আবরারকে পেটানোর কক্ষে চাপাতি ও স্ট্যাম্প



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
আবরারকে পেটানোর কক্ষে চাপাতি, মদ ও স্ট্যাম্প, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

আবরারকে পেটানোর কক্ষে চাপাতি, মদ ও স্ট্যাম্প, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ মুজাহিদের মৃত্যু ঘটনার রহস্য ঘনিভূত হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, রোববার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে বুয়েটের শের-ই বাংলা হলের ২০১২ নম্বর কক্ষে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা৷ পরে হলের নিচতলা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে, শেরে বাংলা হলের ওই কক্ষে যান আবরারের ঢাকার বসবাসরত স্বজনরা। সেখানে তারা স্ট্যাম্প, চাপাতি সদৃশ স্টিলের চাকু দেখেছেন বলে জানান। ওই রুমে রক্তের ছোপ ছোপ দাগও রয়েছে বলে জানান তারা।

আবরারের ব্যবহৃত মোবাইল ও ল্যাপটপ পাওয়া যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করছেন তার স্বজনরা।

আরও পড়ুন: আঘাতেই আবরারের মৃত্যু

সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১টায় আবরারের মামাতো ভাই আবু তালহা রাসেলের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি সকাল ৬টায় ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে আসি। ওখান থেকে ৭টায় আবরারের হলে যাই। সেখানে আবরারকে মারা হয়েছে। আমি সেখানে গিয়ে দেখি একটা চাপাতি, বেশ কিছু ভাঙা ও ভালো স্ট্যাম্প আর মদের বোতল। আমি ছবি তুলতে চাইলে আমার সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা বাধা দেয়।’

আবরারের আপন মামা মোফাজ্জল হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘আমরা যখন আবরারকে ঢামেক মর্গে দেখি তখন তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন দেখি। শরীরের প্রায় সব জায়গায় মোটা মোটা ও লালচে আঘাতের চিহ্ন আছে। আবরার যে রুমে থাকে সেখানে গিয়ে তার ল্যাপটপ ও ব্যাবহারের মুঠোফোন খুঁজলে সেগুলো পাইনি। কে বা কারা নিয়েছে সেটাও বলতে পারছি না।’

আরও পড়ুন: আবরারের মৃত্যু: জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ ছাত্রলীগ নেতা আটক

সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা হল প্রভোস্টের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চাইলে তিনি প্রথমে অস্বীকৃতি জানান। পরে চাপাচাপি করলে দেখাতে রাজি হন। কিন্তু এখন পর্যন্ত দেখায়নি।’

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আবরারের মামা মোফাজ্জল হল প্রোভোস্টের সঙ্গে কথা বলতে তার কক্ষ্যে অবস্থান করছেন।

আবরারের স্বজনরা জানিয়েছেন, আবরারের মৃত্যুর খবর এখনো তার বাবা-মা জানেন না। তবে কোনো একটা সমস্যা হয়েছে এমনটা জানিয়ে আবরারের বাবা বরকুতুল্লাহকে ঢাকায় আসতে বলা হয়েছে। তার বাবা কুষ্টিয়ার পিটিআই রোড থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: আবরারের শেষ ফেসবুক স্ট্যাটাস!

উল্লেখ্য, বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) খান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সকালে কয়েকজন সহপাঠী অচেতন অবস্থায় আবরারকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন জানান, সোমবার ভোরে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছেন তারা। মধ্য রাতের দিকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আবরারের পায়ে এবং হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আবরার কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডের বাসিন্দা মো. বরকত উল্লাহর ছেলে। বরকত উল্লাহ ব্র্যাকের নিরীক্ষক কর্মকর্তা আর আবরারের মা রোকেয়া খাতুন একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক।

এদিকে, আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ করছেন পুলিশ ও অন্য শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুস্তাকিন ফুয়াদ ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

   

স্বস্তির খবর নেই যশোরে, আজও তাপমাত্রা ৪১.৮ ডিগ্রি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে তীব্র দাবদাহের পর গতকাল রাজধানীসহ বেশকিছু জেলায় ঝড়ছিল স্বস্তির বৃষ্টি। কিন্তু যশোরে নেই কোন স্বস্তির খবর। আজও জেলাটি পুড়ছে তীব্র তাপপ্রবাহে।

শুক্রবার (৩ মে) যশোর আবহাওয়া অধিদপ্তর অনুযায়ী, সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ উঠেছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগেও কয়েকদিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল এ জেলায়।

এমন পরিস্থিতিতে নাকাল যশোরবাসী। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সড়কে মানুষের উপস্থিতি কমতে থাকে। শুক্রবার ছুটির দিন থাকলেও এদিন সকালে যশোর শহরের বিভিন্ন কাঁচাবাজার এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে মানুষের উপস্থিতি অনেক কম দেখা গেছে। তীব্র তাপদাহের মধ্যে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা।

যশোর শহরের বিভিন্ন গাছতলায় কয়েকজন রিকশাচালককে বিশ্রাম নিতে দেখা যায়।

তাদের মধ্যে আল-আমিন ইসলাম নামে এক রিকশাচালক বলেন, একদিকে রোদের তেজ অন্যদিকে আজকে ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও গরমে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। যেকারণে আজকে তেমন ভাড়া হয়নি। আমাদের তো পেটের দায়ে বের হতে হয়।

দড়াটানা মোড়ে ইজিবাইক চালক আলম শেখ বলেন, গরমে যেমন আয় রোজগারে ভাটা পড়েছে তেমনি গরমে গাড়ির টায়ার জ্বলে যাচ্ছে। অনেক জায়গায় পিচ গলে গেছে। রাস্তা অতিরিক্ত হিট হওয়ায় টায়ার বাস্ট হয়ে যাচ্ছে অনেকের।

