কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণকারী শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার, ছবি: সংগৃহীত

কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণকারী শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে কিশোর আলোর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নাইমুল আবরার (১৫) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেল তিনটার দিকে আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়, পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আবরারের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পরেও অনুষ্ঠানটি চলতে থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

আবরারের মৃত্যুর বিষয়টি কিশোর আলো কর্তৃপক্ষ ও কলেজের পক্ষ থেকে না জানানোর কারণে গোপন থাকে। পরে সহপাঠীদের বিক্ষোভ ও ফেসবুকে পোস্টের কারণে বিষয়টি সামনে আসে।

আবরার রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির দিবা শাখার শিক্ষার্থী ও আবাসিক ছাত্র ছিল। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়া আবরারের বাবা সৌদি আরব থাকতেন। তারা দুই ভাই। বড়ভাই প্রকৌশলী, তিনি জার্মানিতে থাকেন।

জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসে কিশোর আলো আয়োজিত ‘লাভেলো কিআনন্দ’ অনুষ্ঠানে অংশ নেয় আবরার। অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চের পেছনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সে গুরুতর আহত হয়। পরে আয়োজকরা তাকে উদ্ধার করে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। রাতেই জানাজা শেষে তার মরদেহ নোয়াখালী নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এদিকে ফেসবুকে আবরারের মৃত্যু নিয়ে রাত ১টা ৩৫ মিনিটে ফেসবুকে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক। তিনি লিখেছেন, ‘গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, কিশোর আলোর অনুষ্ঠান দেখতে এসে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল কলেজের ক্লাস নাইনের ছাত্র নাইমুল আবরার বিদ্যুতায়িত হয়। ওখানেই জরুরি মেডিকেল ক্যাম্পে তাকে নেয়া হয়। দুজন এফসিপিএস ডাক্তার দেখেন। জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নিতে বলেন। হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

আনিসুল হক আরও লিখেছেন, ‘আমার জীবনে এর চেয়ে মর্মান্তিক খবর আমি আর পাই নাই। আমি এখন হাসপাতালে আছি। প্রিন্সিপাল স্যার আছেন। নাইমুল আবরারের বাবা-মা এবং আত্মীয়রা আছেন। আমি ও কিশোর আলো আজীবন আবরারের পরিবারের সঙ্গে থাকব। যদিও এই অপূরণীয় ক্ষতি কিছুতেই পূরণ হবে না। আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থায় আছি। নাইমুল আবরারের জন্য দোয়া করছি।’

আনিসুল হকের স্ট্যাটাসের ঘণ্টাখানেক পর কিশোর আলোর ফেসবুক পেজে আবরারের মৃত্যুর বিষয়ে আরকেটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে। ওই স্ট্যাটাসে বলা হয়েছে, আবরারের মৃত্যুর কারণে শনিবারের পর্যালোচনা সভাসহ কিআনন্দ সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি সভা ও কার্যক্রম বাতিল করা হয়েছে।

   

পার্বত্য চট্টগ্রামে তুলা চাষ বাড়াতে কৃষক সমাবেশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পার্বত্য চট্টগ্রামে তুলা চাষ বৃদ্ধি ও কৃষকদের দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্পের আওতায় বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১০ মে) দুপুর ২ টায় বান্দরবান তুলা উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে আলীকদম উপজেলার সদর ইউনিয়নের কলারঝিরি জবিরাম কারবারি পাড়া হলরুমে ১০০ জন কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এই সময় তুলা উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান জোনের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আলমগীর হোসেন মৃধা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রকল্পের তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা নুম্যামং মার্মা ও তুলা চাষিরা।

এই সময় প্রধান অতিথি তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আলমগীর হোসেন মৃধা বলেন, তুলা একটি অর্থকরী ফসল। পার্বত্যাঞ্চলের মাটি তুলার সঙ্গে মিশ্র চাষে উপযোগী। পাহাড়ের অনাবাদি ও জুমে মিশ্রচাষে সম্ভাবনার ফসল তুলা। এটি চাষ করে এখানকার চাষিরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে। আলীকদম উপজেলা থেকে প্রায় বছরে ৩ টন তুলা উৎপাদন হচ্ছে। প্রতি কেজি ৯৫ টাকা বিক্রি করছেন চাষীরা। 

;

কেএনএফ'র বিরুদ্ধে হুশিয়ারি দিলো বম সোশ্যাল কাউন্সিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবিলম্বে বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকের লুট হওয়া ১৪টি অস্ত্র ফেরত ও সন্ত্রাসী তৎপরতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে না এলে পাহাড়ের কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে গ্রামে গ্রামে জন প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে বম সম্প্রদায়ের সংগঠন বম সোশ্যাল কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ।

শুক্রবার (১০ মে) বান্দরবানে শহরের নিউ গুলশান এলাকার বাংলাদেশ খ্রিস্টান চার্চ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভার পর ভিডিও বার্তায় বম সোশ্যাল কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ কেএনএফের প্রতি এই হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন।

