সিলেটে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার বিরুদ্ধে মসজিদের জমি দখলের অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, সিলেট
জমি দখল করায় মসজিদ কমিটির সংবাদ সম্মেলন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

জমি দখল করায় মসজিদ কমিটির সংবাদ সম্মেলন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আফছার আজিজের বিরুদ্ধে মসজিদের জমি দখলের অভিযোগ করেছেন নগরের ঘাসিটুলা মসজিদ কমিটি।

সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন তারা।

মসজিদের মোতোয়াল্লি মো. সামছুজ্জামান লিখিত বক্তব্যে বলেন, 'গত ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে ঘাসিটুলা মসজিদের জমি দখল করেন সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আফছার আজিজ। তার নেতৃত্বে ভূমি দখলে অংশ নেয় ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মতছির আলী ও তার ভাই মোবাশ্বির আলী, ছাত্রদলের সদস্য জাকির, জয়নুল হক, ময়নুল হক, স্বপন, হত্যা মামলার আসামি আব্দুল মোনাফ ও আব্দুস সালামসহ ২০ থেকে ২৫ জন। তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে মসজিদের সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর করে জমি দখল নেয়।'

এ সময় তিনি মসজিদের জমি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের সহযোগিতা চান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- মসজিদ সেক্রেটারি মো. দিলাল, কোষাধ্যক্ষ মানিক মিয়া, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, সহকারী কোষাধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, সদস্য জিলাল উদ্দিন, আব্দুর রব, এখলাছুর রহমান, মো. শাহাজাহান, মঈন উদ্দিন, সুহেল মাহমুদ খন্দকার, মনির মিয়া, জামাল উদ্দিন, হেলাল মিয়া, সামছুদ্দিন, সিরাজ মিয়া, আবুল কালাম, আব্দুস ছত্তার, হাজি কালা মিয়া, শরীফ আহমদ ও মইনুল ইসলাম প্রমুখ।

   

মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতে সংকট ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতের ফলে সংকট ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এ পরিস্থিতিতেও সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের ওপর এর প্রভাব প্রশমনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদ ভবনে নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবুল কালামের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের কষ্ট লাঘবে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এ লক্ষ্যে সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সকল প্রকার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ইতোমধ্যে আমরা ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিকে অনেকাংশে সংযত করতে পেরেছি। তবে, বিশ্ববাজারের কয়েকটি পণ্য যেমন জ্বালানি তেল, ভোজ্য তেল, গম, সারসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য, ভোগ্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের দেশে আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতির চাপ অনুভূত হচ্ছে। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতের ফলে এ সংকট ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে এ পরিস্থিতিতেও আমরা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের ওপর এর প্রভাব প্রশমনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে কিছু পদক্ষেপের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের মূল বাজেটে ওএমএস খাতে ৪ লাখ মেট্রিক টন চালের সংস্থান রয়েছে। চাল ও আটার বাজারমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বর্তমানে ওএমএস কর্মসূচিতে সারাদেশে সর্বমোট ৮৭১টি কেন্দ্রে দৈনিক মোট ৮৬৯ মেট্রিক টন চাল এবং ১ হাজার ১০১ মেট্রিক টন করে আটা বিক্রি করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ওএমএস (সাধারণ) খাতে প্রায় ১.৬৭ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং ২.১৩ লাখ মেট্রিক টন আটা বিক্রি করা হয়েছে।

এছাড়া, টিসিবি'র মাধ্যমে ফ্যামিলি কার্ডের আওতায় ভর্তুকি মূল্যে ১ কোটি পরিবারকে ৫ কেজি করে প্রতিমাসে মোট ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল বিতরণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এই ফ্যামিলি কার্ডের আওতায় চালের পাশাপাশি সাশ্রয়ীমূল্যে ২ কেজি ডাল এবং ২ কেজি সয়াবিন তেলও বিতরণ করা হচ্ছে।

সরকার প্রধান জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে স্বল্প আয়ের ৫০ লাখ পরিবারকে বছরে কর্মাভাবকালীন ৫ মাস (সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল) ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতিটি পরিবারকে মাসে ৩০ কেজি চাল বিতরণ করে নিয়মিতভাবে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এই কর্মসূচির আওতায় সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও জেলা শহরগুলোতে ৩০ টাকা কেজি দরে ওএমএস চাল বিক্রয় করা হচ্ছে। নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে অভ্যন্তরীণ খাদ্য সংগ্রহ ও বিতরণ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ উৎস হতে খাদ্য শস্য সংগ্রহের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২২.১৯ লাখ মেট্রিক টন।

এছাড়া, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষি ভর্তুকি ও প্রণোদনা হিসেবে ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। কৃষিখাতে প্রদত্ত ভর্তুকি ও প্রণোদনা কৃষকের উৎপাদন ব্যয় হ্রাস করে পরোক্ষভাবে কৃষিজাত পণ্যের মূল্য নিম্নমুখী রাখতে সহায়ক হয়েছে। ডাল, তেল, মসলা, ভুট্টাসহ ২৪টি ফসল উৎপাদনের জন্য সুদ ভর্তুকির আওতায় বিদ্যমান ৪ শতাংশ সুদে বিশেষ কৃষিঋণ দেওয়া হচ্ছে।

