'ঢাকাকে ক্যাসিনোর শহর বানিয়েছে আ.লীগ'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রংপুর
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মসজিদের শহর ঢাকা ক্যাসিনোর শহরে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। তিনি বলেন, ‘ঢাকা এক সময় মসজিদের শহর ছিল। এখন সেটা ক্যাসিনোর শহরে পরিণত হয়েছে। এই ঢাকাকে জুয়ার শহর বানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর মহানগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ের দলীয় কার্যালয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বরকত উল্লাহ্ বুলু অভিযোগ করেন, 'আওয়ামী লীগ ও যুবলীগর যে সব নেতা-কর্মীদের ধরা হয়। তাদের ব্যাংক হিসাবে এখন শত শত কোটি টাকা। যাদের এর আগে ১০ হাজার টাকাও ছিল না, তারাও এখন কয়েক শত কোটি টাকার মালিক।'

তিনি বলেন, দেশের বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। দেশে কোন বিচার ব্যবস্থা নেই। একজনের নীতিতে বিচার চলছে। শেখ হাসিনার নীতির বাইরে দেশে কোন বিচার হয় না। প্রতিনিয়ত মানুষ খুন গুম হচ্ছে। সারা দেশে বিএনপির সাড়ে ৫ শত নেতাকর্মী গুম হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে অসংখ্য নেতাকর্মীকে। হাজার হাজার মামলা হয়েছে। শত শত নেতাকর্মী শুধু বিএনপির রাজনীতি করার কারণে জেলে আছেন। কে কখন খুন হবে, গুম হবে তা কেউ বলতে পারছে না। এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ নয়।

বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, গত এগারো বছরের যত লুট-খুন-গুম হয়েছে, তার জবাব একদিন এই অবৈধ সরকারকে দিতে হবে। জনতার আদালতে বিচার করা হবে। সেই দিন বেশি দূরে নয়। জনগণ সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার মাধ্যমে সরকারের পতন নিশ্চিত করবে।

এ সময় কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে সকলকে এক যোগে আন্দোলন করার জন্য প্রস্তুত হবার আহ্বান জানিয়ে বুলু বলেন, কোনো মামলা না থাকার পরেও মিথ্যা মামলা সাজিয়ে সরকারের ইচ্ছের প্রতিফলনের রায়ে খালেদা জিয়াকে জেলে রাখা হয়েছে। সরকার বিচার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করছে। ২০ মাস ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করেও বেগম খালেদা জিয়াকে আমরা মুক্ত করতে পারছি না।

সমাবেশে রংপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, রংপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু, রংপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রইচ আহমেদসহ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

   

ট্রেনের ১৯ টিকিটসহ কালোবাজারী চক্রের সদস্য গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ট্রেনের বিভিন্ন গন্তব্যের ৩৩টি আসনের মোট ১৯টি টিকিটসহ কালোবাজারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ভৈরব রেলওয়ে পুলিশ। এ সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।

সোমবার (৬ মে ) দুপুরে দুপুরে কুলিয়ারচর রেল স্টেশনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মো. আরমানকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়।

এ তথ্য নিশ্চিত করে রেলওয়ে পুলিশের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ভৈরব রেলওয়ে পুলিশ কর্তৃক গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে কুলিয়ারচর রেল স্টেশনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় টিকিট কালোবাজারী মো. আরমানকে (৩৫) ভিন্ন ভিন্ন ট্রেনের বিভিন্ন গন্তব্যের ৩৩টি আসনের ১৯টি টিকিট এবং অনলাইনে টিকিট ক্রয়কৃত মোবাইল ফোনসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামি অবৈধ পন্থায় তার নিজ, স্ত্রীর ও আত্মীয়-স্বজনের আইডি ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে টিকেটগুলো সংগ্রহ করে। সেই টিকিট বেশি দামে প্লাটফর্মে অপেক্ষারত যাত্রীদের কাছে কালোবাজারে বিক্রয় করে।

আসামি আরমান কুলিয়ারচর রেলস্টেশনের খালাসী পদে কর্মরত বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ভৈরব রেলওয়ে থানায় তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।

রেলওয়ে পুলিশের টিকেট কালোবাজারি বিরোধী সাঁড়াশি অভিযান অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

;

ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি জানাতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়াল ছাত্রলীগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ও চকবাজার থানা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (৬ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চকবাজার থানাধীন মহসিন কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এতে মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের ১০ জন ও চকবাজার থানা ছাত্রলীগের তিনজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে উভয় পক্ষ দাবি করছে। এরমধ্যে মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক কাজী নাঈম, মফিজুর রহমান (বিএসএস ফাইনাল), আরমান হোসাইন (বিবিএস তৃতীয় বর্ষ), মোহাম্মদ তাকিব (বিবিএস ৪র্থ বর্ষ), আরবিন আরমান (২য় বর্ষ), সাইদুল (বিএসএস ৩য় বর্ষ), নাফিস (বিবিএস ২য় বর্ষ), শিহাব (বিএসএস ২য় বর্ষ), রিমনও অন্তর (এইচএসসি ২য় বর্ষ) আহত হয়েছে। বিপরীতে চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলামসহ ইমরান খান ইমন ও আশিকুল ইসলাম রবিন নামে আরও দুজন আহত হয়।

