রংপুরে পিডিবির শত কোটি টাকার মালামাল ১৭ লাখ টাকায় বিক্রি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রংপুর
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড রংপুর, ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড রংপুর, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) রংপুর ডিভিশন-৩ অফিস থেকে কোনো প্রকার টেন্ডার (দরপত্র আহ্বান) ছাড়াই প্রায় একশত কোটি টাকার বৈদ্যুতিক মালামাল মাত্র ১৭ লাখ টাকায় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পিডিবির রংপুর ডিভিশনের প্রধান প্রকৌশলী। তার দাবি, দরপত্র আহ্বান করা না হলেও সাতজনের একটি কমিটি করে এসব মালামাল বিক্রি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর মহানগরীর খামারস্থ পিডিবি ডিভিশন-৩ অফিসে গিয়ে জানা যায়, গত দুই দিনে ৩০-৩৫টি ট্রান্সফরমারসহ বেশ কিছু মূল্যবান বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও মালামাল রাতের আঁধারে ট্রাকে করে অন্যত্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এসব মালামালের আনুমানিক মূল্য ২০ কোটি টাকা হবে বলে দাবি করছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীরা।

নাম না প্রকাশে শর্তে একজন কর্মচারী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘সোমবার দিনভর ট্রাক লোড করে কোনো ধরনের পরিমাপ ছাড়াই ট্রান্সফরমারসহ বেশি কিছু মালামাল বাইরে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কোনো রকম টেন্ডার ছাড়াই এসব মালামাল পছন্দের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে। পিডিবি ডিভিশন-৩ থেকে যে সব মালামাল বিক্রি করা হয়েছে এসবের আনুমানিক একশত কোটি টাকা হবে। অথচ মালামাল টেন্ডার ছাড়াই মাত্র ১৬ লাখ ৮২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।’

এটি নতুন কোন ঘটনা নয় বলেও দাবি করেন ওই কর্মচারী।

পিডিবি ডিভিশন-৩ অফিস সংলগ্ন স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে পিডিবিতে এমন অনিয়ম চলেই আসছে। একটি সংঘবদ্ধ চক্র এসব দুর্নীতি-অনিয়ম করছে। রাতের আঁধারে এখান থেকে অনেক সময় মালামালবাহী ট্রাক বের হয়। সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখলে দুর্নীতি ও অনিয়মের কিছুটা হলেও প্রমাণ মিলবে। এখন টেন্ডার ছাড়া মালামাল বিক্রির বিষয়টি সবাই জানতে পারায় অফিসের বড় অফিসাররা নিজেদের দোষ লুকোনোর চেষ্টা করছেন।’

এদিকে, মালামালবাহী একজন শ্রমিক ও ট্রাক চালক বলেন, ‘আমরাতো জানি এসব মালামাল তিন কোটি টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এখান থেকে মালামাল লোড করে নিয়ে অন্যত্র গিয়ে ওজন পরিমাপ করে।

এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন সরকার বলেন, ‘মালামাল বিক্রির জন্য কোনো ধরনের টেন্ডার দেয়া হয়নি তবে উপরের নির্দেশে কোটেশন দিয়ে এসব বিক্রি করা হয়েছে। হেড অফিস থেকে সেভাবেই নির্দেশ দেয়া আছে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী সেনা কল্যাণ সংস্থাকে মালামালগুলো দেওয়া হয়েছে। এ জন্য সুপারিন্টেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার, অডিট বিভাগের ডিজিএম, একাউন্ট অফিসের ডিডি, চীফ অফিসের ম্যানেজার, এমডি অফিসের সহকারী ম্যানেজার, স্টোর ম্যানেজারসহ ৭ সদস্যের একটি কমিটিও করে দেওয়া হয়েছে। তারাই এসব মালামাল বিক্রি করেছে।’

এ বিষয়ে কোনো ধরনের লিখিত অফিস অর্ডার দেখাতে পারেননি তিনি। বরং সাংবাদিকদের উপস্থিতি বাড়তে থাকায় কাগজপত্র আগামী সপ্তাহে দেখানোর কথা বলে ঘটনাস্থল থেকে তিনি দ্রুত সটকে পড়েন।

