কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের সিট কাটার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন রোববার



তৌফিকুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের এসি কোচরে সিট কেটে দেয় দুর্বৃত্তরা, ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের এসি কোচরে সিট কেটে দেয় দুর্বৃত্তরা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুড়িগ্রাম-ঢাকা রুটের ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ ট্রেনের উদ্বোধনের দিন এসির একটি কোচের ৩১নম্বর সিট কেটে দেয় দুর্বৃত্তরা। একই সঙ্গে ওই কোচের শৌচাগার থেকে খুলে নেওয়া হয় পানির ট্যাপ, টিস্যু হোল্ডার। এ ঘটনার রেলের বিভাগীয় তদন্ত চলছে। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে আগামী রোববার (২০ অক্টোবর)।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিষয়টি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিসিএস লালমনিরহাট স্নেহাশীষ দত্ত। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। কে বা কারা এই ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বের করা হবে।’

কুড়িগ্রামের বাস শ্রমিকরা এর সঙ্গে জড়িত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারেও আমরা খতিয়ে দেখছি। এখন পর্যন্ত তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাইনি। চূড়ান্ত প্রতিবেদন হলে বিষয়টি জানা যাবে।’

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার কাবিল উদ্দিন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘উদ্বোধনের আগের দিন ট্রেনটি কুড়িগ্রাম স্টেশনেই রাখা ছিল। তবে বগিতে পানি সংগ্রহের জন্য কোচটি রংপুরে নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে কখন কোথায়, কারা কীভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা বুঝতে পারছি না। এ ঘটনার তদন্ত চলছে। এখন পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।’

সার্বিক বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়া জাহান বার্তাটোয়েন্টিফোর .কমকে বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের জিএম বিষয়টি দেখছেন। রাষ্ট্রীয় একটি সম্পদ রাস্তায় নামানোর সঙ্গে সঙ্গে দুর্বৃত্তরা সিট কেটে ট্রেনের বিভিন্ন জিনিস নষ্ট করে করেছে। অসভ্য, অশিক্ষিত মানুষ ছাড়া এগুলো কেউ করতে পারে না।’

গত সোমবার (১৬ অক্টোবর) কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস উদ্বোধনের দিন সিট কাটার ঘটনার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরে নজরে আসে বাংলাদেশ রেলওয়ের। তারপর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। তদন্ত কমিটিতে আছেন- ডিসিএস লালমনিরহাট স্নেহাশীষ দত্ত, কমান্ড্যান্ট আরএনবি মিজানুর রহমান, ডিএমই রবিউল হোসেন।

উল্লেখ্য, সদ্য উদ্বোধন হওয়া ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ ট্রেনে মোট ১৪টি কোচ আছে। রাতের বেলা এই ট্রেনের আসন সংখ্যা হবে ৬৩৮টি এবং দিনের বেলায় আসন সংখ্যা হবে ৬৫৩টি। এরমধ্যে শোভন চেয়ার থাকবে ৪৮০টি, শীতাতপ বার্থের আসন সংখ্যা থাকবে দিনের বেলায় ৩৩টি এবং রাতের বেলায় ১৮টি, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কোচ থাকবে ১১০টি, গার্ড ব্রেক ও খাবার গাড়িতে শোভন চেয়ার যুক্ত আসন থাকবে ৩০টি।

এছাড়া সপ্তাহে ছয়দিন কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়বে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে এবং ঢাকায় পৌঁছাবে বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে। আবার ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে এবং কুড়িগ্রামে পৌঁছাবে পরদিন সকাল ৬টা ২০মিনিটে। সাতটি স্টেশনে যাত্রা বিরতি করবে ট্রেনটি।

   

নির্বাচনে প্রার্থীদেরও গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে হবে: ইসি রাশেদা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে ভোটের আয়োজন সম্পন্ন করতে চাইলে, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদেরও গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

তিনি বলেন, তাদেরকে (প্রার্থীদের) অবশ্যই প্রতিটি কেন্দ্রে দায়িত্বশীল এজেন্ট দিতে হবে, যিনি ভোট কেন্দ্রে প্রার্থীর পক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন। ভোট কেন্দ্রে অনেক সময় অনিয়ম হলেও প্রমাণের অভাবে সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। এক্ষেত্রে এজেন্টদেরও গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রয়েছে।

