কুমিল্লায় মহাসড়কে ময়লার স্তূপ, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী



আবদুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪কম, কুমিল্লা
রাস্তার পাশে এভাবেই ফেলে রাখা হয়েছে ময়লার স্তূপ, ছবি: বার্তা২৪.কম

রাস্তার পাশে এভাবেই ফেলে রাখা হয়েছে ময়লার স্তূপ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এবং কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের কয়েকটি জায়গায় ময়লা-আবর্জনা ফেলায় তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ফলে ওইসব স্থানগুলোতে চলাচল করা বেশ দুষ্কর হয়ে পড়েছে। যাত্রী ও পথচারীরা নাক চেপে চলাচল করছেন।

এদিকে, ওই দু'টি মহাসড়কের পাশে বিভিন্ন স্থানে আবর্জনার স্তূপ দিনদিন বাড়ছে। দেখলে মনে হয়, দুইটি মহাসড়ক যেন হয়ে উঠেছে আবর্জনা ফেলার ভাগাড়।

জানা গেছে, মহাসড়ক দু'টির পাশে অবাধে ময়লা ফেলে পরিবেশের মারাত্মক দূষণ করে চলেছে কুমিল্লা চারটি পৌরসভা। এগুলো হলো-চান্দিনা, লাকসাম, দাউদকান্দি ও চৌদ্দগ্রাম। এছাড়া বেশ কয়েকটি বাজারের ব্যবসায়ীরাও ময়লা ফেলেন এসব স্থানে। তবে এসব দেখার যেন কেউ নেই।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার তালতুলী এলাকায়, চান্দিনা উপজেলা পরিষদের রাস্তার প্রবেশ মুখে ধানসিঁড়ি এলাকায়, বুড়িচং উপজেলার নিমসার এলাকায় ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বালুজুরি এলাকায় মহাসড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা স্তূপ হয়ে আছে। কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লাকসামে ভাটিয়াভিটা ও ছিলোনিয়া এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এসব স্থানে জেলার দাউদকান্দি, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম ও লাকসাস পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ময়লা ফেলছে।

এছাড়া জেলার বুড়িচং উপজেলার নিমসার বাজার, ময়নামতি ইউনিয়নের নাজিরাবাজার এলাকায় বেশ কিছু বাজারের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি ময়লা ফেলে লাকসাম এবং চান্দিনা পৌরসভা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, লাকসামের ভাটিয়াভিটা ও ছিলোনিয়া এলাকার কোথাও রাস্তার পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখা হয়েছে। আবার কোথাও আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হচ্ছে খাল, আবার কোথাও রাস্তার পিচের ওপরই আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এই এলাকায় রাস্তার পাশে আবর্জনা পুড়িয়ে দেওয়ায় মরে গেছে শতাধিক গাছও।

স্থানীয় বাসিন্দা আনিসুর রহমান জানান, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে লাকসামের এসব স্থানে আবর্জনার স্তূপ দিন দিন বাড়ছে। এতে সেখানকার পরিবেশ দূষিত হয়ে উঠছে। লাকসাম পৌর কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে মহাসড়কের ওপর ও পাশে ময়লা ফেলছে। পৌরসভার উচিত নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলা।

এই ব্যাপারে জানতে চাইলে লাকসাম পৌরসভার প্রকৌশলী মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আবর্জনা ফেলার জন্য আমরা একটি জমি নিয়েছি। সেটি প্রস্তুত করা হচ্ছে। স্থানটি ঠিক হয়ে গেলে আর মহাসড়কের পাশে আবর্জনা ফেলা হবে না।’

এদিকে, চান্দিনা পৌরসভার প্রকৌশলী মো. শাহিনসার হোসেন বলেন, ‘চান্দিনা পৌরসভার আবর্জনা ফেলার একটি স্থান রয়েছে। তবে মহাসড়কের পাশে আবর্জনা ফেলার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’

সড়ক ও জনপদ বিভাগ, কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মো. আহাদ উল্লাহ বলেন, ‘মহাসড়ক আমাদের জাতীয় সম্পদ। এর সৌন্দর্য রক্ষায় সবার সচেতন থাকা প্রয়োজন। মহাসড়কের পাশে ময়লা না ফেলতে বাজার কমিটি ও পৌরসভাকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। আমরা এই বিষয়ে ভবিষ্যতে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

   

'খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তায় প্রকৌশলীদের আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পরিবেশ উন্নয়ন, ডেল্টাপ্ল্যান বাস্তবায়ন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, জলবায়ুর পরিবর্তন ও তার বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় উপযোগী অবকাঠামো নির্মাণে এবং খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জনে প্রকৌশলীদের আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। 

তিনি বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রকৌশলীগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আমি প্রত্যাশা করি।’

আগামীকাল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’ উপলক্ষে সোমবার (৬ মে) দেওয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’ উপলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।” 