তাছাড়া, দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের ২৯ শতাংশ পরিবারকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনয়ন করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে যা মোট বাজেটের ১৬.৫৮ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি কমাতে বিভিন্ন শুল্কছাড় প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর বাজারদর স্থিতিশীল রাখা ও অবৈধ মজুতদারী কঠোরভাবে দমনের জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসন কর্তৃক মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নীতি (রেপো) সুদহার দফায় দফায় বাড়িয়ে মে ২০২২ এর ৪.৭৫ শতাংশ হতে সর্বশেষ ৮ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। পাশাপাশি, স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফেসিলিটি (এসডিএফ বা রিভার্স রেপো রেট) বৃদ্ধি করে ৬.৫০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে এবং ঋণের সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেয়া হয়েছে। নীতি সুদহার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বৃদ্ধি করায় বাজারভিত্তিক গড় সুদ হারে দৃশ্যমান ঊর্ধ্বমুখী পরিবর্তন এসেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, টাকার বিনিময় হারের সাম্প্রতিক পতন অভ্যন্তরীণ মূল্যস্ফীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। এক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা আনার লক্ষ্যে শীঘ্রই ক্রলিং পেগ ভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় নীতি গ্রহণ করা হবে। নির্ধারিত করিডোর ভিত্তিক এ ব্যবস্থা বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের অস্বাভাবিক উত্থান-পতন রোধ করবে বলে আশা করা যায়। ফলে এটি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক হবে।

;

গণমাধ্যমের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্য অধিকার আইনের আওতায় গণমাধ্যমের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বুধবার (৮ মে) দুপুরে রাজধানীর দারুস সালামে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে 'তথ্য অধিকার আইন ও গণমাধ্যমের ভূমিকা' শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

তিনি বলেন, তথ্য অধিকার আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন সরকার নিশ্চিত করতে চায়। এই আইন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে পাশ করা হয়। সরকার নিজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য এই আইন করেছে। তবে যেকোনো একটি আইন সমাজে তৈরি হলে, সে আইন বাস্তবায়নে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে। এই আইনে যারা তথ্য নেবেন বা যারা তথ্য দেবেন দুই পক্ষেরই কিছু বোঝাপড়ার অভাব থাকতে পারে। এ আইন শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে গণমাধ্যমকে আরও শক্তিশালী করেছে। কিন্তু সে অস্ত্রের ব্যবহার না অপব্যবহার হবে সেটা বোঝা এবং এ আইনে যাদের কাছে তথ্য চাওয়া হবে তাদের মধ্যে একটি সংস্কৃতিগত রূপান্তর দরকার। তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় জড়তা থাকে। যেগুলো জনসম্পৃক্ত তথ্য, জনগণের যেটা অধিকার সে তথ্য দেওয়ার বিষয়টি সরকার নিশ্চিত করতে চায়। সাংবাদিকদেরও তথ্য চাওয়ার ক্ষেত্রে পেশাদার অ্যাপ্রোচ থাকা প্রয়োজন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্য অধিকার আইনের অধীন যে তথ্য চাওয়ার অধিকার আছে সে বিষয় নিয়ে অনেক সময় যারা তথ্য চাইবেন তাদের পক্ষ থেকেও কিছু ভুল বোঝাবুঝি থাকে। কোন তথ্য সর্বসাধারণের জন্য এবং কোন তথ্য গোপন তথ্য সেটার পার্থক্য করতে পারা জরুরি। কিছু তথ্য আছে স্পর্শকাতর যেগুলো গোপন আইনের অধীন রক্ষিত আছে, এগুলো সর্বসাধারণের জন্য নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক, বিটিআরসিসহ এ ধরণের অন্যান্য স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়। এসব কৌশল বাস্তবায়নের আগ পর্যন্ত অনেক সময় গোপন রাখতে হয়। এগুলো প্রকাশ করলে অনেক সময় বৃহত্তর স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক্ষেত্রে সাংবাদিকতা, তথ্যের অবাধ প্রবাহ, তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছানো এবং স্পর্শকাতর তথ্য এসবগুলোর মধ্যে ভারসাম্য করতে হয়। সেখানে প্রশিক্ষণ, যোগাযোগ ও মিথস্ক্রিয়া সকল পক্ষের করা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ, জনগণের কাছে তথ্য পৌঁছানো ও অপতথ্য মোকাবিলা করতে হবে। তবে সর্বসাধারণের জন্য তথ্য এবং জাতীয় স্বার্থে যেগুলো পৃথিবীর সকল দেশে স্পর্শকাতর ও গোপন তথ্য হিসেবে ধরা হয় সেগুলোর মধ্যে পার্থক্য নিরূপণের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। আমরা সরকার ও প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিতে চাই। এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অঙ্গীকার।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, তথ্য অধিকার আইনকে আমরা আরো প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমরা চাই, সাংবাদিকরা যেনো এই আইন ব্যবহার করে আরও ক্ষমতাপ্রাপ্ত হোন, এই আইনের পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারেন এবং তার উপযোগিতা আমরা সমাজে পাই। একইসাথে এই আইনের আমরা দায়িত্বশীল ব্যবহার দেখতে চাই। যাদের এই আইনের অধীনে তথ্য দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে যেন তথ্য চাওয়া হলে সেটি দেওয়া হয়। জনগণের পক্ষ থেকে যখন গণমাধ্যম তথ্য চাইবে, সে তথ্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। সঠিক তথ্য যত দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরবরাহ করা হবে, ততো গুজব বা অপপ্রচার হওয়ার সুযোগ কম হবে।