মহসিন কলেজে ছাত্রলীগের আহবায়ক কাজী নাঈম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রঘোষিত ফিলিস্তিনের ইস্যুতে একটি প্রোগ্রাম ছিল। সেই কর্মসূচির আলোকে কলেজে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করি। এরপর কলেজ থেকে পদযাত্রা নিয়ে বের হয়ে ঘুরে এসে পুনরায় কলেজের প্রধান ফটকে দাঁড়াই। তাৎক্ষণিক চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহেদের নেতৃত্বে এলাকার লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমিসহ ১০ জন নেতা কর্মী আহত হয়েছে। পরে পুলিশ আসলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমরা মামলা করব।

হামলার কারণ জানতে চাইলে ছাত্রলীগের এই নেতা বলেন, কেন হামলা করছে সেটা তো বুঝতেছি না। তবে কয়েকদিন আগে চকবাজার থানা ছাত্রলীগের একটা ছেলে কলেজে এসে মাদক সেবন করেছিল। পরে আমরা তাকে নিষেধ করেছিলাম। ওই ছেলেকে পুলিশ নিয়ে গেছে শুনেছি। ধারণা করা হচ্ছে সেই ইস্যুকে কেন্দ্র করে আজকে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আজকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঘোষিত ফিলিস্তিনের প্রোগ্রামে আমরা সিআরবিতে যাচ্ছিলাম। সিআরবিতে যাওয়ার পথে আমরা টেম্পো ভাড়া করতেছিলাম। আমরা দুইটা টেম্পো ভাড়া করেছি, সেই দুইটাতে আমাদের কর্মীরা বসা ছিল। পরে আরেকটা টেম্পো ভাড়া করলে আমাদের ছেলেরা ওইটাতে ওঠে বসে। এ সময় মহসিন কলেজের মাঠের পাশ দিয়ে তারাও টেম্পো ভাড়া করতে আসে। আমরা তাদের বলেছি এ টেম্পো আমরা ভাড়া করেছি। তোমরা অন্য একটি ভাড়া করো। কিন্তু তাদের কথা হচ্ছে এই টেম্পু তারা নিয়ে যাবে। এ সময় ছাত্রলীগের নাঈম ও মিজানের নেতৃত্বে আমাদের ছেলেদের ওপর হামলা করা হয়। এতে আমাদের দুই কর্মীর মাথা ফেটে গেছে। তারা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি আছে। আমি নিজেও আহত হয়েছি। এঘটনায় আমরা মামলা করবো।

এবিষয়ে জানতে চকবাজার থানার ওসিকে ফোন দিলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক সারোয়ার বার্তা২৪.কমকে বলেন, তেমন হতাহতের কিছু আমরা দেখিনি। তাদের মধ্যে সামান্য হাতাহাতি হয়েছে। খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে দুইদিকে সরিয়ে দিয়েছে, তারাও চলে গেছে। এখন সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।

;

পুলিশের এসবি পরিচয়ে পাসপোর্টকারীদের সঙ্গে প্রতারণা, গ্রেফতার ৯



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) অফিসার পরিচয় দিয়ে পাসপোর্ট এর বিভিন্ন আবেদনকারীর কাছ থেকে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎকারী প্রতারক চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবি জানায়, এই চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে পাসপোর্ট অফিসের আনসার সদস্যরা ও পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা। চক্রটি পুলিশ পরিচয়ে ট্রুকলারে নম্বর সেইভ করে পাসপোর্টের আবেদনকারীদের তথ্য নিয়ে মোবাইলে ফোন দিয়ে টাকা প্রতারণা করে আসছিলেন।

সোমবার (৬ মে) রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ের কম্পাউন্ডে এক সংবাদ সম্মেলনে এবিষয়ে বিস্তারিত জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি প্রধান) হারুন আর রশীদ।

তিনি বলেন, এই প্রতারক চক্র পাসপোর্ট অফিসের অসাধু কর্মকর্তা, কর্মচারীর, পিয়ন ও আনসার সদস্যের যোগসাজসে পাসপোর্ট অফিস হতে তথ্য সংগ্রহ করে পাসপোর্ট আবেদনকারীদের ডেলিভারী এবং আবেদন ফরমে দেওয়া মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে উক্ত নম্বরসমূহে ফোন করে প্রথমে আবেদনকারীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (এনআইডি, বিদ্যুৎ বিলের কপি) হোয়াটসঅ্যাপে প্রেরণ করার জন্য বলে এবং পরে প্রতারণা করে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে।