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর মাত্র ৩ বছর ৭ মাস ৩ দিন দেশ পরিচালনার সময় পেয়েছিলেন। পাক হানাদার বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের সময় ২৭৮টি রেলব্রিজ এবং ২৭০টি সড়কব্রিজ ধ্বংস করে। যুদ্ধে ধ্বংসপ্রাপ্ত সড়ক, সড়ক-সেতু, রেল, রেল-সেতু মেরামত এবং নির্মাণ করে তিনি যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সেতু মেরামতের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর সরকার প্রায় ৪৯০ কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দ্রুততম সময়ের মধ্যে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন করেছিলেন। আর এ কাজে বঙ্গবন্ধুর অন্যতম প্রধান সহযোগী ছিলেন প্রকৌশলীগণ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে দেশে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু টানেল, এলএনজি টার্মিনাল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ সড়ক, রেল, নৌ ও যোগাযোগ অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে প্রকৌশলীগণই মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সরকার সবসময়ই প্রকৌশলীদের পাশে রয়েছে। ১৯৯৬-২০০১ এর মেয়াদে আমরা আইইবি ভবন নির্মাণের জন্য রমনায় ১০ বিঘা জমি রেজিস্ট্রেশন করে দিয়েছি। এছাড়া আমরা ভবনের কাজ শুরু করার জন্য ৫ কোটি টাকা, দাউদকান্দিতে ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাফ কলেজ নির্মাণের জন্য ৭২ বিঘা জমি, স্টাফ কলেজের ২য় পর্যায়ে নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য ৪৬ কোটি টাকা, খুলনা কেন্দ্রের জন্য কেডিএ-এর জায়গা বরাদ্দ, পূর্বাচলে আইইবি’র জন্য ২ বিঘা জমি, রাঙ্গাদিয়া, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, দিনাজপুর কেন্দ্র এবং ফেনী ও কক্সবাজার উপকেন্দ্রের জন্য জমি প্রদান করেছি। আইইবি ভবনের জন্য সর্বমোট ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। 

প্রধানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেছেন।

;

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনার ডেরেক ল সাক্ষাৎ করেছেন।

সোমবার (৬ মে) সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনার সাক্ষাৎ করেন এবং তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

নসরুল হামিদে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে আরো বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রযুক্তির ব্যবহার উত্তরোত্তর বাড়ছে। সার্বিকভাবে বাংলাদেশ অটোমেশনের দিকে যাচ্ছে। যা বিনিয়োগের সুযোগ বাড়াচ্ছে। আগামী ৫ বছরে প্রযুক্তি খাতে ৫০ থেকে ৬০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে।

হাইকমিশনার সিঙ্গাপুরের আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনাকালে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ¦ালানি নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় পারমাণবিক বিদ্যুৎ, বায়ু বিদ্যুৎ, সৌর বিদ্যুৎ, ক্লিন এনার্জি, সৌর বিদ্যুতের মূল্য, স্মার্ট গ্রিড, ডাটা সেন্টার, এলপিজি ও এলএনজি টার্মিনাল, স্টোরেজ সিস্টেম, রিফাইনারি, অটোমেশন, বিদ্যুৎ আমদানি ও রপ্তানি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

আলোচনাকালে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকাস্থ সিঙ্গাপুর হাইকমিশনের চার্জ দ্য এফেয়ার্স শীলা পিল্লাই উপস্থিত ছিলেন।

;

প্রতি সেক্টরে প্রতিবন্ধীদের প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রতি সেক্টরে প্রতিবন্ধীদের প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী

প্রতি সেক্টরে প্রতিবন্ধীদের প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণমন্ত্রী ড. দীপু মনি বলেছেন, প্রতিটি সেক্টরে প্রতিবন্ধীদের প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তারা যেন যানবাহন, রাস্তা ঘাট, হাট-বাজার, সকল প্রতিষ্ঠানে অবাধে প্রবেশ করতে পারে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

সোমবার (৬ মে) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে ১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২৪ উপলক্ষে সোসাইটি ফর দি ওয়েলফেয়ার অব অটিস্টিক চিলড্রেন (সোয়াক) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সোয়াকের চেয়ারপারসন সুবর্ণা চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার ও এফবিসিসিআই এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ আমিন হেলালি।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কন্যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক সায়েমা ওয়াজেদ বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক সচেতনতা তৈরিতে অগ্রদূতের ভূমিকা রেখেছেন। তিনি অটিজম ও স্নায়ু বিকাশ জনিত সমস্যা বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন হিসেবে এ বিষয়ে সচেতনতা ও নীতি তৈরিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দেশে এনডিডি ও অটিজম বিষয়ে আজ মানুষের মাঝে যে ইতিবাচক পরিবর্তনে এসেছে, এটি সিংহভাগ কৃতিত্ব তার। আজ বাংলাদেশের সাধারণ পরিবারগুলোর মাঝে অটিজম সচেতনতা তৈরি হচ্ছে এবং তারা তাদের সন্তানের প্রতিবন্ধিতা সনাক্ত করতে সক্ষম হচ্ছেন। প্রশিক্ষণ ও চিকিৎসা সেবা নিয়ে সরকার তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। তবে আমাদের যেতে হবে আরও বহুদূর। আমি অভিভাবকদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও অভিবাদন জানাই। শুধু তারাই জানেন, কত প্রতিবন্ধকতার পাহাড় তাদের অতিক্রম করতে হয় প্রতিনিয়ত। সেই সাথে আমি অভিবাদন জানাই বিশেষ শিক্ষক-শিক্ষিকা, এবং কেয়ার গিভারদের যারা নিবেদিতপ্রাণ হয়ে এই বিশেষ শিশুদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

