১০৩ বছরে ঐতিহ্যের কারমাইকেল কলেজ



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রংপুর
কারমাইকেল কলেজ/ ছবি: সংগৃহীত

কারমাইকেল কলেজ/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১০৩ বছরে পা রাখলো তিনকালের সাক্ষী কারমাইকেল কলেজ। উত্তরের অক্সফোর্ডখ্যাত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ শাসন, পাকিস্তানের শোষণ আর স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় দেখেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি যেন ভারতীয় উপমহাদেশে শিক্ষা-দীক্ষা, আন্দোলন-সংগ্রাম, এবং ঐতিহ্যের জীবন্ত প্রতীক।

১৯১৬ সালের ১০ নভেম্বর কারমাইকেল কলেজ যাত্রা শুরু করে। তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার গভর্নর লর্ড থমাস ডেভিড ব্যারন কারমাইকেল এই ঐতিহাসিক কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তার নামানুসারেই কলেজের নামকরণ করা হয় কারমাইকেল কলেজ।

১৯১৭ সালের জুলাই মাসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এই কলেজে আইএ ও বিএ ক্লাস খোলার অনুমতি দেয়। সেই সময় থেকে প্রায় দুই বছরের জন্য কলেজটির পঠন ও পাঠনের কাজ চলে রংপুরের বর্তমান জেলা পরিষদ ভবনে। এরপর ১৯১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কারমাইকেল কলেজের মূল ভবনের উদ্বোধন করা হয়।

কারমাইকেল কলেজের একটি পুরনো স্থিরচিত্র/ ছবি: সংগৃহীত

অবিভক্ত বাংলার যে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিপুল খ্যাতি অর্জন করেছিল এর মধ্যে কারমাইকেল কলেজ রয়েছে প্রথম সারিতে। ইংরেজ আমলের অবিভক্ত বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার প্রসার ও প্রচারের জন্য অসামান্য খ্যাতির অধিকারী এই কারমাইকেল কলেজ। তৎকালীন রংপুর, দিনাজপুর অঞ্চলসহ অবিভক্ত ভারতের জলপাইগুড়ি, আসাম ও সংলগ্ন এলাকার শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস। তৎকালীন সময়ে রংপুরে উচ্চবিদ্যালয় পর্যায়ে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকলেও কলেজ পর্যায়ে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল না।

প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সৌন্দর্যে ঘেরা নয়নাভিরাম এই ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠিত হয় প্রায় আটশ বিঘা জমি নিয়ে। বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চ মাধ্যমিক, ডিগ্রিসহ ২২টি বিষয়ে সম্মান ও স্নাতকোত্তরে অধ্যয়ন করছেন প্রায় সাড়ে ৩০ হাজার শিক্ষার্থী।

জমিদারি স্থাপত্যের যেন এক অনন্য নিদর্শন। চারদিকে সবুজের সমারোহের মধ্যে যেন গর্বিত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে অনিন্দ্য সুন্দর স্থাপত্য কীর্তি কারমাইকেল কলেজের শ্বেতশুভ্র মূল ভবন। কলেজে ঢুকতেই হাতের বাঁয়ে পড়বে শিক্ষকদের আবাসিক ভবন। একটু এগিয়ে গেলে শিক্ষকদের ডরমেটরি, যা ‘হোয়াইট হাউস’ নামে পরিচিত। পাশেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কিউএ মেমোরিয়াল প্রাথমিক বিদ্যালয় (কলেজ প্রাইমারি স্কুল)।

এর বিপরীতে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আরেক বিস্ময় বৃক্ষ ‘কাইজেলিয়া’। এই কাইজেলিয়া বৃক্ষটি বিলুপ্ত-প্রজাতির বৃক্ষ। এর বয়সও শতবর্ষ পেরিয়েছে। এটি মূলত আফ্রিকার মহাদেশ থেকে আনা কোন এক বৃক্ষপ্রেমীর স্মৃতির সাক্ষী। বিলুপ্ত সেই কাইজেলিয়াকে যুগের পর যুগ ধরে রাখতে তৈরি হয়েছে সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কারমাইকেল কাইজেলিয়া শিক্ষা-সংস্কৃতি সংসদ (কাকাশিস)। কাইজেলিয়া বৃক্ষ থেকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে গেলে চৌরাস্তা বা জিরোপয়েন্ট।

