বাঙালির ব্যাংক



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান ব্যাংক ইউনাইটেড ব্যাংক অব ইন্ডিয়াকে (ইউবিআই) বলা হয় ব্যাংক ‘ফর দ্য বেঙ্গলি, বাই দ্য বেঙ্গলি, অব দ্য বেঙ্গলি’। যে ব্যাংকের উদ্যোক্তারা সবাই বাঙালি আর ব্যাংকটির জন্মের সঙ্গে আছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী জনপদ কুমিল্লার নাম। বাঙালির এই ব্যাংক সমগ্র ভারতবর্ষের গর্ব।

১৯৫০ সালের ১৮ ডিসেম্বর, কুমিল্লা ব্যাংকিং কর্পোরেশন, বেঙ্গল সেন্ট্রাল ব্যাংক, কুমিল্লা ইউনিয়ন ব্যাংক এবং হুগলি ব্যাংক মিলে গঠিত হয় ইউনাইটেড ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (ইউবিআই)। ওই চারটি ব্যাংকেরই প্রতিষ্ঠাতা চার বাঙালি।

সবার আগে তৈরি হয় কুমিল্লা ব্যাংকিং কর্পোরেশন। ১৯১৪ সালে কুমিল্লার আইনজীবী এন সি দত্ত পত্তন করেন কুমিল্লা ব্যাংকিং কর্পোরেশনের। মাত্র ৩০০০ টাকা ছিল সম্বল।

এরপর ১৯১৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক জ্যোতিষচন্দ্র দাস তৈরি করেন বেঙ্গল সেন্ট্রাল ব্যাংক।

ব্যাংকিং ব্যবসায় অভিজ্ঞ কুমিল্লার ইন্দুভূষণ দত্ত ১৯২২ সালে স্থাপন করেন কুমিল্লা ইউনিয়ন ব্যাংক। আর উত্তরপাড়ার জমিদার, স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং ধনেখালির তৎকালীন বিধায়ক ধীরেন্দ্রনারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের হাতে ১৯৩২ সালে তৈরি হয় হুগলি ব্যাংক লিমিটেড, যার সদর দফতর ছিল কলকাতার ধর্মতলায়।

ইউবিআই জন্মলগ্ন থেকে যেসব অঞ্চলে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছায়নি, সেসব অঞ্চলে ব্যাংকের শাখা খোলার ব্যাপারে বেশি উৎসাহ দিয়েছে। যখন সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকিং পরিষেবা প্রায় ছিলই না, তখন সেখানে হাজির হয়েছে ইউবিআই।

দক্ষিণ বাংলার সুন্দরবনের মানুষের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে জঙ্গল আর নদী। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার জন্য একমাত্র নদীপথই ভরসা। নদীপথকে ব্যবহার করে সেখানে ব্যাংকিং চালু করেছিল ইউবিআই। দুটি ভ্রাম্যমাণ লঞ্চে ব্যাংকের শাখা চালু করে তারা। সেগুলো বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে মানুষকে ব্যাংকিং সেবা দিত। টাকা জমা দেওয়া ও তোলাসহ বিভিন্ন ব্যাংকিং পরিষেবা দেওয়ার জন্য এই লঞ্চ দুটিই ব্যাংকের শাখা হিসাবে কাজ করত। নদীবক্ষে ভ্রাম্যমাণ ব্যাংকের প্রচলন সুদূরপ্রসারী চিন্তা ও কুশলী উদ্যোগের প্রতিফলন।

ব্যাংকিং ব্যবস্থার ইতিহাসে উত্থান-পতন একটি সাধারণ ঘটনা। বিশ্বের নানা দেশে বহু নামিদামি ব্যাংক বিভিন্ন সময়ে সমস্যায় পড়েছে। কোনটি উঠে দাঁড়াতে পেরেছে, কোনটি ধরাশায়ী হয়েছে।

শুরুর কয়েক বছর পর ইউবিআই-ও একবার সমস্যায় পড়েছিল। একসঙ্গে বহু গ্রাহক এসে লাইন দিয়েছিলেন টাকা তুলে নেওয়ার জন্য। খবর চলে যায় পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের কানে। তিনি স্বয়ং চলে আসেন ব্যাংকের রয়্যাল এক্সচেঞ্জ প্লেস শাখায়। সেখানে একটা টেবিলের উপর উঠে দাঁড়িয়ে গ্রাহকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। বলেন, ‘ব্যাংকে কোন সমস্যা নেই, সকলের টাকাই সুরক্ষিত। অযথা আতঙ্কিত হয়ে কেউ যেন টাকা তুলে না নেন।’ এ কথায় দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে সে যাত্রায় বেঁচেছিল ইউনাইটেড ব্যাংক। যে টেবিলের উপরে দাঁড়িয়ে বিধানবাবু বক্তব্য রেখেছিলেন, সেটি এখনও কলকাতার রয়্যাল এক্সচেঞ্জ প্লেস শাখায় সংরক্ষিত।

