বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমস্যা সমাধানে কাজ করছে সরকার: শিক্ষামন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, সিলেট
শিশুদের সঙ্গে ভাত খাচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

শিশুদের সঙ্গে ভাত খাচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি বলেছেন, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমস্যা সমাধানে কাজ করছে সরকার। দুই-একটা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাকি সব বিশ্ববিদ্যালয় ভালোভাবে চলছে।’

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার মান উন্নয়নে স্কুল ফিডিং নীতিমালার আওতায় সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পর মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর মিড-ডে মিল চালু করেছে। শিশুদের স্কুলমুখী করতে প্রতি মিলের জন্য আগ্রহী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০ টাকা গ্রহণ করা যাবে। প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যসম্মত রান্নার জায়গা এবং রান্না পরিবেশন করার জন্য জনবলের ব্যবস্থা করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘সিলেটে যে শিক্ষক সংকট রয়েছে তা দ্রুত সমাধান করা হবে।’

এর আগে দুপুর ২টায় সিলেট অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সে সিলেট বিভাগের ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও মিড-ডে মিল কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

   

বরগুনায় ধর্ষণে কিশোরী অন্তঃসত্তা, গ্রেফতার ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রতিবেশীদের ধর্ষণে কিশোরী অন্তঃসত্তা, গ্রেফতার ২

প্রতিবেশীদের ধর্ষণে কিশোরী অন্তঃসত্তা, গ্রেফতার ২

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের দক্ষিণের জেলা বরগুনা সদর থানার পিটিআই সড়ক এলাকায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও ভিক্ষুক বাবা মায়ের এক মাত্র মেয়েকে সঙ্গবদ্ধ ধর্ষণ ও অন্তঃসত্তার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পলাতক দুই আসামিকে রাজধানীর ডেমরা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব বলছে, অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী কিশোরীর প্রতিবেশী হওয়ায় বিভিন্ন অজুহাতে বাড়িতে ডেকে নিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে তারা। এমন কি অভিযুক্তরা কিশোরীকে সঙ্গবদ্ধ ধর্ষণ করে প্রকাশ না করতে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখায়। তবে ভুক্তভোগী কিশোরী অন্তঃসত্তা হয়ে পড়াতে বিষয়টি প্রকাশ পায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী পরিবার মামলা করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. খলিল (৩৮) ও মো. বশির হোসেন (৩৫)। মঙ্গলবার (০৭ মে) রাতে ও বুধবার দুপুরে ধারাবাহিক অভিযানে তাদের গ্রেফতার কার হয়।

বুধবার (০৮ মে) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১০ এর সহকারী মিডিয়া কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার এম. জে. সোহেল।

মামলার বরাত দিয়ে সোহেল বলেন, বরগুনা জেলার সদর থানা এলাকার এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী দম্পতি। তারা আশপাশের এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করত। তাদের সংসারে ১৫ বছরের মেয়ে রয়েছে। ওই দম্পতি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে বাসায় রেখে ভিক্ষা করতে যেতেন। এই সুযোগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগীর প্রতিবেশী খলিল তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। বাড়িতে নিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক দুই বার ধর্ষণ করে। ঘটনাটি কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেন খলিল। ফলে বিষয়টি ভয়ে প্রকাশ করেনি ভুক্তভোগী কিশোরী। পরবর্তীতে অপর এক প্রতিবেশী দুলাল একইভাবে তার বাড়িতে ভুক্তভোগীকে ডেকে নেন। ভুক্তভোগী দুলালের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় বশির ও কামাল অবস্থান করছে। তাদেরকে দেখে ডাক-চিৎকার করার চেষ্টা করলে দুলাল, বশির ও কামাল ভুক্তভোগীর মুখ চেপে ধরে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে।

এএসপি সোহেল আরও জানান, এই ঘটনার পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর শারীরিক পরিবর্তন হলে পরিবারের লোকজন মা ও শিশু ক্লিনিকে নিয়ে যায়। দায়িত্বরত চিকিৎসক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ভুক্তভোগী কিশোরী অন্তঃসত্তা বলে জানায়। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সে পরিবারকে ধর্ষণের ঘটনার বিস্তারিত জানায়। এই ঘটনায় খলিল, দুলাল, বশির, কামাল ও ধর্ষণে সহযোগিতা করায় খলিলের স্ত্রী আকলিমাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, গণধর্ষণের ঘটনাটি জানতে পেরে র‌্যাব-১০ ও র‌্যাব-৮ এর একটি যৌথ দল ১৫ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ও বুধবার র‌্যাব-১০ ও র‌্যাব-৮ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর ডেমরা থানার মোস্ত মাঝির মোড় ও ডেমরাঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিরা গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

জনশক্তি রফতানি নিয়ে ১৮ দেশের সাথে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে: প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জনশক্তি রফতানি নিয়ে ১৮ দেশের সাথে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে: প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী

জনশক্তি রফতানি নিয়ে ১৮ দেশের সাথে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে: প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালদ্বীপ এবং মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ হতে কর্মী প্রেরণের বিশ্বের ১৮টি দেশের সাথে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসস্থান মন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ হতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৭৬টি দেশে বাংলাদেশ থেকে কর্মী প্রেরণ করা হয়েছে। বিদেশে কর্মী প্রেরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ খাতের গুরুত্ব অপরিসীম বিবেচনায় সরকার অধিকহারে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রেখেছে।

