ক্যাসিনো ব্যবসাতেই সম্রাট-আরমানের দোস্তি
ক্যাসিনোকাণ্ডে বহুল আলোচিত যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের সঙ্গে তার সহযোগী ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকেও আটক করা হয়েছে।
রোববার (৬ অক্টোবর) ভোরে আটকের আগে পর্যন্ত আরমানের নাম তেমন একটা শোনা যায়নি। পরবর্তীতে জানা যায় ক্যাসিনো বাণিজ্যে সম্রাট ও আরমান হরিহর আত্মা। তারা পরস্পর যোগসাজশে রাজধানীতে গড়ে তোলেন অবৈধ ক্যাসিনো সাম্রাজ্য।
র্যাব গোয়েন্দারা বলছেন, সম্রাটের অবৈধ ক্যাসিনো বাণিজ্য যেসব যুবলীগ নেতা পরিচালনা করতেন তার মধ্যে আরমান অন্যতম। সম্রাটের পরেই ক্যাসিনো ব্যবসায় সবচেয়ে বেশি নামডাক আরমানের।
গোয়েন্দা সূত্র আরো জানায়, ক্যাসিনো বাণিজ্যের মাধ্যমেই সম্রাটের সঙ্গে আরমানের সুসর্ম্পক হয়। পরবর্তীতে যৌথভাবে তারা রাজধানীর ক্যাসিনোগুলো পরিচালনা করেন। ক্যাসিনো বাণিজ্য করে সম্রাটের পাশাপাশি অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন যুবলীগ নেতা আরমান। প্রতি রাতে ক্যাসিনো থেকে আসা সম্রাটের ৪০ লাখ টাকা আদায় ও হিসাব-নিকাশ করতেন আরমান।
রোববার ভোরে সম্রাট ও আরমান আটক হওয়ার পর তাদের দল থেকে বহিষ্কার করেছে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকা এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের বহিষ্কার করা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:
যুবলীগ নেতা সম্রাট আটক
যুবলীগ থেকে বহিষ্কার সম্রাট-আরমান
কাকরাইলে সম্রাটের অফিসে অভিযান