‘উন্নয়ন প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে থাকবে না রংপুর’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম,রংপুর
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সাদ এরশাদ/ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সাদ এরশাদ/ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যান্য জেলার মত রংপুরও উন্নয়ন প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত এইচ এম এরশাদের ছেলে রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ।

তিনি বলেন, আমরা কেন পিছিয়ে থাকব? দেশের সবখানে উন্নয়ন হচ্ছে, রংপুরেও হবে। উন্নয়ন এখন প্রতিযোগিতায় পরিণত হয়েছে। আমরা সংসদে বিরোধী দল হিসেবে সরকারকে উন্নয়নে সহযোগিতা করছি। এই প্রতিযোগিতায় রংপুর পিছিয়ে থাকবে না।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এরশাদপুত্র সাদ এ কথা বলেন।

রংপুর-৩ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, আমার বাবার (এরশাদের) স্বপ্ন পূরণ করতে চাই। রংপুরের মানুষের জন্য সব সময় কাজ করতে চাই। আমাকে আপনারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। রংপুরের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ যত মন্ত্রী আছেন, সবার কাছে যাব। উন্নয়নের জন্য সংসদে কথা বলব। তবু রংপুরকে পিছিয়ে পড়তে দিব না।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রংপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও রংপুর জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক হুইপ নুর ইসলাম ওমর। এতে সভাপতিত্ব করেন রংপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আবুল মুযন আযাদ।

ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণের আগে মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে পরিবেশন করে শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।

   

পুলিশের এসবি পরিচয়ে পাসপোর্টকারীদের সঙ্গে প্রতারণা, গ্রেফতার ৯



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) অফিসার পরিচয় দিয়ে পাসপোর্ট এর বিভিন্ন আবেদনকারীর কাছ থেকে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎকারী প্রতারক চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবি জানায়, এই চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে পাসপোর্ট অফিসের আনসার সদস্যরা ও পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা। চক্রটি পুলিশ পরিচয়ে ট্রুকলারে নম্বর সেইভ করে পাসপোর্টের আবেদনকারীদের তথ্য নিয়ে মোবাইলে ফোন দিয়ে টাকা প্রতারণা করে আসছিলেন।

সোমবার (৬ মে) রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ের কম্পাউন্ডে এক সংবাদ সম্মেলনে এবিষয়ে বিস্তারিত জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি প্রধান) হারুন আর রশীদ।

তিনি বলেন, এই প্রতারক চক্র পাসপোর্ট অফিসের অসাধু কর্মকর্তা, কর্মচারীর, পিয়ন ও আনসার সদস্যের যোগসাজসে পাসপোর্ট অফিস হতে তথ্য সংগ্রহ করে পাসপোর্ট আবেদনকারীদের ডেলিভারী এবং আবেদন ফরমে দেওয়া মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে উক্ত নম্বরসমূহে ফোন করে প্রথমে আবেদনকারীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (এনআইডি, বিদ্যুৎ বিলের কপি) হোয়াটসঅ্যাপে প্রেরণ করার জন্য বলে এবং পরে প্রতারণা করে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে।

ডিবি প্রধান বলেন, এবিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ এর পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন শাখা সবুজবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ডিবি সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কাজী মো. বেলাল হোসেন (৩৫), মো. জসিম উদ্দিন (৩৩), মো. আল-আমিন গাজী (২৭), হাসান আহম্মেদ (২৯), মো. সোহাগ আলম, মো. হোসাইন মোল্লা, নুরুজ্জামান মিয়া, মামুনুর রহমান ও মো. রাসেল ইসলাম।

হারুন আর রশীদ বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিরা পাসপোর্ট অফিসে অসাধু কর্মচারী, পিয়ন, আনসার সদস্য, কর্মকর্তার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে। পরে পাসপোর্ট আবেদনকারীদের গোপন তথ্য হাতিয়ে নেয়। পুলিশের মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ভেরিফিকেশনের কথা বলে পাসপোর্ট আবেদনকারীদের নিকট থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেন। পুলিশের ছবি ও নাম ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে প্রতারণার কাজে বিভিন্ন এ্যাপ ব্যবহার করে ভুয়া নামে রেজিষ্ট্রেশনকৃত মোবাইল সিম সংগ্রহ করে নিজেরা প্রতারণার কাজে ব্যবহার করেন। অন্যের নামে বিকাশ/নগদ মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট যুক্ত সিম সংগ্রহ করে প্রতারণার অর্থ লেনদেন করেন।