ঠিকাদার মিজানুর রহমান বলেন, ‘সেনা কল্যাণ সংস্থার পক্ষে আমি মালামালগুলো কেরিং করে নিয়ে যাচ্ছি। কি প্রক্রিয়ায় মালামালগুলো বিক্রি করা হয়েছে তা আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে পিডিবির ইঞ্জিনিয়াররা ভালো বলতে পারবেন।

এ ব্যাপারে পিডিবির রংপুর ডিভিশনের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম এবং নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম মন্ডল মালামাল বিক্রির বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন। তারা জানান, কে বা কারা এসব মালামাল কত দামে বিক্রি করেছে তা আমাদের জানা নেই।

   

মেঘনায় মাছ শিকারে অবৈধ জাল ব্যবহার, ২১ জেলে কারাগারে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
মেঘনায় মাছ শিকারে অবৈধ জাল ব্যবহার, ২১ জেলে কারাগারে

মেঘনায় মাছ শিকারে অবৈধ জাল ব্যবহার, ২১ জেলে কারাগারে

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরের রামগতির মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে অবৈধ পিটানো জাল ব্যবহার করায় ২১ জেলেকে আটক করা হয়েছে।

রোববার (০৫ মে) দুপুরে তাদের বিরুদ্ধে রামগতি থানায় মৎস্য আইনে মামলার পর গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রুহুল আমিন মাঝি, মো. শরীফ, বজলুর রহমান, মো. ইব্রাহিম, বাবুল হোসেন, মো. রাকিব, মো. ইস্রাফিল, মো. জুয়েল, হুমায়ুন কবীর, জুয়েল হোসেন, আক্তার হোসেন, মো. জামাল, আলী হোসেন, মো. জাহিদ, রুহুল আমিন, জাকির হোসেন, হেলাল উদ্দিন, মো. হাসান, নুরনবী ও আবুল খায়েরসহ ২১ জন। তারা ভোলার দৌলতখান এলাকার বাসিন্দা।

বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি সূত্র জানায়, পিটানো জাল দিয়ে নদীতে মাছ শিকার আইনত নিষিদ্ধ। নদীতে পেটানো জাল ব্যবহারে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিনষ্ট হয়ে যায়। এতে শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় রামগতি উপজেলার চর আবদুল্লাহর পশ্চিমে মেঘনা নদীতে অভিযান চালানো হয়। এসময় কয়েকজনকে আটক করা গেলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। এতে রোববার সকালে ফের অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত জেলেদের আটক করা হয়। পরে বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মো. ফেরদৌস আহম্মদ বাদী হয়ে ১৯৫০ সনের মৎস্য আইনের ৫/(১) ধারায় আটক জেলেদের বিরুদ্ধে রামগতি থানায় মামলা দায়ের করেন।

বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মো. ফেরদৌস আহম্মদ বলেন, অবৈধ জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করায় ২১ জনকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।

;

অপরিপক্ক আম বাজারজাত করার অভিযোগে ব্যবসায়ীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরায় বাগান থেকে অপরিপক্ক আম বাজারজাত করার অভিযোগে রবিউল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ৪০ মণ আম জব্দ করা হয়।

রোববার (৫ এপ্রিল) জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়।

তিনি সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের সাড়াগাছি গ্রামের বাগান থেকে পেড়ে বাজারজাতকালে এসব আম জব্দ করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ। এসময় সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

অর্থদণ্ডের শিকার মো. রবিউল ইসলাম সাতক্ষীরা শহরের মিয়াসাহেবের ডাঙ্গী এলাকার আব্দুল বারীর ছেলে।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ জানান, অধিক মুনাফা লাভের আশায় অসাধু আম ব্যবসায়ীরা অপরিপক্ক আম বাজারজাত করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে এক ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো জানান, অপরিপক্ক আম পেড়ে রাসায়নিক দিয়ে পাকিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছে। যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। একই সাথে অসাধু ব্যবসায়ীদের এমন কর্মকাণ্ডের জন্য সাতক্ষীরার আমের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।

