দক্ষিণ এশিয়া শক্তিশালী কর, ফল পাবে বিশ্ব
সর্বস্তরে প্রযুক্তির ব্যবহার ও তার সুযোগকে নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) শুরু হয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ৩৩তম অর্থনৈতিক শীর্ষ সম্মেলন।
সম্মেলনের আসর বসেছে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। দু’দিনব্যাপী সম্মেলন শেষ হবে আগামী শুক্রবার (৪ অক্টোবর)। ভারত এই বছরের সম্মেলনের থিমটি দিয়েছে-‘দক্ষিণ এশিয়া শক্তিশালী কর, এর ফল বিশ্ব পাবে।’
আয়োজকরা বলছে, যদি ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপের বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারা যায়, তবে তারা বিশ্বকে বাঁচাতে পারে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বিদ্যমান সমস্যা মোকাবিলায় ৪০টি দেশের আট শতাধিক নেতা এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে সে কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করবেন।
এবারের সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সিঙ্গাপুরের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী হ্যাং সুই ক্যাট সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
বিশ্বশক্তি হিসেবে ভারতের ভবিষ্যৎ চারটি মূল সম্পর্কের উপর নির্ভর করছে। কেননা এই মুহূর্তে ভারত হল বিশ্বের দ্রুতবর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতির দেশ। বার্ষিক প্রবৃদ্ধি আগামী বছরগুলিতে ৭ শতাংশের বেশি হওয়ার প্রত্যাশা করছে তারা। ভারতের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি চলতি বছরেও ৭ এর বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আর সে লক্ষ্য নিয়ে এবারের শীর্ষ সম্মেলন শীর্ষস্থানীয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ছাড়াও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীদেরও একত্রিত করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব (৪ আইআইআর) প্রযুক্তি যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ড্রোন ব্যাবহার ত্বরান্বিত করাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করা হবে। শিক্ষা এবং দক্ষতার উপর বিশেষ মনোযোগ থাকবে, লিঙ্গ সমতা এবং ভারতের পরিবেশগত সংস্কার প্রাধন্য পাবে।
বিশ্বব্যাংকের মতে, দ্রুত টেকসই উন্নয়ন অর্জনে ভারতের দক্ষতা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ (এসডিজি) বৈশ্বিক অগ্রগতির সাথে যুক্ত হতে হবে।
এই বছরের শীর্ষ সম্মেলন দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় সংগঠন (আসিয়ান) - এর মধ্যে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর এবং ইন্দোনেশিয়াসহ একটি গ্রুপের মধ্যে গভীর সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করা হবে। দেশগুলো ডিজিটালাইজেশনের পথে আরও উন্নত হয়েছে। পরিবর্তিত ভূ-রাজনৈতিক পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত আলোচনাও অধিবেশনও থাকবে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের অর্থনৈতিক প্রভাব সম্পর্কে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের জলবায়ু এবং জনসংখ্যার চিত্র এটিকে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বিশেষত সংবেদনশীল করে তুলেছে। দেশটিও একটি ভূ-রাজনৈতিক চরিত্র চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের সাথে নতুন সম্পর্ক তৈরি করেছে।
২০১৬ সাল থেকে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ভারতের স্মার্ট শহরগুলোর দিকে এগিয়ে যাওয়ার পক্ষে সমর্থন করে আসছে। যা নগর কর্তৃপক্ষকে আরও সংহত ডিজিটাল ভবিষ্যতের পথে চলাচল করতে সহায়তা করার জন্য ব্যবসায়ের পরিবেশ এবং প্রশাসনিক উভয় সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে।