সুন্দরবনে হরিণ শিকার: ৬০ জনকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম,খুলনা 
আটক হওয়া ব্যক্তিদের জরিমানা করা হয়, ছবি: সংগৃহীত

আটক হওয়া ব্যক্তিদের জরিমানা করা হয়, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুন্দরবনে হরিণ শিকারের বিপুল পরিমাণ ফাঁদসহ আটক হওয়া ৬০জন রাসমেলার যাত্রীর প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকালে বন আইনে তাদেরকে এ জরিমানা করা হয়। এর আগে ভোরে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জয়মনি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

বনবিভাগ জানায়, সুন্দরবনে হরিণ শিকারে যাওয়ার সময় বিপুল পরিমাণ ফাঁদ ও ৩টি ট্রলারসহ ৬০ জন রাসমেলার যাত্রীকে আটক করা হয়। আটকদের কাছ থেকে হরিণ শিকারের ফাঁদ, দা, কুড়াল ও চুলাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে বনরক্ষীরা। আটককৃতদের সবার বাড়ি রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায়।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘প্রতিবছরই রাসমেলাকে কেন্দ্র করে হরিণ শিকারিরা তৎপর হয়ে থাকে। শিকারিরা রাসমেলার যাত্রীদের ছদ্মবেশ ধারণ করে। এবারও তাই  হচ্ছে। রাসমেলা উপলক্ষে কয়েকজন হরিণ শিকারের জন্য সংঘবদ্ধ হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জয়মনি এলাকায় অভিযান চালায় বন রক্ষীরা। এ সময় তিনটি ট্রলারকে চ্যালেঞ্জ করলে তারা দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাদের তাড়া করে ট্রলার জব্দ করা হয়। ট্রলার তল্লাশি করে হরিণ শিকারের ফাঁদ, দা, কুড়াল, চুলাসহ ৬০ জন শিকারিকে আটক করা হয়। তারা রাসমেলার যাত্রী হিসেবেই যাচ্ছিল। তাদের কাছে বনে প্রবেশ ও রাস মেলায় যাওয়ার ক্ষেত্রে বন বিভাগের কোনো পাস ছিল না।

তিনি আরো বলেন, ‘আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি সিওআর মামলা দায়েরের পর তাদের প্রত্যেককে নগদ ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। ৬০ জনকে মোট ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা আদায়ের পর তাদের মুক্ত করে দেওয়া হবে। তবে ট্রলার ৩টি আসন্ন রাসমেলা শেষে মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।'

উল্লেখ্য, প্রতিবারের ন্যায় এ বছরের আগামী ১০ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত ৩ দিনব্যাপী রাসমেলা অনুষ্ঠিত হবে। সুন্দরবনের দুবলারচরে রাসমেলাকে ঘিরে উপকূলীয় অঞ্চলে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে মেলায় যেতে পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের প্রস্তুতি চলছে। এ মেলাকে কেন্দ্র করে সুন্দরবন উপকূলবর্তী মানুষের মধ্যে উৎসবমূখর পরিবেশ সুষ্টি হয়েছে। মেলায় যাওয়ার জন্য লঞ্চ, ট্রলার, সাম্পান, জালি বোট, স্পিডবোট ভাড়াসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি চলছে।

   

সিলেটে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের কানাইঘাটে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রাপতে মাহতাব উদ্দিন (৪৫) নামে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কানাইঘাট উপজেলার ১নং লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহতাব কানাইঘাটের সড়কের বাজার দর্পনগর পশ্চিম (করচটি) গ্রামের বাসিন্দা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার। তিনি জানান, মাহতাব উদ্দিন তার কয়েকটি গরু নিয়ে হাওরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে তিনি বজ্রাঘাতে মারা যান।

;

রাজধানীতে ইজিবাইক চোর চক্রের ৮ সদস্য গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চোরাইকৃত ১৭টি ইজিবাইক উদ্ধারসহ চোর চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০)। একই সঙ্গে চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। 

সোমবার (৬ মে) র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার এম. জে. সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এম. জে. সোহেল জানান, সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইজিবাইক চুরির ঘটনা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন চোরচক্র সংগঠিতভাবে গরিব, অসহায় ও সাধারণ মানুষের একমাত্র আয়ের উৎস ইজিবাইক চুরি করে তাদের ক্ষতি সাধন করে আসছে। র‌্যাব এই চোরচক্রদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার মাধ্যমে ইজিবাইক চুরি রোধকল্পে অভিযান অব্যহত রেখেছে। যার ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গত ২৬ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার ও বন্দর এলাকায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে চোরাইকৃত ১৪টি ইজিবাইক উদ্ধার ও চোরচক্রের ৫ জনকে গ্রেফতার করে।


তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১০ এর আভিযানিক দল ইজিবাইক চোর চক্রটির সাথে সম্পৃক্ত পলাতক অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে অভিযান অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল (৫ মে) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আন্তঃজেলা ইজিবাইক চোর চক্রের অন্যতম মূলহোতা মো. কবির (৫০), সহ আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, মো. দুলাল শিকদার (৫১) ও মো. সেলিম (৪১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চোরাইকৃত আরও ৩টি ইজিবাইক ও ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মো. কবির ইজিবাইক চোর চক্রটির মূলহোতা এবং দুলাল শিকদার কবিরের প্রধান সহযোগী। দুলাল শিকদার ঢাকার কেরাণীগঞ্জ, শ্যামপুর ও যাত্রাবাড়ীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে টার্গেট খুঁজে ও ইজিবাইক চুরির জন্য সুবিধাজনক স্থান নির্ধারণ করে কবিরকে জানায়। পরে কবির দুলালকে নিয়ে তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী যাত্রাবাড়ী, ধোলাইপাড়, জুরাইন, হাসনাবাদ, কদমতলীসহ বিভিন্ন ইজিবাইক স্ট্যান্ডে গিয়ে তাদের পূর্বপরিকল্পিত ও সুবিধাজনক স্থানে যাওয়ার কথা বলে ইজিবাইক ভাড়া করে। কোন ইজিবাইক চালক সেখানে যেতে অস্বীকৃতি জানালে দুলাল ও শিকদার তাদেরকে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অধিক ভাড়া দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রাজি করিয়ে নিয়ে যেত। পরে তাদের সুবিধাজনক স্থানে পৌঁছামাত্র দুলাল ভাড়া দেওয়ার জন্য বিভিন্ন তালবাহানা করে বিলম্ব করতে থাকে এবং অপরদিকে কবির বিভিন্ন চেতনানাশক ঔষধ ব্যবহার করে ঐ ইজিবাইক চালককে অজ্ঞান করে ফেলে রেখে তার ইজিবাইক নিয়ে দ্রত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যেত।

পরবর্তীতে কবির ও দুলাল চোরাইকৃত ইজিবাইক তাদের অপর সহযোগী মো. সেলিমের নিকট হস্তান্তর করত। সেলিম চোরাইকৃত বিভিন্ন ইজিবাইক তার হেফাজতে রেখে সেগুলোর রং, আকৃতি ও কাঠামো পরিবর্তন করে পার্শবর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করত।

তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, কবিরের নেতৃত্বে চক্রটি প্রায় ১ বছর যাবৎ ঢাকার বিভিন্ন এলাকা হতে ইজিবাইক চুরি করে সেগুলোর বিক্রি করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় ১টি চুরির মামলা এবং গ্রেফতারকৃত সেলিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি, মাদক ও হত্যাসহ মোট ৪টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় সহযোগিতার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারের দাবিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় আইনি ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য ওআইসি সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

সম্মেলনের শেষ দিনের অধিবেশনে পশ্চিম আফ্রিকার স্থানীয় সময় রোববার (৫ মে) বিকেলে ওআইসি মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহা'র উপস্থিতিতে গাম্বিয়ার বিচার বিষয়ক মন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল দাওদা এ জালও ওআইসি নেতৃবৃন্দের সামনে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার অগ্রগতি তুলে ধরেন।

অধিবেশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গাদের আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করায় গাম্বিয়াকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, আইন ও আর্থিক বিষয়ে ওআইসি সদস্য দেশগুলোর সহযোগিতা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে সহায়ক হবে।

সভায় সৌদি আরব, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, প্যালেস্টাইনসহ উপস্থিত সদস্য রাষ্ট্রসমূহের প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত ও স্থায়ী সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ সময় গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদৌ তাঙ্গারা মিয়ানমার হতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

;