ইতোমধ্য রাশিয়া, কম্বোডিয়া, সিসেলস, হার্জেগোভিনা, রোমানিয়া, উজবেকিস্তান, ইউক্রেন, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, চীন ইত্যাদি দেশে বাংলাদেশ থেকে কর্মী প্রেরণ শুরু হয়েছে।

দক্ষ জনশক্তি বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী পুন:প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে ফেরত আসা কর্মীদের পুনরায় বিদেশে প্রেরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া, পূর্ববর্তী শিক্ষা ও কাজের (RPL Recognition of Prior Learning) স্বীকৃতি এবং তার সনদ প্রদান করা হচ্ছে ফলে বিদেশে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

এই লক্ষ্য এক লাখ ড্রাইভার তৈরির জন্য সরকার "দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ প্রদান" শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করেছে যা সফলভাবে চলমান রয়েছে।

মন্ত্রী জানান, সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে করোনা পরবর্তীতে বৈদেশিক শ্রমবাজার ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বিদেশে প্রেরিত কর্মীর সংখ্যা ১১ লাখ ২৬ হাজার ৬০ জন।ক

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি বাংলাদেশ ওভারসীজ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সার্ভিসেস লিঃ (বোয়েসেল) এর মাধ্যমে জর্ডান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ফিজি, মালয়েশিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নিয়মিতভাবে স্বল্প খরচ ও বিনা খরচে কর্মী পাঠানো হচ্ছে।

একই সাথে মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন ১০৪টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ৬টি ইন্সটিটিউট অব মেরিন টেকনোলজী (আইএমটি) তে ৫৫টি ট্রেডে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল গড়ে তোলা হচ্ছে। এসব দক্ষ জনবলের দেশ এবং বিদেশে কর্মসংস্থান হচ্ছে।

;

রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে ২৮২ কোটি টাকার ইউরিয়া সার কিনবে সরকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে চলতি অর্থবছরের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও সৌদি আরব থেকে ৯০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ২৮২ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

বুধবার (৮ মে) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক এ সংক্রান্ত পৃথক তিনটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের কাছ থেকে ৭ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাঙ্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৯৩ কোটি ৭৭ লাখ ৬১ হাজার টাকা।

কাতার কেমিক্যাল অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যাল মার্কেটিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (মুনতাজাত) থেকে ১২তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৯৩ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

সচিব বলেন, টেবিলে আজকে একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে সেটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবটি হলো, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ১৪ তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৯৫ কোটি ১৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা।

;

বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে চায় তুরস্ক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য দুই বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে চায় বলে জানিয়েছেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন।

বুধবার (৮ মে) দুপুরে টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা জানান।

মেয়র রেজাউল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বিপুল বিনিয়োগ করেছেন। নগরীর যোগাযোগ অবকাঠামোকে ঢেলে সাজাতে আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।

এছাড়া, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসণেও নেয়া হয়েছে একাধিক প্রকল্প। ফলে বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য চট্টগ্রাম একটি আদর্শ স্থানে পরিণত হয়েছে। তুরস্ক এই সুবর্ণ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হতে পারে।

জবাবে রাষ্ট্রদূত রামিস সেন বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। গত অর্ধশতাব্দীতে বাংলাদেশের সুখ-দুঃখে সবসময় তুরস্ক পাশে ছিল। তবে তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের গভীরতা দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয় না। এজন্য তুরস্কের লক্ষ্য সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ এবং তুরস্কের মধ্যকার দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যকে দুই বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশ তুরস্ক থেকে আমদানি-রফতানি বেশি করে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে।

‌‘বর্তমানে তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য মূলত টেক্সটাইল খাতকেন্দ্রিক। তুরস্ক বাংলাদেশে টেক্সটাইল খাতের বিভিন্ন যন্ত্র ও কেমিক্যাল রফতানি করে। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক তৈরি পোশাক আমদানি করে। তুরস্ক কেবল টেক্সটাইল খাতে সীমাবদ্ধ না থেকে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যের বহুমুখীকরণ করতে চায়।’

তুরস্কের স্বাস্থ্যখাতের সাফল্য তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি মেডিকেল ট্যুরিজম ডেস্টিনেশনের একটি তুরস্ক। গ্রীস্মকালে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে ট্যুরিস্টরা চিকিৎসা নিতে তুরস্কে যান। কারণ তুরস্কের স্বাস্থ্যখাত অত্যন্ত জটিল ও বিরল বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দিতে সক্ষম। কোভিডকালে তুরস্কে টুরিস্টের সংখ্যা কিছুটা কমলেও গত বছর এই সংখ্যা বেড়ে আবার ৫০ মিলিয়নে উত্তীর্ণ হয়েছে।

সামরিক খাতেও তুরস্ক এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ফেব্রুয়ারিতে তুরস্ক নিজেদের তৈরি ৫ম প্রজন্মের স্টিলথ ফাইটার যুদ্ধবিমান কান উড্ডয়ন করেছে, যা তুরস্কের গভীর সামরিক শক্তির পরিচায়ক। এছাড়া ড্রোন নির্মাণ এবং বিভিন্ন সামরিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে তুরস্ক। তুরস্ক তার অর্জিত জ্ঞান বাংলাদেশের সঙ্গে আদান-প্রদান করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের রিয়ার অ্যাডমিরাল মুস্তফা কায়া, কর্নেল এরদাল শাহিন, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশে তুরস্কের অনারারি কনসাল জেনারেল সালাহউদ্দিন কাশেম খান।

;