এছাড়া রয়েছে একটি সুদৃশ্য বিশাল মসজিদ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র, দ্বিতল ছাত্রী বিশ্রামাগার, বিভিন্ন বিভাগীয় ভবন, ক্যান্টিন, শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল, সাব পোস্ট অফিস, অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম (নির্মাণাধীন), একটি টালি ভবন (বিএনসিসি ও স্কাউট), ছাত্র বিশ্রামাগার, পুলিশ ফাঁড়ি, প্রশাসনিক ভবন, বিশাল দুটি খেলার মাঠ। মূল ভবনের পূর্বে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের একটি স্মারক ভাস্কর্য ‘প্রজন্ম’ যা নতুন মাত্রা যোগ করেছে মূল ভবনের নান্দনিকতায়।

 কারমাইকেল কলেজে/ ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণে শহীদ মিনার, তিনতলা বিজ্ঞান ভবন (সেকেন্ড বিল্ডিং), তিনতলা কলা ও বাণিজ্য ভবন (থার্ড বিল্ডিং), দ্বিতল রসায়ন ভবন, নানা ফুলে সজ্জিত একটি বাগান। রয়েছে প্রায় ৭০ হাজার বইয়ের এক বিশাল ভারসমৃদ্ধ লাইব্রেরি, যা কলেজ প্রতিষ্ঠাকালীন রংপুর জেলা গ্রন্থাগার থেকে ২৫০টি বই নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। কলেজের মূল ভবনের ঠিক মাঝে রয়েছে ‘আনন্দমোহন হল’।

উত্তর-পশ্চিম কোণে রয়েছে একটি উন্মুক্ত মঞ্চ, যা ‘বাংলা মঞ্চ’ নামে পরিচিত। কলেজের সব সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র এটি। পড়ার ফাঁকে বাংলা বিভাগের পাশে লিচুতলার সংস্কৃতি মঞ্চে নানামুখী সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে মেতে ওঠে কলেজটির শিক্ষার্থীরা। রয়েছে একাধিক সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিতর্ক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সব মিলিয়ে সারা বছরই প্রাণোচ্ছল রংপুর কারমাইকেল কলেজ।

এই প্রতিষ্ঠানে বহু খ্যাতিমান পণ্ডিত, গবেষক ও জ্ঞানতাপসের ছোঁয়া রয়েছে। এখানে পড়েছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল আন্দোলনের নেত্রী জাহানারা ইমাম, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, দেশবরেণ্য কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার আনিসুল হক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বর্তমান সংস্কৃতি বিষয়কমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতিতে নাম করা আরো অনেকে।

এদিকে তিন বছর আগে স্থগিত হওয়া কলেজ প্রতিষ্ঠার শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানটি উদযাপনে একদিনের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়েছে কলেজ প্রশাসন। ‘শতবর্ষে শতপ্রাণ, ঐতিহ্যের জয়গান’ স্লোগানে আগামী ২৯ নভেম্বর এই উৎসব অনুষ্ঠান হবার কথা।

অন্যদিকে কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ১০৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার (১১ নভেম্বর) কলেজ ক্যাম্পাসে বর্ণিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। বিকেলে র‌্যালী, কেককাটাসহ সাংস্কৃতিক আয়োজন রয়েছে।

কলেজ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান আয়োজনকে ঘিরে ইতোমধ্যে কলেজটির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের অনলাইনে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছিল। কিন্তু তৎকালীন অধ্যক্ষের খামখেয়ালিপনার কারণে কাঙ্ক্ষিত অনুষ্ঠানটি হয়নি।এবারও স্থগিত হওয়ার অনুষ্ঠানটি উদযাপনের জন্য কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অনলাইনে নিবন্ধন করেছে।

   