কুষ্টিয়ায় অরক্ষিত রেলক্রসিং, বাড়ছে দুর্ঘটনা



এস এম জামাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অরক্ষিত রেলক্রসিং এর কারণে প্রতিনিয়তই বাড়ছে দুর্ঘটনা। এসব রেলক্রসিংয়ে কোনো গেটম্যান নেই, তেমনি রাখা হয়নি কোনো নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। ফলে উন্মুক্ত রেলগেট দিয়ে যানবাহন এবং পথচারীরা চলাচল করতে গিয়ে প্রায়শই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। যার ফলে ঘটছে প্রাণহানি।

১৮৬৭ সালে তদানীন্তন ব্রিটিশ সরকার দর্শনা হতে জগতি পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে সংস্কার করা হয় এই রেললাইন। পোড়াদহ থেকে রেলযোগে রাজশাহী, ঢাকা, রাজবাড়ী, খুলনা ইত্যাদি স্থানে যাওয়া আসা শুরু হয়। ১৮৯৭ সালে দর্শনা-পোড়াদহ সেকশনটি সিঙ্গেল লাইন থেকে ডাবল লাইনে উন্নীত করা হয়। পর্যায়ক্রমে ১৯০৯ সালে পোড়াদহ-ভেড়ামারা, ১৯১৫ সালে ভেড়ামারা-ঈশ্বরদী এবং ১৯৩২ সালে ঈশ্বরদী-আব্দুলপুর সেকশনগুলোকে ডাবল লাইনে উন্নীত করা হয়।

প্রতিদিন ৪০টির বেশি ট্রেন যাতায়াত করে পোড়াদহ জংশন দিয়ে। কিন্তু মান্ধাতার আমলের রেললাইনের কারণে মাঝে মধ্যেই দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।

গেলো ৩ মে কুষ্টিয়ার মিরপুরে রেললাইনের অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় একটি মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় নিহত সহিদুর রহমান (৪৫) নামে পুলিশের এক কর্মকর্তা নিহত হন। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের কাটদহচর রেল ক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এসময় একটি মালবাহী ট্রেন মোটরসাইকেলসহ তাকে দেড় কিলোমিটার টেনে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই এ পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্য হয়।

নিহত সহিদুর রহমান মিরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই)। তিনি স্থানীয় মাজিহাট পুলিশ ক্যাম্পে ইনচার্জের দায়িত্বে ছিলেন। তার বাড়ি নড়াইল জেলায়।
ঠিক একই রেলক্রসিং এ ২০১৯ সালে খুলনা থেকে রাজশাহীগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস কাটদহচর রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় বালুবোঝাই একটি শ্যালো ইঞ্জিন চালিত ট্রলি রেলক্রসিংয়ে উঠে পড়ে। এ সময় ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই ট্রলির চালক ও হেলপার মারা যান।

এলাকাবাসীর অভিযোগ মিরপুর উপজেলার কাটদহচর এলাকার মাঝখান দিয়ে রেললাইন গেছে। রেলগেটের ওপর দিয়ে আঞ্চলিক সড়ক থাকায় প্রতিনিয়ত স্থানীয়রা যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু কোন রেলগেট এবং গেটম্যান না থাকায় এমন দুর্ঘটনায় পড়তে হয় মাঝে মধ্যেই। গতবছরও ট্রেন দুর্ঘটনায় কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। শিগগিরই রেলগেট দেওয়ার দাবি জানান তারা।

স্থানীয় বাসিন্দা মীর আব্দুর রাজ্জাকা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এসব রেলগেটে গেটম্যানের ব্যবস্থা না থাকায় তাদের ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পারাপার হতে হচ্ছে। এ বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়।

পোড়াদহ রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার শাহাদত হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কুষ্টিয়ায় প্রায় ৪২ কিলোমিটার রেলপথ আছে। এসবের মধ্যে অন্তত ১০টি অরক্ষিত রেলগেট রয়েছে। লোকবলের অভাবে সেসব স্থানে কোন রেলগেট এবং গেটম্যান নেই। তাছাড়া রেলের অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন স্থানে পাকা সড়ক নির্মাণ করে। এসব স্থানে সড়ক নির্মাণের আগে রেল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগোযাগ করলে হয়তো রেলগেট এবং গেটম্যান দেওয়া হতো।

তিনি আরও বলেন,কাটদহচর এলাকায় দুর্ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হওয়ার পর রেল সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি জানতে পেরেছি সেখানে শিগগিরই রেলগেট নির্মাণ করা হবে। এজন্য গুমটি ঘর (গেটম্যান বাসস্থান) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

;