রাঙ্গাকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের অবস্থান কর্মসূচি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের অবস্থান কর্মসূচি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাপার মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার ও জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সোমবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচিতে এই দাবি জানান সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন।

তিনি বলেন, শহীদ নূর হোসেনকে নিয়ে কটূক্তি করায় মশিউর রহমান রাঙ্গা তার নিজ দলের মহাসচিব পদ এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় সংসদের সদস্য পদে থাকার নৈতিক যোগ্যতা হারিয়েছেন। তিনি শপথ ভঙ্গ করেছেন এবং সামরিক শাসনকে সমর্থন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে বেঈমানি করেছেন।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ মনে করে রাঙ্গা দেশের সার্বভৌমত্ব ও শৃঙ্খলার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। সংবিধানে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ঢুকিয়ে স্বৈরাচার এরশাদ বাঙালি জাতির সাথে বেইমানি করেছিলেন। এখন মশিউর রহমান রাঙ্গাকে স্বৈরাচার এরশাদের দোসর মনে হচ্ছে।

এ সময় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ দুটি দাবি জানায়। একটি হলো, যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা না চায় তাহলে তার সংসদ সদস্য পদ শূন্য ঘোষণা করে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। এবং অপরটি হলো, জাতীয় পার্টিকে নূর হোসেন হত্যার অপরাধে জাতীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।

আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

   

ডেঙ্গুতে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ জন। এ নিয়ে জানুয়ারির প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৫৬৯ জনে। এ সময় কারোর মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃত্যু সংখ্যা ৩২ জনেই রইলো।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা ১৪ জন ও ঢাকার বাইরের ১০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১৩ জন ও নারী ১১ জন।

এ সময় হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ২৮ জন। আর জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত বাড়ি ফিরেছেন দুই হাজার ৪০৫ জন। 

;

ডেঙ্গু নিয়ে মিথ্যাচার করছেন মেয়র তাপস: সাঈদ খোকন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস 'ডেঙ্গু নিয়ে মিথ্যাচার করছেন' বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে (Mohammad Sayeed Khokon) এক পোস্টে এই মন্তব্য করেন তিনি।
মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র। এর আগে তিনি ২০১৫ সালের ১৭ মে থেকে ২০২০ সালের ১৬ মে পর্যন্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন।

গতকাল বুধবার (১৫ মে) এক অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ২০১৯-এর তুলনায় ২০২৩ সালে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪২ হাজার কম ছিল।'

মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের ফেসবুকের এই পোস্টে বলা হয়, তাঁর (তাপস) এই তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। মেয়র তাপস দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। এখন মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে নিজের ব্যর্থতার দায় অন্যের কাধেঁ চাপাতে চাইছেন তাপস।

ডেঙ্গু নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য তুলে ধরে সাঈদ খোকন তার পোস্টে লিখেন, ২০১৯ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। এর মধ্যে ঢাকা শহরে রোগীর সংখ্যা ছিল ৫১ হাজার ৮১০ আর বাইরে ৪৯ হাজার।

আর গত বছর (২০২৩) দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। কেবল ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে যত মৃত্যু হয়, তা আগের ২২ বছরে হয়নি।

অর্থাৎ আগের ২২ বছরের চেয়ে গত বছর রোগীর সংখ্যা ছিল বেশি। গত বছর (২০২৩) দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে আক্রান্ত হন ১ লাখ ১০ হাজার ৮ জন। আর বাকি ২ লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন আক্রান্ত হন ঢাকার বাইরে। এ ছাড়া গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকাতেই ৯৮০ জন মারা যান।

তাই অপরাজনীতি না করে কীভাবে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে রক্ষা করা যায়, সেদিকে নগর কর্তৃপক্ষকে দৃষ্টি দেওয়ার আহবান জানান সাঈদ খোকন।

;

উচ্চশিক্ষা নিতে নরওয়ে যাচ্ছেন চুয়েটের ৮ শিক্ষার্থী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
উচ্চশিক্ষা নিতে নরওয়ে যাচ্ছেন চুয়েটের ৮ শিক্ষার্থী