বিধানচন্দ্র রায় নিজেও ছিলেন ইউবিআই-এর গ্রাহক। এ ব্যাংকের গ্রাহক তালিকায় আরও আছেন নামকরা বহু মানুষ, যেমন- দেশের প্রাক্তন চার রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ, জৈল সিংহ, প্রতিভা পাটিল ও প্রণব মুখোপাধ্যায়। এ ছাড়া রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু, প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী, পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো ব্যক্তিত্ব।

ভারতের রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদের উদ্যোগে ইউবিআই-এর রজতজয়ন্তী বর্ষ উপলক্ষে ১৯৭৬ সালে রাষ্ট্রপতি ভবনে ব্যাংকের একটি শাখার উদ্বোধন হয়, যার পোশাকি নাম প্রেসিডেন্ট এস্টেট ব্রাঞ্চ। রাষ্ট্রপতি ভবনে এটাই কোনও ব্যাংকের প্রথম শাখা। পরে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের আমলে রাষ্ট্রপতি ভবনেই আরও বড় জায়গায় শাখাটি স্থানান্তরিত করা হয়।

বাংলার ছোট-বড় শিল্প সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ইউবিআই-এর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। রাজ্যের চা শিল্পে এই ব্যাংকই সব থেকে বেশি ঋণ দিয়েছে। এক সময়ে ব্যাংকের মোট ঋণের ৩০ শতাংশই পেত চা শিল্প। ঋণের আওতায় রয়েছে পাট শিল্পও। রাজ্যের বহু ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে ইউবিআই-এর ভূমিকা কম নয়।

ফুলের চাষ, কুমোরটুলির প্রতিমা শিল্প, তাঁত শিল্প, চিরুনি বা পিতলের জিনিস তৈরির মতো উদ্যোগকে চাঙ্গা করতেও এগিয়ে এসেছে ইউবিআই। হিমঘরগুলিকেও বিমুখ করেনি। ঋণ নিয়ে ব্যবসা বাড়িয়েছে বড় মাপের অনেক শিল্প সংস্থাও।

প্রথম যে বড় শিল্পগোষ্ঠীকে এই ব্যাংক ঋণ দেয়, সেটি হলো টাটা গোষ্ঠী। তাদের একটি কাপড়ের মিল ইউবিআই-এর থেকে ঋণ নেয়। বিড়লা গোষ্ঠীর প্রথম যে দুটি সংস্থা ইউবিআইয়ের দেওয়া ঋণের তালিকায় আসে, তারা হল হিন্দ সাইকেল এবং ইন্ডিয়ান রেয়ন। কলকাতার গ্র্যান্ড হোটেল বা ওবেরয় গোষ্ঠী, বেঙ্গল কেমিক্যালস, বেঙ্গল এনামেল, সরস্বতী প্রেস, মার্টিন বার্ন, টিস্কো ইত্যাদি সংস্থার ব্যবসা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ইউবিআই-এর ঋণের বড় ভূমিকা রয়েছে।

ইউবিআই-এর ৯০ শতাংশ আমানতই পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের পূর্বাঞ্চলের গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগৃহীত। একটি জাতীয় স্তরের ব্যাংক হলেও এই ব্যাংকের মোট ঋণের ৫০ শতাংশই খাটছে ভারতের পূর্বাঞ্চলে।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এক ঘোষণায় পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক, ওরিয়েন্টাল ব্যাংক অব কমার্স এবং ইউবিআই, এই তিনটি ব্যাংক মিলে নতুন একটি ব্যাংক তৈরি কথা জানিয়েছে। তার নামও হবে নতুন। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালির ব্যাংকের স্মৃতি এবং বহু স্মৃতিবিজড়িত ‘ইউবিআই’ নামটিও।

   

রাজধানীতে ৬ কোটি টাকার বিদেশি মদসহ আটক ৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
৬ কোটি টাকার বিদেশি মদসহ আটক ৩

৬ কোটি টাকার বিদেশি মদসহ আটক ৩

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ডেমরা এলাকা হতে আনুমানিক ৬ কোটি টাকার বেশি মূল্যের ৮ হাজার ৬০০ লিটার বিদেশি মদসহ ৩ মাদক কারবারিকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০)।

রোববার (১৯ মে) র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০) অধিনায়ক অ্যাডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

আটককৃতরা হলো, মো. দ্বীন ইসলাম (৪৮), মো. আনিসুর রহমান রিপন (৫১), এবং আব্দুল হাদী (২০)।

ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, শনিবার (১৮ মে) র‌্যাব-১০, সিপিসি-১ যাত্রাবাড়ী ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডেমরার আমুলিয়া মডেল টাউন এলাকার একটি কেমিক্যাল ফ্যাক্টরিতে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আনুমানিক ৬ কোটি ২ লাখ টাকা সমমূল্যের ৩৪৪টি নীল রঙের জারিকেন ২৫ লিটার করে মোট ৮ হাজার ৬০০ লিটার বিদেশি মদ ও মাদক কারবারি চক্রের অন্যতম মূলহোতাসহ তিন জনকে আটক করা হয়।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আটককৃত দ্বীন ইসলাম চীন থেকে পলি অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড নামক পানি পরিষ্কার করার কেমিক্যাল আমদানি করে রাজধানী ঢাকার ডেমরা থানাধীন আমুলিয়া মডেল টাউন এলাকার একটি গোডাউন মজুদ করে রাখত। পরবর্তীতে সেগুলো রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করত।

এই ব্যবসার আড়ালে দ্বীন ইসলাম ও তার প্রধান সহযোগী মো. আনিসুর রহমান রিপনসহ ৪-৫ জন মিলে স্বল্প সময়ে অধিক অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে একটি মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। যার অংশ হিসেবে দ্বীন ইসলাম চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে উল্লিখিত ক্যামিকেলের সাথে ক্যামিকেলের জারিকেনে করে কৌশলে বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ দেশে নিয়ে আসত। তারপর মদ ডেমরা এলাকায় তাদের গোডাউনে মজুদ করে রাখত।

পরবর্তীতে বিদেশি মদ দ্বীন ইসলামের সহযোগী মো. আনিসুর রহমান রিপন ও আব্দুল হাদী পলাতক মনু ও ফিরোজদের মাধ্যমে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন মাদক কারবারি ও মাদক সেবনকারীদের নিকট সরবরাহ করত। প্রতিটি জারিকেনে ২৫ লিটার করে বিদেশি মদ থাকে এবং প্রতিটি জারিকেন ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তারা বিক্রি করত বলে জানায়।

তারা আরও জানান, দ্বীন ইসলামের নেতৃত্বে চক্রটি কেমিক্যাল ব্যবসার আড়ালে প্রায় দেড় বছর যাবৎ এই মাদক কারবারি পরিচালনা করে আসছিল। এছাড়া আটককৃত দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অর্থ জালিয়াতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

আটককৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

;

নওগাঁয় অসুস্থ গরু জবাই, কসাইকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর বদলগাছীতে অসুস্থ গরু জবাই করার অভিযোগে নজরুল ইসলাম (৫৫) নামে এক মাংস ব‍্যবসায়ীর ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্ত মাংস ব‍্যবসায়ী নজরুল ইসলাম কোলা গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে এবং সাবেক ইউপি সদস‍্য।

উপজেলার ভান্ডারপুর হাটে মাংস বিক্রির উদ্দেশ্য অসুস্থ ওই গরুটি জবাই করে ব্যবসায়ী। অনাদায়ে ১৫ দিন কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেছেন ভ্রাম‍্যমান আদালতের বিচারক।

রবিবার (১৯ মে) দুপুরে ভ্রাম‍্যমান আদালতে জরিমানা আরোপ ও আদায় করেন বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতিয়া খাতুন।

এদিকে এতো অল্প টাকা জরিমানা করায় ক্ষুব্ধ ও অসন্তোষ হয়েছে স্থানীয় লোকজন। তাদের অভিযোগ এখানকার কসাইয়েরা বারবার অসুস্থ গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করে। উপস্থিত করোনা কর্মকার বলেন, অল্প জরিমানা করলে এদের হবেনা। বেশি জরিমানা করতে হবে। অথবা জেল দিতে হবে। নয়তো এরা বারবারই এমন কাজ করবে।

স্থানীয় ও প্রত‍্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় কসাইয়েরা অসুস্থ গরুটিকে জবাই করে। এই সময় বাজারে আসা লোকজন গরুটিকে জবাই করতে দেখে নিষেধ করলেও শোনে না। অসুস্থ গরু জবাই হলে সাথে সাথে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন নাজমুল হাসান এবং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। আর প্রশাসন এসে নাম মাত্র জরিমানা করে।

স্থানীয় বাসিন্দা খালিদ বলেন, কোলা গ্রামের রিপন গরুটি কোলাহাট থেকে কিনে। এরপর ইসমাইল পুর গ্রামের লবা, বিতু, কালাম এবং সাবেক মেম্বার নজরুল কসাই ভাগাভাগি করে গরুটিকে এনে জবাই করে। এর আগেও এরা অসুস্থ গরু জবাই করার কারণে জরিমানা গুনতে হয়েছে।