গ্রেফতারকৃত আসামি বেলাল হোসেনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩টিমামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামি মো. জসিম উদ্দিনের নামে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে।

যেভাবে অপরাধ করে চক্রটি:

গ্রেফতারকৃত আসামি বেলাল, জসিম, হাসান, আল-আমিন ভেরিফিকেশন এর নামে মিথ্যা পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা চক্রের সাথে সরাসরি জড়িত। গ্রেফতারকৃত আসামিরা ঘটনা চক্রের মূল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এই চক্রের সঙ্গে পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী, পিয়ন, আনসারসহ নানান লোকজন জড়িত। এই চক্রটি পাসপোর্ট আবেদনকারীদের কাছ থেকে কৌশলে তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে পুলিশ পরিচয়ে ভেরিফিকেশন নামে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ করে। তারা ভুয়া নামে সিম রেজিস্ট্রেশন ফিঙ্গারপ্রিন্ট কৌশলের সংগ্রহকারী অপর গ্রুপের নিকট থেকে অন্যের নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত এবং বিকাশ-নগদ একাউন্ট করা সিম সংগ্রহ করে। সেই নম্বরগুলো থেকে পাসপোর্ট আবেদনকারীদের কল করে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ভেরিফিকেশনের নামে টাকা দাবি করে। এরপর সেই টাকা এই সকল বেনামী সিমের বিকাশ-নগদ একাউন্ট এর মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়। বেশি লাভের আশায় বিভিন্ন কম্পিউটার দোকানের কর্মচারী, পাসপোর্ট অফিসের আনসার সদস্য, পিয়ন, অফিসের কর্মচারীসহ নানান লোকজন এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। চক্রটির মূল হোতা বেলাল ও জসিম।

;

টবের পানিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় লাখ টাকা জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টবের পানিতে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় রাজধানীর কুড়িলে ভবন মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করেন।

এদিন কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় ডিএনসিসি'র উদ্যোগে মেয়র আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা মূলক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে মেয়র ১৭নং ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। এসময় অত্র এলাকার দুটি বাড়ির টবে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার অস্তিত্ব পাওয়া গেলে মেয়রের উপস্থিতিতে একটি বাড়িকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অপর বাড়ির নামে নিয়মিত মামলা করে ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রশ্নে কোন ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা কারো বিরুদ্ধে মামলা বা জরিমানা করতে চাই না। আমরা চাই এই শহর সুস্থ থাকুক, শহরের মানুষগুলো সুস্থ থাকুক। সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা থেকে রক্ষা পেতে নগরবাসী এবং সিটি করপোরেশনকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। অন্যথায় ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, এই সময় ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার বংশবিস্তারের জন্য মোক্ষম সময়। রোদ বৃষ্টির এই সময়ে যেখানেই পানি জমার সুযোগ থাকবে সেখানেই ভয়ংকর এই এডিস মশা জন্ম নিবে। তাই আজ থেকেই নিজ নিজ বাসা বাড়িসহ পুরো এলাকা পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। যদি কোন বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানে পরিত্যক্ত অবস্থায় জমে থাকা পানির অস্তিত্ব পাওয়া যায় তাহলে সিটি করপোরেশন জরিমানা করাসহ আইন ব্যবস্থা নেবে।

এর আগে, বেলা ১১টায় কর্মসূচির শুরুতে পূর্বের দেওয়া কথা অনুযায়ী রাস্তায় পড়ে থাকা খালি চিপসের প্যাকেট, বোতল ও ডাবের খোসা নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে থেকে কিনে নেয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।

;