বশিরুল আমিন নামের এক পথচারী বলেন, ঘরেও গরম, বাহিরেও গরম। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত হাফ ছেড়ে বাঁচার উপায় নেই। আল্লাহ যে কবে মুখ তুলে চায় সে অপেক্ষায় আছি।

;

নির্বাচনে প্রার্থীদেরও গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে হবে: ইসি রাশেদা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে ভোটের আয়োজন সম্পন্ন করতে চাইলে, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদেরও গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

তিনি বলেন, তাদেরকে (প্রার্থীদের) অবশ্যই প্রতিটি কেন্দ্রে দায়িত্বশীল এজেন্ট দিতে হবে, যিনি ভোট কেন্দ্রে প্রার্থীর পক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন। ভোট কেন্দ্রে অনেক সময় অনিয়ম হলেও প্রমাণের অভাবে সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। এক্ষেত্রে এজেন্টদেরও গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রয়েছে।

শুক্রবার (৩ মে) বেলা ১১ টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের শহীদ এম, মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারন নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাথে আয়োজিত মত বিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় জেলার বেলকুচি উপজেলায় রাতের বেলায় থানার ভিতর ঢুকে পুলিশের সামনে এক চেয়ারম্যান প্রার্থী তার প্রতিদ্বন্দ্বী অপর প্রার্থীর ওপরে হামলা ও গালমন্দ করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, যদি পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করে থাকে, প্রার্থীকে আদালতে যেতে হবে। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিতে হবে। আমি সাংবাদিকদের কাছ থেকে শোনা কোন বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবো না।

এর আগে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ন কবীরের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সাইফুল ইসলাম, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল, বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বক্তব্য রাখেন।

;

গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: স্টেশন মাস্টারসহ তিনজন বরখাস্ত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে জাংশনের কাজীপাড়া এলাকায় তেলবাহী ট্রেনের সাথে টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের আবগোমটি স্টেশন মাস্টারসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, শুক্রবার (৩ মে) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের আউটার সিগন্যালের ছোট দেওড়া কাজীবাড়ি এলাকায় তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে টাঙ্গাইল কমিউটার যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এ ঘটনার পর জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের আবগোমটি স্টেশন মাস্টার মো. হাশেম, পয়েন্টম্যান সাদ্দাম হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়।

এদিকে, এ ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামসহ ফায়ার সার্ভিস ও বিভিন্ন বিভাগের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আরও দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার হানিফ আলী বলেন, দুর্ঘটনার ৩ ঘণ্টা পর অন্য সড়ক দিয়ে রেল চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত রেল দুটি উদ্ধারে কাজ করছে উদ্ধারকারী দল। 

;

‘শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত বাংলাদেশের প্রস্তাব জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
‘শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত বাংলাদেশের প্রস্তাব জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত

‘শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত বাংলাদেশের প্রস্তাব জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ গতকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) সর্বসম্মতিক্রমে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত বাংলাদেশের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বৃহস্পতিবার সাধারণ পরিষদের হলে প্রস্তাবটি উন্থাপন করেন।

শুক্রবার (৩ মে) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে ১৯৯৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রস্তাবটি প্রথম গৃহীত হয়েছিল। তারপর থেকে বাংলাদেশ প্রতি বছর ইউএনজিএ-তে এই রেজুলেশনটি সহজতর করে আসছে এবং সাধারণ পরিষদে শান্তির সংস্কৃতির ওপর একটি উচ্চ-স্তরের ফোরামও আহ্বান করছে।

সাম্প্রতিক উচ্চ-স্তরের ফোরাম, যা ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২-এ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, শান্তির সংস্কৃতির রূপান্তরমূলক ভূমিকার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যাতে শান্তি, সমতা এবং শান্তি বিনির্মাণকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা যায়।

এই বছর রেজোলিউশনটি জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে বিশ্বব্যাপী ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে। এটি প্রতিরোধমূলক কূটনীতি, সংলাপ এবং সবস্তরে সুস্থ বিতর্ক জোরদার করার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়।

সংঘাত প্রতিরোধ এবং সমাধানে নারীর অমূল্য ভূমিকার পুনর্নিশ্চিত করার সময় এটি এই জাতীয় প্রক্রিয়াগুলোতে মহিলাদের পূর্ণ সমান এবং অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

অন্যদের মধ্যে প্রস্তাবটি সহিংসতা এবং সংঘাতের অন্তর্নিহিত চালকদের মোকাবেলা করার এবং চলমান ডিজিটাল রূপান্তরের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতিকে উন্নীত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়।

রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বলেছেন, শান্তির সংস্কৃতির প্রস্তাব সময়ের সাথে সাথে প্রাসঙ্গিকভাবে বেড়েছে এবং একটি প্রভাবশালী থিমে বিকশিত হয়েছে যা জাতিসংঘের সকল প্রধান বক্তৃতায় বৃহত্তর পদচিহ্ন এবং স্বীকৃতি খুঁজে পেয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে এটি বিশ্বে শান্তি বজায় রাখার জন্য জাতিসংঘের সনদের বাধ্যবাধকতা পরিপূরক করার একটি কার্যকর উপায় হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।’

এই বছরের প্রস্তাবটি ১শ’ ১২টির দেশ সমর্থন করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতি বছর এই প্রস্তাবটি বাংলাদেশের অব্যাহত সহজলভ্যতা বৈশ্বিক শান্তির জন্য অটল প্রবক্তা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গভীর আস্থার প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

সূত্র: বাসস

;