চিফ হিট অফিসার বুশরা উত্তর সিটির কেউ না: মেয়র আতিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে নিয়োগপ্রাপ্ত চিপ হিট অফিসার বুশরা আফরিন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কেউ না বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ডিএনসিসির অফিসে তার বসার জন্য নির্ধারিত কোন স্থানও নেই বলে জানান তিনি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁও বাংলাদেশ বেতারের সামনের সড়কে ‘বায়ু দূষণ রোধ ও তীব্র তাপদাহে শহরকে ঠান্ডা রাখতে ডিএনসিসি'র ওয়াটার স্প্রে (পানি ছিটানো) কার্যক্রম পরিদর্শন' শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

চিপ হিট অফিসার বুশরা আফরিনকে নিয়োগ ও বেতনভাতা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র আতিক বলেন, আমি দেখছি কয়েকদিন যাবত আমাদের চিফ হিট অফিসারকে নিয়ে অনেকে বলছেন সিটি করপোরেশন থেকে বেতন বেতন পাচ্ছেন। বলে রাথা ভালো, সিটি করপোরেশন থেকে একটি টাকাও সে পায় না।

তিনি আরও বলেন, হিট অফিসার নিয়োগ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি কোম্পানি অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেসিলিয়েন্স সেন্টার (আরশট-রক) থেকে। সারা বিশ্বে ৭ জন চিফ হিট অফিসার তারা নিয়োগ করেছে। চিফ হিট অফিসার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আমাদের পরামর্শ দিবে। কাজ কিন্তু আমাদের সকলকে করতে হবে। হিট অফিসার কিন্তু কোন কাজ করবে না।

মেয়র আরও বলেন, আমি আগেও বলেছি, সিটি করপোরেশনে চিপ হিট অফিসার বুশরার বসার কোন ব্যবস্থা নেই। তার কোন চেয়ারও কিন্তু নেই। এটা সম্পূর্ণ ইন্টারন্যাশনাল মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি যারা আছে তারা শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের ৭টি দেশে মহিলা হিট অফিসার নিয়োগ করেছে। আমি তাদের বলেছিলাম মহিলা কেনো নিয়োগ করছেন, তারা বলেছে, মহিলাদের গরমের সময় অনুভবটা বেশি হয়। এ জন্যই তারা মহিলা হিট অফিসার নিয়োগ করেছে।

এর আগে, ডিএনসিসির দুটি স্প্রে ক্যানন এবং ১০টি ব্রাউজারের মাধ্যমে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এসব অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিন দিয়ে পানি ছিটানো হচ্ছে। প্রতিটি গাড়িতে ১৫ হাজার লিটার পানি ধরে এবং একটানা ৫ ঘণ্টা স্প্রে করা পরিদর্শন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। এছাড়াও ২৫০টি ভ্যান গাড়ির মাধ্যমে পথচারীদের পানি পান করার জন্য সড়কে নামানো হয়েছে।

;

রোববার ৫ নির্দেশনায় খুলছে প্রাথমিক, বন্ধ থাকবে প্রাক প্রাথমিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রোববার ৫ নির্দেশনায় খুলছে প্রাথমিক, বন্ধ থাকবে প্রাক প্রাথমিক

রোববার ৫ নির্দেশনায় খুলছে প্রাথমিক, বন্ধ থাকবে প্রাক প্রাথমিক

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ থাকা সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলছে আগামী রোববার (২৮ এপ্রিল)। তবে বন্ধ থাকবে প্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয়। 

প্রাথমিকে এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহ প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সকাল ১১ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলবে। দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহে ১ম শিফট সকাল ৮ টা থেকে সকাল ৯ টা ৩০ এবং দ্বিতীয় শিফট ৯ টা ৪৫ মিনিট থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলবে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান,  চলমান তাপদাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারসমূহে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

# আগামী ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকবে।

# একশিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহ প্রতিদিন সকাল ৮ থেকে সকাল ১১.৩০ পর্যন্ত চলবে

# দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহে ১ম শিফট সকাল ৮ টা থেকে সকাল ৯টা ৩০ মিনিট এবং দ্বিতীয় শিফট ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলমান থাকবে।

