‘কল্পনাশক্তিকে জাগ্রত করতে বই পড়ার বিকল্প নেই’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম, খুলনা
শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল

শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন, সমগ্র সৃষ্টির মধ্যে কল্পনাশক্তি কেবল মানুষের আছে, আর এই কল্পনাশক্তিকে জাগ্রত করতে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনা বিভাগীয় বইমেলার উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

খুলনা সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে ও খুলনা জেলার প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই মেলা ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।

উদ্বোধনী বক্তৃতায় জাফর ইকবাল বলেন, স্মার্টফোনের ছোট্ট একটা পর্দায় আমরা আমাদের পৃথিবীটাকে সীমাবদ্ধ করে ফেলছি। আমরা অবশ্যই প্রযুক্তির ব্যবহার করব তবে প্রযুক্তি যেন আমাদের ব্যবহার করতে না পারে।

ফেসবুক ও ড্রাগের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর মাদক নিতে না পারলে মাদকসেবীদের যে অবস্থা হয়, ফেসবুক ব্যবহারে আমাদের মধ্যে একই আচরণ লক্ষ্য করা যায়। তাই তিনি কোমলমতি বাচ্চা ও তরুণদের হাতে স্মার্টফোন না দিয়ে বই তুলে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মধ্যে এখন ভালোর চেয়ে খারাপ জিনিস বেশি প্রবেশ করেছে। এগুলো আমাদের তারুণ্যের উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এ থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় ঘরে ঘরে বইপড়ার আন্দোলন শুরু করা।

খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর, মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর কবির, প্রেসক্লাবের সেক্রেটারী মোঃ সাহেব আলী। স্বাগত জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গোলাম মাঈন উদ্দিন হাসান।

খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে অনুষ্ঠিত এই মেলা প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলবে। তবে ছুটির দিন সকাল ১১টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে।

   

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু কেড়ে নিল ৩ প্রাণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ২৪ ঘণ্টায় মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৭ জনে। এসময় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৯ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে দুই হাজার ২৪৮ জনে। 

শুক্রবার (৩ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা ৭ জন আর বাকি দুজন বরিশাল জেলার। মারা যাওয়া তিনজনের সবাই ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার। 

আক্রান্তদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও বাকি ৪ জন নারী।  

;

২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জনের করোনা শনাক্ত



Sajid Sumon
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। এ পর্যন্ত দেশে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৪ জনের।

শুক্রবার (৩ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১০ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার ৩৮ জনে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ জন সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ৪৭৮ জন। সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৫টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৩৬টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ ৯১ হাজার ৯২৮টি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার চার দশমিক ২৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় একজন আইসোলেশনে এসেছেন এবং আইসোলেশন থেকে কেউ ছাড়পত্র পায়নি। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৫২ হাজার ৯৭৫ জন এবং আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন চার লাখ ২৩ হাজার ৭১৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৯ হাজার ২৫৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

;

মৌলভীবাজারে সিসিমপুর শিক্ষামেলা, শিশুদের উচ্ছ্বাস



Mansura chamily
মৌলভীবাজারে সিসিমপুর শিক্ষামেলা, শিশুদের উচ্ছ্বাস

মৌলভীবাজারে সিসিমপুর শিক্ষামেলা, শিশুদের উচ্ছ্বাস

  • Font increase
  • Font Decrease

মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে দুইদিনের সিসিমপুর শিক্ষামেলা। শুক্রবার সকালে বর্ণাঢ্য শিক্ষামেলার উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বর্ণালী পাল। ইউএসএআইডি'স সিসিমপুর প্রকল্পের আয়োজনে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

সিসিমপুর প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শিক্ষামেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মাসুদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন চৌধুরী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খোরশেদ আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন আরডিআরএস বাংলাদেশ- সিসিমপুর প্রকল্প সমন্বয়কারী মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ও উপজেলা শিক্ষা সমন্বয়কারী ফারজানা ইসলাম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, যেকোনো মেলার চেয়ে সিসিমপুর শিক্ষামেলার আবেদন শিশুদের কাছে অন্যরকম। এ মেলায় এসে শিশুরা আনন্দের সাথে শিখতে পারছে নিত্য-নতুন নানান বিষয়।

দু'দিনের সিসিমপুর শিক্ষামেলায় আয়োজনের মধ্যে থাকছে শিশুদের খেলা-পড়া-লেখা-আঁকা, পর্দায় সিসিমপুর ভিডিও প্রদর্শনী, সিসিমপুর লাইভ শো, বায়োস্কোপে শিখন ও আনন্দযোগ, ম্যাজিক শো, ছবি, বর্ণ ও শব্দের খেলা, প্রশ্নোত্তরে সাধারণ জ্ঞান, শিশুদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক আয়োজন, সিসিমপুর পাঠাগারভিত্তিক কার্যক্রম, পুরস্কার বিতরণসহ নানান আয়োজন।

উল্লেখ্য, মাসব্যাপী প্রতি শুক্র ও শনিবার জেলার মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর, কুলাউড়া উপজেলা এবং হবিগঞ্জের চুনারুঘাট ও মাধরপুর উপজেলায় সিসিমপুর শিক্ষামেলা অনুষ্ঠিত হবে।

;

‘উপজেলা নির্বাচনগুলোতেও জনগণ লাল কার্ড দেখাবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণ

উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণ

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক শিল্পপতি সরোয়ার আলমগীর বলেছেন, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ডামির নির্বাচনকে দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছিল। আসন্ন এই ডামির উপজেলা নির্বাচনেও জনগণ সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিবে। তারা এমন অবস্থায় পৌঁছেছে, আওয়ামী লীগের লোকজনও এখন ভোটকেন্দ্রে যায় না।

শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে ফটিকছড়িতে আসন্ন উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সরোয়ার আলমগীর বলেন, সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে বলতে গেলে ডাস্টবিনেই পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন আর ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হচ্ছে না। এখন সংসদীয় আসন, উপজেলা, পৌরসভাসহ সব জায়গায় হচ্ছে মূলত আওয়ামী লীগের দলীয় কাউন্সিল। আমি, তুমি ও ডামি দিয়েই নির্বাচন নামের নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এই সরকার হিন্দুস্থানের সেবাদাস সরকার। হিন্দুস্থানের তাঁবেদারি করতে গিয়ে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের এখন নাভিশ্বাস হয়েছে। হাজার টাকা নিয়ে বাজারের গেলেও এক কেজি মাংস কিনলে আর চাল কেনা যায় না। পাঁচ কেজি চাল কিনলে আর এক কেজি মাংস কেনা যায় না। কাজেই এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি আসবে না।

ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক নূরুল হুদার সভাপতিত্বে লিফলেট বিতরণের সময় অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি'র সদস্য ও ফটিকছড়ি পৌরসভার সভাপতি মোবারক হোসেন কাঞ্চন ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপি সদস্য নাজিম উদ্দিন শাহীন,শাহরিয়ার চৌধুরী, নূর মোহাম্মদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এস এম আবু মুনসুর, জেলা যুবদল নেতা জালাল উদ্দিন চৌধুরী, মোশারাফুল আনোয়ার মশু, মোজাহারুল ইকবাল লাভলু উপস্থিত ছিলেন।

;