সিলেটে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের কানাইঘাটে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রাপতে মাহতাব উদ্দিন (৪৫) নামে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কানাইঘাট উপজেলার ১নং লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহতাব কানাইঘাটের সড়কের বাজার দর্পনগর পশ্চিম (করচটি) গ্রামের বাসিন্দা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার। তিনি জানান, মাহতাব উদ্দিন তার কয়েকটি গরু নিয়ে হাওরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে তিনি বজ্রাঘাতে মারা যান।

;

রাজধানীতে ইজিবাইক চোর চক্রের ৮ সদস্য গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চোরাইকৃত ১৭টি ইজিবাইক উদ্ধারসহ চোর চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০)। একই সঙ্গে চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। 

সোমবার (৬ মে) র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার এম. জে. সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এম. জে. সোহেল জানান, সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইজিবাইক চুরির ঘটনা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন চোরচক্র সংগঠিতভাবে গরিব, অসহায় ও সাধারণ মানুষের একমাত্র আয়ের উৎস ইজিবাইক চুরি করে তাদের ক্ষতি সাধন করে আসছে। র‌্যাব এই চোরচক্রদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার মাধ্যমে ইজিবাইক চুরি রোধকল্পে অভিযান অব্যহত রেখেছে। যার ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গত ২৬ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার ও বন্দর এলাকায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে চোরাইকৃত ১৪টি ইজিবাইক উদ্ধার ও চোরচক্রের ৫ জনকে গ্রেফতার করে।


তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১০ এর আভিযানিক দল ইজিবাইক চোর চক্রটির সাথে সম্পৃক্ত পলাতক অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে অভিযান অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল (৫ মে) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আন্তঃজেলা ইজিবাইক চোর চক্রের অন্যতম মূলহোতা মো. কবির (৫০), সহ আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, মো. দুলাল শিকদার (৫১) ও মো. সেলিম (৪১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চোরাইকৃত আরও ৩টি ইজিবাইক ও ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মো. কবির ইজিবাইক চোর চক্রটির মূলহোতা এবং দুলাল শিকদার কবিরের প্রধান সহযোগী। দুলাল শিকদার ঢাকার কেরাণীগঞ্জ, শ্যামপুর ও যাত্রাবাড়ীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে টার্গেট খুঁজে ও ইজিবাইক চুরির জন্য সুবিধাজনক স্থান নির্ধারণ করে কবিরকে জানায়। পরে কবির দুলালকে নিয়ে তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী যাত্রাবাড়ী, ধোলাইপাড়, জুরাইন, হাসনাবাদ, কদমতলীসহ বিভিন্ন ইজিবাইক স্ট্যান্ডে গিয়ে তাদের পূর্বপরিকল্পিত ও সুবিধাজনক স্থানে যাওয়ার কথা বলে ইজিবাইক ভাড়া করে। কোন ইজিবাইক চালক সেখানে যেতে অস্বীকৃতি জানালে দুলাল ও শিকদার তাদেরকে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অধিক ভাড়া দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রাজি করিয়ে নিয়ে যেত। পরে তাদের সুবিধাজনক স্থানে পৌঁছামাত্র দুলাল ভাড়া দেওয়ার জন্য বিভিন্ন তালবাহানা করে বিলম্ব করতে থাকে এবং অপরদিকে কবির বিভিন্ন চেতনানাশক ঔষধ ব্যবহার করে ঐ ইজিবাইক চালককে অজ্ঞান করে ফেলে রেখে তার ইজিবাইক নিয়ে দ্রত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যেত।

পরবর্তীতে কবির ও দুলাল চোরাইকৃত ইজিবাইক তাদের অপর সহযোগী মো. সেলিমের নিকট হস্তান্তর করত। সেলিম চোরাইকৃত বিভিন্ন ইজিবাইক তার হেফাজতে রেখে সেগুলোর রং, আকৃতি ও কাঠামো পরিবর্তন করে পার্শবর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করত।

তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, কবিরের নেতৃত্বে চক্রটি প্রায় ১ বছর যাবৎ ঢাকার বিভিন্ন এলাকা হতে ইজিবাইক চুরি করে সেগুলোর বিক্রি করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় ১টি চুরির মামলা এবং গ্রেফতারকৃত সেলিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি, মাদক ও হত্যাসহ মোট ৪টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

;