অপরাধীকে দলীয় দৃষ্টিতে দেখাও অপরাধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় কথা বলছেন রংপুর জেলা পুলিশ সুপার, ছবি: বার্তা২৪.কম

মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় কথা বলছেন রংপুর জেলা পুলিশ সুপার, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জঙ্গিবাদ, মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়নে কোনো অপরাধীকে ছাড় না দেওয়ার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন রংপুর জেলা পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশ কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, অপরাধীর কোনো দল নেই। অপরাধীকে দলীয় পরিচয়ের দৃষ্টিতে দেখাও অপরাধ। পুলিশ সম্পর্কে মানুষের ধারণা পরিবর্তন করতে হবে। মানুষ যেন পুলিশকে খারাপ বলতে না পারে সেজন্য সতর্ক হতে হবে।

এসময় পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে পুলিশ সুপার বলেন, ইদানীং পুলিশের লোকজনও অপরাধে জড়াচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধ দমন পুলিশ বিভাগের কাজ। কিন্তু অপরাধ দমন করতে গিয়ে অপরাধে জড়ানো যাবে না।

গত নভেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় শ্রেষ্ঠ সার্কেল হিসেবে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) মো. আরমান হোসেন পিপিএম, শ্রেষ্ঠ গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলকারী থানা গংগাচড়া মডেল থানা এবং শ্রেষ্ঠ মামলা নিষ্পত্তিকারক ও শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী থানা হিসেবে কাউনিয়া থানাকে সম্মাননা স্মারক ও নগদ অর্থ পুরস্কৃত করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফজলে এলাহী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) মারুফ হোসেন, রংপুর, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) আরমান হোসেনসহ জেলার আট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) উপস্থিত ছিলেন।

   

ব্যবসায়ীর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবি, গ্রেফতার ৪



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এক নারীকে দিয়ে কৌশলী ফাঁদ ফেলে টাঙ্গাইলের এক জুট ব্যবসায়ীকে বাসায় ডেকে এনে নগ্ন ভিডিও ধারণ করে লাখ টাকা দাবির অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১ জুন) সকালে কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত ৩১ মে রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১টা পর্যন্ত সময়ে এ ঘটনা ঘটায় অভিযুক্তরা। পরে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ি আমিনুল ইসলাম একই রাতে জিম্মি করে মারধর ও বলপূর্বক সম্পত্তি ছিনিয়ে নেওয়ার কথা উল্লেখ করে কর্ণফুলী থানায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

গ্রেফতার চারজন হলেন- কর্ণফুলীর শিকলবাহা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এস আলম গলির ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ হোসেনের স্ত্রী পারভীন আক্তার ববি (৩৪), শিকলবাহা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হিরার বাড়ীর মো. ওসমান গণির ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম প্রকাশ সানি (২৪), শিকলবাহা ৩ নম্বর ওয়ার্ড আমশাপাড়ার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে মোহাম্মদ জসিম প্রকাশ আব্দুল কাদের প্রকাশ আদিল (২৭) ও শিকলবাহা বিল্লা পাড়ার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. ইমরান (২৭)। এদের মধ্যে পারভীনের নিজ বাড়ি নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার এলাকার।

পুলিশ ও মামলার সূত্রে জানা যায়, আমিনুল ইসলাম পেশায় একজন জুট ব্যবসায়ী। আসামি পারভীন আক্তার ববির সাথে এক বছর আগে তার মুঠোফোনে পরিচয়। সেই সুবাদে ববি বিভিন্ন সময় আমিনুলকে ফোন করে নানা সমস্যার কথা জানিয়ে সাহায্য সহযোগিতা চাইতেন। আমিনুলও সরল বিশ্বাসে সাধ্যমতো চেষ্টা করতেন। গত ৩১ মে দুপুর ২টার সময় ববি ফোন করে বলে তার ছেলে খুব অসুস্থ্য কিছু টাকা পাঠাতে। আমিনুল ব্যবসার কাজে ঢাকা হতে চট্টগ্রাম আসার পথে কুমিল্লা থেকে ৫০০ টাকা বিকাশ করেন। তার কিছুক্ষণ পরে আবারো ফোন করে বলেন, বাসায় এসে তাকে এবং তার ছেলেকে দেখে যেতে।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে চট্টগ্রাম এসে আমিনুল ব্যবসায়িক কাজ শেষে ববির কথামতো রাত সাড়ে ৮টায় বাসায় যান। এর আগে ববি ম‍ইজ্যারটেক হতে তাকে রিসিভ করেন। বাসায় গিয়ে দেখেন ববির কোন ছেলে নেই সে একা। তার ১০ মিনিট পর হঠাৎ সানি, আদিল ও ইমরান এসে আমিনুলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এমনকি তাকে আটক করে জোরপূর্বক রুমে নিয়ে মারধর করে জামা কাপড় খুলে ববির সাথে নগ্ন ছবি তোলেন।

