আবরার হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচার চায় জাতিসংঘ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আবরার ফাহাদ হত্যার স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং বিচার চায় জাতিসংঘ। বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো বুধবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস-বিস) মিলনায়তনে ডিক্যাব টকে এসব কথা জানান।

আবরার হত্যা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এটি একটি দুঃস্বপ্ন। কোনো অভিভাবক চান না, তার সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে এভাবে মারা যাক। এ মৃত্যুর পর মানুষের ক্ষোভ দেখেছি আমরা। এ হত্যার স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং বিচার চায় জাতিসংঘ।’

Seppo
ঢাকাস্থ জাতিসংঘ কার্যালয় থেকে পাঠানো বিবৃতি



ঢাকাস্থ জাতিসংঘ কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীনভাবে নিজের মত প্রকাশ করার অভিযোগে বুয়েটের এক তরুণ ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে জেনে জাতিসংঘ গভীরভাবে মর্মাহত। বহু বছর ধরে বাংলাদেশে ক্যাম্পাস সহিংসতা অনেকের জীবনে প্রভাব ফেলেছে এবং অনেক জীবন কেড়ে নিয়েছে। জাতিসংঘ বাংলাদেশ এ হত্যায় অভিযুক্তদের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের নেওয়া পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণ করেছে। এর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা উচিত, যাতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ভবিষ্যতে আর এমন ঘটনা না ঘটে। বাকস্বাধীনতা মানুষের অধিকার এবং এর জন্য কাউকে নির্যাতন, হয়রানি বা হত্যা করা উচিত নয়। 

উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। ৫ অক্টোবর নিজের ফেসবুক আইডি থেকে করা এক পোস্টের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে সোমবার রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দাযের করেন। এ মামলায় ১২ আসামিসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ১০ জনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এ ১৩ জনই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

আরও পড়ুন:

বুয়েট ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু

আবরার হত্যা: বুয়েট ছাত্রলীগের সা.সম্পাদকসহ বহিষ্কার ১১

আবরার হত্যা: ১০ আসামি ৫ দিনের রিমান্ডে

আবরার হত্যা: আরও ২ ছাত্রলীগ নেতা আটক

আবরার হত্যা: সন্দেহভাজন ছয়জন, আটক ৪

আবরার হত্যা: সিসিটিভি ফুটেজে ১৮ জন শনাক্ত

আবরারের শেষ ফেসবুক স্ট্যাটাস!

 

   

নাবিকেরা আসছেন, লাল গালিচা সংবর্ধনা দিতে প্রস্তুত বন্দর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কর্ণফুলী নদীর পাড়ে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-১ জেটি এলাকা। সেই এলাকাটি এমনিতেই সবসময় ব্যস্ততা থাকে। তবে মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর থেকেই সেখানে শুরু হয়েছে অন্যরকম আয়োজন। শামিয়ানা টাঙিয়ে বসানো হয়েছে চেয়ার টেবিল, তারই সামনে বিছানো হয়েছে লাল গালিচা। এত এত আয়োজন-উৎসব সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তির পর দেশে ফেরা এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিককে বরণ করে নিতে।

দস্যুমক্ত হওয়ার ঠিক এক মাসের মাথায় সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় কুতুবদিয়ায় নোঙর করে এমভি আবদুল্লাহ। মঙ্গলবার বিকেল চারটায় অন্য জাহাজে চড়ে ২৩ নাবিকের বন্দরনগরীর মাটি ছোঁয়ার কথা। 'অকুতোভয়' নাবিকদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সংবর্ধনার আয়োজন করেছে। বিকেল চারটায় হবে এই অনুষ্ঠান। তবে তার আগে দুপুর ২টা থেকেই অনুষ্ঠানস্থল ভরে ওঠেছে গণমাধ্যমকর্মীদের আনাগোনায়। বন্দরের কর্মীরাও অনুষ্ঠানস্থল সাজাচ্ছেন রঙ বেরঙের কাপড় উড়িয়ে।

নাবিকদের অপেক্ষায় স্বজনেরা

লাল গালিচা বিছানোর কাজ করা বন্দরের একজন কর্মী বলেন, দস্যুদের ঢেরায় থেকেও নাবিকেরা মনোবল হারাননি। তাদের এই মানসিক শক্তি আমাদের সবার অনুপ্রেরণা। অনেক ঝড়-ঝঞ্ঝার পর তারা দেশের মাটিতে পা দিচ্ছেন। তাদের বরণ করে নিতে আয়োজনের কোনো কমতি রাখছি না আমরা।

নাবিকদের স্বজনেরা ঘটনাস্থলে এসেছেন প্রিয় মানুষকে বরণ করে নিতে। জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মেহেরুল করিমসহ কর্মকর্তারাও এসে হাজির হয়েছেন।

