উদয়পুর গণমাধ্যম সম্মেলন, ভাঙল মিলনমেলা



রাজীব নন্দী, উদয়পুর (রাজস্থান), ভারত থেকে
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের রাজস্থানের লেক সিটি খ্যাত উদয়পুরে গত দু'দিনের ঝিরি-ঝিরি বৃষ্টির ছন্দে সাঙ্গ হলো ‘চতুর্থ অল ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া কনফারেন্স-২০১৯'।

ভাঙল মিলনমেলা। গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার বৈশ্বিক পরিবর্তনকে মেনে নিয়ে নতুন ধারার সাংবাদিকতার ওপর দক্ষতা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে এ আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে। এটি সর্ব ভারতীয় বৈশ্বিক গণমাধ্যম সম্মেলন হিসেবে খ্যাত। ডিজিটাল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ও সর্বভারতীয় জাতীয় পর্যায়ের লড়াইয়ের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্তরের গণমাধ্যম গবেষণা ও গণমাধ্যম নিয়ে চর্চার আহ্বান জানানো হয় এ সম্মেলন থেকে।

সকাল সাড়ে ১০টায় এমএল সুখদিয়া ইউনিভার্সিটিতে শুরু হয় সমাপনী সেশন। দিনভর চলে সনদপত্র, বিতরণ বিদায়ী সম্ভাষণ ও ফটো সেশন। অভ্যাগতরা একে একে বিদায় নিতে শুরু করলে বিষাদের শূন্যতায় ছেয়ে যায় তিনদিন ধরে ব্যস্ততা থাকা এ মিলনায়তন। বাংলাদেশ ডেলিগেশনের মোট ৯টি প্রবন্ধ থেকে দুটি প্রবন্ধ বেস্ট পেপার এওয়ার্ড লাভ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট টিভি ব্যক্তিত্ব ড. শামীম রেজা এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ তাদের দুটি প্রবন্ধে এই বেস্ট পেপার এওয়ার্ড খ্যাতি পান।

অপরদিকে, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক উন্নয়নে সাংগঠনিক দক্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ বিশেষ সম্মাননা লাভ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং ইন্দো বাংলা চর্চা বিষয়ক গবেষক রাজীব নন্দী।

এই কনফারেন্সে বাংলাদেশ ভারত ছাড়াও ইউরোপ, আমেরিকাসহ একাধিক দেশ থেকে মোট ৬০০ পৃষ্ঠার গবেষণা প্রবন্ধ সংকলন গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

বিদায়ী অধিবেশনের দিন কনফারেন্স চেয়ারম্যান শ্রী কল্যাণ সিং কোঠারি সবার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এ কনফারেন্স আয়োজনের পেছনে সবার ত্যাগ ও সম্মান দেখে তিনি অভিভূত। ভবিষ্যতে ভারতের মাটিতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম গবেষক সম্মেলনের জন্য তিনি আবারও সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। টানা দ্বিতীয়বারের মতো রাজস্থানে এ প্রোগ্রাম করতে পেরে তিনি গর্বিত।’

এতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গণমাধ্যম, যোগাযোগ, সাংবাদিকতা, চলচ্চিত্র বিষয়ক গবেষকদের সমাগম ঘটেছে যা তিনি আশা করেছিলেন।

কনফারেন্সের কো-চেয়ারম্যান পশ্চিমবঙ্গের এডামাস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ড. উজ্জ্বল কে চৌধুরী জানান, ভবিষ্যতে এ কনফারেন্সকে আরও ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গসহ অপরাপর জনগোষ্ঠিকে নিয়ে এ গণমাধ্যম আসর বসতে পারে কলকাতায়।

বাংলাদেশ ডেলিগেশনের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান বলেন, ভবিষ্যতে এ কনফারেন্স বাংলাদেশেও আয়োজন করা যেতে পারে। এ ধরনের কনফারেন্স আয়োজন করতে গেলে যে ধরনের সাংগঠনিক দক্ষতা দরকার তা এ মুহুর্তে বাংলাদেশের রয়েছে। বাংলাদেশে এ ধরনের গণমাধ্যম গবেষণা সম্মেলন আয়োজন হলেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরো ব্যাপক কলোবরে আয়োজন করলে দক্ষিণ এশিয়া সহ পৃথিবীতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে।