# প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

# তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

;

মরিশাসের মন্ত্রীর সঙ্গে আরাফাতের বৈঠক

সামাজিক মাধ্যমে অপতথ্যের বিস্তৃতি মোকাবিলার কৌশল নিয়ে আলোচনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মরিশাসের তথ্য প্রযুক্তি, যোগাযোগ ও উদ্ভাবন মন্ত্রী দীপক বালগোবিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) মরিশাসে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপতথ্যের বিস্তৃতি মোকাবিলার কৌশল নিয়ে মরিশাসের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

এছাড়া স্যাটেলাইট ব্যবহার নিয়ে বাংলাদেশ-মরিশাসের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, প্রবাসী শ্রমিকদের দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার, বাংলাদেশে মরিশাসের বিনিয়োগকারীদের জন্য বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা এবং মরিশাসে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের নানা বিষয় নিয়ে মরিশাসের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

এদিন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মরিশাসে একটি স্পিনিং মিল পরিদর্শন করেন এবং সেখানে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের খোঁজ-খবর নেন ও তাদের সাথে কথা বলেন।

উল্লেখ্য, পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বিষয়ক প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য গত ২২ এপ্রিল মরিশাস যান বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। বর্তমানে তিনি মরিশাসে অবস্থান করছেন।

;

ফটিকছড়িতে ক্ষোভ থেকেই দায়ের কোপে কবিরাজকে খুন, অভিযুক্ত গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে এক ব্যক্তির দায়ের কোপে নুর হোসেন (৮০) নামে এক কবিরাজকে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আবু তাহেরকে (৬০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের মালেক শাহ মাজার সংলগ্ন বাজারে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত নুর হোসেন কাঞ্চননগর সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের এক বাসিন্দা। তিনি কবিরাজ হিসেবে বৈদ্যের কাজ করতেন। অভিযুক্ত আবু তাহেরের বাড়ি ওই এলাকার খান মোহাম্মদ পাড়ায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ডা. রফিকুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'আমি আমার ফার্মেসিতে বসা ছিলাম। হঠাৎ মানুষের আওয়াজ শুনে গিয়ে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় নুর হোসেন বৈদ্য পড়ে আছেন। সবাই বলছে, তাকে নাকি দা দিয়ে কোপাকুপি করা হয়েছে। পরে তাকে উদ্ধার করে কয়েকজনকে দিয়ে অটোরিকশা করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে পাঠাই। সেখানে চিকিৎসকরা দেখে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে আমি পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেছি।'

ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হুদা বার্তা২৪.কমকে বলেন, খবর পাওয়ার পর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। পরে অভিযুক্ত আবু তাহেরকে খুনের কাজে ব্যবহৃত দা'সহ গ্রেফতার করা হয়। নুর হোসেন একজন কবিরাজ।

অন্যদিকে, আবু তাহেরের দাবি, নুর হোসেন তাকে তাবিজ ও যাদু-টুনা করে পাগল করে দিয়েছে। সে ক্ষোভ থেকেই নুর হোসেনকে দা গিয়ে কুপিয়েছেন।

ওসি আরও বলেন, যতটুকু জেনেছি, আসামি আবু তাহেরের বংশগতভাবে কিছুটা মানসিক সমস্যা আছে। ঘটনার পর আমরা তাকে একটি ঘরে দরজা বন্দি করে প্রায় এক ঘণ্টা কৌশলে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছি। তখন তার হাতে দা'টি ছিল। সে আগেও এরকম করেছি বলে শুনেছি। তার যখন হাতে টাকা-পয়সা থাকে না. তখন তিনি মানসিকভাবে উচ্ছৃঙ্খল হয়ে যান।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাহের পুলিশকে জানিয়েছেন, 'তাকে (নুর হোসেন) আরো ১০ বছর আগে থেকে হত্যা করা উচিত ছিল। সে আমাকে তাবিজ করে পাগল বানিয়ে দিয়েছে’।

নুর হোসেনের পরিবারের দায়ের করা মামলায় আসামি তাহেরকে শনিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।

;