বাংলাদেশ জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় অগ্রগতি করেছে
বাংলাদেশ জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে আরও অনেক কিছু করার দরকার আছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে লড়াই করতে বাংলাদেশ ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তা করতে প্রায় ৬০০ কোটি পাউন্ড ব্যয় করবে।
রবার্ট ডিকসন বলেন, কীভাবে বাংলাদেশ গত এক দশক ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলায় সামর্থ্য অর্জন করেছে তা অনেক দেশের জন্য অনুকরণীয়।
শান্তির আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে একটি ভিডিও বার্তায় ব্রিটিশ হাই কমিশনার বলেন, জলবায়ু ও শান্তির মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। যুক্তরাজ্য জলবায়ু অভিযোজন সম্পর্কে বাংলাদেশের সাথে খুব নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
হাই কমিশনার ডিকসন বলেন, শান্তি নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াবে।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্য জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এই বছরের প্রতিপাদ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য শান্তিতে বিশ্বব্যাপী শান্তি রক্ষা ও প্রচারের উপায় হিসাবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেয়।
আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের জলবায়ু একশন সামিটে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের মধ্যে স্থিতিস্থাপকতা এবং অভিযোজন ট্র্যাকের নেতৃত্ব দেবে।
হাই কমিশনার বলেন, যুক্তরাজ্য জলবায়ুর প্রভাবের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার এবং ভবিষ্যতের জন্য স্থিতিস্থাপকতা তৈরির বিষয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে একসাথে কাজ করবে।
যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগ জলবায়ু ও পরিবেশের জন্য ব্যয় দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়েছে এবং এর অংশ হিসাবে ইতিমধ্যে সবুজ জলবায়ু তহবিল পুনরায় পূরণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে।
জাতিসংঘ সব রাষ্ট্র এবং নাগরিককে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।