;

বাংলাদেশে বেকারত্ব আছে বলে বিশ্বাস করি না: সালমান এফ রহমান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে বেকারত্ব আছে বলে বিশ্বাস করেন না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমান।

রোববার (৫ মে) দুপুরে বনানীতে হোটেল শেরাটনে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ'র আয়োজনে 'ইনভেসমেন্ট ক্লাইমেট ফর স্মার্ট বাংলাদেশ' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

সালমান এফ. রহমান বলেন, বাংলাদেশে যদি বেকারত্ব থাকে তাহলে কৃষকের ফসল ঘরে তোলার সময় কেন কাজের লোক পাওয়া যায় না? উল্টো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদেরকে কৃষকের ফসল ঘরে তুলে দিয়ে আসতে হয়।

তিনি বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রফেশনাল ডিগ্রি নিয়ে যারা পড়াশোনা করেছে হোক সে প্রকৌশলী, উকিল, ফার্মাসিস্ট কিংবা কেমিস্ট- তাদের কাউকেই আমি আজ পর্যন্ত বলতে শুনিনি যে তারা বেকার। কিন্তু কেউ বলে দেশে চার লাখ বেকার আবার কেউ বলে ৪০ লাখ গ্রাজুয়েট বেকার আছে। তাদের বেকারত্বের কারণ হচ্ছে কোন ক্যারিয়ার প্ল্যানিং না করেই পড়াশোনা করা। আর সরকারের দায়িত্ব হয়ে গেল তাদেরকে চাকরি দেওয়া? আমেরিকাসহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে ছেলেমেয়েরা গ্রাজুয়েশন এর দিকে না গিয়ে প্রফেশনাল ট্রেনিং নিয়ে নিজ নিজ ক্ষেত্রে কাজ করছে। 

বাংলাদেশেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রফেশনাল লোকবলের ঘাটতি রয়েছে। সরকারের সমালোচনা না করে বেকারত্ব দূর করতে ছেলে মেয়েদের ক্যারিয়ার প্লানিং করে প্রফেশনাল ডিগ্রি বা ট্রেনিং নেওয়া উচিত বলেও জানান তিনি।

একই অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আইসিটি খাতে দেশে যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তা সরকারি খাতের সাথে বেসরকারি খাতের প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে। তাই সভায় উত্থাপিত আইসিটি খাতে প্রণোদনাসহ শতভাগ করমুক্ত করার দাবির সাথে একমত পোষণ করছি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের এই বার্তা পৌঁছে দেয়ার অনুরোধ করছি।

আইসিটি খাতকে শতভাগ করমুক্ত করা হলে দেশীয় এবং বিদেশিদের বিনিয়োগ বাড়বে এবং অসংখ্য তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলেও জানান আইসিটির প্রতিমন্ত্রী।

এসময় গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ'র সভাপতি শামীম আহসান, সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য জারা জাবিন মাহবুব, সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ, সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমান, ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ, সিসিসিআই সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম প্রমুখ।

;

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত: মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সুপারিশ সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন। এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

রোববার (৫ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাকরিতে বয়সসীমা নিয়ে যে সুপারিশ পাঠিয়েছে তা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করব। তিনি যে নির্দেশনা দেবেন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফরহাদ হোসেন জানান, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংসদে কথা বলেছেন। তিনি এ বিষয়ে নিরুৎসাহিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বয়সসীমা বাড়ালে অবসরের সময় নিয়ে সমস্যা হতে পারে।

এর আগে, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে বলেন, বর্তমানে সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সব ধরনের চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা ৩০ বছর মানদণ্ড হিসেবে অনুসরণ করা হয়। এ অবস্থায় চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ বছর করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।

সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে পাতা নম্বর ৩৩-এর শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসঙ্গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।

দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। তারা বলে আসছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৫৯ বছর পর্যন্ত। অর্থাৎ বয়স নয়, যোগ্যতাই একজন প্রার্থীর একমাত্র মাপকাঠি। ওই দেশের আলোকে বাংলাদেশেও চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করা দাবি করে আসছেন।

;