এ সময় মেহেরুল করিম বলেন, দীর্ঘ অপেক্ষার পালা শেষ হলো। আমাদের ২৩ নাবিককে সুস্থভাবে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা ছিল। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের সেই প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। আমরা এখন যত দ্রুত সম্ভব নাবিকদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে চাই।

;

মাদক ও নারী সহযোগীসহ যুবলীগ নেতা গ্রেফতার



স্টাফ করেমপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
মাদক ও নারী সহযোগীসহ যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

মাদক ও নারী সহযোগীসহ যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারের চিহ্নিত এক মাদক কারবারির বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। অভিযানে মাদক কারবারিকে না পেলেও তার ঘরে তার স্ত্রী ও স্থানীয় এক যুবলীগ নেতাকে পাওয়া যায়। তাদের কাছে মেলে ৩০০ পিস ইয়াবা। পরে সেই যুবলীগ নেতা ও মাদক কারবারির স্ত্রীকে গ্রেফতার করে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে গ্রেফতারকৃতদের ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে সোমবার বিকেলে সাভারের বিরুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হল, সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও কালিয়াকৈর গ্রামের মো. আ. ওহাবের ছেলে মো. আব্দুল হামিদ (৪০), ও খনিজনগর গ্রামের মো. স্বপনের স্ত্রী পপি আক্তার (২০)। এ ঘটনায় মাদক ব্যবসায়ী স্বপন পলাতক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে সোমবার রাতে সাভার মডেল থানায় মাদক মামলা দায়ের করেছে।

যুবলীগ নেতা আব্দুল হামিদ বিরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম মণ্ডলের খালাত ভাই। এর আগে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন হামিদ। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্বপনের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। পরে মাদকসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। পালিয়ে যায় স্বপন।স্বপনের কাছ থেকেই মাদক কিনেছিলেন আব্দুল হামিদ।

ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। একজন এখনও পলাতক আছে, তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

ঢাকা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, আমরা হামিদের কথা কেন্দ্রীয় নেতাদের জানিয়েছি। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

;

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হলেন লতিফা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. লতিফা বেগম।

রোববার (১২ মে) লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। ওইদিন প্রার্থী ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিতভাবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে লালমনিরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ও সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোছা. আফরোজা খাতুন বার্তা২৪. কমকে বলেন, নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী হিসেবে শুধু একজন থাকায় মোছা. লতিফা বেগম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

;

‘লাইফ ইন্সুরেন্সে চাকরির আড়ালে জঙ্গি সংগঠনের কর্মী’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জঙ্গি

জঙ্গি

  • Font increase
  • Font Decrease

আলফা ইসলামিক লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে চাকরির পাশাপাশি গোপনে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার রিক্রুটার হিসেবে কাজ করতেন রানা শেখ ওরফে আমির হোসাইন। ইতোমধ্যে ৩ জনকে সংগঠনে রিক্রুট করে প্রশিক্ষণের জন্য বান্দরবানে কুকি চিনের আস্তানায় পাঠান তিনি। এমনকি প্রশিক্ষণের খরচ বাবদ কুকি চিনের কাছে লক্ষাধিক টাকাও পাঠান এই রানা।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ।

এর আগে, সোমবার (১৩ মে) পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) গোয়েন্দা তথ্য ও সহযোগিতায় রাজধানীর কল্যাণপুর ও গাবতলী এলাকায় রানাসহ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) লালবাগ বিভাগ।

গ্রেফতাররা হলো- রানা শেখ ওরফে আমির হোসাইন, মশিউর রহমান ওরফে মিলন তালুকদার ও হাবিবুর রহমান। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি স্মার্টফোন ও ২টি বাটনফোন উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব ডিভাইস থেকে তাদের প্রশিক্ষণের ভিডিও ছবি উদ্ধার করা হয়।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, মার্শাল আর্টে ব্ল্যাক বেল্ট প্রাপ্ত রানা ২০০২ সালে হুজিনেতা ও ফাঁসির দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত মাওলানা আব্দুর রউফের কাছে প্রশিক্ষণের জন্য ময়মনসিংহে যায়। ময়মনসিংহের ভালুকায় অবস্থিত মাদরাসায় পড়াশোনা করার পাশাপাশি হুজি সদস্য সামরিক ও আন আর্মড কমব্যাট প্রশিক্ষণ নেয়। ২০০৩ সালে বাবা, মামা, ভগ্নিপতিসহ মোট ১৮ জন সদস্য হুজি নেতা আব্দুর রউফের সঙ্গে বৈঠকের সময় ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পুলিশের কাছে ধরা পড়ে। বর্তমানে আলফা ইসলামিক লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির ইউনিট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত এই রানা সশস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য ৩ সদস্যকে ইতোমধ্যে বান্দরবানে কু কি চিনের সন্ত্রাসীদের কাছে পাঠিয়েছে।