উচ্চশিক্ষা নিতে নরওয়ে যাচ্ছেন চুয়েটের ৮ শিক্ষার্থী

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ৮ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার্থে নরওয়ের এগডার বিশ্ববিদ্যালয় যাচ্ছেন। চুয়েটের ‘কেয়ার’ প্রকল্পের আওতায় পূর্ণবৃত্তি নিয়ে ২ বছরের জন্য ৩ জন এবং ৫ মাসের জন্য ৫ জন শিক্ষার্থী আগামী আগস্ট মাসে নরওয়ে যাবেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সিন্ডিকেট কক্ষে চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সঙ্গে নরওয়ে গমনকারী শিক্ষার্থীদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী আফজালুর রহমান, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ‘কেয়ার’ প্রকল্প চুয়েট এর প্রকল্প পরিচালক ও সমন্বয়ক এবং যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু সাদাত মুহাম্মদ সায়েম।

অনুষ্ঠানে সম্প্রতি নরওয়ের এগডার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম সম্পন্নকারী ৫জন শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিকভাবে মর্যাদাপূর্ণ ‘কেয়ার’ প্রকল্পের অধীনে চুয়েটের সঙ্গে এগডার বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পাদিত শিক্ষা ও গবেষণা অনুদান চুক্তির আওতায় ২০২২ সাল থেকে এই যৌথ একাডেমিক শিক্ষার্থী বিনিময় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

;

'একদিন কাজ না করলে কপালে মোর ভাত জোটে না'



বর্ণালী জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

"একদিন কাজ না করলে কপালে মোর ভাত জোটে না। দুনিয়াত মোক দেকার মতো কাইয়্যো নাই। ছাওয়া পোয়া থাকিয়াও নাই, নিজের দুইক্যান হাত ছাড়া৷ স্বামী মারা গেইছে ১৪ বছর পার হওছে। ছাওয়া কোলাত নিয়া কাজ করিয়া বড় করছি৷ সেই ছাওয়া বউ, নাতি নিয়া সুখে আছে মোক দ্যাকে না। কপালোত আছে দুঃখ এই বয়সে কাজ না করি আর উপায় নাই।" এভাবেই আবেগে অশ্রুসিক্ত হয়ে রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায় মনের কষ্ট প্রকাশ করছিলেন বৃদ্ধ আজমিনা বেগম (৭২)।

রংপুর নগরীর আলমনগরের একটি জুট কারখানার এক কোনায় বসে কাজ করতে দেখা যায় এই বৃদ্ধাকে। এই বয়সেও কাজ করছেন কেন তা জানতে চাইলে আবেগে অশ্রুসিক্ত কন্ঠে আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।

দীর্ঘদিন ধরে জুট কারখানায় জুট বাছাইয়ের কাজ করেই চলে তার সংসার। নেই স্বামী, নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই। একমাত্র পুত্রসন্তানকে বড় করেও তার উপার্জন ভোগ করার ভাগ্য যেন নেই। আজও সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জুট বাছাইয়ের কাজ করেই দুমুঠো খাবার জোটে তার। নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ড মহাদেবপুরে টিনশিটের ছাওনি বাড়িতে যৌথ পরিবারের একটি ছোট্ট ঘরে ভাড়া থাকেন তিনি৷ সপ্তাহে কাজ করে উপার্জন করেন ১৬০০ টাকা।

এভাবে কাজের উপর ভিত্তি করে মাসে উপার্জন তার। মাসে ৭০০ টাকা গুনতে হয় বাসা ভাড়া আনুষঙ্গিক সব খরচে অভাবের সঙ্গে কাটে তার। প্রায় সময় কারখানা বন্ধ থাকলে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটে বৃদ্ধার।

তিনি বলেন, দুনিয়াত আল্লাহ ছাড়া আর কাইয়্যো নাই৷ এক পোয়া চাল জাল দিয়া প্রতিদিন কামোত আসি। সারাদিন কাজ করি সপ্তাহে টাকা পাই৷ সবকিছুর দাম বাড়তি , কোন রকমে জীবন বাঁচে। স্বামী নাই যার মাথার উপরের ছাতা নাই তার। সেই দশা হইছে মোর। নিজে কষ্ট করিয়াই যাওছি বাকি জীবনটাও খাটিয়া কাটে দিম। মোক না খাওয়াইলেও সারাদিন দোয়া আছে। দুধভাত খাক মোর ছাওয়া৷

যেই বয়সে তার বিশ্রামে কাটানোর কথা, সেই বয়সে তাকে কাটাতে হচ্ছে পরিশ্রমে। বয়সের ভারকে উপেক্ষা করে দিনমজুরির উপার্জনে অভাবে দিনাতিপাত করছেন অসহায় মা আজমিনা।

;