শুক্রবার (৩ মে) বেলা ১১ টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের শহীদ এম, মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারন নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাথে আয়োজিত মত বিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় জেলার বেলকুচি উপজেলায় রাতের বেলায় থানার ভিতর ঢুকে পুলিশের সামনে এক চেয়ারম্যান প্রার্থী তার প্রতিদ্বন্দ্বী অপর প্রার্থীর ওপরে হামলা ও গালমন্দ করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, যদি পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করে থাকে, প্রার্থীকে আদালতে যেতে হবে। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিতে হবে। আমি সাংবাদিকদের কাছ থেকে শোনা কোন বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবো না।

এর আগে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ন কবীরের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সাইফুল ইসলাম, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল, বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বক্তব্য রাখেন।

;

গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: স্টেশন মাস্টারসহ তিনজন বরখাস্ত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে জাংশনের কাজীপাড়া এলাকায় তেলবাহী ট্রেনের সাথে টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের আবগোমটি স্টেশন মাস্টারসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, শুক্রবার (৩ মে) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের আউটার সিগন্যালের ছোট দেওড়া কাজীবাড়ি এলাকায় তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে টাঙ্গাইল কমিউটার যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এ ঘটনার পর জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের আবগোমটি স্টেশন মাস্টার মো. হাশেম, পয়েন্টম্যান সাদ্দাম হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়।

এদিকে, এ ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামসহ ফায়ার সার্ভিস ও বিভিন্ন বিভাগের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আরও দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার হানিফ আলী বলেন, দুর্ঘটনার ৩ ঘণ্টা পর অন্য সড়ক দিয়ে রেল চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত রেল দুটি উদ্ধারে কাজ করছে উদ্ধারকারী দল। 

;

‘শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত বাংলাদেশের প্রস্তাব জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
‘শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত বাংলাদেশের প্রস্তাব জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত

‘শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত বাংলাদেশের প্রস্তাব জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ গতকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) সর্বসম্মতিক্রমে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত বাংলাদেশের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বৃহস্পতিবার সাধারণ পরিষদের হলে প্রস্তাবটি উন্থাপন করেন।

শুক্রবার (৩ মে) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে ১৯৯৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রস্তাবটি প্রথম গৃহীত হয়েছিল। তারপর থেকে বাংলাদেশ প্রতি বছর ইউএনজিএ-তে এই রেজুলেশনটি সহজতর করে আসছে এবং সাধারণ পরিষদে শান্তির সংস্কৃতির ওপর একটি উচ্চ-স্তরের ফোরামও আহ্বান করছে।

সাম্প্রতিক উচ্চ-স্তরের ফোরাম, যা ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২-এ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, শান্তির সংস্কৃতির রূপান্তরমূলক ভূমিকার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যাতে শান্তি, সমতা এবং শান্তি বিনির্মাণকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা যায়।

এই বছর রেজোলিউশনটি জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে বিশ্বব্যাপী ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে। এটি প্রতিরোধমূলক কূটনীতি, সংলাপ এবং সবস্তরে সুস্থ বিতর্ক জোরদার করার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়।

সংঘাত প্রতিরোধ এবং সমাধানে নারীর অমূল্য ভূমিকার পুনর্নিশ্চিত করার সময় এটি এই জাতীয় প্রক্রিয়াগুলোতে মহিলাদের পূর্ণ সমান এবং অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

অন্যদের মধ্যে প্রস্তাবটি সহিংসতা এবং সংঘাতের অন্তর্নিহিত চালকদের মোকাবেলা করার এবং চলমান ডিজিটাল রূপান্তরের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতিকে উন্নীত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়।

রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বলেছেন, শান্তির সংস্কৃতির প্রস্তাব সময়ের সাথে সাথে প্রাসঙ্গিকভাবে বেড়েছে এবং একটি প্রভাবশালী থিমে বিকশিত হয়েছে যা জাতিসংঘের সকল প্রধান বক্তৃতায় বৃহত্তর পদচিহ্ন এবং স্বীকৃতি খুঁজে পেয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে এটি বিশ্বে শান্তি বজায় রাখার জন্য জাতিসংঘের সনদের বাধ্যবাধকতা পরিপূরক করার একটি কার্যকর উপায় হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।’

এই বছরের প্রস্তাবটি ১শ’ ১২টির দেশ সমর্থন করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতি বছর এই প্রস্তাবটি বাংলাদেশের অব্যাহত সহজলভ্যতা বৈশ্বিক শান্তির জন্য অটল প্রবক্তা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গভীর আস্থার প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

সূত্র: বাসস

;

গুলশান মাঠে অবৈধ স্থাপনা তৈরি ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধের আহবান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গুলশান শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ স্মৃতি মাঠ ও পার্কে অবৈধ স্থাপনা তৈরি ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধের আহবান জানিয়েছে পরিবেশবাদীরা। 

শুক্রবার (০৩ মে) সকালে গুলশান-২ এ অবস্থিত শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ পার্কের মূল ফটকের সামনে প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় পার্ক ও মাঠ দখলমুক্ত রাখার ব্যপারে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে প্রধানমন্ত্রীর করা মন্তব্যের প্লে-কার্ড হাতে মানববন্ধনে এই দাবি করে সংগঠনটি।

সংগঠনের সদস্যদের অভিযোগ, ইট-পাথরের শহরে সবুজে ঘেরা এই পার্কটি শিশুদের খেলাধুলা, সাধারণ মানুষের বিনোদন, শরীরচর্চা ও পরিবেশ সংরক্ষণের কথা বিবেচনা করে উম্মুক্ত জায়গা হিসেবে রাখলেও পার্কটিতে ‘গুলশান ইয়ুথ ক্লাব’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে নানা ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করে মাঠের প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট করার পাশাপাশি সকলের জন্য উন্মুক্ত পার্কটি সাধারণের চলাচলে সীমাবদ্ধতা তৈরি করছে। এতে করে খেলাধুলার সুযোগ হারাচ্ছে শিশুরা। 

পার্ক থাকবে সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য উন্মুক্ত উল্লেখ করে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ স্মৃতি পরিষদের সভাপতি মাহবুবুল করিম বাচ্চু বলেন, ‘এই পার্কে অসংখ্য প্রজাতির পাখি আমি দেখতে পাই। এই পার্কটিকে আরও বেশি সবুজ করা দরকার যেন এই পাখিগুলো এখানে সবসময় থাকে। তবে এখানে হচ্ছে তার উল্টো। শিশুরা সবুজ মাঠে খেলাধুলা করবে, হাঁটবে, দৌঁড়াবে এমনটাই প্রত্যাশা। কিন্তু প্রাকৃতিক সবুজ মাঠ নষ্ট করে এখানে তৈরি করা হচ্ছে কংক্রিটের মাঠ। আবার মাঠের চারপাশে উঁচু তারের বেড়াও দেওয়া হয়েছে। এতে করে বোঝা যাচ্ছে যে এই মাঠ কতটুকু উন্মুক্ত থাকবে। পরিবেশ নষ্ট করে কৃত্রিম মাঠ আমাদের চাই না। আমরা চাই খোলামেলা সবুজ প্রকৃতিক পরিবেশ।‘ 

সবুজ মাঠ নষ্ট করে কংক্রিটের মাঠ বানিয়ে বাণিজ্যিকীকরণের চেষ্টা না করার আহ্বান জানিয়ে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সম্পাদক সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, ‘ঢাকার মধ্যে এমনিতেই সবুজ জায়গা নেই। তার ওপর এই সবুজ উজার করে এইভাবে অবকাঠামো তৈরি করে কংক্রিটের জঞ্জাল বানিয়ে ফেলা হচ্ছে। আইন অনুযায়ী মাঠ হচ্ছে উন্মুক্ত জায়গা। এই জায়গাকে স্টেডিয়াম বানানো মানে মানুষের উপস্থিতি সীমাবদ্ধ করা। তখন আর সব শ্রেণির মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যাবে না। সবাই তখন খেলতে পারবে না। কর্তৃপক্ষের কাজই হল সবার উপস্থিতি নিশ্চিত করা। এটা না করে কোনো একটা ক্লাবের কাছে মাঠটি দেওয়া হলে তারা নিজেদের কাজেই ব্যবহার করবে। তখন এখানে অন্যরা সুযোগ কিভাবে পাবে। তাই আমরা চাই মাঠটি পুরো কমিউনিটির জন্যই থাকুক। কোনও ক্লাবের দখলে না থাকুক।’

তবে পার্ক ও মাঠ দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ মাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ পার্কে আমরা কংক্রিটের যে মাঠ তৈরি করছি এটার নাম আর্টিফিশিয়াল ফুটবল টার্ফ। এলাকার শিশুদের আবদারের কারণে এ মাঠ তৈরি করে দেই। বৃষ্টির দিনে সেখানে পানি জমে কাঁদা হয়ে থাকে বলে শিশুরা খেলতে পারে না। তাই সেখানে একটি কৃত্রিম মাঠ তৈরি করা হয়েছে। পার্ক ও মাঠ দখলের মতো কিছু হয়নি।’

;