পরে জানায় এক লাখ টাকা না দিলে ছবিগুলো পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেবেন। হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করেন। আমিনুল টাকা দিতে অস্বীকার করলে এরা লাঠি দিয়ে মারধর করেন। আমিনুলের কাছে থাকা ৭ হাজার ৫২০ টাকা, ইনফিনিক্স মোবাইল, ব্র্যাক ব্যাংকের এটিএম কার্ড তারা ছিনিয়ে নেন।

এক পর্যায়ে ননজুড়িসিয়াল স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর ও ব্যাগে থাকা এক্সিম ব্যাংকের ৩টি চেক নিয়ে আমিনুলকে তারা একটি সিএনজি গাড়িতে করে শিকলবাহা ইউনিয়নের বলফুল ফ্যাক্টরির সামনে বিলের মাঝে নিয়ে হাত-পা বেঁধে রেখে চলে যান। পরে কোন রকমে সেখান থেকে থানা পুলিশের আশ্রয় নেন।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন বলেন, ভিকটিমের অভিযোগ পেয়ে রাতেই অভিযান পরিচালনা করে সকালের দিকে অভিযুক্ত চক্রদের ৪ জনকে গ্রেফতার করি। আসামিদের হেফাজত থেকে ভিকটিমের টাকা, চেক, স্ট্যাম্প, মোবাইলসহ একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে আসামিদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

;

ফেনীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সংরক্ষণে অনন্য উদ্যোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর ফুলগাজীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সংরক্ষণে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া উপজেলার জগতপুরের গ্রামের ৪৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম সম্বলিত ফলক স্থাপন করা হয়েছে।

শনিবার (১ জুন) বিকালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিতে নির্মিত ফলকের উদ্বোধনে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী নাসিম।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাকের হোসেন নামে এলাকার একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা এবং মরহুম আনোয়ার উল্ল্যাহ ভূঞার পরিবার এটি বাস্তবায়ন করেছেন।

এ ব্যাপারে ফেনী জেলা বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. সাহেদুল ইসলাম কাওসার জানান, বীরমুক্তিযোদ্ধারা ফলক নির্মাণে আমাদের পরিবারের কাছে ভূমি চেয়েছিল। আমরা সানন্দে সে সুযোগ গ্রহণ করেছি। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সংরক্ষণে ভূমিকা রাখার সুযোগ পেয়ে আমাদের পরিবার কৃতজ্ঞ।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা এবাদউল্লাহ ভুঞা জানান, ৪৬ জনের মধ্যে বর্তমানে ২২ জন মুক্তিযোদ্ধা জীবিত রয়েছেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও জেলা পরিষদ সদস্য সৈয়দ সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল বশর মজুমদার তপন, ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ হারুন মজুমদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তানিয়া ভূঁইয়া, বিএমএ ফেনী জেলা সভাপতি ডাঃ সাহেদুল ইসলাম কাওসারসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণমান্য ব্যক্তিরা।

এসময় বক্তব্যে আলাউদ্দিন নাসিম বলেন, শিক্ষা-দীক্ষায় উন্নত, অর্থনৈতিক দিক থেকে শক্তিশালী ফুলগাজীর জগতপুর গ্রামের মতো আরেকটি দেশে বিরল। এই গ্রামেই ৪৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে দেশের জন্য লড়াই করে অবদান রেখেছেন, যা নিয়ে গর্ব করা যায়।

অনুষ্ঠানে আলাউদ্দিন নাসিম আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। হানাদার বাহিনী ফুলগাজী এলাকা দখল করতে বেগ পেতে হয়েছে এবং এবং সারা বাংলাদেশে এই অঞ্চলটি হানাদারবাহিনী থেকে সর্বপ্রথম মুক্ত করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা। ৬ ডিসেম্বর ফেনী মুক্ত হলেও ফেনীর উত্তরাঞ্চল মুক্ত হয় ২ ডিসেম্বর।

;

ডেমরায় স্টিল মিলে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ডেমরায় বাঁশেরপুল জহির স্টিল অ্যান্ড রুলিং মিলে বিস্ফোরণে ৭ জন আহত ও দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে।

আহতরা হলেন,তরিকুল ইসলাম (৩২),সুজন (২৫),আমিনুল ইসলাম(২৫),রনি (৩০) কাঞ্চন (২৮),দিপন দাস (৩০) মোঃ শফিকুল ইসলাম (২৭)।