অলইন্ডিয়া চতুর্থ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম গবেষণা সম্মেলনের বিশেষ খবরগুলো নিয়মিত পরিবেশন করে যাচ্ছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টাল বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম। বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমের সম্পাদক আলমগীর হোসেনের বিশেষ তত্ত্বাবধানে সংবাদগুলো পরিবেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অনুষ্ঠান থেকে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতে বাংলাভাষী জনগণের কাছে এই তিন ধরে কনফারেন্সের খবর পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

কনফারেন্সের শেষ দিন মধ্যহ্নভোজের পর মূলত অভ্যাগতরা মেতে ওঠেন বিদায়ী সম্ভাষণে। এ সময় দুই বাংলার গবেষকদের মধ্যে আন্তরিকতা ছিল লক্ষ্যণীয়। তারা প্রত্যেকেই দুই বাংলার একটি সম্মিলিত যুথবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম প্রত্যাশা করছেন। তারা বলছেন- বাংলাদেশ ও ভারত সাংস্কৃতিকগত দিক থেকে এতোই নৈকটয় যে তারা চাইলেই গণযোগাযোগ, সাংবাদিকতা এবং চলচ্চিত্র ইত্যাদি নিয়ে একটি যুথবদ্ধ দীর্ঘমেয়াদী গবেষণা কাজে যুক্ত হতে পারেন।

কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক স্নেহাশীষ সুর বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে হাঁটছে। বাংলাদেশে অনেক দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে যা আগে কল্পনা করা যায়নি।

সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্টের (এসএসিএমডি) প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দ কামরুল হাসান এ কনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশের একজন গণমাধ্যম গবেষণার অন্যতম সাংগঠনিক ব্যক্তি। যিনি জোর দিচ্ছেন মূলত মিডিয়া লিটারেসির ওপর। বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে তিনি বলেন, ‘এ গবেষণা সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য একটি ইতিবাচক দিক। গত বছরের তুলনায় এখানে অংশগ্রহণ বেড়েছে। যা দৃশ্যমান পরিবর্তন হলেও, মূলত বাংলাদেশে গণযোগাযোগ গবেষণা আরও বেশি প্রসারিত করতে হবে। সেক্ষেত্রে এরকম সাংগঠনিক কনফারেন্স সাংগঠনিক যোগাযোগগুলো ভালো ভূমিকা রাখতে পারে।’

তিনি বাংলাদেশে মিডিয়া লিটারেসি প্রোমিটংয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগ এবং সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ক শিক্ষকদের আরো সক্রিয়তা প্রত্যাশা করেন।

কনফারেন্সের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর ড. কুঞ্জন আচারিয়া বলেন, ‘এই কনফারেন্সটি ভারতের গণমাধ্যম গবেষণার একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এতে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের গণমাধ্যম বিষয়ক সংকট ও সম্ভাবনাগুলো যেমন উঠে এসেছে, তেমনি সংকটগুলো পরিত্রাণের অনেকগুলো পথও উঠে এসেছে।’

   

ময়মনসিংহে পুকুরের ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার পরানগঞ্জ ইউনিয়নের শ্রীগলদি গ্রামের মো. কামাল মিয়ার শিশু দুই ছেলে ওমর ফারুক (১০) ও আবু বক্কর (৭)।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকাল ৫টার দিকে নগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের শিমুল তলি মোড় নামক স্থানের একটি পুকুরে এই ঘটনা ঘটে।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মো. কামাল সদর উপজেলার পরানগঞ্জ শ্রীগলদি গ্রামের বাসিন্দা। কিন্তু মো. কামাল মিয়া গত ১০/১২ বছর যাবত স্বপরিবারে নগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে গোদারাঘাট এলাকার বিল্লাল ডাক্তারের বাড়িতে বাসায় বসবাস করে আসছেন। কামাল মিয়া পেশায় ভ্যান চালক, তার স্ত্রী অন্যের বাসায় কাজ করেন।

