খুলনায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে সজিব খান (২২) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি মারা যান।
মৃত সজীব গোপালগঞ্জ জেলা সদরের পুটিবাড়ি এলাকার সাইদ খানের ছেলে। এ নিয়ে খুলনায় ডেঙ্গুতে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরপি ডাক্তার শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'সজিব খান নামের ওই যুবক গোপালগঞ্জ থেকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় খুমেক হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে মারা যান।'
আজ (২ মে) বৃষ্টি হবে; আবহাওয়া অফিস বলেছে। সকাল থেকে শুরু সেই প্রতীক্ষার। দাবদাহে গরমে বিপযর্স্ত দিনগুলো ঘণ্টাগুলো যায় আর মনে করিয়ে দেয় ২ মে বৃষ্টি হবে; বহু কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি।
যে বৃষ্টি ধুয়ে মুছে নিবে তাপপ্রবাহের ক্লান্তি, অবসাদ। সূর্যের উন্মাদনা কমিয়ে দিয়ে গ্রীষ্মের প্রকৃতিতে আনবে প্রশান্তির বার্তা। সকালের চট্টগ্রামের মুষলধারে বৃষ্টি সেই প্রতীক্ষাকে আরো তীব্র করে। রাস্তা-ঘাটে, অফিস-আদালতে, নেট দুনিয়ায়; একটা প্রশ্ন- সবখানে বৃষ্টি কখন?
তারপর এলো স্বস্তি খবর; সন্ধ্যায় রাজধানীর কিছু এলাকায় নাকি মিলেছে বৃষ্টি দেখা! এরপর প্রশ্ন বৃষ্টি কোথায়? অবশেষে এলো বৃষ্টি, বহু প্রতীক্ষীত স্বস্তির বৃষ্টি...। এলো বিদ্যুতের ঝলকানি ও বজ্রপাতকে সঙ্গে করে। দমকা হওয়ায় মুষলধারে ঝরিয়ে ভেজালো রাজধানীকে। দমফাটা রোদ ও গরমের মধ্যে বৃষ্টির ফোঁটা জনমনে এসেছে স্বস্তি।
বৃস্পতিবার (০২ মে) রাত পৌনে ১২টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হয়। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি, এরপরও নগর জীবন তপ্ত দাবদাহ থেকে কিছুটা হলেও সাময়িক পরিত্রাণ পেয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রথমের দিকে বৃষ্টিপাত তীব্রতা বেশি থাকলেও ধীরে ধীরে তা কমে এসেছে। এখন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। টানা তাপদহের পর প্রশান্তির বৃষ্টি হওয়ায় গরমের নাভিশ্বাস থেকে একটু হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস এসেছে জনজীবনে।
বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর পরই অনেকেই স্বস্তির কথা জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বৃষ্টির খবর জানিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করে ফারিয়া নামের এক তরুণী লিখেছেন, আল্লাহ অবশেষে.. বৃষ্টি, আলহামদুলিল্লাহ কী সুন্দর প্রশান্তির বাতাস!
রবিন নামে এক যুবক বলেন, বৃষ্টির জন্য দীর্ঘ যে প্রতীক্ষা, সেটির অবসান হলো। খুব ভালো লাগছে। তবে আর কিছুক্ষণ বৃষ্টি হলে আবহাওয়া ঠান্ডা হয়ে যেত।
খিলক্ষেতের বাসিন্দা আফসানা আজাদ তমা অনেক দিন পর বৃষ্টির দেখা পেয়ে আত্মীয়স্বজন নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন।
এদিকে, সামাজিক মাধ্যমে দেখা গেছে, রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় প্রশান্তির বৃষ্টিতে বল হাতে বেরিয়েই আল্লাহর সিজদায় লুটিয়ে পড়েছে ছোট্ট একটি শিশু!
