‘পরিবর্তন না হলে হাতে হাতকড়া পড়বে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
আত্মসমর্পণ করা মাদক সেবনকারীদের হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন পুলিশ সুপার, ছবি: সংগৃহীত

আত্মসমর্পণ করা মাদক সেবনকারীদের হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন পুলিশ সুপার, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার বলেছেন, ‘সংশোধনের পথে থেকে আর ভুল করা যাবে না। আজকে যাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিলাম। তাদের কোনো অপরাধে জড়ানো যাবে না। যদি আপনাদের পরিবর্তন না হয়, যে হাতে ফুল তুলে দিলাম, সেই হাতে হাতকড়া পড়বে।’

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রংপুর সদর কোতয়ালী থানায় আত্মসমর্পণ করা মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। এতে প্রায় দুই নারীসহ প্রায় দেড়শ জন আত্মসমর্পণ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসপি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, রংপুরকে মাদকমুক্ত করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়নে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। শুধু মাদক নয়, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন, নিপীড়নসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দমনে পুলিশের ভূমিকা থাকবে জিরো টলারেন্স।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, দেশের জন্য যারা যুদ্ধ করেছেন, তাদের প্রতি শুধু কৃতজ্ঞতা জানালে হবে না। একাত্তরের মুক্তিকামী মানুষের সংগ্রামের ফসল আমাদের আজকের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর ডাকে ঐক্যবদ্ধ হয়েই মুক্তিযোদ্ধার দেশ স্বাধীন করেছেন। তাদের জন্য আমরা আজ স্বাধীন, গর্বিত, উন্নত।

রংপুর জেলা পুলিশ আয়োজিত ‘আলোর পথে ফেরা’ (পর্ব-২) আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে রংপুর সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের দুইজন নারীসহ ১৪১ জন মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেন। এরমধ্যে মমিনপুর ইউনিয়নের ১৫ জন, হরিদেবপুরের ২৩, চন্দনপাটের ৪০ এবং সদ্যপুষ্করণী ইউনিয়নের ৬৩ জন রয়েছেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও রংপুর জেলা পরিষদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম প্রামাণিক প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন সদর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম সাজিদুল ইসলাম।

এরআগে বিকেলে কোতয়ালী থানার ভেতরে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধকালীন আত্মজীবনী সম্বলিত পাণ্ডুলিপি হেল্প ডেস্কের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম (বার), পিপিএম।

এসময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর কোতয়ালী থানার ওসি তদন্ত জাকির হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কবির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম, সদ্যপুষ্করণী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী সোহেল রানা, চন্দনপাট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান, হরিদেবপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন ও মমিনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুলতানা আখতার কল্পনা।

   

রাজধানীতে দুই হোটেলে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় আওতাধীন নীলক্ষেত মোড়ে ২টি হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৫ মে) দিবাগত রাত ১টা ৫ মিনিটের দিকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়।

পরে খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী ফায়ার সার্ভিসের পলাশী ব্যারাকের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পলাশী ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার জিহান রহমান নাবিল বলেন, রাত ১টার পর নীলক্ষেতে আগুনের খবর পেয়েছি। আমরা সাথে সাথে ঘটনাস্থলে আসি।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে ২টি দোকানে আগুন দেখতে পাই। যার একটি বড় এবং আরেকটি ছোট দোকান। তবে দুটি দোকানই ছিল খবারের দোকান। এখন আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা গেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত করা ছাড়া তাৎক্ষণিক বলা সম্ভব না। তবে ধারণা করছি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। তবে দোকান দুটির তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং আগুনে কোনও হতাহতের ঘটনাও ঘটেনি বলে জানান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গভীর রাতে হঠাৎ করেই নীলক্ষেত মোড়ের সুলতানী ভোজ ও সিপি ফাইভ স্টার নামের দুইটি হোটেলে আগুন দেখা যায়। পরে নিরাপত্তা কর্মীরা সাথে সাথেই ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।

 

;

পটুয়াখালীতে সাড়ে তিন হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক ৪



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালী পৌরসভা এলাকা থেকে ৩ হাজার ৭ শত ৫ পিস ইয়াবাসহ ৪ জনকে আটক করেছে পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশ।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে পটুয়াখালী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের নতুন বাজারে অবস্থিত হোটেল ছোয়া-এর ৬ষ্ঠ তলার একটি রুম থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার মহিষডাঙ্গা গ্রামের ওসমান হাওলাদারের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন, একই উপজেলার আমতলী পৌরসভার সন্তু নাথ চ্যাটার্জির ছেলে সজল চন্দ্র চ্যাটার্জি (৩০), পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের
নুর মোহাম্মদ আকনের ছেলে মো. সবুজ আকন (২৫) ও গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়ন এর মৃত কাসেম হাওলাদারের ছেলে মো. মহসীন হাওলাদার।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জসিম বলেন, আমাদের একটি চৌকস টিম পটুয়াখালী পৌরসভার নতুন বাজারে অবস্থিত হোটেল ছোয়ায় অভিজান চালিয়ে ৩ হাজার ৭ শত ৫ পিস ইয়াবাসহ ৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে। তারা সকলেই পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী, তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী সদর থানায় মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।