স্থানীয় বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সাগর বলেন, এই হাটে প্রায় অসুস্থ গরু এনে জবাই করে এবং অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রি করে কসাইরা। এর আগেও ভ্রাম‍্যমান আদালত বসিয়ে জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। কসাইরা প্রাণীসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল কর্তৃক পশু জবাইয়ের কোনো ছাড়পত্র ছাড়াই গরু জবাই করে থাকে।

এ ব‍্যপারে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতিয়া খাতুন বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে নজরুল নামে এক কসাইকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে এবং তাদের নিষেধ করেছি। পরবর্তীতে এমন কাজ পুনরায় হলে আরও কঠোর ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

‘কিরগিজস্তানে হামলার স্বীকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে গুরুতর আহত নেই’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, কিরগিস্তানে শিক্ষার্থীদের উপর যে হামলা হয়েছে সে ঘটনায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী কেউ গুরুতর আহত হয়েছে এমন খবর নেই। আমাদের কিরগিস্তানে আমাদের দূতাবাস নেই। উজিবেগিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে সেখানে যেতে বলেছি।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ঢাকায় কর্মরত বিদেশি গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সংগঠন ওভারসিস করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওকাব) ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘রোহিঙ্গা সংকট: ভবিষ্যৎ পথরেখা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলন, ইতিমধ্যে কিরগিস্তান প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। বাংলাদেশি কোনো শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে আমাদের কাছে খবর নেই। যে কোনো পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের উজবেকিস্তানের দূতাবাসে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে৷‌

জানা গেছে, গত ১৩ মে একদল মিশরীয় শিক্ষার্থীর সঙ্গে কিরগিজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তবে কী নিয়ে তাদের মধ্যে এই বিরোধ বেঁধেছিল তা নিশ্চিত নয়। তবে ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতে কিরগিজ রাজধানীতে বেশকিছু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ও বেসরকারি আবাসনে হামলা চালায় স্থানীয়রা। এসব হোস্টেল ও ভবনে মূলত বিদেশি শিক্ষার্থীরা বসবাস করেন।

;

এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বনানী সেলস অফিস উদ্বোধন করলেন সাদিয়া ইসলাম মৌ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বনানী সেলস অফিস উদ্বোধন করলেন সাদিয়া ইসলাম মৌ

এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বনানী সেলস অফিস উদ্বোধন করলেন সাদিয়া ইসলাম মৌ

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের নবীনতম বেসরকারি এয়ারলাইন্স এয়ার এ্যাস্ট্রা আজ ১৯ মে বনানীতে এয়ারলাইন্সটির নতুন সেলস অফিস এর যাত্রা শুরু করলো। সেলস অফিসটির উদ্বোধন করেন নন্দিত নৃত্যশিল্পী, মডেল ও অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌ। তার সাথে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এয়ার এ্যাস্ট্রার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ইমরান আসিফ, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সোহেল মজিদসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য কর্মকর্তারা। উদ্বোধনের পর মিলাদ এর আয়োজন করা হয়, যেখানে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি’র প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাদিয়া ইসলাম মৌ বলেন, এয়ার এ্যাস্ট্রা’র এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত বোধ করছি। এরই মধ্যে এয়ারলাইনটি তাঁদের ভাইব্রেন্ট লুক ও প্রিমিয়াম সার্ভিস দিয়ে যাত্রীদের মন জয় করেছে। আমি আশা করি তারা তাদের সার্ভিস ও নিরাপদ ফ্লাইট পরিচালনার মধ্য দিয়ে যাত্রীদের সেবা দেওয়া চলমান রাখবে।

এটি এয়ার এ্যাস্ট্রা’র চতুর্থ সেলস অফিস। সেলস অফিসটির উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এখন থেকে যাত্রীরা বনানী সেলস অফিস থেকে সরাসরি টিকিট ও হলিডে প্যাকেজ ক্রয় করতে পারবেন। এছাড়াও যাত্রীদের টিকিট রিফান্ড, ফ্লাইটের সময় পরিবর্তনসহ অন্যান্য যাবতীয় সুবিধা এই সেলস অফিস থেকে প্রদান করা হবে।

এয়ার এ্যাস্ট্রা বর্তমানে ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা, ঢাকা-চট্রগ্রাম-ঢাকা, ঢাকা-সিলেট-ঢাকা এবং ঢাকা-সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে প্রতিদিন ১৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বহরে বর্তমানে তিনটি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ফ্রান্সে নির্মিত সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টার্বোপ্রপ এয়ারক্রাফট এবং ৭০ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম। খুব শিঘ্রই আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট শুরু করবে এয়ার এ্যাস্ট্রা।

;