ঘটনার দিন সকালে কামাল ও তার স্ত্রী সন্তানদের বাসায় রেখে কাজ করতে চলে যায়। দুপুরের দিকে দুই শিশু খাওয়া দাওয়া করে ঘুমাতে যায়। কিন্তু কখন ঘুম থেকে উঠে বাইরে বেরিয়ে যায়, বিষয়টি বাড়ির অন্য কেউ টের পায়নি। এদিকে দুপুর গড়িয়ে বিকাল হলেও বাড়িতে না ফেরায় প্রতিবেশিরা তাদের দেখতে না পেরে খোঁজাখুজি শুরু করে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায় শিমুলতলি মোড়ের একটি পুকুরে ছোট ছেলে আবু বকরকে ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। আবু বকরকে উদ্ধারের আধাঘণ্টা পর একই পুকুর থেকে ওমর ফারুককে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। এদিকে, আবু বকরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মাইন উদ্দিন বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আভাস, ৬ জেলায় সতর্কসংকেত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামসহ দেশের ৬ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার (৩ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

;

সাবেক এমপি বদির বিরুদ্ধে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী ও টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম জমায়েতের সামনে গিয়ে সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) রাতে টেকনাফের হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নুরুল আলম চেয়ারম্যান বলেন, আমার আজ কম্বোনিয়া পাড়া, হোয়াইক্ষ্যং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ায় মুরুব্বি ও মেম্বারদের সঙ্গে একটি আলোচনা সভা ছিল। সেখানে হঠাৎ সাবেক এমপি বদি ও জাফর চেয়ারম্যানসহ ২০-৩০ জন লোক আমাদের পাশে এসে ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে।

আব্দুর রহমান বদি নিজেই তার পিস্তল দিয়ে গুলি করেছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম। তিনি বলেন, আমি এখন বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করতে যাচ্ছি।

এই বিষয়ে জানতে সাবেক এমপি বদির মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে যার সঙ্গে থেকে আব্দুর রহমান বদি গুলি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সেই প্রার্থী জাফর আলমের সাথে কথা হয় মোবাইল ফোনে। তিনি জানান, বদি ভাই আমার সাথে ছিলো। এ ধরণের কিছু হয়নি। তার (নুরুল আলম) ভাই নুরুল বশর জাতীয় নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে বদি ভাইয়ের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছেন। এটিও এমন একটি কুৎসা বলে জানান জাফর আলম।

;

আটোয়ারীতে নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের প্রচারণাকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে পাল্টা-পাল্টি হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (১ মে) জেলার আটোয়ারী উপজেলার ধামোর হাটে এ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গেছে, গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধায় একই বাজারে পাশাপাশি অবস্থিত মোটরসাইকেল মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম ও ঘোড়া মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আনিছুর রহমানের নির্বাচনী ক্যাম্পে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মাঝে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এর পর আবারও বৃহস্পতিবার রাতে বিরোধে জড়ান তারা।

মোটরসাইকেল মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে নিজেদের ক্যাম্পে অগ্নি সংযোগ করেছে তারা। এর আগে আমার কর্মী-সমর্থকেরা প্রচারণা মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় তারা তাদের গতিরোধ করে হামলা ও মারধর করে। এর মাঝে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেদের ক্যাম্পে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। একই সাথে তারা আমাদের ক্যাম্পে এসে হামলা ও মারধর করে।

ঘোড়া মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আনিছুর রহমান বলেন, ধামোর ইউনিয়নে প্রায় ৯০ শতাংশ লোক আমার সমর্থক। আমার প্রতিপক্ষ মোটরসাইকেল, তারা বেশ কয়েকদিন ধরে সেখানে ঢুকার চেষ্টা করছে। বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে নিয়ে গিয়ে আমাদের ক্যাম্প ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এলাকার মানুষ ও সাধারণ ভোটার তাদের ঘেরাও করে আটক করে রাখে। বিষয়টি জানতে পেরে প্রশাসনকে অবগত করি। প্রশাসন ঘটনাস্থলে গেলে তারা একটি আপোষনামা দিলে সকলেই চলে যায়। আমরা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে কোন অভিযোগ দায়ের করিনি।

আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিউল মাজলুবিন রহমান বলেন, ঘটনা জানার পরেই ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে পুলিশসহ সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। উভয় পক্ষে এ ঘটনায় কোন মামলা করবে না বলে সহকারী রিটার্টিং অফিসার বরাবর একটি আবেদন দাখিল করে। এসময় সবাইকে সতর্ক করা হয়।

;