তিনি বলেন, গ্রেফতার মশিউর রহমান প্রথমে ইসলামিক শাসনতন্ত্র আন্দোলনের সদস্য ছিল। ২০০২-৩ সালে হুজির সদস্য হিসেবে ময়মনসিংহে আব্দুর রউফের মাদরাসায় সামরিক ও আন আর্মড কমব্যাট বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেয়। ২০১৩ সালে অপরাপর হুজি নেতাদের সঙ্গে গ্রেনেডসহ ঝালকাঠিতে গ্রেফতার হয়ে সাড়ে চার বছর সাজা খাটে।

২০২১ সাল থেকে পাহাড়ি বৈরী পরিবেশে কমান্ডো হিসেবে টিকে থাকা, পিটি-প্যারেড শিখা, আন আর্মড কমব্যট, অ্যাসল্ট রাইফেল চালানো, বোমা সামগ্রী তৈরি এবং ব্যবহারসহ সিকিউবি (CQB) বিষয়ে প্রশিক্ষণের জন্য ২ বছর বান্দারবানের কু কিচিনের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে অবস্থান করে। এই কষ্টকর প্রশিক্ষণ সফলভাবে শেষ করে সমতলে ফেরত আসে মশিউর।

আর হাবিবুর রহমান ছিলেন সংগঠনের নতুন রিক্রুট। তিনি আলফা ইসলামিক লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির কর্মী হিসেবে আমির হোসেনের অধীনে কাজ করতেন। আমির হোসেন একই মতবাদে দীক্ষিত করে তাকে ইতোমধ্যে জঙ্গি সংগঠনে রিক্রুট করে বান্দবানে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

ডিবি প্রধান বলেন, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ (হুজি), আনসার আল ইসলাম ও জামায়াতুল মুজাহিদিনের (জেএমবি) মুক্তিপ্রাপ্ত এবং পলাতক বেশ কিছু সদস্য মিলেমিশে একটি নতুন সশস্ত্র গোষ্ঠীতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে 'জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ গঠন করে।

নিষিদ্ধ এই জঙ্গি সংগঠনের নেতা ও সদস্যরা বিশ্বাস করে 'গাজওয়াতুল হিন্দ' নামক ধর্ম যুদ্ধ হবে। কোন এক সময় দাজ্জালের নেতৃত্বে এই অঞ্চলে মুসলিম নিধনের বড় রকমের চেষ্টা করা হবে। ইসলামকে সমুন্নত রাখতে এবং মুসলমানদেরকে সুরক্ষা দিতে যারা 'গাজওয়াতুল হিন্দ' নামক এ ধর্মযুদ্ধে তারা অংশগ্রহণ করবেন। বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী শহীদ অথবা গাজীদের মত মর্যাদা পাবেন বলে বিশ্বাস করেন।

পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ধারাবাহিক তৎপরতায় সফল জঙ্গি অভিযানের কারণে নতুন এই জঙ্গি সংগঠনটি সমতল এড়িয়ে পার্বত্য জেলাগুলোতে প্রশিক্ষণের জন্য সুযোগ খুঁজছিল। পার্বত্য বান্দরবান, খাগড়াছড়িতে বসবাসকারী বম সম্প্রদায়ের বিভ্রান্ত সন্ত্রাসীদের দ্বারা গঠিত কুকি চিনদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় শারক্বীয়ার।

অর্থের বিনিময়ে কু কি চীনের সন্ত্রাসীরা শারক্বীয়ার সদস্যদেরকে বৈরী পরিবেশে সারভাইবাল, আন আর্মড কমব্যাট, অ্যাসল্ট রাইফেল পরিচালনা, এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস তৈরি এবং ব্যবহার, সিকিউবিতে অংশগ্রহণের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়।

দেশকে অস্থিতিশীল করে জঙ্গিদের খেলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর নিষিদ্ধ সংগঠনের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখা, নিজ দেশ এবং পার্শ্ববর্তী দেশের বিরুদ্ধে ধর্ম যুদ্ধে জড়িয়ে শহীদ বা গাজী হওয়ার অপেক্ষায় থেকে রসদ সামগ্রী এবং কর্মী সংগ্রহে তৎপর ছিল সংগঠনটি।

পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের অভিযানে এদের অনেক সদস্যকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সংগঠনটিতে ৫৩ জনের মতো সদস্য ছিল। এরমধ্যে ৪৯ জনই ইতোমধ্যে ধরা পড়ে গেছে। গ্রেফতার রানা বর্তমানে সংগঠনের প্রধান রিক্রুটার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।

সারা দেশ থেকেই তাদের সদস্য রিক্রুটের পরিকল্পনা ছিল। আমরা তাদেরকে গ্রেফতার করতে না পারলে হয়তো আরেকটা গ্রুপকে পাহাড়ে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হতো।

গ্রেফতারদের ৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হবে। তাদের সঙ্গে জড়িত আর কারা আছে জানার চেষ্টা করব। জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান ডিবি প্রধান।

;