ডিবি প্রধান বলেন, এবিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ এর পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন শাখা সবুজবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ডিবি সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কাজী মো. বেলাল হোসেন (৩৫), মো. জসিম উদ্দিন (৩৩), মো. আল-আমিন গাজী (২৭), হাসান আহম্মেদ (২৯), মো. সোহাগ আলম, মো. হোসাইন মোল্লা, নুরুজ্জামান মিয়া, মামুনুর রহমান ও মো. রাসেল ইসলাম।

হারুন আর রশীদ বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিরা পাসপোর্ট অফিসে অসাধু কর্মচারী, পিয়ন, আনসার সদস্য, কর্মকর্তার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে। পরে পাসপোর্ট আবেদনকারীদের গোপন তথ্য হাতিয়ে নেয়। পুলিশের মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ভেরিফিকেশনের কথা বলে পাসপোর্ট আবেদনকারীদের নিকট থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেন। পুলিশের ছবি ও নাম ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে প্রতারণার কাজে বিভিন্ন এ্যাপ ব্যবহার করে ভুয়া নামে রেজিষ্ট্রেশনকৃত মোবাইল সিম সংগ্রহ করে নিজেরা প্রতারণার কাজে ব্যবহার করেন। অন্যের নামে বিকাশ/নগদ মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট যুক্ত সিম সংগ্রহ করে প্রতারণার অর্থ লেনদেন করেন।

গ্রেফতারকৃত আসামি বেলাল হোসেনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩টিমামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামি মো. জসিম উদ্দিনের নামে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে।

যেভাবে অপরাধ করে চক্রটি:

গ্রেফতারকৃত আসামি বেলাল, জসিম, হাসান, আল-আমিন ভেরিফিকেশন এর নামে মিথ্যা পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা চক্রের সাথে সরাসরি জড়িত। গ্রেফতারকৃত আসামিরা ঘটনা চক্রের মূল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এই চক্রের সঙ্গে পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী, পিয়ন, আনসারসহ নানান লোকজন জড়িত। এই চক্রটি পাসপোর্ট আবেদনকারীদের কাছ থেকে কৌশলে তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে পুলিশ পরিচয়ে ভেরিফিকেশন নামে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ করে। তারা ভুয়া নামে সিম রেজিস্ট্রেশন ফিঙ্গারপ্রিন্ট কৌশলের সংগ্রহকারী অপর গ্রুপের নিকট থেকে অন্যের নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত এবং বিকাশ-নগদ একাউন্ট করা সিম সংগ্রহ করে। সেই নম্বরগুলো থেকে পাসপোর্ট আবেদনকারীদের কল করে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ভেরিফিকেশনের নামে টাকা দাবি করে। এরপর সেই টাকা এই সকল বেনামী সিমের বিকাশ-নগদ একাউন্ট এর মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়। বেশি লাভের আশায় বিভিন্ন কম্পিউটার দোকানের কর্মচারী, পাসপোর্ট অফিসের আনসার সদস্য, পিয়ন, অফিসের কর্মচারীসহ নানান লোকজন এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। চক্রটির মূল হোতা বেলাল ও জসিম।

;

টবের পানিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় লাখ টাকা জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টবের পানিতে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় রাজধানীর কুড়িলে ভবন মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করেন।

এদিন কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় ডিএনসিসি'র উদ্যোগে মেয়র আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা মূলক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে মেয়র ১৭নং ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। এসময় অত্র এলাকার দুটি বাড়ির টবে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার অস্তিত্ব পাওয়া গেলে মেয়রের উপস্থিতিতে একটি বাড়িকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অপর বাড়ির নামে নিয়মিত মামলা করে ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রশ্নে কোন ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা কারো বিরুদ্ধে মামলা বা জরিমানা করতে চাই না। আমরা চাই এই শহর সুস্থ থাকুক, শহরের মানুষগুলো সুস্থ থাকুক। সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা থেকে রক্ষা পেতে নগরবাসী এবং সিটি করপোরেশনকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। অন্যথায় ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, এই সময় ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার বংশবিস্তারের জন্য মোক্ষম সময়। রোদ বৃষ্টির এই সময়ে যেখানেই পানি জমার সুযোগ থাকবে সেখানেই ভয়ংকর এই এডিস মশা জন্ম নিবে। তাই আজ থেকেই নিজ নিজ বাসা বাড়িসহ পুরো এলাকা পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। যদি কোন বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানে পরিত্যক্ত অবস্থায় জমে থাকা পানির অস্তিত্ব পাওয়া যায় তাহলে সিটি করপোরেশন জরিমানা করাসহ আইন ব্যবস্থা নেবে।

এর আগে, বেলা ১১টায় কর্মসূচির শুরুতে পূর্বের দেওয়া কথা অনুযায়ী রাস্তায় পড়ে থাকা খালি চিপসের প্যাকেট, বোতল ও ডাবের খোসা নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে থেকে কিনে নেয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।

;