটেক করার সময় সামনে বিপরীত লেনে আসা গাড়ি এবং পেছনের গাড়ির অবস্থান ও গতিবেগ দেখে ওভারটেকিংয়ের জন্য নিরাপদ দূরত্ব আছে কি না সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।

;

সরকারি কলেজ সড়ক সংস্কারের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন-বিক্ষোভ সমাবেশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারি কলেজ সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সমাবেশ থেকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সংস্কার কাজ শুরু না করলে ২ জুন দিনব্যাপী সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আজাদ হোসেন বেলাল, সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষাবিদ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, প্রবীণ রাজনীতিবিদ সুধাংশু শেখর সরকার, কবি কিশোরী মোহন সরকার, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন ও সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান, নারীনেত্রী ফরিদা আক্তার বিউটি, নাগরিক নেতা আলী নুর খান বাবুল, উদীচীর সিদ্দিকুর রহমান, সাংবাদিক গোলাম সরোরার, প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ সড়ক জেলা শহরের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর মধ্যে অন্যতম হলেও দীর্ঘ দেড় যুগ সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটিতে চলাচল করতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে মানুষজনকে। তবুও কর্তৃপক্ষ যেন নির্বিকার!

সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ সড়কেই অবস্থিত সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজের বাসভবন, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার কার্যালয়, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, সাতক্ষীরা জেলা রেজিস্ট্রি অফিস, জেলা সমবায় অফিস, বিটিসিএল অফিস, শহর সমাজ সেবা অফিস, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যালয়, জাতীয় মহিলা সংস্থার কার্যালয়, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ, পল্লীমঙ্গল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতো অসংখ্য প্রতিষ্ঠান।

সাতক্ষীরা পোস্ট মোড় থেকে শুরু করে সরকারি কলেজ হয়ে পুরনো সাতক্ষীরা হাটখোলা মোড় পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় দুই কিলোমিটার। সড়কটির পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে সড়কটিতে কাদা-পানি জমে থাকে। আর রোদে ধুলায় একাকার হয়ে যায় গোটা এলাকা।

দ্বাদশ সংসদের ১ম অধিবেশনে সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জামান আশু সড়কটির বেহাল দশা তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ সড়কটির অবস্থা এতটাই খারাপ যে কোনো অন্তঃসত্ত্বা নারী ওই রাস্তায় চলাচল করলে পথেই ‘ডেলিভারি‌’ (সন্তান প্রসব) হয়ে যাবে।

সাতক্ষীরা পৌরসভার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বেহাল দশা নিয়ে সংসদ সদস্যের এই বক্তব্যের পরও কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি পৌর কর্তৃপক্ষকে।

 

;

শ্যামনগরে জাল ভোট দেওয়ায় আটক ১



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে জাল ভোট দেয়ার সময় জামাল হোসেন নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (৮ এপ্রিল) উপজেলার দক্ষিণ বংশীপুর কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক জামাল হোসেন একই গ্রামের আনছার ঢালীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফার ঘোড়া মার্কায় জাল ভোট প্রদান করছিলো ওই যুবক। সেই সময়ে বুথ থেকে তাকে আটক করা হয়।

প্রিজাইডিং অফিসার রঞ্জন বৈদ্য জানান, জাল ভোট দেয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেট আসার জন্য অপেক্ষা করছি। ম্যাজিস্ট্রেট আসলে আমরা তাদের কাছে তুলে দিবো পরবর্তীতে তারা আইনগত ভাবে ব্যবস্থা নিবেন।

;

‘বিশ্ব গাধা দিবস’ আজ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
‘বিশ্ব গাধা দিবস’ আজ

‘বিশ্ব গাধা দিবস’ আজ

  • Font increase
  • Font Decrease

‘গাধা’ শব্দটি শোনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কেউ কোনো ভুল করলে তাকে ‘গাধা’ বলে সম্বোধন করাটা অনেকের কাছেই স্বাভাবিক ব্যাপার! কারো নির্বুদ্ধিতায় তাকে ‘গাধা’ সম্বোধন করাটা আমাদের প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে! আমরা প্রায়ই শুনে থাকি, কেউ কাউকে বলছে- ‘তুই একটা গাধা’, ‘গাধার মতো কথা বলস কেন?’ ইত্যাদি।

আজ সেই ‘গাধা’ দিবস। ২০১৮ সালে এই দিবস প্রথম উদযাপিত হয়। এরপর থেকে প্রতি বছরের ৮ মে সার্বজনীনভাবে পালন করা হচ্ছে ‘বিশ্ব গাধা দিবস’।

বিজ্ঞানী ও প্রাণী গবেষক আর্ক রাজিক প্রথম এই দিবসের শুরু করেন। তিনি মরুভূমির প্রাণী নিয়ে কাজ করার সময় বুঝতে পারেন, গাধারা মানুষের জন্য যে পরিমাণ কাজ করে, সেই পরিমাণ স্বীকৃতি পাচ্ছে না। এজন্য তিনি একটি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করেন। তারপর সেখানে গাধাবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য প্রচার করতে শুরু করেন।

আধুনিক গাধার দুটি পূর্বপুরুষ আছে। উভয়ই আফ্রিকান বন্য গাধার উপ-প্রজাতি এবং এগুলো হলো সোমালি বন্য গাধা ও নুবিয়ান বন্য গাধা। তারা মাইলের পর মাইল কার্গো টানতে সক্ষম। অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় বেশি সময় পরিশ্রম করতে পারে। তাদের চলার গতি ঘণ্টায় ৩১ মাইল পর্যন্ত হতে পারে। গাধার গড় আয়ু ৫০ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে হয়।

মানুষের প্রয়োজনে ধারাবাহিকভাবে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণীটি। তারা দীর্ঘপথ ভ্রমণ করতে পারে। তারা শক্তিশালী এবং কঠোর পরিস্থিতিতেও নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। তাই তো এই প্রাণীটির কদর এত বেশি। তবে আজকের দিনটি প্রাণীটিকে ভালোবাসার।

 

;