শনিবার (১ জুন) রাত সোয়া ৮টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল তিন জনকে ভর্তি করা হয় ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নে চার জনকে ভর্তি করা হয়েছে।

তাদেরকে নিয়ে আসা জহির স্টিল মিলের সুপারভাইজার মো. সাকিব খান জানান, রাতে ওই মিলে গিয়ার নামে যন্ত্রে ত্রুটি দেখা দেয়। মেকানিক্যাল টিম মেরামত করার সময় গিয়ার যন্ত্রটির বিস্ফোরণে সাতজন দগ্ধ আহত হয়। পরে দ্রুত তাদের ৭ জনকে নিয়ে আসলে শেখ হাসিনার জাতীয় বার্নে ও ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি জানান, তাদের মেশিনের গরম পানি মবিল ও মেশিনের যন্ত্রাংশের আঘাতে আহত ও দগ্ধ হয়।

এ বিষয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো: বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,ডেমরা একটি স্টিল মিল থেকে দগ্ধ ও আহত হয়ে ৭জন ঢাকা মেডিকেলে এসেছে।তাদের মধ্যে চারজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বানে ও তিনজনকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

;

বসুন্ধারা থেকে জাপান প্রবাসীর মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ভাটারা থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি ভবন থেকে এক জাপান প্রবাসী যুবকের পচা-গলা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার রাতে বাড়ির বাসিন্দাদের তথ্যের ভিত্তিতে বসুন্ধারা আবাসিক এলাকার সি ব্লকের ২ নম্বর রোডের একটি বাসায় থেকে আরিফুল ইসলাম (২৭) নামের ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহের বিভিন্ন স্থানে ছুড়িকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই সময়ে একটি চিরকুট পেয়েছে পুলিশ। এছাড়াও নোটারি করা বিবাহের হলফনামা উদ্ধার করা হয়েছে। নোটারীতে দেখা যায়, ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর নরসিংদীতে আরিফ ও পারভিন বিয়ে করেছেন।

শনিবার (১ জুন) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গুলশান বিভাগের ভাটারা জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা।

তিনি বলেন, ভাটারা থানার বসুন্ধারা আবাসিক এলাকার মাটি প্রপার্টিস নামের একটি ভবনে অনলাইনে বাসা বুকিং করে দেশি-বিদেশি নাগরিকরা ভাড়া নেন। গত মে মাসে ১৭ তারিখ নিহত আরিফ ও পারভীন নামের এক নারী স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে ভবনের দোতলার একটি বাসায় সাত দিনের জন্য ভাড়া নেন। সেদিনই তারা দুজনে ওই বাসায় ওঠেন। শনিবার (১ জুন রাতে) মাটি প্রপাটির্সের বাসিন্দারা লাশের তথ্য জানিয়ে থানায় ফোন করেন।

এসি রাজন কুমার আরও বলেন, নিহত আরিফ নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার আদিয়াবাদ কালিকুরপড়া এলাকার শাহজাহান শিকদারের ছেলে। এই হত্যায় জড়িত ও আরিফের স্ত্রী পরিচয় দেওয়া পারভীন আক্তার (৩৩) নরসিংদী সদরের সাটিরপাড়া এলাকার মো. নুরুল ইসলামের মেয়ে। তাদের দুজনেরমধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।

নিহত আরিফের পরিবারের বরাত দিয়ে রাজন কুমার বলেন, আরিফ এক বছর ধরে জাপান প্রবাসী। জাপানে নাচুকি (আয়েশা) নামের এক নারীকে বিয়ে করেছে। আরিফ ও পারভিনের প্রেমের বিষয়টি জানলেও বিয়ের ব্যাপারে কোনো তথ্য পরিবারের সদস্যদের কাছে নেই। জাপানে থাকা আরিফের স্ত্রী আয়েশা ফোন করে জানিয়েছে, আরিফ দেশে গিয়েছে কিন্তু তার কোন খোঁজ খবর পাচ্ছে না, ফোনে কয়েকদিন ধরে কথা বলতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, মাটি প্রপার্টিসে দেওয়া পারভিনের মোবাইল নাম্বারের সূত্র ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, পারভিন ১৭ মে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বসুন্ধরা আবাসিকের মাটি প্রপারটিসের অ্যাপার্টমেন্টে ওঠেন। ১৭ মে বিকাল ৪ টার দিকে পারভিন ও আরিফুল ইসলাম একত্রে এই ফ্লাটে ওঠেন। ১৮ মে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পারভিন একাই ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যান। তার মোবাইল নাম্বারের সর্বশেষ অবস্থান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ধারণা করা হচ্ছে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।

প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ধারণ করছে, পারভিন আক্তার দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থেকে আরিফুলকে হত্যা করেছে। তবে এ বিষয়ে পারভিনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারলে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

;