মন্ত্রী বলেন, অটিজম বিষয়ক সচেতনতা তৈরি ও তাদের জীবন প্রণালীর সঠিক ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ চিকিৎসা সহায়তা পুনর্বাসন লক্ষ্যে সরকার, নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন ২০১৩, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩, নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্ট বিধিমালা ২০১৫, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা বিধিমালা ২০১৫, বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিলিং আইন ২০১৮, এবং প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত বিশেষ শিক্ষানীতিমালা ২০১৯ প্রণয়ন করেছেন।

এই আইন এবং বিধিমালা প্রণয়ন এবং সেই সম্পর্কিত কার্যক্রম থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার রক্ষায় কতটা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গৌরবময় অধ্যায় হিসেবে লেখা থাকবে।

এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্টের আওতায়, চলতি অর্থ বছরে ২০২৩-২৪ দেশের ১৪ টি স্থানে প্রকল্প হিসেবে ১৪ টি অটিজম ও এনডিডি সেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দেশের আটটি বিভাগে আটটি চিকিৎসা, শিক্ষা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও মন্ত্রী জানান।

;

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় শিক্ষকের দু’হাত ভেঙ্গে দিল কিশোর গ্যাং



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় শিক্ষকের ভেঙ্গে দিল কিশোর গ্যাং

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় শিক্ষকের ভেঙ্গে দিল কিশোর গ্যাং

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শ্রেণি কক্ষে ঢুকে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় এক শিক্ষককে পিটিয়ে দুই হাত ভেঙ্গে দিয়েছে কিশোর গ্যাং।

ভুক্তভোগী শিক্ষকের নাম মো. হাসান (৩৪)। তিনি উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার শিক্ষক।

রোববার (৫ মে) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের মদিনা বাজারের পূর্ব পাশে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে, একই দিন বেলা পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির কক্ষে এই ইভটিজিংয়ের এই ঘটনা ঘটে।

হামলাকারী মো. রাজু (২৪) ও আবু নোমান (২৫) মুছাপুর ইউনিয়নের জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা এলাকার বাসিন্দা।

জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আরবি প্রভাষক মো. শহীদ উল্যাহ অভিযোগ করে বলেন, বেলা পৌনে ১১টার দিকে বহিরাগত রাজু জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ক্যাম্পাসে আসে। এরপর সে মাদরাসার ছাত্র নোমানের সহযোগিতায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির কক্ষে ঢুকে এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করে। ওই সময় ছাত্রী তার ভয়ে শ্রেণি কক্ষে থাকা বেঞ্চের নিচে লুকিয়ে যায়।

এরপর ইভটিজিংয়ের শিকার ছাত্রীর অন্য সহপাঠীরা বাধা দিলেও রাজু তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। খবর পেয়ে মাদরাসার নুরানি বিভাগের শিক্ষক মো. সোহেল এগিয়ে আসলে ইভটিজার রাজু ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মাদরাসার ভিতরে ওই শিক্ষককে মারধর করে। তাৎক্ষণিক একই মাদরাসার শিক্ষক হাসান এগিয়ে এসে সহকর্মী শিক্ষকের ওপর হামলা ও ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করলে তার সাথেও ইভটিজারদের বিরোধ দেখা দেয়। ওই বিরোধের জের ধরে বিকেল ৫টার দিকে মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য রাজু ও নোমানের নেতৃত্বে ৭/৮ জন কিশোর গ্যাং সদস্য তার গতিরোধ করে। পরে তারা শিক্ষক হাসানের ওপর হামলা চালায়। তখন হামলাকারীরা তাকে রাস্তায় দৌড়াতে দৌড়াতে বেধড়ক পেটায়। এতে তার দুই হাত ভেঙ্গে যায়।

হামলার শিকার শিক্ষকের শাশুড়ি বিবি খাদিজা ও শ্বশুর মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা এ হামলা চালায়। বর্তমানে হাসানকে জেলা শহর মাইজদীর জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালের অর্থোপেডিক ডাক্তার আবদুর রহমান বলেন, তার একটি হাতে অপারেশন করে পাত বসানো হয়েছে। অন্য একটি হাতে প্লাস্টার করা হয়েছে। তার দুটি হাত ভেঙ্গে গেছে।

নোয়াখালীর পুলিম সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, বিষয় শুনেছি। ভুক্তভোগী শিক্ষকের পরিবারকে কোম্পানীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;