;

স্বস্থির বৃষ্টিতে ভিজলো ময়মনসিংহ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহের পর ময়মনসিংহে দেখা মিললো স্বস্তির বৃষ্টির। শনিবার (৪ মে) রাত ৮টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীতে বৃষ্টিপাত শুরু হয়।

জেলার অধিকাংশ এলাকা গফরগাঁও, নান্দাইল, ঈশ্বরগঞ্জ, তারাকান্দা, ফুলপুর, ভালুকা, ফুলবাড়িয়া, গৌরীপুর, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, মুক্তাগাছায় সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টি পড়া শুরু করে। জেলার অন্যান্য উপজেলার আকাশ মেঘলা দেখা যায়।

এক পশলা বৃষ্টিতে নাগরিক জীবনে স্বস্তির আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। অথচ গত সপ্তাহেও প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছিলেন জেলার মানুষজন।

অনেকেই আবার খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজেছেন মনের আনন্দে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকে মনের আনন্দ প্রকাশ করে পোস্ট দেন।

গফরগাঁও পৌরসভার বাসিন্দা রাজীব আহমেদ বলেন, রাত সাড়ে আটটা থেকে বারোটা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে সেই সাথে প্রচন্ড রকমের বজ্রপাত হয়েছে।

মুক্তাগাছার বাসিন্দা ইদ্রিস আলী বলেন, তীব্র তাপদাহের পর সন্ধ্যার থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টিতে শহরের মানুষের মাঝে স্বস্থি ফিরেছে। তবে, গ্রামে কৃষকের ধান কাটা শুরু হয়েছে। তাদের কিছুটা অসুবিধা হবে।

ভালুকার মিজানুর রহমান বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে ভালুকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে মানুষের মাঝে স্বস্থি ফিরেছে।

চর ইশ্বরদিয়া এলাকার কৃষক জয়নাল বলেন, গত কয়েকদিন তীব্র গরম গরম ছিল। ধান কাটতে খুব কষ্ট করতে হয়েছে। এই বৃষ্টিতে গরম কিছুটা কমে আসবে।

;

তদন্ত কমিটি গঠন

সুন্দরবনে লাগা আগুনের কাছেই যেতে পারেনি দমকল বাহিনী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়ার ছিলা এলাকায় লাগা আগুন এখনও জ্বলছে। আগুন নেভাতে ফায়ারসার্ভিস বা দমকল বাহিনী এলাকায় গেলেও আগুনের কাছেই যেতে পারেনি। সন্ধ্যা হওয়ায় এবং কাছাকাছি কোনো পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা যায়নি। রোববার (৫ মে) সকাল থেকে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা হবে। এদিকে এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার (ডিএফও) কাজী নুরুল করিম রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নুরুল করিম বলেন, প্রচণ্ড তাপদাহ ও দূর্গম এলাকায় আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকল বাহিনী নিয়ে ছুটে যায়। প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে পানির উৎস খুঁজি। কিন্তু কাছাকাছি কোনো পানি পাওয়া যায়নি। অনেক দূরে ভোলা নদী থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এরই মধ্যে সন্ধ্যা নেমে যায়। তাই আগুনের কাছে আর যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় এলাকাবাসী এবং বনরক্ষীদের চেষ্টায় অল্প পানি সরবরাহ করে প্রাথমিকভাবে আগুন যাতে ছড়াতে না পারে সেটি করা হয়েছে।

রোববার (৫ মে) সকালে আমরবুনিয়া এলাকার ভোলা নদী থেকে পানির সংযোগ স্থাপন করে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আগুন বেশিদূর ছড়াতে পারেনি। অল্প অল্প করে আগুন জ্বলছে, রাতের মধ্যেও ছড়ানোর সম্ভব নাই।

কি করে আগুন লেগেছে জানতে চাইলে ডিএফও কাজী নুরুল করিম বলেন, এখনও সঠিক কারণ বের করা যায়নি। তবে স্থানীয়রা একেকজন একেক তথ্য দিচ্ছে। সব তথ্যই আমলে নিয়ে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেবকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে৷

কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধার স্টেশন অফিসার মো. ওবায়দুর রহমান এবং ধানসাগর স্টেশন অফিসার মো. রবিউল ইসলাম। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে আগুন লাগার সঠিক কারণের প্রতিবেদন জমা দিবেন এই কমিটি।

বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, শনিবার (৪ মে) দুপুরে প্রথমে আগুন লাগে সুন্দরবনের আমরবুনিয়ার ছিলা এলাকায়। পরে বিকেল সাড়ে ৪টায় আগুন ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় জানাজানি হয়। এরপর স্থানীয় এলাকাবাসী ও বনরক্ষীদের সমন্বয়ে প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। পরে বাগেরহাট ও মোরেলগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আসে। কিন্তু সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলে দমকল বাহিনীর সদস্যরা কাজ শুরু করতে পারেনি।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক মো. সাইদুল আলম চৌধুরী বলেন, বিকেলে আগুনের খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও নানা প্রতিকূলতার কারণে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারেনি। তবে আগুন লাগার ঘটনাস্থল চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে।

;