শুক্রবারও ঢাকা বিভাগের কয়েক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়ার অধিদফতরের আবহাওয়াবিদন মনোয়ার হোসেন। তবে রাজধানীতে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে তিনি জানান।
এর আগে, আবহাওয়া অধিদফতর বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল। সেই পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রামসহ দেশের কয়েকটি জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত এক মাস ধরে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। সূর্যের প্রখরতায় দিনে-রাতে প্রায় একই তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে সূর্য অস্ত গেলেও মানুষের ভোগান্তি কমছে না। রাতের বেলায়ও প্রচণ্ড গরমে সবাইকে হাঁসফাঁস করতে দেখা যাচ্ছে।
স্কাউটিং শব্দটির সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। মানবসেবার ব্রত নিয়ে ১৯০৭ সালে ইংল্যান্ডের ব্রাউন সি দ্বীপে রবার্ট স্টিফেনসন স্মিথ লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল অব গিলওয়েলের হাত ধরে যাত্রা শুরু স্কাউট। স্কাউটের শুরুর পথচলায় ২০ জন কিশোর সে সময় থাকলেও সময়ের আবর্তনে এখন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সারা বিশ্বে ৪০ মিলিয়নে। যা বিশ্ব স্বীকৃতিতে ১৬৯টি দেশের আনাচে কানাচে নিরলসভাবে আর্তমানবতার সেবায় স্বেচ্ছাসেবকেরা নিজেদেরকে নিয়োজিত রেখেছেন।
স্কাউটিংয়ের এই কার্যক্রমের ধারায় নিজেদের নিয়োজিত রেখেছেন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। বালিয়াকান্দির প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই রয়েছে স্কাউটিং টিম। এ সকল স্কাউটিংয়ের সদস্যরা তারা নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় নিরলসভাবে নিজেদের নিষ্ঠার সাথে নিয়োজিত রেখেছে।
সম্প্রতি প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে সারা দেশে। তাপপ্রবাহের সাথে রয়েছে তীব্র গরম। বালিয়াকান্দিতে বেশ কয়েকদিন ধরে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রবাহিত হয়েছে। অসহ্য গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে কৃষি ও প্রাণিকূলের ওপরও। সবচেয়ে বেশি কষ্ট আছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলো।
কিন্তু জীবনজীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হতে হয় সাধারণ মানুষের। গরমে পথচারী ও শ্রমিকদের একটু স্বস্তির আশায় শতবর্ষী বালিয়াকান্দি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫ জনের স্কাউটের একটি দল দুপুরের তপ্ত রোদে দাঁড়িয়ে বালিয়াকান্দি চৌরাস্তায় প্রায় সহস্রাধিক পথচারীদেরকে লেবু, বরফ, চিনি ও ট্যাং মিশ্রিত শরবত খাওয়াচ্ছে। যা সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।
এ সকল স্কাউটিংয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কখনো তাদের নিজেদের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে কখনো প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। ওদের সামাজিক কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য সমাজের বিত্তবান, সমাজসেবী অথবা মানবিক মানুষগুলোর এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে মনে করছি।
ওদের পাশে যদি আমরা দাঁড়াতে পারি তাহলে স্কাউটিং শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে আত্মমানবতার সেবায় নিয়োজিত রেখে তাদের পরিবার, সমাজ, দেশ তথা বিশ্বের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে । স্কাউটিংয়ের শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে আসুন আমরা জাগ্রত করি আমাদের বিবেক, আরেকবার প্রমাণ হোক ‘মানুষ মানুষের জন্য’।