কর্মশালায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের অর্থনীতি বিটের ৫০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

;

খাগড়াছড়িতে ব্যালট ভর্তি বাক্স ছিনতাই



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে ভোটের ব্যালট ভর্তি বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

বুধবার (৮ মে) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার দেওয়ান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে।

লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, ভোট গ্রহণ শেষের দিকে হঠাৎ কয়েকজন অস্ত্রধারী কেন্দ্রে প্রবেশ করে ব্যালেট ভর্তি ৪টি বাক্স ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনা সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার জিনা চাকমা।

এর আগে, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার যতীন্দ্র কার্বারী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালেট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা। এরপর দুপুর ১২টার দিকে ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।

খাগড়াছড়ি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার কামরুল আলম জানান, লক্ষ্মীছড়ি ও রামগড়ে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া সারাদিন শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

;

বরগুনায় ধর্ষণে কিশোরী অন্তঃসত্তা, গ্রেফতার ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রতিবেশীদের ধর্ষণে কিশোরী অন্তঃসত্তা, গ্রেফতার ২

প্রতিবেশীদের ধর্ষণে কিশোরী অন্তঃসত্তা, গ্রেফতার ২

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের দক্ষিণের জেলা বরগুনা সদর থানার পিটিআই সড়ক এলাকায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও ভিক্ষুক বাবা মায়ের এক মাত্র মেয়েকে সঙ্গবদ্ধ ধর্ষণ ও অন্তঃসত্তার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পলাতক দুই আসামিকে রাজধানীর ডেমরা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

 

বুধবার (০৮ মে) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১০ এর সহকারী মিডিয়া কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার এম. জে. সোহেল।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. খলিল (৩৮) ও মো. বশির হোসেন (৩৫)। মঙ্গলবার (০৭ মে) রাতে ও বুধবার দুপুরে ধারাবাহিক অভিযানে তাদের গ্রেফতার কার হয়।

র‌্যাব বলছে, অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী কিশোরীর প্রতিবেশী হওয়ায় বিভিন্ন অজুহাতে বাড়িতে ডেকে নিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে তারা। এমন কি অভিযুক্তরা কিশোরীকে সঙ্গবদ্ধ ধর্ষণ করে প্রকাশ না করতে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখায়। তবে ভুক্তভোগী কিশোরী অন্তঃসত্তা হয়ে পড়াতে বিষয়টি প্রকাশ পায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী পরিবার মামলা করে।

মামলার বরাত দিয়ে  পুলিশ সুপার সোহেল বলেন, বরগুনা জেলার সদর থানা এলাকার এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী দম্পতি। তারা আশপাশের এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করত। তাদের সংসারে ১৫ বছরের মেয়ে রয়েছে। ওই দম্পতি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে বাসায় রেখে ভিক্ষা করতে যেতেন। এই সুযোগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগীর প্রতিবেশী খলিল তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। বাড়িতে নিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক দুই বার ধর্ষণ করে। ঘটনাটি কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেন খলিল। ফলে বিষয়টি ভয়ে প্রকাশ করেনি ভুক্তভোগী কিশোরী। পরবর্তীতে অপর এক প্রতিবেশী দুলাল একইভাবে তার বাড়িতে ভুক্তভোগীকে ডেকে নেন। ভুক্তভোগী দুলালের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় বশির ও কামাল অবস্থান করছে। তাদেরকে দেখে ডাক-চিৎকার করার চেষ্টা করলে দুলাল, বশির ও কামাল ভুক্তভোগীর মুখ চেপে ধরে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে।

এএসপি সোহেল আরও জানান, এই ঘটনার পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর শারীরিক পরিবর্তন হলে পরিবারের লোকজন মা ও শিশু ক্লিনিকে নিয়ে যায়। দায়িত্বরত চিকিৎসক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ভুক্তভোগী কিশোরী অন্তঃসত্তা বলে জানায়। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সে পরিবারকে ধর্ষণের ঘটনার বিস্তারিত জানায়। এই ঘটনায় খলিল, দুলাল, বশির, কামাল ও ধর্ষণে সহযোগিতা করায় খলিলের স্ত্রী আকলিমাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, গণধর্ষণের ঘটনাটি জানতে পেরে র‌্যাব-১০ ও র‌্যাব-৮ এর একটি যৌথ দল ১৫ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ও বুধবার র‌্যাব-১০ ও র‌্যাব-৮ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর ডেমরা থানার মোস্ত মাঝির মোড় ও ডেমরাঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিরা গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

;