সংগঠনের সভাপতি লালজারলম জানিয়েছেন কেএনএফের সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে বম সম্প্রদায় অধ্যুষিত পাড়াগুলোতে এখন খাদ্য সঙ্কটসহ মানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সেখানকার লোকজন এখন জুম চাষ করতে পারছে না বাগানে উৎপাদিত ফল বিক্রি করতে পারছে না। অনেকে টিকতে না পেরে ২০০-এর বেশি বম সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ পার্শ্ববর্তী ভারতের মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছে।

এ অবস্থায় আমরা কেএনএফের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি তারা যাতে অবিলম্বে ব্যাংকের লুট হওয়া ১৪টি অস্ত্র ফেরত দেয়। এছাড়া সন্ত্রাসী তৎপরতা ছেড়ে তারা যাতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। আর যদি তারা তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যায় তবে তাদের বিরুদ্ধে গ্রামে গ্রামে সাধারণ বম সম্প্রদায় প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। ইতোমধ্যে ২০০ যুবক প্রতিরোধে অংশ নেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

বম সোশ্যাল কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ আরো জানিয়েছে কেএনএফ অস্ত্র ফেরত দিয়ে আলোচনায় বসতে চাইলে বম সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ সহায়তা করবে এবং আলোচনার জন্য সরকারের দোয়ার সব সময় খোলা রয়েছে।

ওই সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি লাল জারলম বম, সাধারণ সম্পাদক লাল থান জেল বম, বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য জুয়েল বমসহ বম সম্প্রদায় ও ইয়ং বম অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ। বম সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষায় ভিডিও বার্তাটি দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সমগ্র বান্দরবান জুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।

;

রাসায়নিক মিশ্রিত আম ও জেলি পুশকৃত চিংড়ি জব্দ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
রাসায়নিক মিশ্রিত আম ও জেলি পুশকৃত চিংড়ি জব্দ, ব্যবসায়ীকে জরিমানা

রাসায়নিক মিশ্রিত আম ও জেলি পুশকৃত চিংড়ি জব্দ, ব্যবসায়ীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরায় ৭২০ কেজি রাসায়নিক মিশ্রিত আম এবং ক্ষতিকর জেলি পুশকৃত ৪০৯ কেজি বাগদা চিংড়ি জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (১০ মে) বিকালে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) সংস্থার দেওয়া গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আশাশুনি মৎস্যকাটি থেকে আসা মাছ ভর্তি ৫টি ট্রাক ও ২টি ইঞ্জিন আটক করেন তারা। আটকের পর পরীক্ষা করে ওই ট্রাকগুলো থেকে ১৭ ক্যারেট জেলি মিশ্রিত বাগদা চিংড়ী এবং ৩১ ক্যারেট রাসায়নিক মিশ্রিত আম জব্দ করা হয়।

চিংড়ির ওজন প্রায় ৪০৯ কেজি এবং আমের ওজন ৭২০ কেজি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত আম ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা এবং দুই চিংড়ি ব্যবসায়ীকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করে।

সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অসিত কুমার সরকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে ট্রাকগুলো আটক করেছি। রাসায়নিক মিশ্রিত আম এবং ক্ষতিকর জেলি পুশকৃত বাগদা চিংড়ি জব্দ করা হয়। আমগুলো ট্রাক দিয়ে পিষে এবং চিংড়িগুলো নদীতে ফেলে বিনষ্ট করা হয়েছে। সাতক্ষীরার আম ও মাছের সুখ্যাতি রক্ষার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;

নির্মাণাধীন ভবন মালিককে অপহরণ, কন্ট্রাক্টরসহ গ্রেফতার ৪



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদে নির্মাণাধীন ভবনের মালিকে অপহরণের অভিযোগে ভবনের কন্ট্রাক্টরসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার খানাতুয়া এলাকার মনগাজী বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার চারজন হলেন ভবনের কন্ট্রাক্টর মো. সবুজ আলাউদ্দিন (৩৫), মো. লিটন (৩৫), রুবেল হোসেন বাদশা (২১) ও আবদুল রহমান বাদল (২০)। তারা সবাই কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ থানার বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, ভিকটিম হাসান ও আলাউদ্দিন পূর্ব পরিচিত। হাসানের নির্মাণাধীন একটি ভবনের কন্ট্রাক্টর আলাউদ্দিন। কাজের সুবাধে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে। ফেসবুক মারফত হাসানের সঙ্গে এক লোকের পরিচয় হয়, যিনি তাকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ইউরোপের একটি দেশে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছিলেন। বিষয়টি আলাউদ্দিনকে জানালে তিনিও হাসানকে দিয়ে ওই লোককে কিছু টাকা পাঠান। কিন্তু পরে ওই লোক তাদের সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তাই হাসানকে অপহরণ করে সে টাকা আদায় করার পরিকল্পনা ছিল আলাউদ্দিনের।

বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা জানান, আলাউদ্দিন হাসানকে তার বাড়িতে ঘুরাতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কুমিল্লায় নিয়ে আটকে রাখেন। পরে হাসানের ভাগিনাকে কল দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণ না দিলে এবং এ বিষয়ে পুলিশকে জানালে তারা তাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেন।

তিনি আরও জানান, পরে হাসানের স্ত্রী পুলিশের কাছে অভিযোগ দিলে অভিযান চালিয়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। অভিযানে আলাউদ্দিনসহ তার তিন সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;