লেখক: পারমিস সুলতানা, পিএইচডি গবেষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, বালিয়াকান্দি, রাজবাড়ী
ছাইদুর রহমান নাঈম, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
জাতীয়
চাঁদনী রাতে চারপাশ থেকে ভেসে আসে বাঁশির শব্দ। বৈশাখী রাতের বাতাস আর এ-শব্দ মিলেমিশে মুগ্ধ করে মনকে। সকাল থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যাবেলা। আকাশে দেখা মিলছে ঘুড়ির। বিশেষ করে বিকালের নীল আকাশে যেন ঘুড়ির রাজত্ব। রাতে মনে হয় আকাশে যেন বিমান খেলা করছে। নিভু-নিভু আলো জ্বলে আকাশে। কখনো মনে হবে বড় সাপ, চিল, ঈগল, ঘর উড়ছে ওখানে। কখনো মনে হবে দৈত্য-দানব আকাশে উড়ছে! আসলে এগুলো বিভিন্ন ডিজাইনের ঘুড়ি।
আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের অংশ এই ঘুড়ির দেখা মেলে এখনো কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায়। প্রতিদিন আকাশে দিনেরাতে দেখা যায় হরেক রকমের ঘুড়ি৷। উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এমনি দৃশ্য দেখা যায়৷
বাংলার সংস্কৃতি থেকে হারিয়ে যেতে চলা ঘুড়ি উৎসবে সববয়সী মানুষ মেতেছেন। বিভিন্ন পাড়া, মহল্লার আকাশে এখন রঙবেরঙের ঘুড়ি। শিশু-তরুণ-যুবক এমনকি মাঝ বয়সীরাও স্বাদ নিচ্ছে ঘুড়ি উড়ানোর। শুধু দিনেই নয়, রাতের আকাশেও দেখা মিলছে ঝলমলে ঘুড়ির।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে উপজেলায় ঘুড়ি বানানোর ধুম পড়েছে। আকাশে চোখ মেললেই ঘুড়ির লড়াইয়ের দৃশ্য, চলছে কাটাকাটির খেলা। ঘুড়ির মধ্যে লাইটিং করা হচ্ছে। রাতের আকাশে অনেক রকমের আলো ঝলমল করছে। কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দিন-রাত ছোট-বড় নানাবয়সী ঘুড়িপ্রেমী মেতেছেন এই ঘুড়ি উৎসবে। বর্তমানে চাহিদা বাড়ায় প্রকারভেদে দুইশ থেকে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব ঘুড়ি। প্রতিদিন আকাশে দিন-রাত্রি উড়তে দেখা যাচ্ছে- চিল, কয়রা, ঢোল, পতিঙ্গা, পাখি, পরি, বাচ, ফুল, প্রজাপতি, মানুষ ঘুড়ি, সাপাসহ রংবেরঙের ঘুড়ি।
মসুয়া ইউনিয়নের বৈরাগিচর এলাকার ঘুড়িপ্রেমী ইদ্রিস বলেন, গ্রামে ঘুড়ি তৈরিতে যুবকরা ব্যস্ত সময় পার করছে। সাধারণত যেকোনো ডিজাইনের একটি ঘুড়ির দাম একশ থেকে পাঁচশ টাকা পর্যন্ত। বাঁশ, বেত এবং বিভিন্ন রঙের প্লাস্টিক-কাগজের মোড়কে ঘুড়ি বানানো হয়। আবার কেউ ঘুড়িতে বাতি লাগিয়ে নিয়ে রাতের আকাশে উড়াচ্ছেন।
জনশ্রুতি আছে, ব্রিটিশ আমলে অভিজাত লোকদের বিনোদনের জন্য ঘুড়ি উড়ানোর আয়োজন করা হতো। ১৭৪০-এর দশকে নায়েব-এ-নাজিম নওয়াজেশ মোহাম্মদ খানের আমলে ঢাকায় ঘুড়ি উড়ানো উৎসব একটা ঐতিহ্যে পরিণত হয়। তখন থেকেই কিশোরগঞ্জের খোলা আকাশে অনেক ঘুড়ি উড়তে দেখা যায়।
হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের আজ বৃহস্পতিবার মুক্তির কথা ছিল। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে আজ রাতে হচ্ছে না মামুনুল হকের মুক্তি।
এদিকে, কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মাওলানা মামুনুল হক মুক্তি পাবেন এমন খবরে হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কারা ফটকের সামনে গিয়ে ভিড় জমান।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, আজ মামুনুল হককে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে না। তার জামিনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই চলছে।
এর আগে, গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।
১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর থেকে এসব মামলায় তিনি কারাগারে আছেন।